![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার প্রেমে আমি পাগল
১।
হাশর-নসর খোয়াই আমি ঘর ছাড়ি
দেওয়ানা বন্দের বাড়ি সাততাড়াতাড়ি।।
অভাগার ঠাঁই যদি ন’ থাকে নসিবে
বঁধুভাবে বারামে ঠাকুর বসিবে।।
জিন্দেগি বরবাদ হয় ন’ থাকিলে প্রেম
জীবনে পরম মিশে হয় রাধা-শ্যাম।।
আমি বন্ধু ভাবে ভাবে স্মরণে ত্বরণ
কাল কেটে গেলো দোস্ত ন’ পাই নিরজন।।
ভ্রমর-বিজন ক্ষণে গুঞ্জনের গুঞ্জায়েশ
আতপ উত্তাপ বন্ধু হৃদয় বিদেশ।।
২।
ফুলের বাগানে দেখি মজনু বসে আছে
তার পাশে বকুলেরা ঝড়ে ঝরেছে।।
সারাটা শরীর তার ফুলের ফুলকি
অঙ্কিত সারাটা দেহে ফুলেল উল্কি।।
এসব খচিত চিহ্ন ছাড়াও চিনি
চোখ তার ছায়াময় [চিরচেনা] দিব্যজ্ঞানী।।
৩।
ব্যাধির দিকে তীর তাক করে হাসে ব্যাজ, নিজ পরিবেশ
আমি তো জপে ধ্যান স্নিগ্ধ নিস্তেজ, [তবু] ভূষণে বিশেষ।।
কোন ভাবে কোন মতি, কার কতো তেজ; পাগলা জ্যোতি
আমি যে শৈশবে ছিলো আমার, এখন আমি আত্মআরতি ।।
সব জেনেছি, হয়ে ভাবভোলা, শুধু চারচোখা চুলা
আগুনে উতালা, আজি শাদি হবে, শিখা আর দুলা।।
গুণধর স্বামী! ছিনাল চিহ্ন খোঁজে দেহের অরণ্যে
আমি তো বৈতাল কালে সর্পমন্থনে, নিজে সদা ভিন্ন অভিন্নে।।
আমি আবিয়াতা নারী [অবিবাহিত] দাহ্য অপ্সরী
ছিনাল বাতাসে আমি অনন্ত বৈশাখের ঘুড়ি।।
৪।
মেঘের বোঁটা পুষ্ট হলে মেঘা তলব করি, আমি ভাবের ব্রাত্যক্ষণ [ কোন কালে যে কাল নাই]
কোলাহলে ফের পেয়ে যাই; কালকাকলি, আমার জনমদুখী মন।।
আমার রসের ধারা খেঁজুর গাছে, উচকপালে আকাশ নাচে
আমার রসের ধারা, গাড়িয়ালের গামছাভরা স্মৃতির ঘামের সুবাস ধাঁচে… [নাচে এবং শীতল যে হই উষ্ণ নিঃশ্বাসে]
আমার কাছে তত্ত্ব তালাশ, আমার আছে ব্যাধির বিলাস
জানা যে হয় প্রাণের অন্তকরণ, আমার আছে সাধের নিবাস
গোলাপ ফুটে, গোলাপ ফুটে, আভায় আভায় গোলাপি গাল
ক্ষেতের ফসল বিনাশ মূর্খ গোঁত পয়মাল।।
গোত্র ছেড়ে স্বাধীন হলে চক্রে পড়তে হয়
এই দুনিয়া এখন তো আর বাসের জন্য নয়।।
৫।
আমার গাঁয়ের দুরকী বনে খুনরা এসে প্রথম থামে
সব খুনীরা খুনের পরে জীবন যাত্রার কোন জংগমে।।
তার দেখা পাই জংশনে, খুন করে নাই জ্যোৎস্না রাতে …।।
৬।
হুইসাল, টংঘরে, পয়মাল তাড়াবো
বিনষ্ট ফসলের জন্য বিনিদ্র…।।
ড্রাম, ট্রাম্প্যাট বাজে, সবাই সেজেছে নানা সাজে
যেখানে যেখানে সব রাজন বিরাজে
বাজে অন্তকরণে, সেখানে বিধবা ঢোল কী বোল দেবে, স্বামী তার রক্ষিতা
কামশ্রীর প্রেমে।।
হুইসাল অন্ধকারে, খেদাবোম খেদাবো
হাতীবান্ধা এতো সহজ নয়, আছে মাহুতের ভয়
দুনিয়া দুনিয়া, তুমি আমারই বাল্যপ্রেম, তুমি তো কেবলই নও মৃম্ময়
প্রতিমা গড়ানো হয়, চিন্ময়-মৃম্ময়, প্রাণ ও শিল্প প্রতিবেশী
প্রাণ যদি পর হয়, আমার অলীক ভয়, নিজের রাজ্যে আমি পরদেশী।
মোমিনের জিকির
১।
স্বর্ণলতার টানাপোড়েন বুনতে বুনতে দিন কেটে যায়
ফুল ফুটেছে আশালতায়, বিনাশী কাল বিহনে ধায়
শনালু রঙ বঁধূ আসেন ভাবন-ভুবন তাল কেটে যায়
ছত্রে-খন্ডের অখন্ডতায় পাঠ করি কাল কুপির শিখায়।।
মোহনাশের কালে আমি নাম ফেলে রূপ জপ করি
২।
বীজ খোরাকি, বীজ খোরাকি কার্তিকের কাতিকছানি
খুন করেছি ক্ষুধা আমি, চৈতে বৃষ্টি অভিমানী।।
রস-রসনা, কামকামনা, মৈথুনের হ্রেষাধুনে রসবতী
মেঘে মেঘে ব্জ্রবচন গর্ভ ঘটে খাস দুনিয়ায়
খালাস করি, খালাস করি, আমার মিলন তোমার সীমায়।।
৩।
[অনুরাগই অর্জুন]
অনুরাগে অনুরাগে কালির মুখ যে লাল হয়ে যায়
দেহচক্রে বাণ উতালা সুরসোনালি ঊর্মিধারায় ।।
কোন বিরাগে বীণ বেজে যায় নাগিনী আজ আতুড়ঘরে
মনভেরী আজ ডাকে শুধু আমার কান্তি কাল প্রতিমায়
কেমন তুমি নয়ন আঁকো, নেত্রকলি, নয়নতারা দিব্যবিভায়।।
৪।
লাল লেলিহান দিন এসেছে, লাল-কালিমায় কলংকময়
বিদ্যা বলে প্রেম করেছি, জান রেখেছি প্রাণের ছায়ায়।।
৫।
[বস্তুজগত রুপ সম্পর্ক অর্থে বিভিন্ন ও রূপান্তরিত]
ছোট ছড়ায় ঝড় এসেছে রুপরুদ্র- স্রোতস্বিনীর খোঁজ পেয়ে যায়
রূপের মায়ায় স্বরূপ আমার, অরুপ দেখে আঁতকে উঠি
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৬
প্রতিদিন রিটার্নস বলেছেন: জট্টিল কবিতা লেখেন। ভাল্লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:০১
হামীম বলেছেন: কাঙ্গাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন।