![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান বড় রাজনৈতিক দল গুলোতে কোন কর্মী নেই, সবাই নেতা। মাঠে রাজনীতি করার কোন লোক নেই সবাই ফটোর রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। এখন লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এমপি বা মন্ত্রীর সমাবেশে নেতারা (আগেই বলেছি কোন কর্মীনেই) সমাবেশ সফল ও সুন্দর করা বিপরীতে কার সাথে কীভাবে ছবি তোলা যায় আর সেই ছবি কার আগে কে ফেইসবুকে আপলোড দিতে পারে এই নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে দল যতই বড় হোক না কেন অদূর ভবিষ্যতে দল তার ভিত্তি হারাবে এবং ধীরে ধীরে তার মুচড়ে যাওয়া সুনিশ্চিত। যার প্রমান আমরা একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবো।
একটি রাজনৈতিক দলে যদি কয়েকজন দূরদর্শী যোগ্য নেতা থাকেন আর নেতার মত ও আদর্শে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাসী কর্মীবৃন্দ থাকেন তাহলে যে কোন দলই সুসংঘটিত হয়। যা আমরা বড় রাজনৈতিক দল গুলোতে দেখি। কিন্তু এখন দেশে আর সুস্থ ধারার রাজনীতি নেই। ব্যক্তি স্বার্থ সংরক্ষনে অনেকে নিজ দল ও মতকে পর্যন্ত বিসর্জন দিতে পারে। যা নিজের বিবেক বিক্রির সমতুল্য।
রাজনীতি হলো রাজার নীতি। রাজনীতি দেশ ও দেশের জনগনের কল্যাণ কামনা করে। রাজনীতির সুস্থ ধারা একটি দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করে। কেউ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করে আবার কেউ চায়ের হোটেলে চাকরি করেও রাজনীতির চরম শিখরে পৌছাতে পারে। রাজনীতিতে তারাই সফলকাম হন যারা রাজনীতিকে ভালো করে বুঝেন।
গত ১৩ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর একটি প্রোগ্রাম কাবার করতে গিয়েছিলাম। মোটামুটি একটা জনসভাই বলা চলে। তখন প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য কয়েকটা ছবি তোলতে ক্যামেরা নিয়ে মঞ্চের সামনে যেখানে মিডিয়া কর্মীদের থাকার কথা সেখানে উপস্থিত হই। দেখি সেখানে দুইজন টেলিভিশন মিডিয়ার কর্মী আর দুই তিনজন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক সহ ২৫/৩০ জন ছবি তোলতে ব্যস্ত। যেহেতু মিডিয়া কর্মী মাত্র কয়েকজন তাহলে বাকিরা কারা? তারা সবাই মোবাইল হাতে ছবি তোলতে ব্যস্ত নেতারা (আমি আগেই বলেছি এখন নিজেকে কেউ কর্মী মানতে নারায)। তাদের মধ্যে বয়স ১৮ পেরোয়নি এমন একজনকে কৌতূহলের বসে জিজ্ঞেস করলাম ভাই এতো ছবি তোলে কী করবেন? (প্রশ্ন করার পর ছেলেটি যে ভাব নিল তাতে মনে হল সে এই প্রোগ্রামের প্রধান অথিতি) তিনি বললেন ফেসবুকে আপলোড দিবেন। আরে ভাই ফেসবুকে আপলোড দিবি ভালো কথা। এতো এতো ছবি তোলার প্রয়োজন কী? তোদের যন্ত্রনায় যারা প্রফেশনালি ছবি তোলতে গিয়েছিল তারাতো ভুক্তভোগী হয়েছেনই এমনকি ক্ষুদ মন্ত্রীই ক্ষুদ্ধ। আমার মনে হয়, বড় রাজনৈতিক দলগুলোর এক একটা করে ফেসবুক সংঘটন খোলা উচিত। যেমন, ফেসবুক লীগ, ফেসবুক দল ইত্যাদি।
নেতা হওয়া কী এতই সহজ? এমপি বা মন্ত্রীর সাথে ছবি তোললেন আর নেতাগিরির ভাব নিলেন! নেতা হতে হলে আগে নেতৃত্ব কী তা শিখতে হবে। নিজেকে উদার ভাবে জনগনের কথা চিন্তা করতে হবে। দেশ ও দশের উন্নতি কল্পে নিজে খেয়ে না খেয়ে কাজ করে যেতে হবে। নইলে আপনি কীসের নেতা?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
এএন অনু বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন। তবে একটা কথা, এরা ক্যাডার হয় এবং ভবিষ্যতেও ক্যাডার থাকে কখনো লিডার হতে পারে না। তারা সবসময়ই সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ।
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
সামছুল ইসলাম মালয়েশিয়া বলেছেন: ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২
এএন অনু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যেহেতু মিডিয়া কর্মী মাত্র কয়েকজন তাহলে বাকিরা কারা? তারা সবাই মোবাইল হাতে ছবি তোলতে ব্যস্ত নেতারা (আমি আগেই বলেছি এখন নিজেকে কেউ কর্মী মানতে নারায) - নেতা নয় পাতি নেতা।
এরা বড় ভাই টাইপের কিছু অর্ধ নেতার পিছনে ঘোরে। সময়ে বে সময়ে ছবি তোলে আর ফেসবুকে ছবি আপ্লুড দেয়। বিভিন্ন মিছিল মিটিং এ নেতার পক্ষে স্লোগান দিয়ে গলার বারোটা বাজায়। অর্ধ নেতা টাইপের বড় ভাইকে অন্ধের মত ভক্তি করে, আশায় থাকে কখন বড় ভাই বলবে; “ধর মার খা”। । ইহা সব দলে কম বেশি দেখা যায়। আওয়ামী, বিম্পি,জামাত্যা সবখানে এদের কদর বেশি।
ম্যাডাম জিয়ার জন সভায় সামনে বসাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই পত্রিকায় খবর আসত ‘ খালেদা জিয়ার জন সভার সামনে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্র দল আর ছাত্র শিবিরের মারামারি/চেয়ার ছোড়া ছুড়ি/হাতাহাতি।
আর বর্তমান জমানায় ছাত্রলীগের বদরুল কে নতুন করে চিনিয়ে দেয়ার কোন মানে হয় না।