![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অভ্র । বড্ড অগোছালো একজন । বড়ই বিশৃংখল, বেসামাল । মানসিক রোগী বলেও খ্যাতি আছে । ফেসবুকে আমি : www.facebook.com/badboykishor
আমার নাম অভ্র । সবসময় আমি নিজেকে নিয়ে গল্প বলি । নিজের সম্পর্কে বলি । আজকেও বলব । তবে আজকের গল্পে আমার চেয়েও অন্য একজন বেশি গুরুত্বপূর্ণ । তাই আজকের গল্পটা তার । আমিও থাকব । কিন্তু সেটা গল্পের খাতিরে, থাকতে হবে বলে ।
আজকে যার গল্প বলব তার সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে প্রায় তিন মাস আগে থেকে । আইডি ছিল লাল অপরাজিতা । আমাকে নিয়ে লেখা আমার বন্ধুর একটা গল্পে এই ভালোবাসার ডাকপিয়ন পেইজেই তার সাথে প্রথম কথা হয় । সে কমেন্ট করেছিল । ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় আমাকে । এক্সেপ্ট করলাম । অনেক বেশি ফ্রী মাইন্ডের একটা মেয়ে । নিজে থেকেই আমাকে সব জিজ্ঞেস করল আমার সম্পর্কে । আমি কি করি , কোথায় পড়ি , আমার কি করতে ভালো লাগে , কি করতে খারাপ লাগে , আমাকে নিয়ে লেখা সেই গল্পের মূল বিষয়বস্তু - সব । মেয়েটা আমার এক বছরের সিনিয়র ছিল । অর্থাত্ এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে । আমার সাথে যখন পরিচয় হয় তখনো পরীক্ষা চলতেছিল । আমারও ওর সাথে কথা বলতে ভালো লাগত । তাই বলতাম । আমার লেখার ফ্যান ছিল ও । ওর আসল নাম তাসনি ।
-কি ডাকব তোমাকে বলতো ?
-আপু ডাকার দরকার নাই
-ওইটা আমি ডাকবও না
-তুই করে ডাকতে পার
-না তুই না । তুমি করে ডাকি । তবে হ্যাঁ নাম ধরে । তাসনি.. এই তাসনি.. তাসনি..
-আচ্ছা
-আমি তোমাকে তুমি করে ডাকবো আর তুমি আমাকে তুই করে ডাকবা
-ওক্কে...
কয়েকদিন পর একদিন রাতে হঠাত্ করেই ও ফোন করে আমাকে । ফেসবুক থেকে আমার নাম্বার নিয়ে । আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি কে ফোন করছে । পরে বুঝতে পারছি । যদিও আমি আশা করিনাই ও আমাকে এভাবে এত তাড়াতাড়ি এত রাতে ফোন করবে । অবাক হলেও প্রকাশ করলাম না । আর হ্যাঁ, তাসনিই ছিল আমাকে ফোন দেওয়া আমার প্রথম মেয়ে বন্ধু ।
ওইরাতে কথা হওয়ার পরও আমি তেমন একটা গুরুত্ব দিই নাই । ভেবেছিলাম একবার ফোন দিয়েছে আরকি । আর কখনো দিবে না । দিলেও কয়েকমাসে একবার ।
কিন্তু এর দুইদিন পর, আমি তখন বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলছি । খেলছিলাম বলে মোবাইলের দিকে খেয়াল ছিল না । সন্ধ্যায় যখন বাসায় ফিরছিলাম তখন মোবাইল চেক করে দেখি চারটা মিস কল । সব তাসনির । আমি ব্যাক করলাম । ধরলনা । এর দুই মিনিট পর ও ফোন দিল । প্রায় বিশ মিনিট ধরে কথা বললাম । ভালোই লাগছিল ।
