নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবি কথা বলে-২

২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১০



বাংলাদেশই খুব সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যেখানে বিরাট সংখ্যক মানুষ আজও ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করে। ভাবুন একবার, ঢাকা থেকে সিলেট বা চট্টগ্রাম ছয় থেকে আট ঘণ্টা লেগে যায় ট্রেনে। এই দীর্ঘ সময় ট্রেনের ছাদে অবস্থান করা কতোটা কষ্টকর! তারপর বৈরী আবহাওয়াগত সমস্যা তো আছেই- খুব শীতে যেমন একেবারে জমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় অসহায় যাত্রীদের, তেমনি বর্ষায় ঝড়বৃষ্টিতে ভিজে চুপসে একেবারে গুটিয়ে যায় যাত্রীরা। হ্যা, সবচেয়ে বেশি বিপদজনক হলো, ঝড়বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সফর করার জন্য পরবর্তীতে তাদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে, অনেকে অসুখে ভুগে মরেও যায়। মৃত্যুর কারণ বৃষ্টিতে দীর্ঘ সময় ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ। পোস্টের ছবিটির দৃশ্যে এর ভয়াবহতা সঠিকভাবে প্রকাশ পাচ্ছে না জানি। কমলাপুর স্টেশনের কাছেই তোলা। অল্পকিছু যাত্রী দাঁড়ানো ফিরতি ট্রেনে। কিন্তু ঈদের সময় ও অন্যান্য বিভিন্ন সময়- এমনকি জানুয়ারির হাড় জিরজিরে কনকনে শীতের রাতেও দেখেছি, বিরাট সংখ্যক দরিদ্র মানুষ ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করছে, বিভিন্ন দূরবর্তী গন্তব্যে যাচ্ছে।

আমি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে কোথাও কখনও ট্রেনের ছাদে এভাবে যাত্রী ভ্রমণ করতে দেখিনি। আমাদের দেশের অধিক জনসংখ্যার অভিশাপের আটেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। এই সাইটের বোর্ডে উপস্থিত লিখে পোস্ট করা পোস্টটি। হয়তো যথাযথভাবে প্রকাশ করতে পারলাম না এর ভয়াবহতা। দেখি, ‘বিচার মানি তালগাছ’ এ ব্যাপারে কী বলেন। এর আগে এরকম একটি জনসংখ্যা নিয়ে লেখায় ভদ্রলোক তো দিব্যি বলে বসলেন, ‘আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা ত্রিশ বছরে অর্জিত হয়েছে, এখন নাকি জনসংখ্যা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে’ ইত্যাদি ইত্যাদি। শুধুমাত্র দূরপাল্লার রেল ভ্রমণে বৃষ্টি, শীতে জবুথবু হয়ে, পরবর্তীতে নিউমোনিয়া বা অন্য কোনও অসুখে ভুগে যে মানুষটি মরে গেল, তার কান্না, আর্তনাদ এ দেশের সভ্য নাগরিকগণের কানে পৌঁছায় না, পৌঁছায়নি কোনওদিন! জানি, আগামীতেও পৌঁছবে না।

আরেকটা দুঃখজনক তথ্য দেই বাংলাদেশের রেল সম্পর্কে, পৃথিবীতে সবচেয়ে মন্থর ট্রেন হলো বাংলাদেশের ট্রেন। এখনও সারাদেশে বহু ট্রেন আছে, যার থেকে দ্রুতগতিতে দৌড়েই আমি ঢের আগে গন্তব্যে পৌছতে পারবো। আমি এ পর্যন্ত বেশ কবার একটানা দু ঘণ্টা পনেরো মিনিট দৌড়েছি। ফুল ম্যারাথন রানাররা দু ঘণ্টা পনেরো থেকে ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ৪২ কিলোমিটার দৌড়ায়। ব্রিটিশ আমলের ট্রেন এখনও এ দেশে চলে!

