নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানলা আমার মানেনা আজ ধর্মের বিভেদ/জানলা জাতীয়তাবাদের পরোয়া করে না

অঞ্জন ঝনঝন

অঞ্জন ঝনঝন আমার আসল নাম না। আমি সামুর নিয়মিত ব্লগারও না। মাঝেমধ্যে ঘুরে যাই ভাল্লাগে।

অঞ্জন ঝনঝন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সফলতার জন্য প্রতিভা কতটা গুরুত্বপূর্ণ! এবং যে কারণে কোন ছাত্রকে তার ভার্সিটি দিয়ে বিচার করবেন না।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

প্রত্যেক সেক্টরেই একটা পর্যায় পার করার পর ট্যালেন্ট বা প্রতিভা আর তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না। পড়াশুনার ক্ষেত্রে ট্যালেন্ট গুরুত্বপূর্ণ কলেজ লেভেল পর্যন্তই (এসময় আপনার প্রতিযোগিতা থাকে সবার সঙ্গে। এবং সিলেবাস ও থাকে সবার ক্ষমতা অনুসারে)। একটা ভাল মানের ভার্সিটিতে সবাই সমান ট্যালেন্টেড না হলেও সবার ট্যালেন্টই একটা থ্রেসহোল্ড পয়েন্টের উপরে।

এটা অনেকটা বাস্কেটবল খেলার মত। আরও যাই হোক আপনি পাঁচফুট ছয় ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে নিশ্চয়ই বাস্কেটবল খেলতে যাবেন না। এ খেলায় ভাল করার জন্য একটা নূন্যতম উচ্চতা দরকার। মোটামুটি ছয়ফুট বা এক দুই হলেই সেরা লেভেলে খেলার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু তার মানে এই না যে এর পরও যার উচ্চতা যত বেশী সে তত ভাল করবে। এখানে ছয় ফুট একটা থ্রেসহোল্ড পয়েন্ট।

এই থ্রেসহোল্ড পয়েন্টের পর এখানে কাজ করবে অন্য ফ্যাক্টর গুলো আপনার অধ্যবসায়, ষ্ট্রাগল, ডেডিকেশন; এসবই আপনাকে সফল করে তুলবে। যেমনটা বাস্কেটবল খেলায়ও উচ্চতা একটা লেভেলের হলে এরপর অন্যান্য দক্ষতাগুলো ফ্যাক্টর হয়ে উঠে তার স্পীড , কোর্ট সেন্স, বল হ্যান্ডেল করার ও লক্ষ্যভেদ করার ক্ষমতা ইত্যাদি

এই একই কারনে আমি বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট ইত্যাদি প্রথম সারির ভার্সিটির ছাত্রদের আলাদা করিনা। কারন এগুলোতে সবারই ঐ নূন্যতম ইন্টিলিজেন্স আছে। এখন বাকী ফ্যাক্টরগুলোই নির্ধারণ করবে তাদের ভবিষ্যৎ। ট্যালেন্ট নয় ডেডিকেশন, ষ্ট্রাগল, এটিটিউডই পার্থক্য গড়ে তুলবে।

এই থ্রেসহোল্ড পয়েন্ট সংক্রান্ত বিষয়টা ব্যাখ্যা করতে লেখক Malcolm Galdwell তার Outliers বইয়ে একটা পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন। আমেরিকান নোবেলজয়ীদের। এতে দেখা যায় হার্ভার্ড, ইয়েল এর মত একদম টপ ভার্সিটিগুলোর ছাত্ররা যেমন নোবেল জিতেছে এর সাথে একই হারে নোবেল জিতেছে মাঝারি মানের ভার্সিটি হলিক্রস, গেটিসবার্গ কলেজের ছাত্ররাও। অথচ ভর্তির সময়তো সবার আগে পছন্দ থাকে হার্ভার্ড, ইয়েল, এম আই টি। সবচেয়ে মেধাবীরা সেখানেই ভর্তি হয়। তবে? ওই একই কথা; এদের সবার ট্যালেন্টই থ্রেসহোল্ড পয়েন্টের উপরে। সবারই নোবেল জেতার মত নূন্যতম ট্যালেন্ট আছে কিন্তু পার্থক্য গড়ে দেয় অন্য ফ্যাক্টরগুলো।

বাংলাদেশে ভার্সিটিগুলোর কোনটির ছাত্ররা কি করছে, কর্মজীবনে কতটা সফল হয়েছে, তাদের অবস্থান নিয়ে তারা কতটা সন্তুষ্ট এইধরনের কোন জরিপ বা গবেষণা হয় কিনা আমার জানা নেই। তাই উদাহরণ দিতে পারলাম না।

তাই যারা দেশের মোটামুটি প্রথম সারির ভার্সিটিগুলোতে আছ বা আসতে যাচ্ছ তারা "নিজের অথবা ফ্রেন্ডের" ইন্টিলিজেন্স নিয়ে "আত্মতুষ্টিতে/হতাশায়" না ভুগে অন্য দিকগুলোয় মনোযোগী হও।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

সৈয়দ মেহবুব রহমান বলেছেন: অফকোর্স

১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:২০

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.