নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওপার বাংলার হাওড়া’র তিনটি ছবি

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬



দুপুরবেলা। যদিও অন্ধকার দেখাচ্ছে অপরিণত এডিটের কারণে। ব্রিজের সামনে থেকে তোলা, পাশেই হাওড়া স্টেশন। স্টেশনের আঙ্গিনায় দাঁড়ানো আমরা সবাই। দারুণ ভিড়ভাট্টায় ভরা শহর কোলকাতা। ঢাকার থেকেও জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি ওখানে। ঐতিহাসিক এই ব্রিজই কোলকাতা হাওড়া, দুই শহরকে যুক্ত করেছে। সবসময় জনস্রোত সর্বত্র। দেশ ভাগ হলেও উভয় বাংলারই সমস্যাগুলো একইরকম- ঢাউস জনসংখ্যা, দরিদ্রতা, নারী অধিকার, অপরিচ্ছন্নতা, দুর্নীতি, অনিয়ম ইত্যাদি।



ব্রিজের ওপর। এটা উপরের ছবিটির আগের বছরে ওঠানো। চলছে চলছে চলছে জনস্রোত ব্রিজের এপার ওপার। সেই মিশ্র বর্ণের বাঙালি- সাদা কালো বাদামি বিভিন্ন রঙের গড়পড়তা ক্ষুদ্রাকৃতির বাঙালি জনগণ। হা হা হা। হুগলি নাদী’র ওপর অবস্থিত এই ব্রিজ। ব্রিটিশদের আরেকটি নিখুঁত ভালো কাজ। এই হুগলি নদীর পানি কোনওদিনই শুকোয় না, সবসময় একইরকম টইটুম্বুর!



আর এই যে সামনে দেখা যাচ্ছে বিরাট বিল্ডিং- এটাই হাওড়া স্টেশন। চব্বিশঘণ্টাই এখানে ব্যাপক ভিড় লেগে থাকে মানুষের। সত্যি, এই স্টেশনে না গেলে মানুষের একটি জীবন যে কতো গুরুত্ববহ তা পূর্ণভাবে হয়তো কোনওদিনই জানা হতো না আমার! যারা আজ জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা থেকে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদেরকে বলবো, মরার আগে যদি সম্ভব হয় একবার হাওড়া স্টেশন থেকে ঘুরে বেড়িয়ে আসুন! ছবিতে দুজন যাত্রীর মধ্যে মারামারি লেগেছিল কোনও কারণে। খানিকক্ষণ পর পুলিশ এসে ব্যাপারটা নিষ্পত্তি করে। মাঝরাত তখন।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

প্রামানিক বলেছেন: হওড়া স্টেশন নিয়ে সুন্দর ছবি এবং বর্ননা।

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

অর্ক বলেছেন: অগুনতি ধন্যবাদ প্রিয় প্রামানিক ভাই।

২| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১২

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: বর্ণনা সুন্দর হয়েছে। তবে ছবিগুলি রঙিন হলে ভালো হত।

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৫

অর্ক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ভ্রাতা। আশা করি রঙিনও পোস্ট করবো কেনওদিন!

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

অর্ক বলেছেন: আপনার জন্যে একটি মূল ছবি-

৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: অর্ক ভাইর ছবি ব্লগ মানেই গ্রেইস্কেল B-)

হাওড় স্টেশনের বর্ণনা শোনে যাওয়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দিলো।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

অর্ক বলেছেন: অবশ্যই যাবেন! আমি তো ওপার বাংলাকে আমার অভিন্ন মাতৃভূমি মনে করি । শুধুমাত্র পশ্চিম বাংলাকে। এই বিশ্ব সভ্যতার জন্যেই যারপরনাই লজ্জাজনক যে দুই বাংলার মানুষের যেতে আসতে ভিসা পাসপোর্টের দরকার হয়। এ ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে, কারণ আমরাই পৃথক হয়েছি। যাই হোক পুরনো ভুল বোঝাবুঝি ভুলে দুই বাংলার মধ্যে আরও হৃদ্যতা গড়ে উঠুক। প্রয়াত মহান গায়ক মান্না দে’ও এরকম ভাবতেন! আমরা আপামর মানুষ যদি তাঁর মতো উদার হতে পারতাম তাহলেও আর কোনও সমস্যা থাকতো না!