ধন্যবাদ।

#
আমার লেখা নির্বাচিত পাতায় না দিয়ে, অপেক্ষাকৃত তরুণ নবীনদের লেখা দিতে সম্পাদককে অনুরোধ করছি। এই ব্লগে আমি মনের খুশিতে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে লিখি, লিখতে চাইও।

ধন্যবাদ।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

কাইকর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

অর্ক বলেছেন: বলেন কী! হা হা হা। ধন্যবাদ।

২| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: একমত আপনার সাথে। পৃথিবীর সাথে পাল্লা দিতে রেল পরিসেবার উন্নয়ন ও ব্যপ্তির কোন বিকল্প নেই। পাশাপাশি, স্টেশন, সিস্টেম, টিকেটিং ব্যবস্থা আধুনিক করা জরুরী। পেশাদারী মনোভাব আনতে হবে রেল পরিচালনায়।

সময়োপযোগী সুন্দর পোস্ট। লাইক দিলাম ++++।

২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

অর্ক বলেছেন: পৃথিবীর সাথে আর পাল্লা দেয়ার দরকার নেই, জাপান আবার তাহলে সাহায্য দেয়া বন্ধ করবে (ওখানে বুলেট ট্রেন চলে)! যাই হোক ভালো মন্তব্য করেছেন (যদিওবা পোস্টের মূল বিষয় ভিন্ন)।

ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

ন্যায়দন্ড বলেছেন: একদিন ঠিক হবে।

২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

অর্ক বলেছেন: আমি বাঁচি, যাপন করি আমার সনয়! আমার মাথাব্যথা, আমার ঔষধ পঘ্য। হাজার বছর পর, লক্ষ বছর পর একদিন... আমার মাথা... ব্যথা থাকবে না। সুতরাং ওই একদিন প্রাসঙ্গিক নয়। আগামীকালকেই সব ঠিকঠাক চাই।

৪| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

অর্ক বলেছেন: প্রামানিক ভাই, আপনার মন্তব্যটি অসাবধানতাবসত মুছে গেছে।

প্রামানিক বলেছেন,

"সবাই চুরির ধান্দায় থাকলে রেলের উন্নতি হবে কিভাবে?"

আমার উত্তর,
"আপনি গ্রেট প্রামানিক ভাই, আপনি গ্রেট। প্রশ্নে এক্কেবারে জায়গা মতো হাত দিয়েছেন।"

৫| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

লাবণ্য ২ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

সিগন্যাস বলেছেন: ট্রেনের ছাদে বসে ভ্রমণ করা অতি আনন্দের বিষয়।অনেকে শখ করে ছাদে উঠে।

২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

অর্ক বলেছেন: শখ করে বাংলাদেশের প্লেনের ছাদে চড়া যায় না! ওটা তো আরও আনন্দের হবার কথা!

৭| ২১ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের উন্নয়নের ঢোল পিটানোর সুন্দর চিত্র কি আপনি দেখেন নি!
কিংবা তথাকথিত সরকারদলীয় নেতাদের বক্তিমা!
দেশৈ কোন অভাব নেই! মঙ্গা নেই! বেকার নেই!!!

হা ইশ্বর! মিথ্যার জন্য আরেক নতুন নাম দাও।
মিথ্যাও লজ্জ্বা পায় তাদের কথা শুনে!

নাগরিক বান্ধব সরকার চাই। জনগনের জন্য যারা ভাববে। তবেই হয়তো আর এমন পোষ্ট লেখার প্রয়োজন হবে না।

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৯

অর্ক বলেছেন: জি জি জি ভালো বলেছেন। নাগরিক বান্ধব সরকার চাই। আসমান থেকে ফেরেশতা নেমে আসা ছাড়া আর কোনও গত্যন্তর দেখছি না, এখানে ভালো নাগরিক আজ দেশী মাগুর মাছ। ধন্যবাদ।

৮| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আমার নতুন পোষ্টে একবার ঘুরে আসার আহ্ববান রইল।
আপনাদের অণুপ্রেরণাই আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে?

