নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাপ্নিক এই আমি

আমি কাল্পনিক সজল

আমি মানুষ হিসেবে খুবই সরল কারণ আমার মনে অত্যাধিক প্যাঁচ।

আমি কাল্পনিক সজল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন চুপারস্টার ছুপারোস্তমের কাহিনি

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯



আমাদের চাঁদের আকার আরেকটু ছোট কিংবা কক্ষপথ এর চেয়ে দূরে হতো তাহলে আমরা কখনোই পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখতে পারতাম না। সেইরাম ব্যাপার। B-)



পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপারটি হচ্ছে, দিনের বেলায় আকাশের তারা দেখা। আমি কিন্তু গার্লফ্রেন্ডের ভাইয়ের হাতে মাইর খেয়ে তারা দেখার কথা বলি নাই। :P



নিউটন মহাকর্ষ বলের জন্য যে সূত্র দিয়েছিলেন সেটি সূর্যের আবর্তন থেকে সুন্দরীকে দেখতে দেখতে মাথায় কাকের ইয়ে পড়ার গতিপ্রকৃতি, সবই ব্যাখ্যা করতে পারতো। শুধু বুধ গ্রহের কক্ষপথে প্রতি একশ বছরে এক ডিগ্রির ছয় ভাগের এক ভাগের বিচ্যুতি ছাড়া। মানে সূত্র ৯৯%-ই ঠিক, শুধু একটুস খানি ইয়ে আরকি। :P







বিচ্যুতিটা খুব অল্পের কারণে বিজ্ঞানীরা খুব একটা গুরুত্ব দিতেন না। কিন্তু এক পোলা এসে ঢুসডাস করে কি লিখে দিল, তাতেই একটুস খানি ইয়ের সমস্যাটা মিটে গেল। কিন্তু কোন বিজ্ঞানী সেটা গুরুত্ব দিলেন না। বললেন, পুরান পাগলে ভাত পায় না, নতুন পাগলের আমদানি। X((



পোলাটা আবার একটু খিঁচরা টাইপের ছিল। :P সে ভাবলো একখান ম্যাজিক দেখাতে হবে। এই পৃথিবীতে লজিকের চেয়ে ম্যাজিকে মানুষ বেশি বিশ্বাসী। নইলে ভন্ড সাধুবাবারা বিখ্যাত হবে কেন? 8-|



পোলাটা তাঁর সূত্র দিয়ে দেখল আলো শুধু সোজা না, বাঁকিয়েও চলতে পারে। :O এখন এইটা বিজ্ঞানীদের সামনে করে দেখাতে হবে। চোখ ধাঁধানো আলোয় তো আর এটা দেখা যাবে না। তাই এই জন্য একটা পূর্ণ সূর্যগ্রহণ চাই। তাতে সূর্যের কাছ দিয়ে আসা দূর নক্ষত্রের আলো বেঁকে যাওয়া খালি চোখেই দেখা যাবে। B-)



পোলা ক্যালেন্ডার ঘেটে দেখল বেশ কয়েক বছর পর রাশিয়ার ক্রিমিয়াতে একটা পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে। পোলার এক বন্ধু আরউইন ফ্রীয়োনডিউচ-কে ছবি তুলতে রাশিয়াতে পাঠালেন। যেই সময় তাঁর বন্ধু টেলিস্কোপ ক্যামেরা আর কি কি সব নিয়ে ভাবুক বদনে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, সেইসময় জার্মানি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায় বন্ধুটাকে জেলে পুরে দিল। আর পোলাটার কপাল পুড়ল। :((



পাঁচ বছর পর আবার পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। এটি দেখা যাবে দক্ষিন আমেরিকা থেকে মধ্য আফ্রিকা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবজারভেটরির পরিচালক স্যার আর্থার এডিংটন জাহাজে করে দৌড়ালেন। জায়গামতো সবকিছু ফিট করে, অপেক্ষায় রইলেন।



মনের উপর যেমন জোর চলে না, তেমনি সূর্যগ্রহণ এর উপরও জোর চলে না। আংশিক সূর্যগ্রহণ কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হলেও এটি মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। এই সময় মেঘ এসে যদি ঢেকে দেয় তাহলে অপেক্ষার প্রহর বেড়ে দাঁড়াবে এক যুগেরও বেশি। :|



