![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইভটিজিং বলতে সাধারণভাবে আমরা বৃঝি রাস্তাঘাটে মেয়েদেরকে উত্ত্যক্ত বা হয়রানি করা। মেয়েদের উদ্দেশ্যে কটু মন্তব্য করা, অশ্লীল ইঙ্গিত,শিস দেওয়া, কুৎসিত শারীরিক অঙ্গভঙ্গি করা, পথ আটকে দাঁড়ানো বা ওড়না টেনে ধরার মতো অশোভন আচরণ ইত্যাদি ইভটিজিং-এর আওতায় পড়ে। এগুলো আসলে যৌন হয়রানির নামান্তর। উত্ত্যক্ত করা ও হয়রানির ঘটনায় বাংলাদেশে যেভাবে মেয়েদের আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে, পৃথিবীর অন্য কোথাও সেরকম নজির নেই। অবশ্য অনেক দেশে এ ধরণের ঘটনা ঘটলে আইনি প্রতিকার পাওয়া যায়। আর আমাদের দেশে আইনি প্রতিকার তো দূরের কথা, এরকম ঘটনায় পরিবার ও সমাজের মানসিক সমর্থন ও অনেক সময় পাওয়া যায় না। আমাদের সমাজে অনেকে এগুলোকে তরুণ বয়সীদের ‘একটু মজা’ বা বয়সজনিত চপলতা হিসেবে বিবেচনা করেন। কিন্তু ইভটিজিং আসলে যৌন হয়রানির একটি ধরন। এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধ যা নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। ইভটিজিং -এর কারণে অনেক মেয়েশিশু তাদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার পরিবেশ পাচ্ছে না এবং তাদের জীবনের গতি অসময়ে রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক সম্ভাবনার বীজ অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সহজ টার্গেট বলে মেয়েশিশুরা টিজিং-এর শিকার হয়ে বেশি। মেয়েদের উত্ত্যক্ত ও হয়রানি করা যা ইভটিজিং বলে পরিচিতি, গুরুতর অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হওয়া উচিত। কারণ এর ফলে অসংখ্য মেয়ের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। বখাটেদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার ঘটনা আমাদের সমাজে হরহামেশাই ঘটছে। ইভটিজিং-এর প্রকোপ বর্তমানে এমন এক জায়গায় পৌছেছে যে, রাজধানীর খিলগাঁওয়ের সিমি, মিরপুরের ফাহিমা, খুলনার রুমি, গাইবান্ধার তৃষা, স্বপ্না, সাভারের তিথির মতো অসংখ্য কিশোরী নিজের জীবনের সমাপ্তি টেনেছে আত্মহননের মধ্য দিয়ে। এসব মৃত্যু শুধু মৃত্যুই নয়; আমাদের অভিশপ্ত সামাজিক জীবনের একেকটি বিষাদময় কাহিনী। গাইবান্ধার শিশু তৃষা কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্রী সিমি আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার পর দেশব্যাপী অনেক হৈচৈ হয়েছে। নারী আন্দোলনের কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামও পড়ে তুলেছিল। কিন্তু এ পর্যন্তই। ইভটিজিং বা বখাটেদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহননের ঘটনা থামেনি। হরহামেশাই তা ঘটছে।
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫
এএন অনু বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫
জাতির জামাই বলেছেন: ভালোই লিখেছেন।