নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের কাছে পরাজিত শিক্ষা আজ সম্পদ নয়, বোঝা।।

অযুক্তিবাদী

হাজার যুক্তির ভীড়ে বিন্দু বিন্দু আবেগ মেশানো আমি, অযুক্তিবাদী।

অযুক্তিবাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল: শয়তান দ্বীপের হাতছানি

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

“বারমুডা ট্রায়াঙ্গল” যার অপর নাম শয়তানের ত্রিভূজ। যারা নামটি জানেননা তাদের মনে আসবে কৌতুহল আর যারা জানেন তাদের মনে আসে আতঙ্ক আর ভয়মিশ্রিত অনূভুতি। শতশত বছর ধরে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল একের পর এক রহস্যের জন্ম দিয়ে আসছে, সৃষ্টি করেছে এক অজানা আতঙ্কের। আটলান্টিক মহাসাগরের বুকের একটা দ্বীপ যার এলাকা নিয়ে রয়েছে বিপত্তি। ভূতত্ত্ববীদদের মতে তিনটি্ পাদবিন্দু মিয়ামি, সান পাওলো ও পুর্তোরিকোর ফ্লোরিডা পেনিনসুলা,এবং মধ্য-আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা দ্বীপ নিয়ে তৈরী এলাকাটিই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। কিন্তু কিছু কিছু বিজ্ঞানীদের মতে, ১,৩০০,০০০ বঃ কিঃমিঃ হতে ৩,৯০০,০০০ বঃ কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই শয়তানের ত্রিভূজ। একদিনে শয়তানের নাম হয়নি এই ত্রিভূজের। অনেক প্রাচীন আমল থেকে জাহাজ ও বিমানসহ অসংখ্য যাত্রীকে উদরস্থ করেছে এই শয়তান ট্রায়াঙ্গল। এদের বেশির ভাগই ফিরে আসেনি আর যারাও বা ফিরেছে তারা নিয়ে এসেছে অস্বাভাবিকতা। এই এগুলোর মধ্যে রয়েছে মস্তিষ্ক বিকৃতি, অদৃশ্য হয়ে যাওয়া, বিদ্যুৎস্পৃস্ট না হওয়া, দেওয়াল ভেদ করার ক্ষমতা ইত্যাদি। শুধু ১৯৪৫ সাল থেকে শুরু করে ১৯৬৫ সাল পর্য্ন্ত নিখোঁজ হয়েছে ৫টি বিমান এবং ৫টি জাহাজ। বিমানে মোট নিখোঁজ হয়েছে প্রায় ৩১ জন পাইলট-স্ক্রু এবং প্রায় ৭৫জন যাত্রী। আর জলজানে মৃত্যু বা নিখোঁজ হয়েছে স্ক্রু ও যাত্রীসহ প্রায় ৪১০ জন। এদের কেউই ফিরে আসেনি।পাওয়া যায়নি এদের মৃতদেহ বা জাহাজ বা বিমানের ধ্বংশাবশেষ। পৃথিবীর অনেক বড়বড় বিজ্ঞানীরা প্রচুর গবেষনা করেও এর কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পরিপূর্ণভাবে দিতে পারেনি। এক নজরে বারমুডাআক্রান্ত জলযান ও স্থলযানগুলো হল ১.ইএসএস সাইক্লোপস(১৯১৮) ২.ক্যারোলা এ ডেয়ারিং(১৯২১) ৩. এস এস কোটোপ্যাক্সি, ৪. ইউ এস এস প্রোটিয়াস (১৯৪১), ৫. ইউএসএসনিরিয়াস ,(১৯৪১), ৬.এস এস সালফার কুইন, ৭. ফ্লাইট ১৯ (১৯৪৫) ,৮.এয়ারবোর্ন্ ট্রান্সপোর্ট(১৯৪৮) ৯. বিএসএএ(১৯৪৮) ১০. বিএসএএ স্টার এয়ারটেল। দীর্ঘদিন ধরে গবেষনার পরে বৈজ্ঞানিকেরা প্রতিকূল আবহাওয়া, কম্পাসের কারনে আবার কেউবা এলিয়েনদের দায়ী করেছে। কিন্তু নির্ভরযোগ্য কোনও প্রমান আজও নেই। আর প্রমান না থাকলে বিজ্ঞান তা মানেনা। তাই আজও বারমুডা ট্রায়াঙ্গল বা পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় এলাকা বলে পরিচিত। হয়তো সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর অনেক কিছু রহস্যময় করে রাখতে ভালবাসেন। রহস্যের প্রতি মানুষের আজন্ম কৌতুহল তাই আজও বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল পৃথিবীর সবচেয়ে কৌতুহলপূর্ণ জিনিস।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.