নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অঞ্জন ঝনঝন আমার আসল নাম না। আমি সামুর নিয়মিত ব্লগারও না। মাঝেমধ্যে ঘুরে যাই ভাল্লাগে।
সোনা মিয়ার জায়গা মতো খুঁজলি হইছে। যখন তখন চুলকানি শুরু হয়ে যায়। বড়ই জ্বালাতনে আছেন তিনি। এই যেমন এখন; এক হাতে বাসের হ্যান্ডেল, আরেক হাতে ব্যাগটা নিয়ে ঝুইলা আছেন। কিন্তু মরার চুলকানির কী সেই খবর আছে?
এটাতো না হয় কোনোভাবে চুলকে নিবেন, কিন্তু সেদিন যে ক্লাসে লেকচার দেয়ার সময় শুরু হইল! বড়ই বিব্রতকর পরিস্থিতি। সামনের সারিতে বসা ফর্সা গোলগাল মেয়েটাকে ভালো লাগে তার। সে এখন হা কইরা তাকিয়ে আছে তার দিকে। এইসময় তিনি ক্যামনে চুলকাইবেন?
বহুত হইছে। এই যন্ত্রণা আর সহ্য করার মানে হয় না। সোনা মিয়া ঠিক কইরা রাখছেন আজকেই নিউমার্কেটের মোড় থেকে পাগলা মলম কিনবেন একটা। বহুত গ্যাঁজানি শুনছেন তাদের। এইবার সত্যিকারের টেস্ট নেয়ার মওকা আইছে।
রাতের দিকে সোনা মিয়া পাগলা মলম কিনে খুশী খুশী মনে ঘরে ফিরলেন। কিন্তু ঘরে ঢুকেই তার মাথা ঘুরে গেল। পুরো ঘরে মনে হইল ঝড় বয়ে গেছে। জিনিশপাতি সব লন্ডভন্ড। তিনি ভয় পাইয়া তার অতি আদরের জানপাখিরে ঢাকতে লাগলেন। কিছু কী হইছে তার? ঘরের এ হাল হইলো ক্যাম্নে?
খুঁজতে খুঁজতে টেবিলের উপর রাখা চিরকুটের দিকে নজর গেল তার। তার জানপাখির হাতের লেখা। "তোর মতো একটা লুচ্চা বদমাশের সাথে ঘর করা আমার পক্ষে সম্ভব না।" সোনা মিয়া স্তব্দ হয়ে গেলেন। ভেবে চিন্তে কোনো কূল কিনারা পাইলেন না তিনি। ফোনও ঢুকতেছে না জানপাখির ফোনে। ভেবে চিন্তে তিনি এইবার ফেইসবুকে লগ-ইন করলেন। জানপাখির আবার চব্বিশ ঘন্টা অনলাইনে থাকার বাতিক আছে। এখন কি আছে সে অনলাইনে?
ফেইসবুকে ঢুকেই জীবনের সবচেয়ে বড় শকটা পাইলেন তিনি। শ খানেক মেসেজ, নোটিফিকেশনে ভরে আছে ফীড। ঘটনা কী? আজকে তো তার জন্মদিনও না। ঘটনা কী তা একটু পরই টের পাইলেন। সবাই একটা ভিডিওর লিঙ্ক পাঠাইছে তারে। ফেইসবুকে নতুন ভাইরাল হওয়া জিনিশ।
ভিডিওতে দেখা যাইতেছে বাসে দাঁড়ায়া এক লোক তার জায়গামতো হাতাইতেছে। খুবই অশ্লীল ভঙ্গি। তার পাশেই আবার বসা একটা মেয়ে। আর ভিডিওর ক্যাপশন দেয়া আছে, "এই শুওরটাকে চিনে রাখুন। মেয়ে দেখলেই তিনি আর সামলাইতে পারেন না। এগুলার সো* কাইটা কুত্তারে খাওয়ানো উচিৎ..."। পুরোটা দেখার আগেই সোনা মিয়া অজ্ঞান হয়া গেলেন, কারণ ভিডিওর লোকটার চেহারাযে হুবুহু তার মতো।
সোনা মিয়া দেখে যেতে পারলেন না, কত বিশাল সেলিব্রেটি হয়া গ্যাছেন তিনি। কত হাজার হাজারবার শেয়ার হইছে তার চুলকানির ভিডিও। আমাদের পক্ষেও জানা সম্ভব হইলো না, এই নিয়ে সোনা মিয়ার অনুভূতি কী। কারণ পরদিনই সোনা মিয়ার লাশ পাওয়া গ্যাছে। সিলিঙের সাথে ঝুলানো। আর পাওয়া গেছে একটা সুইসাইড নোট,
'আমারে গোসল করানোর সময় দেইখা নিস হারামজাদারা। এইটা কোন চুলকানি ছিল।'
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: এইছাড়া উপায় কই? স্মার্টফোনওয়ালা 'সমাজ সচেতন' পাব্লিক যেই হারে গজাইতেছে :/
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দারুণ জটিল হইছে! খুবই কষ্টের আবার মজার, হাইরে চুলকানি
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: হু এইডস বা ক্যানসারই নয় চুলাকানিও হইতে পারে মৃত্যুর কারন। হায়রে স্মার্টফোন
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৬
অসংজ্ঞায়িত নিঝুম বলেছেন: ভ্রাতা বড়ই বিনোদিত হইলাম। চালিয়ে যান...
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫০
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আপনে বিনোদিত হইছেন জাইনা ভাল্লাগছে... চালায়া যাবনে
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪২
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে একা একাই হাসছি, মানুষ হয়তো পাগল বলবে বড়ই বিনোদন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫১
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: দেইখেন কে আবার ভিডিও কইরা ছাইড়া দেয় যে, 'এই দেখেন পাগলের কান্ড, একলা একলা হাসতাছে'
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: খ্যাতির বিড়ম্বনার কারণে গল্পের সেই লোক তার মায়ের মৃত্যুর সময় পৌছাতে পারে নাই। আর এখানে সোনা মিয়া সমাজের অঘোষিত স্মার্টফোন ওয়ালা ভিডিও পুলিশের কারণে নিজেই মরে গেল।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৯
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: সিরিয়াসলি। স্মার্টফোন ওয়ালাদের সোদ* বাঁচা যাইতেছেনা আজকাল
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বড়ই প্যাথেটিক রইম্য
সোনা মিয়ার জীবন দিয়া প্রমাণ করিতে হইল চুলকানোর কারণ যাহা ভাব তাহা নয়!!! আহারে ...