নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা কোথায় নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:২৮



বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান একটি সমস্যা, এখানকার বর্ধনশীল জনসংখ্যা। এখনও আমরা দীর্ঘদিনের এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য যারপরনাই লজ্জাজনক দুর্ভাগ্যজনক। এখন তো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে প্রচারমাধ্যমগুলোতে সামান্য প্রচারণাও আর দেখি না। একসময় যখন একটিমাত্র টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি ছিল, তখন দেখতাম ‘সুখী পরিবার’ ‘মিনা কার্টুন’ সহ আরও বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়মিত হতো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনা ইত্যাদি নিয়ে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলতে। একাধিক অনুষ্ঠান হতো- নাটিকা, টক শো, প্রামাণ্য অনুষ্ঠান, সরকারি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা ইত্যাদি। সম্ভবত কণ্ঠশিল্পী শুভ্র দেব’র গাওয়া চমৎকার একটি গানও আছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে, ‘সূর্য একটাই, পৃথিবী একটাই, সন্তানও কেন একটাই নয়!’ এরকম ছিল সেই গানের কথাগুলো। আরও নানাভাবে পরিবার পরিকল্পনা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হতো রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভিতে। মাননীয়া শেখ হাসিনা ও মাননীয়া খালেদা জিয়া উভয়ের সরকারই যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। এক যুগেরও অধিককাল আগের কথা। আমি তখন হাই স্কুলের ছাত্র। শৈশবে আমি টিভির পোকা ছিলাম। এখনও পরিষ্কার মনে করতে পারি। আমাদের বহু পুরনো একটা সাদাকালো বিশ ইঞ্চি ফিলিপস টিভি ছিল। দীর্ঘদিন সেই টিভি আমাদের সেবা দিয়েছে। টেলিভিশন বাংলাদেশে নতুন আসার সময়ই বাবা কিনেছিলেন। যাই হোক, এখনও সম্ভবত বিটিভিতে অল্পবিস্তর সেই অনুষ্ঠানগুলো হয়! আমিই সেভাবে এখন আর টিভি দেখি না, তাই সঠিক বলতে পারছি না। কালেভদ্রে যাও দেখি, সাম্প্রতিক সময়ে বিটিভিতে এ নিয়ে কোনও প্রচারণা আমার অন্তত চোখে পড়েনি। অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কথা নাহয় বাদই দিলাম! তাদের কাছে সে প্রত্যাশা করি না। আমি নিজেই বা কী স্বেচ্ছাসেবাটা দিচ্ছি বা দিয়ে আসছি এ ব্যাপারে। হা হা হা! আর ওগুলো তো আগাগোড়াই বাণিজ্যিক টিভি চ্যানেল! সবমিলিয়েই বলবো, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে প্রচার প্রচারণা একদম বন্ধ হয়ে আছে এ দেশে! আবার এদিকে অনেক অবুঝ, বিভ্রান্ত ধর্মগুরুরা ইচ্ছে মতো প্রতিনিয়ত এ ব্যাপারে ভুল বুঝিয়ে চলেছে সাধারণ মানুষকে। দুয়েকজন হুজুরকে এরকমও বলতে শুনেছি যে, পৃথিবীতে মুসলমানের সংখ্যা যতো বাড়বে, ততোই নাকি ভালো, ততো মঙ্গল। দেড়শত কোটি বাড়িয়ে খ্রিষ্টানদের বরাবর আড়াই তিন কোটিতে মুসলমান জনসংখ্যা নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন তারা তাদের অনুসারীদের। আর এ জন্য ইচ্ছে মতো সন্তান নিতে বলেন মা বোনদের। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ইহুদি নাসারা মোদি ইন্ডিয়াকে ইচ্ছে মতো গালিগালাজ করার পাশাপাশি এখানে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকেও বিধর্মীদের অপপ্রচার, মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মুসলিমদের দাবিয়ে রাখার কৌশল ইত্যাদি বলে থাকেন, আর যারা এদেশে এসবের সাথে যুক্ত, তাদের ‘কাফির’ ‘মুনাফিক’ ‘ষড়যন্ত্রকারী ইহুদি নাসারাদের দালাল’ বলে ইচ্ছে মতো তীব্র তিরস্কার করেন। এ বিষয়ে আগামীতে ভেবেচিন্তে বিস্তারিত লেখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে এ পর্ব এখানেই শেষ করছি।
একটি বিষয় আনন্দের সাথে বলতে চাই, আমার পোস্টে মন্তব্য অল্প হলেও ব্লগে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী অনেক। দুয়েকবার এর প্রমাণ পেয়েছি। এখানে বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতিতে অনেককেই পাশে পেয়েছি, যাদের দৃশ্যত কোনও সংযোগ নেই আমার সঙ্গে। কখনও মন্তব্য বিনিময় হয়নি। সেইসব অজানা শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য আন্তরিক শুভকামনা জানাচ্ছি। আমার গভীর বিশ্বাস আছে যে, ব্লগে আগামীতেও যে কোনও প্রয়োজনে তাদের ঠিক পাশে পাবো।

