নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবিটি কোলকাতার। কলেজ স্ট্রিটে অবস্থিত কুমার্স ক্যান্টিনে এক দুপুরবেলায়। লাঞ্চটাইম। ২০১৬ সালের ছবি। তখন এই ভাত মাছ সবজি ডালের প্যাকেজ ছিলো পয়ত্রিশ রুপি। ছোটো হোটেল। পূর্ণরূপে ভাতের হোটেল। বিকেল চারটার দিকে সম্ভবত বন্ধ হয়ে যেতো। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার নিশ্চয়তা দিতে পারি। ঝা চকচকে থালাবাসনে খাবার পরিবেশন হয়। সুলভে ভাত খেতে পুরো কোলকাতায় এর থেকে ভালো ব্যাবস্থা আর পাইনি। শিয়ালদহ স্টেশনে দুয়েকটি আছে। কিন্তু ওগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নয়। এমনকি সাবান দিয়ে হাত ধোয়ারও সুবিধা নেই! কিন্তু এখানে সব আছে। স্টাফরাও ভালো। বিশেষ করে সে সময় কাউন্টারে যে লোকটা বসতো, সে অমায়িক একজন ভদ্রলোক। নিয়মিত খেতে গিয়ে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো। বাংলাদেশ থেকে এসেছি বলে খুব সম্মান করতো। বেশ কবার শ, পাঁচশ’র নোট খুচরো করে বিল নিয়েছিলো। কানে কানে একটা কথা বলি, সাইত্রিশ, সাতান্ন বিল উঠলে দুটাকা কমও রেখেছিলো দুয়েকবার। ব্যাপারটা স্থানীয় কেউ শুনলে নির্ঘাত হার্টফেল করে বসবে! হা হা হা। যাই হোক এটাই ছিলো ওখানে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানসম্মত রুইমাছ ভাত খাওয়ার সবচেয়ে সুলভ ব্যাবস্থা। মনে হয় না, আজকের দিনে বাংলাদেশের অজপাড়াগাঁয়েও এতো সস্তায় রুইমাছ ভাত পাওয়া যাবে। সবজি ডালটা না হয় বাদই দিলাম। মাঝেমধ্যে এই প্যাকেজের মধ্যে আস্ত ঢেঁড়সের সুস্বাদু ভাজিও পড়তো। ছোট্ট স্টিলের বাটিতে সাত আটটা ঢেঁড়স। সবমিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য। ওখানে মাংস ভাতের প্যাকেজও আছে। পঞ্চান্ন রুপি। বিরাট একটা মাংসের পিস থাকতো। বয়লার মুরগী। সমস্যা হলো ওটা খানিকটা কাঁচা। তেমনভাবে কষায় না। আমি মাছ ভাতই খেতাম। কোলকাতায় সুলভে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে দুপুরের খাবার খেতে চাইলে কুমার্স ক্যান্টিনের বিকল্প নেই। একটা থেকে দুটো আড়াইটা পর্যন্ত দারুণ ভিড় থাকে। দু'চার মিনিট অপেক্ষা করতে হতে পারে বসার জায়গা পেতে। কলেজ স্ট্রিট মোরেই ওর কাছাকাছি আরও দুয়েকটি ওরকম হোটেল আছে, কিন্তু ওগুলোর কোনওটাই কুমার্সের সাথে তুলনীয় নয়। দেখা যাবে কোনওটায় ভাতের পরিমাণ কম, কোনওটায় মাছের পিস ছোটো, তরকারি অল্প, ঝোল অল্প, খাবারের স্বাদও কম। সুতরাং নাম ঠিকানা কিছুতেই ভুলবেন না। কুমার্স ক্যান্টিন। কলেজ স্ট্রিট, কোলকাতা।
০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪১
অর্ক বলেছেন: অবশ্যই। ধন্যবাদ আমি সাজিদ। আশা করি সব তেম্নিই আছে। পাঁচ বছর আগের কথা। এখন বোধহয় পাঁচ দশটাকা বেড়ে গেছে সবকিছুতে।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কোলকাতা গেলে থাকা হয় Marquis স্টিট / মির্জা গালিব স্টিটের দিকে।
আমি মূলতো খাই স্টিট ফুড, ভারি খাবারের জন্যও আশপাশে প্রচুর রেস্টুরেন্ট আছে।
০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৮
অর্ক বলেছেন: ওদিকে দাম বেশি। আমি থাকি জাকারিয়া স্ট্রিট। ওখানে ছোটো ছোটো মুসলিম হোটেলে একদম পানির দামে খাওয়া যায়। এদিকওদিক হেঁটে খুঁজতে হবে। মনে পড়ছে, তিন পিছ কলিজার তরকারি পনেরো রুপি, ভাত চার রুপি, রুটি দুতিন রুপি। সকাল সাতটা আটটা।
ধন্যবাদ।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জাকারিয়া স্ট্রিট এলাকাটায় অনেক বেশী ক্রাউড, ব্যাবসায়ীদের জন্য চমৎকার যায়গা।
০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৫
অর্ক বলেছেন: আমার ভালো লাগে। ওখানে জীবন আরও বৈচিত্র্যময়, আরও অর্থপূর্ণ। কলেজ স্ট্রিট ওখান থেকে পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়। সেখানে কফি হাউজ। কাছে চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশন। সবমিলিয়ে নিউমার্কেটের থেকে ওখানে থাকা ট্যুরিস্টদের জন্য নিঃসন্দেহে লাভজনক। হোটেল ভাড়াও প্রায় হাফ।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা ভাই।
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
২০১৬ আর ২০২১ কিন্তু এক নয়
এখনো কি একই দরে রুই আর
ভাতের স্বাদ নেওয়া যায়?