এরপর থেকেই নিয়মিত ফোন দিত । আমি দিতাম না কখনো । ও নিজেই দিত । আর দিত যে রাত ১২টার পর । ঘন্টা ঘন্টা কথা বলতাম । ও ওর নিজের সম্পর্কে প্রায় সব কথাই বলত । কোন কিছু বাদ থাকত বলে মনে হয় না । ও যে ছেলেটাকে ভালোবাসতো ওইটার কথা বলত । কিভাবে ওদের সম্পর্কটা হয়েছিল, সেটাও বলেছিল । সম্পর্কটা একপ্রকার ছেলেটার জোরাজুরিতেই হয । কিন্তু আমার সাথে পরিচিত হওয়ার কয়েকমাস আগে থেকে ছেলেটা ওর সাথে খারাপ আচরণ করত । ওকে সবসময় ঝাড়ি মারত । দিনে একবারের বেশি ফোন দিলে বকত । একবার কথা হলেও সেটা পাঁচ মিনিটের বেশি হত না । আর ছেলেটাও কখনো ফোন দিত না । ও নিজেই প্রতিদিন ফোন দিয়ে ছেলেটার খোঁজ নিত । তবে হ্যাঁ ও যদি অন্য কোন ছেলের সাথে কথা বলে তাহলে ছেলেটা রেগে যায় । ওর ছেলেবন্ধু থাকুক, এটা পছন্দ করত না । তাসনির অনেক ইচ্ছা ছিল গিটার শেখার । কিন্তু সেটাতেও ওই ছেলের নিষেধ । কারণ গিটার শিখতে গেলে ছেলেদের সাথে মিশতে হবে তাসনিকে, তাই ।
তাসনি ছেলেটাকে অনেক ভালোবাসত । আমাকে বলত, ওকে ছাড়া আমি আর কাউকে বিয়ে করব না । সবসময় ওকেই ভালোবাসব । আর কাউকে না । দেখে নিস ।। আমি তেমন পাত্তা দিতাম না । আরে তুমি এইগুলা এখন বলতেছ যে । যখন ওর চেয়ে ভালো কাউকে পাবা, তখন ওকে ভুলি যাবা । ও জোর গলায় অস্বীকার করত ।
ছেলেটা অনেক কষ্ট দিত ওকে । এরকমই একদিন আমাকে ফোন দিয়ে অনেক কাঁদছিল ও । আমি কিছু বলতে পারিনি । আমারও একটু কষ্ট হচ্ছিল ।
আমি ওরে বলতাম সবসময়, দেখো ও তোমার কাছে ফিরে আসবে আবার । এখন একটু দুষ্টামি করতেছে । ওর কাছে তেমনটা মনে হত না । একবার আমার পরামর্শ মত ওই ছেলেটাকে তিনদিন ফোন দিল না ও । এর পরে ছেলেটা ফোন দিয়েছিল । সে নাকি ওর ফোন দেয়া মিস করতেছিল ।।
আমি সবসময় ছাদে বসে কথা বলতাম ওর সাথে । ঘরের ভিতর কথা বললে প্রবলেম হত । ও সেটা পছন্দ করত না । বলে রাতে ছাদে বসে থাকাটা ঠিক না । ও বারবার মানা করত । আমি তারপরও যেতাম । ওর বকাগুলা শুনতে ভালো লাগত ।
-তুই ছাদে কি করছিস ?
-পরী খুঁজি ।
-এক্ষুণি বাসায় ঢুক
-এত তাড়তাড়ি না
-ঢুক বলছি । পরী ধরলে বুঝতে পারবি
-বাসায় ঢুকলে তোমার সাথে কথা বলতে পারব না ।
-দরকার নাই ।
-না আছে ।
-তাইলে সিঁড়ির কাছে গিয়ে কথা বল । ছাদের দরজা বন্ধ করে ।
-নাহ । বাতাসটা ভালো লাগছে ।
-তোর সাথে আর কথা নাই
-ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করা ঠিক না
-হিহিহি....
