নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি বয়সে আমার চেয়ে বেশ ছোটো
আর যেসব কিন্তু যদি আছে- সেসব অর্থহীন মেয়ে
মাথা থেকে এক্কেবারে ঝেড়ে ফেলো।
ক্যালেন্ডারের পাতাগুলো উল্টোদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে
দেখো, এইতো আবার এসেছি তোমার কাছে
আর ওই তো ঠায় আনমনে তাকিয়ে আছো তুমি আমার দিকে
যখনই চোখে চোখ পড়ছে অকারণ লজ্জায় সরিয়ে নিচ্ছো মুখ।
এখানে নোংরা পর্দা দেয়া আলোআঁধারি চায়ের দোকান
আর কতো যে জোড়াতালি তাতে,
ব’সে আছি বেশ কিছুক্ষণ- বিরক্ত প্রবীণ দোকানদারের নীরস মুখ
মে’র এক গতানুগতিক গনগনে রোদ্দুরের দুপুরবেলা
খদ্দের নেই তেমন একটা...
হঠাৎ তোমাকে আজ বড্ড মনে পড়ে যাচ্ছে বারবার।
প্রিয়তমা, আমাকেও কি কখনও এভাবে মনে পড়ে তোমার
এমন কারণহীন?
সম্ভবত এরকমই রোজার মাস ছিল সেটা
হয়তো ছিল না- গুলিয়ে ফেলেছি!
গ্রামীণ চেকের সেই লাল শার্টটা আজ আর আমার সংগ্রহে নেই
জানি, ওটা পরলে বেশ সুদর্শন দেখাতো আমাকে
তখন ব্যায়ামপটু সুগঠিত শরীর...
তুমি স্ট্রবেরি জুস বানিয়ে দিতে, কখনও লেমনেড
মূলত আইসক্রিমেরই চেইন শপ ছিল মি’এ্যামোর
পাশাপাশি বিভিন্ন জুস পাওয়া যেতো
কিন্তু আমি আইসক্রিম মোটেই পছন্দ করি না
শৈশবেও খেতাম না খুব একটা
জুস স্যুপ চা কফি ইত্যাদি পানীয়তেই আসক্তি...
আমি অর্ডার ক’রে পাশের চেয়ারে বসে থাকতাম
তুমি যত্ন ক’রে বানিয়ে দিতে স্ট্রবেরি জুস, লেমনেড।
আহা, আমার এই কবিতাগুলো যদি কখনও পড়তে তোমরা
একবার যদি পড়তে- তুমি, তোমরা
পাশের সিলন চা’র দোকানের সেই নতুন মেয়েটি
ওকে নিয়েও কখনও লিখবো কবিতা- নিশ্চয়ই লিখবো।
বিশ্বাস কর, আমি তোমাদের সব্বাইকে খুব ভালবাসি
সত্যি আমার দুর্ভাগ্য যে- তোমরা কোনওদিনই জানবে না!
আজ ওখানে গেলে বড্ড বিষণ্ণ হয়ে ওঠে মন
তোমাদেরকে ভীষণ মনে পড়ে...
আহা, আবার যদি ফিরে আসতে তোমরা
যে যেখানে যেমন ছিলে- তুমি, সল্ট এন্ড গ্রিলের ত্রয়ী
সিলন চা’র দোকানের শ্যামবর্ণা নতুন দীর্ঘাঙ্গী মেয়েটা
রেস্টুরেন্টের ভিতরের সেই মধ্যবয়স্কা ভদ্রমহিলা-
একদিন হঠাৎ আমার অপ্রস্তুত বিরক্তি প্রকাশে যে লজ্জা অপমানে
অনেকটা যেন কেঁদেই বেরিয়ে গিয়েছিল এক ছুটে
তারপর কতো খুঁজেছি তাকে- কিন্তু আর কোনওদিন দেখিনি।
(চলবে)
২৮ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭
অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। প্রেরিত হলাম। আশা করি সুখপাঠ্য হবে। অন্তহীন শুভকামনা।
২| ২৮ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪
সনেট কবি বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনা।
২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩
অর্ক বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ মাননীয়।
৩| ২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯
চিন্তক মাস্টারদা বলেছেন: কবিতায় সব বলে দেয়া
এমন কবিতা সবারই ভাল লাগে।
প্লাস প্রিয় অর্ক++++
২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৭
অর্ক বলেছেন: কবিতাতেই সব বলা যায়... আর তাছাড়া ওরা আমার নিজেরও খুব প্রিয় প্রসঙ্গ! আর একটা ব্যাপার এখন আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করি যে, একজন কখনওই আরেকজনে বিকল্প হতে পারে না। আমি সবচেয়ে কষ্ট পাই, তাদের অনেকেই আমার ওপর এক অকারণ ঘৃণা, তিক্ততা নিয়ে আছে।
অজস্র ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৪| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০৮
কাইকর বলেছেন: +++++++
২৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৪
অর্ক বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ।
৫| ২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৬
অলিভিয়া আভা বলেছেন: আহা, আমার এই কবিতাগুলো যদি কখনও পড়তে তোমরা
একবার যদি পড়তে- তুমি, তোমরা
পাশের সিলন চা’র দোকানের সেই নতুন মেয়েটি
ওকে নিয়েও কখনও লিখবো কবিতা- নিশ্চয়ই লিখবো।
বিশ্বাস কর, আমি তোমাদের সব্বাইকে খুব ভালবাসি আহা ! কবিমন সবাইকেই ভালোবাসে সমানভাবে।
সামনের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
২৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২০
অর্ক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার শুরু!
বাকীটাও এমন সুখপাঠ্য হবে বলে
আমার বিশ্বাস। পাঠে অন্যরকম একটা
অনুভূতির টের পেলাম অস্তিত্বে। ওই রকম
শত স্মৃতি জমা আছে আমারও।
হয়তো সবারই থাকে!
যেমন আছে তোমার!!