নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ আমার আপন জগত

আনিসা নাসরীন

এ এক অনন্ত যাত্রা

আনিসা নাসরীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই মেয়েটির কথা

০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

মাঝে মাঝে মেয়েটি ফিল করে বিয়ে নামের যে সীলটি এক সময় সে গায়ে জড়িয়েছিলো আশা নিয়ে, ঘর বাঁধার টান নিয়ে আর তার বদলে কবুল বলার উপহার স্বরূপ যে দিয়েছিলো এক ঘোলাটে জীবন তার সাথে নিজের সম্পর্কটা ডিভোর্স না বলে ঐ মানুষটা মৃত বললে সমাজের মানুষগুলোর মেনে নিতে হয়তো মেয়েটিকে একটু সুবিধা হতো। আহারে নজরে হয়তো মেয়েটির তখন ঠাঁই হতো সবার নজরে।

মাঝে মাঝে মেয়েটিকে কেউ ঐ দেবতাতুল্য মানুষটার কথা কেউ জানতে চাইলে তার মনে হতো সে বলুক ঐ মানুষটিকে সে নিজ হাতে খুন করে রেখে এসেছে। খুন করলেও হয়তো সেই মানুষটার সাথে কম করা হতো, তার এই জীবন পোড়ানোর ক্ষতর কাছে এই ক্ষত তো কিছুই নয়। অনেক গুলো অপ্রাপ্তির সাথে মেয়েটির এই অপ্রাপ্তিটাও রয়ে গেলো যে মানুষরূপী অমানুষটা এখনো মানুষের রূপ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে দিব্যি।

যখন এই সমাজ মেয়েটির দিকে বাঁকা চোখে তাকায় তখন মেয়েটির চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে সেও একটা মানুষ। অন্য সব মানুষের মতোনই সাধারণ। সেও কারো খুব প্রিয় মেয়ে, কারো প্রিয় বোন এমনকি কারো প্রিয় বন্ধু। সবার মতোন সেও একজন মানুষ। অন্য সবার মতোন ভালো থাকার অধিকার সেও রাখে।

তারো কোথায় কেটে গেলে সেই রক্তের রঙ লালই হয়, অন্য কোন রঙের হয় না। কেউ আঘাত করতে অন্য মানুষগুলোর মতোন তারো ব্যথা লাগে। সে অন্য কোন জাতের না। অন্য কোন দুনিয়া থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা কেউ নয়।

যে মানুষগুলোর বাঁকা চোখের চাহনী সে দেখে আসছে প্রতিনিয়ত তাদেরকে তার বলতে ইচ্ছা করে এমন তো তার সাথেও হতে পারতো, তার নিজের সাথে নয়তো তার মেয়ে কিংবা ছেলে নয়তো তার ভাই বা বোনের সাথে। তখন কি সেই মানুষটা এই নষ্ট মানুষ ভেবে তার কাছের মানুষটিকে দেখতে পারতো? নাকি নিজের গায়ে আঘাত না লাগলে কোন ক্ষতই সেই মানুষগুলোর কাছে ক্ষত বলে মনে হয় না !

মাঝে মাঝে এই শহরের মানুষগুলোকে দেখলে মেয়েটির বড্ড অবাক লাগে। কেমন করে একটা ডিভোর্স সাইনবোর্ড দিয়ে মেয়েটিকে সে অবলীলায় বিচার করে চলে আসছে। অচ্ছুত বলে সে তাকে দেখে আসছে সব কিছু থেকে দূরে ঠেলে সরিয়ে। মেয়েটি তবুও হাসে, এতো সুখের প্রাপ্তি মানুষের মুখে দেখে।

(দিন বদলাবে হয়তো একদিন, কিন্তু সেই হয়তো দেখার জন্য এই মেয়েটি থাকবে নাকি আমার জানা নেই। তাও আমি আশা রেখে যাই সবকিছু বদলাবে, যেদিন কেউ আর ক্ষত খুঁচিয়ে আঘাত না বাড়িয়ে মানুষের সম্মানে মানুষকে দেখবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিয়ে।)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক আক্ষেপ ঝেড়েছেন লেখায়। খুব কষ্টের গল্প।

ভালো লাগতো ডিভোর্স এর কারণটা জানতে পারলে।
আমি ডিভোর্স কথাটি শুনলে ভয় পাই।

আপনার গল্পের মেয়েটির শান্তি ফিরে আসুক।
শুভকামনা রইল।

০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৭

আনিসা নাসরীন বলেছেন: সব ডিভোর্স এর গল্পই এক , আন্ডারস্ট্যান্ডিং না হওয়া। এর থেকে আলাদা কোন গল্প নেই।

ভাল থাকুন।

২| ০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৬

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: একটি দীর্ঘশ্বাস যা অনেকদিন গোপনে ছিলো তার একটা ঝলক দেখলাম হয়ত।
সত্যিই বর্তমানে ডিভোর্সি নারীগুলোর প্রতি সমাজ অন্যরকম দৃষ্টি দেয়।
পরিবর্তন হবেই আশা রাখি।

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৫

আনিসা নাসরীন বলেছেন: আশা রাখি আলোর।

ভাল থাকুন।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

কানিজ রিনা বলেছেন: তুমি তোমার সাথে হওয়া যত অন্যায় অন্যায়
কখন বিচার পাবেনা। ঘুরে ফিরে তোমার
কাঁধে সব দায় এসে পড়বে। কারন তুমি মেয়ে
ঋষা।
একজন মাতাল বাবা তার যুবক ছেলের হাতে
মায়ের ডিভোর্স লেটার দিয়ে বলেছিল এটা
তোর মার পাওনা তাই তোকেই দিলাম।

তোমার এই লেখায় একটা কথাই বলব
অত্যাচারীর সাথে থাকার চেয়ে ডিভোর্স
পাওয়া অনেক ভাল। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে।

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ৯:১২

আনিসা নাসরীন বলেছেন: আপু, আশা রাখি সমাজ বদলাবে। বাঁকা চোখে তাকানো বন্ধ হবে সবার। আপনার মতোন আমিও এই কথায় বিশ্বাস রাখি অত্যাচারীর সাথে থাকার থেকে একা থাকা ভালো। আপনার কমেন্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু।

অনেক অনেক অনেক ভালো থাকুন আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.