আমি যদি না খেয়ে থাকতাম তাইলে রেগে যেত । বলত ওই মুহূর্তে খেয়ে আসতে হবে, যত সমস্যাই হোক । সবসময় খাইছি কিনা জিজ্ঞেস করত ।
একদিন কলেজে যাওয়ার সময় একটা ছোট্ট এক্সিডেন্ট করেছিলাম । পায়ে ব্যথা পেয়েছিলাম কিছুটা । এটা শুনে ও চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিয়েছিল । আমি কেন এরপরও কলেজে গেলাম ? ছুটি হওয়ার পরও বাসায় যাচ্ছি না কেন ? হাঁটছি কেন ? কি কি ওষুধ খেতে হবে , কি করতে হবে , সব বলে দিছে ।।
সবসময় বলত আমি নাকি অনেক বড় শয়তান । যেদিন দেখা হবে ওইদিন অনেক মাইর দেবে । কিন্তু দেয়নাই ।
একদিন হঠাত্ কল করে বলে জিইসি মোড়ে চলে আসবি বিকেলে ৪টায় । চারটা পাঁচ পর্যন্ত অপেক্ষা করে একটা ফোন দিয়ে বলব আমি যাচ্ছি । এরপর চলে যাব ।
সত্যি বলছি ওই দিন আমি ১৫ মিনিটে পৌঁছে গিয়েছিলাম । বর্তমানে বের হওয়া মোটরওয়ালা রিক্সা দিয়ে । ওর সাথে আমার ৪বার দেখা হয়েছিল । ওর সাথে যতবার দেখা হয়েছে ততবারই ওই রিক্সায় করে গেছি, যাতে দেরী না হয় । আর দেখা করার সময়কার সব খরচ ওর । আমি শুধু ওর জন্য চকলেট নিয়ে যেতাম । চকলেট অনেক বেশি পছন্দ করত ।
দ্বিতীয়বার একসাথে ঘুরেছিলাম । ফটো তুলেছিলাম । ও জোর করে আমার কয়েকটা ফটো তুলেছিল । যদিও সেগুলো নিজের কাছে রাখেনি ।।
একবার আমি ওর সাথে ইচ্ছা করে একটু রাগ করছিলাম । পরে ওর খারাপ লাগা দেখে আবার ঠিক করে ফেলেছি ।
-জানিস একদিন টুপ করে হারাই যাব । ওইদিন সবাই বুঝবে ।
-হারাই যাবা কোন দুঃখে ? এত সহজ না । আগে আমি হারাবো । তারপর তুমি ।
-আরে না । আগে আমি । আমার কবরটাও হবে অনেক দূরে । অন্য দেশে । মরার সময় কেউ থাকবে না আমার পাশে । আমার ইচ্ছা ।
-তো হারানোর দরকার কি ?
-সবাইকে কষ্ট দি । বিরক্ত করি ।
-কে বলছে কষ্ট দাও ? নিজে কষ্ট পাও যে ?
-নাহ
-ও আচ্ছা । ঠিকাছে যাও ।।
আমি এরপর ওকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছিলাম । বলেছিলাম তুমি হারাতে পারবা না । কমপক্ষে আমি যতদিন আছি । অনেককে খুশি রাখতে তোমার থাকার প্রয়োজন ।
আমার মেসেজটা দেখে ও আমাকে বারবার সরি বলতেছিল । বলতেছিল, আরে তোর এত খারাপ লাগবে ভাবিনাই । সরি সরি । আমি তো এমনিতে বলছিলাম । আচ্ছা হারাবো না ।
আমি জানি আমি ওকে অনেক পছন্দ করি । আমি ওকে কখনো ফোন দিতাম না । ও নিজে দিত । দুই একদিন পরপর । আর ফেসবুকে তো ছিলই । ও নিজের স্বপ্নের কথা বলত । ওর ইচ্ছা ছিল IBA তে পড়ার । কিন্তু ওর আম্মু বলত মেডিকেলে পড়তে হবে । এসব বলত । বলত যে ও মেডিকেলের পড়া সামলাতে পারবে না ।।
ওকে আমি একবার গান শুনাইছিলাম । অনেক পছন্দ করছিলো । এরপর অনেকবারই বলছিল শুনাইতে, কিন্তু আর একবারও শুনাইনাই ।
ও চিন্তায় ছিল অনেক রেজাল্ট নিয়ে । এ প্লাস না পেলে অনেক প্রবলেম হবে ।
-আমি এ প্লাস না পাইলে মারা যাব সত্যি
-আরে এইটাতে মরার কি হইল ?
