নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুম্বাইয়ের মুসলিম

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৫



ভারতের মুম্বাইয়ে বা রাজ্য মহারাষ্ট্রেও প্রচুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস। ২০১৬’র রোজার মাসের বেশ কয়েকটি দিন আমি মুম্বাইয়ে ছিলাম। মুম্বাইয়ে বছর কুড়ি আগেও (এখনও হয় মাঝেমাঝে) এখানে সেখানে ছোট বড় হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল। আমার মুম্বাইয়ের পনেরো দিনের অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে, ওখানকার সাধারণ হিন্দু জনগণের একেবারে বিন্দুমাত্র কোনও আগ্রহই নেই অন্য সম্প্রদায়ের মানুষদের কোনওরকমের বিরক্ত করার। ওখানকার মুসলিমরাই স্বভাবে উগ্র এবং সার্বিকভাবেই সকল ক্ষেত্রে তারা আজও অনেক পিছিয়ে পড়ে আছে। মুম্বাইয়ের দুর্বার অগ্রগতির সঙ্গে এক্কেবারে তাল মিলাতে পারছে না। বান্দ্রার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় দেখেছি, নোংরা আবর্জনায় ভরা সড়ক (ডাস্টবিন যথাযথ ব্যবহার করে না তারা), দুষিত পরিবেশ, প্রত্যেকটি সড়কে লাওয়ারিশ কুকুর বিড়ালের মতো ঘুরছে ন্যাংটো, আঁধো ন্যাংটো নোংরা আলুথালু শিশু, সর্বত্র মাছের বাজারের ভিড়, ঢাউস জনসংখ্যা, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, মহিলাদের অস্বাভাবিক কম উপস্থিতি (সেখানকার হিন্দু জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তুলনমূলক বিচারে, যেখানে মুম্বাইয়ের সর্বত্রই আমি পুরুষদের সমানুপাতিক হারে মহিলাদের উপস্থিতি দেখেছি) ইত্যাদি। সবমিলিয়ে সেখানে মুসলিমরা অনেক পিছিয়ে পড়ে আছে, একশত বছর যেন পিছিয়ে পড়ে আছে। ওখানকার বান্দ্রা, মসজিদ বন্দর ইত্যাদি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাতে গেলে মনেই হতো না, এগুলো আদৌ মুম্বাইয়ের কোনও অংশ।
ওখানকার খ্রিস্টানদেরও আলাদা একটি সমাজ আছে। আর ওরা ঠিক আমাদের দেশের মতো হিন্দুদের সাথে আগাগোড়া একেবারে একাত্ম নয়। ওখানে ওরা পূর্ণরূপে ওদের পৃথক সত্তা বা স্বতন্ত্রতা যেটাই বলি না কেন ধরে রেখেছে। প্রচুর চার্চ আছে মুম্বাইয়ে। ওখানে নিয়মিত প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়, সেখানে মানুষের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। মাহিম’র কাছে একটি চার্চে দুয়েকবার দেখেছি, এরকম সান্ধ্য প্রার্থনার অনুষ্ঠান। মোমবাতি জ্বলছে, চার্চের সামনে জনসভার মতো মানুষের ভিড়। ধর্মীয় কোরাস বাজছে মাইকে। খুব কোমল পরিবেশ। মনকে শীতল করে তোলে। খ্রিস্টানরা ওখানে সার্বিকভাবেই অনেক এগিয়ে আছে। শিক্ষা দীক্ষা, জ্ঞান বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, চাকুরীর বাজার ইত্যাদি সর্বত্রই খ্রিষ্টানদের উপস্থিতির হার তাদের জনসংখ্যার অনুপাতে অস্বাভাবিক বেশি। খ্রিষ্টানদের জয়জয়কার মুম্বাইয়ে। মুম্বাই মেট্রো স্টেশনের অনেকের ব্যাচে দেখেছি, খ্রিষ্টান নাম- কলিন্স, মাইকেল, জন এটা সেটা।