সামনে রঙিনও পোস্ট করবো আশা করি।

অজস্র ধন্যবাদ তারেক ফাহিম।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

মাকার মাহিতা বলেছেন: সেখানেও কি মানুষ বাজারের ব্যাগ নিয়ে ছুটে...( ২ নং ছবিতে...)

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

অর্ক বলেছেন: জানি না লক্ষ্য করিনি, শুধু ছবি তুলেছি।

৫| ১১ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:



চমৎকার বলেছেন, দেশ ভাগ হলেও সমস্যাগুলো প্রায় একইরকম রয়ে গেছে।
ছবিও ভালো লাগলো।

১১ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

অর্ক বলেছেন: আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

মাকার মাহিতা বলেছেন:

হাওড়া ব্রিজ। #কোলকাতা ভ্রমন #সুপ্ত অভিজ্ঞতা

০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০১

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: হাওড়া স্টেশনে গেলে বাঁচিয়া থাকিতে ইচ্ছা হইবে কেন বুঝিলাম না ! যদি ভিড়ের কথা বলেন , তাহা হইলে আমাদের দূরপাল্লার লোকাল ট্রেনগুলোতে যাত্রা কইরেন , টের পাইবেন ভিড় কাহাকে বলে !!

ব্যাক্তিগত ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় বলিতে পারি , কলকাতার চেয়ে দিল্লি ভালো লাগিয়াছে !

০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০০

অর্ক বলেছেন: ট্রেনের ভিড় নয়, প্লাটফর্ম, স্টেশনের ভিড়ের কথা বলেছি, সমস্ত ভারতের ট্রেন মূলত এখান থেকেই ছাড়ে। এছাড়াও বিভিন্ন বর্ণ (গাত্রবর্ণ), গোত্র, সম্প্রদায় ভাষাভাষী মানুষ পাবেন। এদের অনেকে তিন চারদিনের একটানা রেল ভ্রমণে দূরের রাজ্যে চলেছে। এছাড়া কতো রকম পেষার মানুষের সমাহার এখানে। বিরাট কর্মময়তা। আছে গরীব দুঃখী দুঃস্থ অগণ্য গৃহহীন মানুষ। আরও অনেককিছুইই আছে যা এই মানবজীবনের গুরুত্ববহতা প্রকট করে। এ একটা দারুণ অভিজ্ঞতা বিচিত্র অভিজ্ঞতা। খুব সম্ভবত আপনি কখনও হাওড়া স্টেশনে যাননি। আমি শুধু যাইইনি, ভোরের দিঘা, বর্ধমান ইত্যাদিস্থানীয় ট্রেন ধরার রাতভর ছিলামও। ভুলেও আবার কমলাপুর’র কথা বলবেন না আবার। ওর কাছেই কোথাও থাকি।

দূরপাল্লার দেশের ট্রেনেও যাত্রা করেছি। প্রচণ্ড ভিড় হয়।

আমার মুম্বাই ভালো লেগেছে। কিন্তু কোলকাতার সাথে তো রক্তের সম্পর্ক। পশ্চিম বাংলাকে আমি আমার দেশই মনে করি। এই বিশ্বসভ্যতার জন্যেই প্রচণ্ড লজ্জা ও দুঃখপ্রদ বিষয় বাংলার মানুষকে দুটি ভিন্ন দেশে থাকতে হচ্ছে। আমি চাই যথাসম্ভব একীভূত করা হোক দুই বাংলা।

প্রচুর ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.