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৭

অর্ক বলেছেন: দেখি। আমি আসলে ঠিক পাঠক ব্লগার নই। খুবই লজ্জিত বোধ করছি। শুভকামনা।

৯| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বলা হয় , ভারতকে রেল একসূত্রে বাঁধিয়া রাখিয়াছে ! বাংলাদেশের মতন এতটুকু একটা দেশে রেল যোগাযোগের উন্নতি করিলে এতো সড়কের প্রয়োজন পড়িত না , কৃষি জমির অপচয়ও হইত না ! রেল ততদিন পর্যন্ত উন্নতি হইবে না যতদিন পরিবহন ব্যাবসায় রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের শেয়ার থাকিবে ! ইহা নব্বইয়ের দশক হইতেই শুরু হইয়াছে ! সড়ক পরিবহন মালিকদের (যাহাদের অধিকাংশই এখন রাজনৈতিক নেতাদের শেয়ারে চলে) লবিং এ রেলের উন্নয়ন অবহেলিত হইয়াছে বিম্পির প্রথম আমল হইতেই ! ইহার পরে বেনামে মন্ত্রী , রাজনৈতিক নেতারা এই ব্যাবসায় আধিপত্য অর্জন করায় পরিবহন শ্রমিকেরা এখন সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী ! ব্যবসা টিকাইয়া রাখার জন্য মন্ত্রী , নেতারা রেলকে উন্নতি করিতে দেয় না ! রেল উন্নতি করিলে নিশ্চিত ভাবেই সড়ক পরিবহন ধরা খাইবে !

সড়ক যোগাযোগের যে অবস্থা, মানুষ ট্রেনের ছাদে কেন, পারিলে প্লেনের ছাদেও যাইবে ! কিছু মানুষ বিনা টিকিটে , অল্প টাকায় যাওয়ার জন্য ছাদে যায় ! কতৃপক্ষ চাহিলে ছাদে ভ্রমণ বন্ধ করিতে পারে ! করে না , কারণ সবারই উপার্জনের প্রয়োজন আছে না ! দূরপাল্লার যাত্রায় রেল যোগাযোগের উন্নতি করার বিকল্প নাই !

ভারতে একেকটা রুটে যে পরিমান ট্রেন চলে আমাদের তাহার সিকিভাগও চলে না ! তাই ছাদে ওঠার বিকল্প হইল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো, কতৃপক্ষের সদিচ্ছা !

২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০২

অর্ক বলেছেন: চমৎকার আপনার মন্তব্য। আমার পোস্টের থেকে ঢের দরকারি কথা বলেছেন রেল সম্পর্কে। ভারতের রেল খুব সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বিরাট রেল সুবিধা। আন্তঃ রাজ্য ট্রেনগুলো সারা ভারতকে এক সূত্রে গেঁথেছে। এছাড়া মুম্বাইয়ে যেয়ে দেখেছি, পুরোপুরিভাবে রেল নির্ভর সেখানকার মানুষ। বাস সুবিধা ওখানে অত্যন্ত সীমিত।

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ আইনত দণ্ডনীয় ও নিষিদ্ধ। এখানে আইনের প্রয়োগ নেই। ছাদে ভ্রমণরত যাত্রীদের অভাব ও স্বভাব দুটোই আছে, তবে দারিদ্র্যতার কারণটাই। তাদের বেশিরভাগই শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। দ্বিতীয় শ্রেণির দেড় দুশো টাকা ভাড়া সেভ করা তাদের জন্য বড় ব্যাপার।

এই নোংরা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, দেশ মানুষ বিরোধী কার্যক্রমকেকে ঘৃণ জানাতেও আজ ঘৃণা হয়! বাংলাদেশে রেলকে ঢেলে সাজানো দরকার। আরও প্রচুর আধুনিক দ্রুতগতির ট্রেন দরকার, রেল লাইন দরকার, সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হোক, সম্পূর্ণ পৃথক আরেকটি রেল সেবা জনগণকে দেয়ার কথা ভাবা উচিৎ রাষ্ট্রের। আর পুরনো স্লো ট্রেনগুলো জাদুঘরে পাঠানো হোক। একবার ময়মনসিংহ থেকে জামালপুর কোন লোকালে গেলাম জানি না, চার পাঁচ ঘণ্টা লাগলো, মনে হলো যেন ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে কেউ ট্রেনটা।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আসলেই এগুলো রকেট বিজ্ঞান নয়, অত্যন্ত সাধারণ ব্যাপার। স্বদিচ্ছা, আন্তরিকতাই পারে রেলকে আপামরসাধারণের বন্ধু বনাতে।

১০| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

নাজিম সৌরভ বলেছেন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের এক বন্ধু মারা গিয়েছিল শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে । :(

২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

অর্ক বলেছেন: স্পাইডারম্যান’র ফ্যান ছিল সম্ভবত! আসলে এরকম দেখেছি, খুবই বিপদজনকভাবে ছাদে এখানে সেখানো যায় অনেকে। দুঃখজনক।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.