নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গতকালকের খেলা দেখার অভিজ্ঞতা

২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

গতকাল রাতে ঢাকার একটি বিশেষ স্থানে জায়ান্ট স্ক্রিনে আর্জেন্টিনা নাইজেরিয়া খেলা দেখছিলাম। কোনও স্টেডিয়ামের ফুল প্যাকড গ্যালারীর মতো ভিড় বেশ বড়সড় একটি মাঠে। তিল ধারণের জায়গাও নেই বলতে গেলে। সত্যি, আর্জেন্টিনাতেও এভাবে তাদের খেলা দেখবার জন্য খোলা মাঠ ভর্তি দর্শক মাঝরাত অবধি থাকবে কিনা এব্যাপারে আমি সন্দিহান! গতকাল রাতের খেলা দেখার অভিজ্ঞতা আমি কোনওদিন ভুলবো না। এক্কেবারে যেন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে চাক্ষুষ দেখছি খেলাটি। সিংহভাগ দর্শক আর্জেন্টিনার ঘোর সমর্থক। খেলা চলাকালীন মেসি, ম্যারাডোনা পর্দায় এলেই, চিৎকার চেঁচামিচি করে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে লাগলো তারা। অনেকেই ভুডুজেলা, বাঁশী, আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে এসেছিল খেলা দেখতে। অনেকের গা’য়ে আর্জেন্টিনার নীল সাদা জার্সি। একেবারে মেলার মতো উৎসবমূখর পরিবেশ। আমিও হাফ প্যান্ট, টি শার্ট পড়ে হাজির। বড় দলের খেলা হলে আমি সাধারণত মিস করি না, খেলা দেখতে চলে আসি এই মাঠে। যা হোক খেলা শুরু হলো। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে এ ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয়ের কোনও বিকল্প ছিল না। মনে মনে অনেকটা নিশ্চিতই ছিলাম, বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে আর্জেন্টিনা আফ্রিকান বা এশিয়ান কোনও দলের কাছে পরাজিত হবে না (এর আগে কখনও এরকম ঘটেনি)। প্রথম অর্ধের শুরুতেই মেসি জ্বলে উঠলো। ১৪ মিনিটে দারুণ এক গোল করে এগিয়ে দিলো আর্জেন্টিনাকে। আর অমনি অনাবিল উল্লাসে মেতে উঠলো সেই মাঠে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখতে আগত উপস্থিত দর্শকবৃন্দ। হৈ হৈ রৈ রৈ পড়ে গেল চারিদিকে। ভুডুজেলা, পটকা ফোটানোর শব্দে কান ঝালাপালা একেবারে। ‘মেসি মেসি’ চিৎকার উল্লাস সর্বত্র। ‘আর্জেন্টিনা আর্জেন্টিনা’ কলরব। এর খানিক পর শুরু হলো গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। কী যে বিড়ম্বনা। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই খেলা দেখছিলাম, আরও অনেকের সঙ্গে। অনুমিত ছিল, এই বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। থেমে গেলে টি শার্ট খুলে মাথা ও শরীর যথাসম্ভব মুছে নেবো। এভাবেই ঝঞ্ঝাটে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বেশ খানিকক্ষণ খেলা দেখলাম।

খেলা চলতে লাগলো। আর্জেন্টিনা ১-০ গোলের লীড নিয়ে খেলছিল। এভাবেই শেষ হলো প্রথমার্ধ।

লেখা চলছে...

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

জুন বলেছেন: নাইজেরিয়া কেমন খেলেছিল অর্ক ? নাইজেরিয়ার একটি খেলা যাতে তারা তিন গোল দিয়েছিল সেটা আমার কাছে খুব ভালোলেগেছিল ।

২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু। নাইজেরিয়া নিঃসন্দেহে ভালো দল। প্লেয়ারদের সিংহভাগই ইউরোপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ক্লাবে খেলে থাকে। বিশ্বকাপে তাদের নিয়মিত অংশগ্রহণ আছে। তারা প্রত্যাশিত ভালোই খেলেছিল। এই ম্যাচে ড্র করলেই তারা প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যেতো। খেলায় সমতা ফেরানোর পর তারা অতিমাত্রায় রক্ষণাত্মক খেলে! খেলোয়াড়রা উত্তেজিত ছিল। শেষ প্রান্তে সহসা একটি গোলে গাদের কপাল পোড়ে। এছাড়া পুরো খেলায় ভালো খেলেছে।

বিশ্বকাপে ইতোপূর্বে আর্জেন্টিনা কখনওই কোনও আফ্রিকান বা এশিয়ান দলের কাছে হারেনি। মনে মনে নিশ্চিত ছিলাম, আর্জেন্টিনা জয়ী হবেই। ভাবতেও পারি না, বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে আর্জেন্টিনা নাইজেরিয়ার কাছে হেরে যাবে। অঘটন ঘটেনি শেষমেশ।

আমি ফুটবল খেলা খুব ভালবাসি। আমার বাবাও খুব ভালবাসতো।

ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

২| ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

খেলাটা বেশ জমজমাট ছিল!

২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এত বড় স্ক্রীণের ব্যবস্হা হলো কিভাবে?

২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

অর্ক বলেছেন: আপনি দেশে আসেন। সুদূর আমেরিকায় বিরতিহীন দীর্ঘ প্রবাস জীবনে থেকে, ঢাকার কোনও এলাকার জায়ান্ট স্ক্রিন’র ব্যবস্থা কিভাবে হলো, এটা এতো গুরুত্বপূর্ণ হবার কোনও যুক্তি পাচ্ছি না! মন্তব্য করার জন্যেই করা সম্ভবত।

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

কাইকর বলেছেন: খুব আগ্রহ নিয়ে খেলাটা দেখেছিলাম।

২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

জুন বলেছেন: আমিও ফুটবল খেলা খুব ভালোবাসি। একসময় চেলসির খেলা দেখতাম প্রিয় প্লেয়ার দ্রগবার জন্য আর রিয়ালের খেলা পছন্দ করি। দেশে আমি স্টেডিয়াম এ গিয়েও ডে নাইট খেলাও দেখেছি। আমাদের আন্ত ডিপার্টমেন্ট এর খেলা দেখতাম। এছাড়াও ক্রিকেট, এবং ফরমুলা ওয়ান রেসিং এর ভক্ত। কিন্ত প্রিয় ড্রাইভার মাইকেলের অবসর ও আহত হওয়ার পর এখন ছেড়ে দিয়েছি গ্রাপ্রি দেখা অর্ক।

২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

অর্ক বলেছেন: জি অজস্র ধন্যবাদ জুন আপু। ঢের শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.