-অনেক ভয় করতেছে রে ।
-এত ভয় পাওয়ার কিছু নাই । ভাব কম দেখাও । তুমি এ প্লাস পাবা নিশ্চিত । তারপর IBA পড়বা । বড় জব করবা । টাকা কামাবা । আর আমারে দিবা ।
-আচ্ছা দিব । তোরে তো দিবই ।
-সত্যি ? বাহ ধন্যবাদ ।
-ওই জানিস তূর্যয় কি বলছে ?
-কি ?
-আমি যদি এ প্লাস পাই তাইলে দেখা হবে আমাদের । প্রথমবারের মত ।
-বল কি ? সব দিকেই ঠিকঠাক । পিরিতির দিকেও । বাহ
-প্লিজ একটু দোয়া কর । প্লিজ...
-খাওয়াইতে হবে কিন্তু ।
-রেজাল্ট ভালো হইলে আমি নিজে তোকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে খাওয়াবো ।
শেষবার যেদিন দেখা হইছিল ওইদিন আমি ওকে ওর অন্য বন্ধুগুলাকে নিয়ে খেপাচ্ছিলাম । ও বলছে, একটা সত্যি কথা বলি, ওরা সবাই আমাকে ফোন দিয়ে আমার খোঁজ নেয় । আর আমি তোকে ফোন দেই...
আসলেই ও আমাকে সবসময় ফোন দিত ।।
৩ আগস্ট রেজাল্ট দেবে এইচএসসির । এর দুই দিন আগে সকালে ১২টার দিকে ফোন দিয়ে আমাকে দেখা করতে যাইতে বলছিল । কিন্তু আমি ঘুমাচ্ছিলাম বুঝতে পেরে আর জোর করেনি । এরপর দিনও ওর সাথে কথা হয় । কিন্তু এরপর আর হয়নাই রেজাল্ট দেওয়া পর্যন্ত । এমনকি রেজাল্টের দিনও আমি ওকে একবারও কল দিই নাই । কেন দিই নাই জানিনা ।
রেজাল্ট পাবলিশ হয় দুপুর ২টায় । আমি ওকে ৪টার দিকে ফোন দিই । মোবাইল বন্ধ । বেশ কয়েকবার দিই । ৫টার দিকে ব্যাক করে ও । আমি তখন বন্ধুদের সাথে জিইসি মোড়ে ছিলাম ।
ফোন রিসিভ করেই শুনলাম ও কাঁদতেছে । আমি কি হইছি জিজ্ঞেস করার পর কি জানি বলতেছিল । বলতেছিল কেউ একজন আর নাই । চারদিকে আওয়াজ থাকায় ঠিকমত শুনতে পারতেছিলাম না । ফোন কেটে আবার দিলাম । এবারো ওর কথা বুঝতে পারতেছিলাম না । তবে আমি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম যে ওর রেজাল্ট খারাপ হয়েছে । সেই কারণে হয়ত আংকেল আন্টি কেউ একজন....
আধাঘন্টা পর বাসায় যাচ্ছিলাম । তখন আবার ফোন দিলাম একটা গলিতে দাঁড়িয়ে ।
-চুপ । একদম চুপ । আগে কান্না থামাও ।
-আ...
-চুপ । বললাম না কান্না থামাতে ? এবার আস্তে আস্তে বল কি হইছে ?
-রেজাল্ট শোনার পর আপু নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিছিলো । সবাই ভাবছিলো কাঁদতেছে । অনেকক্ষণ পর আমি জানালার উপর দিয়ে দেখি আপু ওড়না পেঁচাই ঝুলতেছে । আপু আর নাই...