(চলবে)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: বর্তমানে মানুষের ধ্যানধারণায় অনেকটাই পরিবর্তন আসছে। এমনিতেই তারা পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে খুব সচেতন। তাই হয়ত এখন আর আগের মতো করে সচেতনতা বাড়াতে হয়না।

তবে এর এপিঠ ওপিঠ দুইটা বিষয় ই কিন্তু আমাদের বিবেচনা করতে হবে। একটা ছোট্ট উদাহরণ দেইঃ বর্তমানে সবায় একটা ছেলে সন্তানের পর একটা মেয়ে সন্তান অথবা একটা মেয়ে সন্তানের পর একটা ছেলে সন্তান নিতে চায়। কিন্তু যখন পরপর দুইটা ছেলে অথবা দুইটা মেয়ে জন্মগ্রহন করে তখন একটা মেয়ে বা ছেলের আশা কিন্তু তারা কখনই ছারতে পারেনা। দ্বিতীয়তঃ অল্প বয়সে কোন কারনে সেই সন্তান মারা (এক্সিডেন্ট, রোগ) গেলে তখন সেই পরিবারের অবস্থা নাজেহাল হয়ে যায়। আর তখন হয়ত তাদের সন্তান নেওয়ার বয়স (মেন্টালিটি) নাও থাকতে পারে।

আপনার পোস্টে হয়ত কমেন্ট একটু কম আসে কিন্তু আমার পোস্টতো এখনো প্রথম পাতায় ই যায়না। যেখানে আরো নতুন আইডির ব্লগ প্রথম পাতায় যায়। জানিনা লিখতে পারি কিনা!!!

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:১৬

অর্ক বলেছেন: ভুল ধারণা। আশানুরূপ সচেতনতার থেকে অনেক পিছিয়ে আছি আমরা। শহরে তেমন না হলেও গ্রামেগঞ্জে এখনও অধিক সন্তান নেয়া হয়। এক সন্তান নীতি জনগণ মোটেই গ্রহণ করেনি। প্রয়োজন ছিল চিনের মতো মোটা জরিমানার আইন করা।

আপনার দুটো পয়েন্টের একটি লিঙ্গ বৈষম্যকে উৎসাহ দেয়, আরেকটি অত্যন্ত হাস্যকর, দুর্ঘটনাকে কমন হিসেবে উদাহরণ টেনেছেন! এর কী উত্তর দিবো জানি না!

মন্তব্যের কথাটা বলেছি, কয়েকটি তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছি বলে। পোস্টেও বলেছি, বিশেষ প্রয়োজনে... ওটা নিয়ে আপনার মন্তব্য না করলেও হতো। পোস্টে মন্তব্যের জন্যে আমি বিন্দুমাত্র লালায়িত নই।

মন্তব্যে জন্য ধন্যবাদ।

২| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রাথমিক সচেতনতা ছড়িয়ে গিয়েছে গত ৩০ বছরে। তাই হয়তো এখন আর প্রচারণা চোখে পড়ছে না। এখন অনেকেই সচেতন। আর গোঁড়ামিতো সব যুগেই ছিল, আছে, থাকবে...

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:২৫

অর্ক বলেছেন: কী যে হাস্যকর আপনার এই মন্তব্য! ঢাকা চট্টগ্রাম ময়মনসিংহ বগুড়া যেখানে যাই শুধু মানুষ আর মানুষ। গিজগিজ করছে মানুষ। মানুষের চাপে ফুটপাত ব্রিজের ভারি ভারি স্থাপনাও জীবদ্দশাতে নষ্ট হতে দেখি। ট্রেনের ছাদে মানুষ, কামরায় দাঁড়ানো মানুষ। প্লাটফর্মে দুটো কংক্রিট বেঞ্চে ছ’জনের বসার জায়গা, যাত্রী শত শত... আপনি বলছেন, "প্রাথমিক সচেতনতা ছড়িয়ে গিয়েছে গত ৩০ বছরে"!