ছবির মেয়েটি মুম্বাইয়ের ট্রেনের ২য় শ্রেণি’র কামরার একজন যাত্রী। যতক্ষণ সে ছিল, ততক্ষণ কাওকে ফিরেও তাকাতে দেখিনি তার দিকে। অথচ যাত্রীরা সবাই সেখানকার ২য় শ্রেণির লোকালের নিয়মিত অনিয়মিত যাত্রী। মুম্বাইয়ের চার্চগেট’র কাছে কোনও এক ইউনিভার্সিটি’র সামনে দেখেছি, বেশ কয়েকজন তরুণী শিক্ষার্থী বুকে বই খাতা নিয়ে বেরোচ্ছে, যাদের পরনে কেবলমাত্র একটি টি শার্ট আর হাফ প্যান্ট। সত্যি বলতে কি সড়কের ভিখিরিও ওখানে অন্যের দিকে ফিরে তাকায় না। আবার মুসলিম বহুল বান্দ্রার স্টেশনের ফুটওভার ব্রিজে দেখেছি, দাঁড়িটুপিওয়ালা এক বদ্ধ উন্মাদ ব্যক্তি সেখানকার সাধারণ প্যান্ট শার্ট পরা কর্মজীবী মুসলিম মেয়েদের ধমকাচ্ছে, দুর্ব্যবহার করছে, নসিহত করছে, ভালো শালীন পেষাক পরার জন্য! এছাড়া ওখানকার সিংহভাগ মুসলিমকেই আমার উগ্র, অসহিষ্ণু, ধর্মান্ধ ও চরমরূপে মৌলবাদী মনে হয়েছে। এরা অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে সহাবস্থান তো যোজন যোজন দূরের ব্যাপার, তাদেরকে বরং ঘৃণা করে, তাদের অনিষ্ট চায়, ধ্বংস চায়। আগেই বলেছি সবাই নয় বেশিরভাগ। বেশিরভাগ মুসলিমই হিন্দুদের প্রতিপক্ষ মনে করে, যা পুরোপুরিভাবে কারণহীন। ওখানকার স্থানীয় মারাঠি বা আপামর হিন্দু জনসাধারণেরই, এসব নিয়ে এক সেকেন্ড নষ্ট করার মতো সময় বা ইচ্ছা কোনওটাই নেই। এইসব উগ্র, অসভ্য মুসলিমরাই বারবার তাদের উস্কে দেয়, সংঘর্ষ বাঁধায়। আর আমাদের বাংলাদেশের মানুষ শুধুমাত্র মুসলিম হবার কারণে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে বসে যে, ওখানকার হিন্দুরা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার করছে। যা আগাগোড়াই ভুল ও মিথ্যা। ওখানকার মুসলিমরা যে দাপটের সঙ্গে থাকে, তা পৃথিবীর অন্য কোথাও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন থাকে কিনা, তা আমার জানা নেই। ইরাক, সাদ্দাম হোসেন নিয়ে সেখানকার উগ্র মুসলিমরা অস্ত্রসস্ত্রসহ দাঙ্গা হাঙ্গামার সৃষ্টি করে। আবারও বলছি, সবাই নয়, বেশিরভাগ ও সেটাই সেখানকার মুসলিমদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাদের অবস্থা এরকম- অশিক্ষা, কুশিক্ষা, অজ্ঞতা, উগ্র ধর্মান্ধতায় জর্জরিত অসুস্থ সমাজ; বর্তমান আধুনিক অগ্রসরমান আলোকিত মুম্বাইয়ের তুলনায় শতবর্ষ পিছিয়ে পড়ে থাকা অনগ্রসর অন্ধকার সমাজ।

(চলবে)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

সনেট কবি বলেছেন: মুসলমানদের মন মানসিকতার পরিবর্তন দরকার।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫২

অর্ক বলেছেন: অবশ্যই দরকার। যথার্থ উপলব্ধি। অজস্র ধন্যবাদ।

২| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ধর্মীয় কোরাস বাজছে মাইকে। খুব কোমল পরিবেশ। মনকে শীতল করে তোলে।
,,,,,,, ভালোলেগেছে জেনে বেশ খুশি হলাম।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.