০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২০
অর্ক বলেছেন: পাঁচ বছর এমন কোনও বড় সময়ও নয় মূল্য বৃদ্ধির। ধরে নেন দর একই আছে। শেষ ২০১৮ তে গিয়েছিলাম। তখন অবশ্য ওখানে যাওয়া হয়নি। আশা করি অপরিবর্তিত রয়েছে।
ধন্যবাদ নূরু ভাই।
৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১৬
শাহ আজিজ বলেছেন: ৮২ সালে খালেকের রেস্টুরেন্টে খেলাম । নাম ডাক খুব কিন্তু আমার তেমন ভাল লাগেনি । বড় বাজারের দিকে যেতে এক মাদ্রাজি মহিলার রেস্টুরেন্টে খেতাম , চমৎকার , দশ পয়সার আচার , আহ দারুন । ২ টাকার ভাতে পেট ভরে যেত । ২০০০ সালে গেলাম কাচ্চা বাচ্চা সহ , কস্তুরি হল আমাদের মুল খাবার জায়গা । তেলে ঝোলে দারুন । কুমারস চিনি না বা দেখিও নি । এবার গেলে যাব ।
০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১১
অর্ক বলেছেন: কস্তুরি তো খুবই ভালো। তবে খুব এক্সপেন্সিভ। নন্দনের কাছে চৌরঙ্গীতে ‘হলদিরাম’ও চমৎকার হোটেল। ওখানে নিয়মিত খেতাম। কতো রকম খাবার যে খেয়েছি। মেনু বিশাল। ভারতের বিভিন্ন জায়গার খাবার। টিপটপ পরিবেশ। দামও তুলনামূলক অল্প। এদিকওদিক আরও দুয়েকটা শাখা আছে হলদিরামের। ওখানকার কফিও খুব ভালো।
কুমার্স ওল্ড ক্যালকাটার পুরনো হোটেল। শতবর্ষেরও অধিক বয়স। ঐতিহ্যের অংশ। আশেপাশে বসন্ত ক্যাবিন, সার্ভিস ক্যাবিন, জয় ঘোষ এন্ড সন্সের চা সিঙ্গারা, প্যারামাউন্টের বাহারি শরবত, কফি হাউজ এরকম আরও অনেক ব্যাবস্হা আছে ভোজনরসিকদের জন্য। সবগুলোই ওখানকার ঐতিহ্যের অংশ।
কলেজ স্ট্রিটের চাও খুব ভালো।
ধন্যবাদ শাহ আজিজ ভাই।
৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৮
পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে আমার পুরনো কথা মনে পড়লো।
শিলিগুড়িতে এক হোটেলে মুরগী এক পিস ডাল সব্জি সহ পেট চুক্তিতে ৩০ রুপীতে খেয়েছিলাম।
দার্জিলিং এ ৩৫ রুপী লেগেছিলো।কলকাতায় যাওয়া হয়নি কিন্তু মালয়েশিয়ায় কুয়ালালামপুরে ভারতীয় হোটেলে কলাপাতায় পেটচুক্তিতে খেয়েছিলাম কত রিঙ্গিতে এই মুহূর্তে মনে পড়ছেনা।
সব হোটেল গুলিই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ছিল। ব্যংককে ভারতীয় হোটেলে খেয়ে ধরা খেয়েছিলাম ডাকাতের মত দাম রেখেছিল। আমেরিকায় সব ভারতীয় হোটেললের রান্না আমার কাছে কমবেশী একইরকম স্বাদের মনে হয়েছে, বরঞ্চ জ্যাকশন হাইটের বাংলাদেশের বাঙ্গালী হোটেলের রান্না ভাল লেগেছিলো। কখনো কলকাতা গেলে জাকারিয়া স্ট্রীটের কুমার্স ক্যান্টিনে ঢুঁ মারবো আপনার অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য। তখন হয়তো এই মূল্য বহাল থাকবেনা কিন্তু আশা করি টেষ্ট একইরকম থাকবে।
ভাল থাকুন।
০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩৪
