নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একলা ঘর আমার ... হরি হে মাধব...... সাই বিনে গতি নাই.... রব নে বানাদি ইনশান......

অনিকেত-সুকন্যা

অনিকেত-সুকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুযান

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০

বিকেলে তাড়াতাড়িই দীপ ফিরেছে। মুখে খুশির আভা নেই, প্রায় শুকনো। সু প্রশ্ন করে কি হয়েছে?

কিছু না। ভাবছি তোমাকে বলব কিনা।

সু উৎসুক হয়। কিইইই... সুর করে বলে।

অভি মানে আমার কলিগ অভি মঙ্গলগ্রহ অভিযানে যাচ্ছে।

মানে! ও স্পেস-এর কি জানে। ডিজাইনারের স্পেসে কি দরকার।

না সে কথা নয়। এই অভিযানে বেশ কিছু মানুষ অ্যাপ্লাই করেছিল, অভি তাদের মধ্যে একজন যে সিলেক্ট হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন পেশার লোককে নিয়েই এখন মঙ্গলগ্রহ অভিযানে যাবে।

ফিরবে কি করে? ওর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? বাড়িতে বৌ রয়েছে না?

ওর বৌ বলে অভি স্বার্থপর। বিয়ের আগেই জানিয়ে রেখেছিল এই অভিযানের কথা।

ওর বৌ কি বোকা না অন্য কিছু মতলব।

না, কিছুই না। আমি ওর সাথে কথা বলে দেখেছি, ওর বৌ-এর কোনোও এগেইন্স্ট-এর লজিক থেকেও নেই। আমি ভাল করে তলিয়ে দেখেছি আমরা সকলেই মাইলেজ খুঁজছি।

মানে! ঠিক বুঝলাম না।

বিশেষ কিছুই না। বেশকিছুদিন টিভিতে ভি আই পি ট্রিটমেন্ট পাবে... বাকি অভি গেলে নতুন কোনোও অভি জুটিয়ে নেবে। আসলে এরা ইমোশানাল ব্যাপারে আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। অনেক ডিট্যাচ্ড।

ওদের কোনোও ই্যসু নেই! সু কৌতুহলী হয়।

আছে। এই প্রজন্ম ই্যসুর ধার ধারে না।

বাচ্চাটার কষ্ট অনেক বেশি।

হ্যাঁ। আমি অভিকে তা বলেওছিলাম।

তা কি উত্তর দিয়েছিল?

সোজা-সাপটা। বাপ মরা ছেলে বেঁচে থাকে না।

ওহ... এই বুঝি ছেলের প্রতি টান।

তুমি ভাল করে জিজ্ঞেস করেছ মঙ্গলগ্রহ অভিযানে গেলে কি পাবে? ও তো মৃত্যুর সমান। আর কোনোওদিন এ-পৃথিবীর কারও সাথে দেখা হবে না।

অভি বলল কি হবে অত ভেবে। নতুন গ্রহ, নতুন অ্যাডভেঞ্চার। সাথে এই গ্রহের বাসিন্দারাতো আছেই।

তবুও। বৌ-বাচ্চা-বাবা-মা। এই সম্পর্কগুলোতো ফিরে পাবে না। এসব ব্যাপারে আমাদের অন্তু কিন্তু অনেক ভাল। ও কখনোও একাজ করতে পারবেই না। অথচ ও পড়াশুনায় ভাল, ভাল রিসার্চ অর্গানাইজেশান-এ কাজ করছে। দেশের বাইরেও রয়েছে।

দীপ জানালার দিকে মুখ ফেরায়। খানিক স্বগক্তির মত শোনালেও বলে, নাহ... এটা এই প্রজন্মেরই দোষ নয়, দোষ আমাদেরও। আমরাই মানুষ করতে ফাঁকি দিয়েছি। অন্তুর মেইল এসেছে, মঙ্গল গ্রহে যাবার জন্য তৈরি সেও। একবারও ভাবেনি বাপ-মার কথা।

ঝপ করে অন্ধকার নেমে আসে রুমে। লোডসেডিং বোধহয়। সু জানালার দিকে তাকায়, লাল সূর্যের আভায় অন্তুর হালকা ছবি দেখার চেষ্টা করে। গলায় একরাশ কান্না দলা পাকিয়ে বেরোতে চায় দমকে দমকে। ভাবে এরই জন্য কি সে তার পেশা-ক্যারিয়ার-আনন্দ সব ভুলেছিল।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প|
সমস্ত লেখাটাকে বোল্ড করেছেন| পড়তে অসুবিধা হচ্ছিল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.