পোলার ভাগ্য আসলেই খারাপ। শুধু মেঘ এসেই ক্ষান্ত হলো না। বজ্রপাদ, দুঃখিত বজ্রপাতসহ :P বৃষ্টি শুরু হলো। কিন্তু অবাক করা কান্ড, সূর্যগ্রহণের ঠিক আগ মুহূর্তে আকাশ ফকফকা পরিষ্কার হয়ে গেল। যাকে বলে সেইরাম পরিষ্কার। B-)



৩০২ সেকেন্ডের এই পূর্ণ সূর্যগ্রহণে ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং করে ১৬টা আলোকচিত্র নেওয়া হলো। কিন্তু সেই পোলার কাজে লাগার মতো ছবি এল মাত্র একটা। কিন্তু তাতেই তেলেসমাতি হয়ে গেল। তাঁর সূত্র অনুযায়ী নক্ষত্রের আলো যেটুকু বেঁকে যাওয়ার কথা ছিল, সেটুকুই বেঁকে গেল।



আলো বেঁকে যাওয়ার ভবিষ্যৎবাণী মিলে যাওয়ায় পোলা হয়ে গেল চুপারস্টার ছুপারোস্তম। =p~







আজকে এই পোলার জন্মদিন। ১৮৭৯ সালের আজকের দিনে জগত নিয়ে চিন্তার আমূল পরিবর্তন করতে আর স্যার নিউটনকে টেক্কা দিতে পয়দা হয়েছিলেন আমাদের সুপারস্টার আইনস্টাইন। :D







শুভ জন্মদিন। :)





বিজ্ঞানের রহস্য অন্বেষণ নামে একটা গ্রুপ থেকে "রহস্য অন্বেষণ" নামে আমরা একটা বিজ্ঞান ই-ম্যাগাজিন বের করেছি।



সাইজ> ৮.৪০ মেগা

পিডিএফ লিংক> Click This Link



রার ফরমেট

সাইজ> ৭.১০ মেগা

লিংক> Click This Link



লাইট ভার্সন

সাইজ> ৫.৭৫ মেগা

লিংক> Click This Link



মেগাবাইট থাকলে সংগ্রহে রাখিয়েন। ম্যালা কষ্ট করে বানাইছি তো :((



একটু মজা না নিয়ে কি আর শেষ করা যায়?



আইনস্টাইন একবার ঘোষণা দিল, রিলেটিভিটির থিওরির পর তার সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হচ্ছে,



ডিম সেদ্ধ করার জন্য ডিমকে স্যুপ রান্নার সময় স্যুপের পাত্রে রেখে দিতে হবে। এতে করে স্যুপও রান্না হবে, ডিমও সিদ্ধ হবে কিন্তু পাত্র লাগবে মাত্র একটা। :P



আইনস্টাইন কথা বলতে শুরু করে চার বছর বয়সে গিয়ে, তার আগ পর্যন্ত সে কোনো কথা বলেননি, এক দিন খাবার টেবিলে হঠাৎ করেই নীরবতা ভেঙে বলে ওঠেন, 'স্যুপটা অনেক গরম।' তাকে কথা বলতে দেখে অবাক বিস্ময়ে তার বাবা-মা জানতে চায় কথা বলতে পারা সত্ত্বেও এতদিন সে কেন কথা বলেনি।



- 'কারণ এতদিন পর্যন্ত কথা বলার প্রয়োজন পড়েনি।' B-)







আইনস্টাইন কেন তাঁর জিহ্বা বের করে এই ছবি তুলেছিলেন জানেন?



এর পেছনের মূল ঘটনাটি অনেকটা এরকমঃ সেদিন ছিল আইনস্টাইনের জন্মদিন। তাঁকে কয়েকজন ফটোগ্রাফার ঘিরে ধরেছিল। আইনস্টাইন তাদের তোলা ছবি নষ্ট করার জন্য মুখ ভেঙানোর চেষ্টা করছিলেন। ফলশ্রুতিতে জিহ্বা বের করা ছবি তুলেন ফটোগ্রাফাররা। যদিও তিনি ছবি নষ্ট করার জন্য কাজটি করেছিলেন, তবে এই ছবিটিই পরবর্তীতে তাঁর জীবনে তোলা সবচেয়ে বিখ্যাত ছবিগুলির একটি হয়ে গিয়েছিলো। :P







আজকে কিন্তু পাই দিবস









আজকের পাই দিবসটি অন্য সব পাই দিবসের চাইতে আলাদা কেন? কারণ এই পাই দিবসটিকে বলা যায় একেবারে নিখুঁত একটি পাই দিবস। ২০১৫ সালের পাই দিবস অর্থাৎ ১৪ই মার্চ হবে ১০০০ বছরের মাঝে একমাত্র পাই দিবস, যা পাইয়ের প্রথম পাঁচটি অঙ্ককে সফলভাবে প্রকাশ করবে। পাইয়ের প্রথম পাঁচটি অংক হলো 3.1414 আর আজকের দিনটি হলো ২০১৫ সালের মার্চ মাসের ১৪ তারিখ অর্থাৎ 3.14.15। ২১১৫ সালের পাই দিবসের আগে এমন নিখুঁত পাই দিবস আর দেখা যাবে না। গণিতপ্রেমীরা তো বটেই, বিজ্ঞানপ্রেমীরা এই দিনটিকে উদযাপন করে থাকেন বিশ্বজুড়ে। দেখে নিন পাইয়ের ব্যাপারে কিছু তথ্য যা আপনার অজানা।



১) সান ফ্রান্সিস্কোর এক্সপ্লোরেটরিয়ামে মার্চ ১৪ এর রাত ১:৫৯ মিনিটে পাই দিবস উদযাপন করা হয়, যা প্রকাশ করে পাইয়ের মান 3.14159। এবারের পাই দিবসে এই মান আরও নিখুঁতভাবে প্রকাশিত হবে।



২) ১২৩৪৫ এই ক্রম পাইয়ের প্রথম এক মিলিয়ন অংকের মাঝে কোথাও পুনরাবৃত্তি হয় না। এ কারণে এই বছরের পাই দিবস হতে যাচ্ছে এক মিলিয়ন গুণ বেশি অসাধারণ।



৩) গ্রিক বর্ণমালায় পাই (π) হলো ১৬তম বর্ণ। ইংরেজি বর্ণমালাতেও p হলো ১৬তম বর্ণ।



৪) পাই নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে চার হাজার বছর ধরে অর্থাৎ বিবর্তন জীববিদ্যা এবং ইমপ্রেশনিস্ট শিল্পের মত প্রাচীন বিষয়ের চাইতেও অনেক পুরনো হলো পাই।



৫) কেউ কেউ বিশ্বাস করেন পাইয়ের মাঝেই লুকিয়ে আছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সব রহস্যের সমাধান।



৬) আলবার্ট আইনস্টাইন জন্ম নিয়েছিলেন এক পাই দিবসে।



৭) মানুষের জানামতে পাইয়ের আছে ৬.৪ বিলিয়ন অংক যার সবগুলো একের পর এক বলতে থাকলে ১৩৩ বছর লেগে যাবে।



৮) একটি বৃত্তের পরিসীমা এবং ব্যাসের অনুপাত হলো পাই এবং এ কারণে বৃত্তের সাথে পাইয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। বলা হয়ে থাকে একটি বৃত্তের কোনো কোণ নেই। আসলে কিন্তু এটা বলাটা সঠিক হবে যে একটি বৃত্তের রয়েছে অসীম সংখ্যক কোণ।



৯) কোনও কোনও গবেষকের মতে, মানুষের মস্তিষ্ক এমনভাবেই তৈরি যে তা সবকিছুর মাঝেই একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন খুঁজে বের করতে চায়। এ কারণেই হয়তো পাইকে খুঁজে পাওয়া যায় বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রে।