৩| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:২৯

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: জনসংখ্যা সমস্যা বাংলাদেশে ক্রমশঃ প্রকট হয়ে উঠেছে। জনসংখ্যাকে জনবলে পরিণত করার শ্লোগান যত উচ্চ কন্ঠেই দেওয়া হোক না কেন, এর অন্তঃসারশূন্যতা শিক্ষিত বেকার সমাজের দিকে তাকালেই অনুধাবন করা যায় সহজে। সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট দেবার জন্য সাধুবাদ জানাই জনাব অর্ককে।
আমাদের এই সুফলা দেশটি জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উর্বর। এর সাথে কথিত হুজুরদের উস্কানীমূলক বক্তৃতা একে আরো এককাঠি এগিয়ে দেয়। আপনি ঠিকই বলেছেন, এক সময় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সরকার যতোটা উদ্যোগী ছিলেন, বিভিন্ন প্রচারযন্ত্রে যেমন সোচ্চার ছিলেন, দীর্ঘদিন যাবত সেই উদ্যোগে ভয়ানক ভাটা পড়েছে। জানিনা বর্তমান সরকার জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে উন্নয়নের একটা স্তম্ভ হিসেবে দেখছেন কিনা। শঙ্কাটা এজন্য যে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তিবর্গ বিভিন্ন বিষয়ে যেসব উদ্ভট বয়ান দিয়ে থাকেন, হুজুরদের মতো তাদের এমন ভাবনা যদি থেকে থাকে অবাক হবো না।
আমার জানামতে পৃথিবীতে সর্বাধিক জনঘনত্বের দেশ এই বাংলাদেশ। বর্তমানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে হাজার তিনেক মানুষের বসবাস। গিনেস বুকেও হয়তো এর রেকর্ড আছে। এ রেকর্ড নিয়ে সরকার গর্ব করলেও করতে পারে। কিন্তু আমাদের শঙ্কা কেবল বেড়েই যাচ্ছে। সময় মতো এর নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে না পারলে ভবিষ্যতে মহা বিপর্যয়ের সম্ভাবনা ব্যাপক।
আপনার ধারাবাহিক পোস্টে সুন্দর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ও সমাধানের দিকনির্দেশনা থাকবে আশা করি। সরকার যাই করুক বা না করুক, কিছু এনজিও যদি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে আসে তাও মন্দ হয় না। তবে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক এটাই কামনা করি।

০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

অর্ক বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে দারুণরকম প্রেরিত করে গেলেন। একটি দুটি শহর নয়, সারা বাংলাদেশেরই আজ একই চিত্র, বিরাট জনসংখ্যার কারণে নানাবিধ সমস্যা। এতো জনসংখ্যা নিয়ে সুষ্ঠু ভারসাম্যপূর্ণ রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয় কিছুতেই। আলাদীন’র চেরাগ ছাড়া একে আর সোনার বাংলা করা এক্কেবারে অসম্ভব। যানজট, বেকারত্ব, পানি বিদ্যুৎ গ্যাস সঙ্কট ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যার মূলে এই অধিক জনসংখ্যা। এটা এদেশে একটা অভিশাপ। যেভাবে চলছে চলুক নীতি থেকে বেরিয়ে এখনই রাষ্ট্রের উচিৎ চিনের মতো এক সন্তান নীতি গ্রহণে আইনতভাবে জনগণকে বাধ্য করানো। এর কোনও বিকল্প নেই।

ইচ্ছে আছে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করার।

অজস্র ধন্যবাদ ও এই ঢাউস জনসংখ্যার দেশে যথাসম্ভব শান্তিতে থাকার আন্তরিক শুভকামনা।

৪| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জনসংখ্যা বিস্ফোরণ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা। ডায়াবেটিস রোগ যেমন অন্যান্য অনেক রোগের শেকড়, জনসংখ্যার মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য তেমনি অন্যান্য অনেক সমস্যার গোড়া।

০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৩

অর্ক বলেছেন: ঠিক এ কথাটাই সকলকে বোঝাতে বা প্রতিষ্ঠিত করতে লিখছি। অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধা ও শুভকামনা।

৫| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:১১

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: মাত্র তো ১৭ কোটি। আগে ৫০ কোটি হোক। তখন সরকার আর জনতা এটাকে সমস্যা মনে করবে। এখনো তো মালয়েশিয়া আর আরবে কাজ করতে যা্ওয়া যায়। সামনে তারাও কামলা নেবে না। তখন অতিরিক্ত জনসংখ্যা একটা বিপদ মনে হতে পারে। তার আগে নয়।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

অর্ক বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।

৬| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: বিজ্ঞ লেখক, আপনি কিন্তু বললেন না আপনি আপনার মা-বাবার কততম সন্তান।
আচ্ছা ভাবুন তো, আপনার পিতা যদি আপনার মতো জনসংখ্যার চাপের চিন্তাকে মাথায় রেখে আপনাকে গ্রহণ না করতেন তাহলে আজ আপনি কোথায় থাকতেন ? প্রশ্ন রইল, আশা করি ‍উত্তর দিয়ে যাবেন।

০৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

অর্ক বলেছেন: আপনার মতো নির্বোধ, অল্প বুদ্ধি’র লোক আমি আর দুইটা দেখিইনি! আপনি কী প্রাইমারি প্রি টিন শিক্ষার্থী নাকি! এতো ছোটরাও ব্লগিং করে! আর যদি পরিণত বয়সের মানুষ হন, তাহলে আপনি আশু কোনও মানসিক রোগের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন, কী করে বুদ্ধি বাড়ানো যায়, তা নিয়ে পরামর্শ নিতে!

আপনার প্রশ্নে আতঙ্কিত হয়ে আমি আপনাকে মন্তব্য ব্লক করলাম। এ ক্ষেত্রে আর বিকল্প কিছু দেখছি না। আপনার জন্য শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.