নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানলা আমার মানেনা আজ ধর্মের বিভেদ/জানলা জাতীয়তাবাদের পরোয়া করে না

অঞ্জন ঝনঝন

অঞ্জন ঝনঝন আমার আসল নাম না। আমি সামুর নিয়মিত ব্লগারও না। মাঝেমধ্যে ঘুরে যাই ভাল্লাগে।

অঞ্জন ঝনঝন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম ও চেতনার নামে ঘৃণার রাজনীতি ও আজকের বাংলাদেশ

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৩৭

একসময়ে আমার তিনজন পছন্দের মানুষের কথা কই,

আখতারুজ্জামান আজাদ: তরুণ কবিদের মধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দের । তার চা পানের ইতিবৃত্ত, আমি কারো প্রিয় হতে পারিনি এই কবিতাগুলা আমার সবচেয়ে পছন্দের কবিতার তালিকায় আছে। আরো স্পষ্ট কইরা বললে কবিতার প্রতি আমার প্রথম আগ্রহ জাগছে তার কবিতা পইড়া।

মাহমুদুর রহমান: স্কুলে থাকতে আমার দেশ নিয়মিত পড়তাম। আর মাহমুদুর রহমানের কলাম মিস যাইতো খুব কমই। ইনিও আমার প্রচন্ড পছন্দের একজন লেখক ছিলেন।

জাফর ইকবাল: এই ভদ্রলোকের কথা অনেকেই অনেক বলছে। তাও বলি, ওনার লেখা পড়ে সায়েন্স ফিকশনের জগতে ঢুকছি। ওনার কিশোর উপন্যাস অনেক সঙ্গ দিছে। পরে বিজ্ঞান, গনিত নিয়ে ওনার কাজ সম্পর্কে জেনে ভালো লাগা আরো বাড়ছিল।

এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে কই,

ধরেন এখনকার বাংলাদেশে দিন দুপুরে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে তুলে নিয়ে আপনারে গুম করে ফেলল। কী ভাবছেন? দেশের মানুষ প্রতিবাদ করবে? তা করবে না হয়তো আপনি জানেন, অতো শক্ত শিরদাঁড়া মানুষের নাই। এটলিস্ট কস্ট পাবে তো আপনার জন্য? উহু! সেটা নিয়েও ঘোরতর সন্দেহ আছে। কারণ আপনার সাথে জামাত শিবিরের কানেকশন খুঁজে বের করে দেখালেই হইল। এই কাজ জায়েজ হয়ে যাবে।

অথবা ধরেন, গুম হইলেন না আপনি। সবার চোখের সামনে আপনারে কতল করে ফেললো একদল লোক। কী হবে? কষ্ট তো অনেক পরে, আম জনতা আপনার রুহের আত্মার উপর কষে গালিগালাজ পাঠাবে, যদি বাই চান্স আপনারে নাস্তিক প্রমান করা যায়।

দুই পক্ষের চেতনা নিয়ে ঘৃণার ব্যবসা করা মানুষদের কল্যানেই আজ এই হাল। জাফর ইকবাল ও অন্যান্যরা, 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা' পুঁজি করে যারা ঘৃণার বেশাতি ছড়াইছেন তারা আসলে তখন এই গুম-খুনের সমর্থনপত্র বিলাইছেন। আখতারুজ্জামান আজাদ তাদের একজন ছিলেন, আমার কাছে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। এখন তাদের প্রতি আমার অনুভূতি কেমন হওয়া উচিৎ?

আর মাহমুদুর রহমান দ্বিতীয় অংশের কাজ শুরু করছেন, 'নাস্তিকদের' প্রতি তীব্র বিদ্ধেষ ছড়াইছেন। যার ফলে এখন কতল করা শুধু জায়েজ না ফরজ। আর জনগন তাদের সমর্থন দেওয়া ওয়াজিব মনে করে।

হয়তো ভাবছেন, জনগন কষ্ট পাইলেও বা কি আর না পাইলেই কি। আসলে অনেক কিছু আসে যায়। কারণ এই কষ্ট জমতে জমতেই, এই সিষ্টেমকে প্রতিরোধ করার সাহস জমা হয় মানুষের মধ্যে। এখন এই দেশে যে, আপনি আমি নিরাপদ না সেটা তো জানেনই । কিন্তু এই চেতনার রাজনীতি না হলে অন্তত ভরসা করতে পারতেন যে, মরলেও অন্তত এই দেশের আম জনতার মধ্যে ভবিষ্যতে প্রতিরোধের রসদ যোগান দিয়ে মরতে পারতেছি। কিন্ত এখন কপালে তাও ঝুটবে না।

হায় বাংলাদেশ!


মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৪১

নরাধম বলেছেন: পোস্টের সাথে একমত। ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথাই লিখেছেন।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

ক্স বলেছেন: ঘৃণার রাজনীতি শুরু হয় ঘৃণার মাধ্যমে। ব্লগার চাদ্গাজী সম্ভবত একজন নাস্তিক। কিন্তু তিনি তার বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে আছেন - অন্যের বিশ্বাস অবিশ্বাসে তার কিছু যায় আসেনা। উনি ওনার কথা বলে যান, কেউ মাইন্ড করলে উনি সরলভাবে তার জবাব দেন। কিন্তু মুত্রমনা বা ধর্মকারীর ব্লগাররা কি করে? মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের জায়গায়, ভক্তির জায়গায় রীতিমত কুঠারাঘাত করে। বিশ্বাসের সেন্সিটিভ জায়গায় খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করে মজা নেয়। তখন ভিক্টিমের মনে যে প্রতিহিংসা জাগ্রত হয়, তার থেকেই ঘৃণার রাজনীতি শুরু হয়।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: বাহ চমতকারের চেয়ে ভাল হয়েচে - এটাই সত্য

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: হুম ! এখন তবে মরিলেও শান্তি নাই !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.