-মানে ? কে তুমি ? তানজি ?
-হ্যাঁ
-আচ্ছা এখন বল তাসনি কই ? ও কোথায় ?
-আপু আর নাই । আমি আপনাকে কতবার বলব ??
মেয়েটা কাঁদতেছে । তানজি, তাসনির ছোট বোন ।
আর আমি ? মোবাইলটাকে গলির অন্য দেয়ালে শরীরের সব শক্তি দিয়ে ছুঁড়ে মারলাম । কেন জানিনা ।
তবে আমি কথাগুলা একটাও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না । এটা হতে পারে না কখনো । তাসনি নাই মানে ??
হঠাত্ করেই মনে হল অনেক বড় কিছু একটা হারাই ফেলছি । অনেক দামি কিছু । হঠাত্ করেই বুঝতে পেরেছিলাম, এতদিন যতটা ভাবতাম, এরচেয়ে অনেক বেশি পছন্দ করতাম মেয়েটাকে । আর ও আমাকে কতটা পছন্দ করত বলে বোঝাতে পারব না । ও আমাকে ১ তারিখ, মানে দুই দিন আগেই বলছিল, কিছু কিছু সম্পর্ক থাকে যেগুলোর কোন নাম থাকে না । তোর আর আমার সম্পর্কটাও তেমন ।।
একটা কথা আমি ওই সময় প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম । আসলে ওর মত করে আর কেউ আমাকে কখনো ভালোবাসেনি । সেজন্য এভাবে তাড়াতাড়ি চলে গেছে ।।
ওর সাথে পরিচিত হয়েছি বেশিদিন হয়নি । কিন্তু এই অল্প কয়দিনেই অনেক বেশি আপন করে নিয়েছিল আমাকে । আমি? হ্যাঁ আমিও করেছিলাম ।। কিন্তু মেয়েটা এই কাজটা কেন করল??
তুই মেয়েটা অনেক অনেক খারাপ । আমার চেয়েও বেশি খারাপ । এই কাজটা না করলে কি বেশি প্রবলেম হইত ??
বলছিলি তুই একদিন টুপ করে হারিয়ে যাবি । কিন্তু সেটা এত তাড়াতাডি কেন ? কখনো ভাবিনাই এভাবে চলে যাবি । হারিয়ে যাওয়ার কথা ছিল আমার । অর এখন কিনা তুইই চলে গেলি ।।
তুই বলছিলি আমি নাকি তোরে কোনদিন আপু ডাকিনাই । আজকে ডাকতেছি । আপু কই চলি গেলি তুই ? আমি অভ্র । শুনতেছস ??
##the end##
(এই গল্পের একটা অক্ষরও মিথ্যা না । ৩ আগস্ট আত্মহত্যা করেছে তাসনি । ভালো রেজাল্ট করতে পারে নাই বলে । বাবা মায়ের আশা পূরণ করতে পারবে না বলে ।।
তাসনি, এইরকম একটা গল্পে তোমাকে পেয়েছিলাম । আর আজকে তোমার জন্য তেমনি একটা গল্প লিখেছি । তুমি বলছিলা তোমার জন্য লিখতে । খুশি হইছ??
এই লেখাটা লেখার সময় আমি অনেকবার চোখ মুছেছি । কেন জানিনা । হয়ত ময়লা পড়তেছিল ।
আজকে তোমার জন্মদিন । আমাকে বলছিলা খাওয়াবা । কিন্তু তুমি তো নাই । তোমার জন্য এই লেখাটা বার্থডে গিফট ।
ভালো থেকো তাসনি...)
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
আমি অভ্র বলেছেন: আমিও ওইটাই চাই ভাইয়া । ভালো থাকুক ও
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: খারাপ লাগল তাসনি'র জন্য ।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
আমি অভ্র বলেছেন: দোয়া কোরো ওর জন্য ভাইয়া
৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১৫
কস্কি বলেছেন:
২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৭
আমি অভ্র বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কিছু বলার নেই।
ভাল থাকুক তাসনি।