১০) পাইকে ব্যবহার করে কম্পিউটারকে অচল করে দেওয়া যেতে পারে, এ ব্যাপারটি দেখানো হয় স্টার ট্রেকের “Wolf in the Fold” পর্বে। এখানে স্পক নামের চরিত্রটি কম্পিউটারকে নির্দেশ দেয় সর্বশেষ অংক পর্যন্ত পাইয়ের মান বের করতে। যেহেতু পাইকে অসীম বলে ধরা হয়, সে কারণে অচল হয়ে পড়ে সেই কম্পিউটার। সূত্র Click This Link





ম্যালা সময় নষ্ট করে কষ্ট করে পড়লেন। এখন একটু ধোঁয়া ছাড়েন :P =p~ =p~







গুজব আছে, সুন্দরী অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো আইনস্টাইনের প্রতি দুর্বল ছিলেন। বোঝেনই তো, সেলিব্রেটি মানুষদের প্রতি মেয়েরা একটু বেশিই দুর্বল। ;)



তাই এক দিন মনরো আইনস্টাইনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন এভাবে, 'চলুন না, আমরা বিয়ে করে ফেলি? ;) তাহলে আমাদের সন্তানেরা হবে সৌন্দর্য ও জ্ঞানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। ওরা দেখতে আমার মতো আর বুদ্ধিতে আপনার মতো।' :D



আইনস্টাইন তৎক্ষণাৎ বললেন, 'আর যদি উল্টোটা হয়? দেখতে আমার মতো আর বুদ্ধিতে আপনার মতো?' ;)





তথ্য সূত্র> আরো একটুখানি বিজ্ঞান-মুহাম্মদ জাফর ইকবাল

বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখাটা হিউমারের সাথে লেখায় পাঠ সহজ হয়েছে, ভালো।

পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময়ও আমরা সুর্যের আলো পাই, refraction এর কারণে; ফলে, কোনটা দুরবর্তী নক্ষত্র থেকে আসছে, কোনটা সুর্যের আলোর refraction, সেটা সাধারণ ক্যামেরা বা টেলিস্কোপ দ্বারা বুঝা মুশকিল ছিল আইনস্ইনের সময়; উনার ভাবনা সঠিক ছিল।

নিউটনের ভাবনায় ভুল ছিল না; নিউটন refraction এর কথাটা যোগ করার কথা ভাবেননি; ফলে, বলা যায় 'সম্পুর্ণ নয়'।

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪২

আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ পড়ার জন্য। :)


আমি বিস্তারিত লিখলে সবাই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যেত। তাই বিস্তারিত লিখি নাই। :P

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
পাই দিবসকে উপজীব্য করে চমৎকার লেখা।++

মজাও লাগল বেশ। :D

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

মিতক্ষরা বলেছেন: চমৎকার। আলোর বিচ্যুতি খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখা করেছেন।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। :)

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

মিতক্ষরা বলেছেন: আরেকটি কথা। এই বিষয়টি কি রিফ্রাকশনের সাথে জড়িত। নাকি গ্রাভিটেশন? সূর্য তার বিপুলা শরীর দিয়ে আলোকে কাছে টানছে।

যা হোক, আপনি সুন্দর লিখেছেন।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০৪

আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন:

বিষয়টা ছবিতে ব্যাখ্যা করা রয়েছে।

আইনস্টাইনের জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি অনুযায়ী সবকিছু স্থান-কালের তৈরি জালের উপর অবস্থান করছে। যার যত বেশি ভর সে স্থান-কালকে তত বেশি বাঁকাতে পারবে। মানে ধারণ করতে পারবে।

সূর্যের তো অনেক ভর। পৃথিবীর ভরের ৩ লক্ষ ৩০ হাজার গুণ। এই বিপুল ভরের কারণে সেটি সংলগ্ন স্থান বেঁকে গিয়েছে। দূর নক্ষত্র থেকে সূর্যের কাছে এই বাঁকা স্থান দিয়ে আলো আসার সময় বেঁকে যায়। এই বিষয়টাই বা বিচ্যুতিটাই আইনস্টাইন হিসেব কষে বের করেছিলেন। আর সেই হিসাব বাস্তবে নির্ভুল প্রমাণ করতেই সূর্যগ্রহণের সময় তারা থেকে আসা ছবি তুলতে হয়েছিল।

[দেরি করে উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী]

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.