অর্ক বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার এ দীর্ঘ মন্তব্য। মনে হচ্ছে বেশ আাগের কথা। এমনিতেই ওদিকে মুরগী বেশ সুলভ। হাওড়া স্টেশনে দেখেছি দুটো ডিমের কারি আর মুরগির কারির মধ্যে পাঁচ রুপির পার্থক্য। আমার ডিমই ভালো লাগতো। শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে সুলভে খাসির মাংস পাওয়া যায়। কোলকাতায় আরও অনেক ব্যাবস্থা আছে ভোজনরসিকদের জন্য। খোজার বিষয়।
বহু পুরনো হোটেল কলেজ স্ট্রিটে অবস্থিত কুমার্স ক্যান্টিন। ঐতিহ্যের অংশ। ওটা ওখানে সবচেয়ে পপুলার ভাতের হোটেল। প্রচুর পরিমানে মানুষ নিয়মিত খায়। ভাত খেতে কুমার্সের বিকল্পই নেই। আশা করি, আপনার অভিজ্ঞতাও আমার মতো হবে।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এখন অবশ্য এই রেটে খাবার মিলবে বলে মনে হয়না।তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের বিভিন্ন স্থানে অনেক শ্রমিক ক্যন্টিন তৈরি করেছেন।যেখানে সম্ভবত ডিমভাত পাওয়া যায় পাচ টাকায়।মৌলালির স্টুডেন্ট হেলথ হোমের পাশে ইয়ুথ কর্নারেও খুব কমদামে এবং পরিছন্ন খাবার মেলে।
০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৩
অর্ক বলেছেন: আপনি তো দাদা চিন্তায় ফেললেন! হা হা হা। এর মধ্যে বাংলাদেশের হোটেলে রুই মাছ ভাতের মূল্য বৃদ্ধি হয়ইনি বলতে গেলে। আশা করি ওখানেও তাই। বাড়লেও সামান্যই বাড়তে পারে। আহ কুমার্স! আমার খুব প্রিয় হোটেল।
এরপর কখনও আপনার অপশনগুলো অবশ্যই ট্রাই করবো।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
৮| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন তো। পশ্চিমবঙ্গে যাওয়া হলে চান্স নিতে হবে ।
০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৬
অর্ক বলেছেন: অবশ্যই প্রিয় সেলিম ভাই। নিরাশ হবেন না আশা করি। পাশে কফি হাউজে যেতে ভুলবেন না। ওখানে হাক্কা নুডলস, ওনিয়ন পাকোড়া, বাটার টোস্ট, ডিমসেদ্ধ আরও বিভিন্ন ব্যাবস্থা খাবার কফির সাথেসাথে। দামও তুলনামূলক অল্প।
ধন্যবাদ ভাই।
৯| ১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: পাঁচ বছর এমন কোনও বড় সময়ও নয় মূল্য বৃদ্ধির।
বলেন্ কি !! আপনি নি স্বর্গলোকের কথা বলছেন?
মর্ত্যলোকে সকালের দামে দুপুরে কিছু পাবার জো নাই!
ইহাই বাস্তবতা!!
১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:২৭
অর্ক বলেছেন: কী বলেন ভাই। পাঁচ বছর আগে যে হোটেলে দশ টাকা প্লেট ভাত ষাট টাকা মাছ ছিলো, আজও তাই। অতো সরলীকরণ করবেন না। পাঁচ বছরে এমন বিরাট কোনও মুদ্রাস্ফীতি ঘটেনি আমাদের দেশে। বহু জিনিসের দাম একইরকম আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩৩
আমি সাজিদ বলেছেন: বাহ। খাবো একদিন নিশ্চয়ই।