নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের কাছে পরাজিত শিক্ষা আজ সম্পদ নয়, বোঝা।।

অযুক্তিবাদী

হাজার যুক্তির ভীড়ে বিন্দু বিন্দু আবেগ মেশানো আমি, অযুক্তিবাদী।

অযুক্তিবাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে রাজনীতি ও ধর্মব্যবসা : অনেকধাপ এগিয়ে ভয়ে ভয়ে আছি

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০


রাজনীতির পৃথিবীর একটা মহান এবং পুরাতন পেশা। পৃথিবীতে দুইরকম মিথ্যা আছে। ব্রান্ডেড আর নন-ব্রান্ডেড। পতিতাপল্লীর পতিতা বললে হয় গালি আর ভদ্রপল্লীর নারী বললে হয় বুলি। ব্রান্ডেড লোকজন দীর্ঘ্ দিন ঘষেমেজে বাজারে তাদের মিথ্যাগুলোকে সত্য বলে প্রচারের ব্যবস্থা করেছে। একটা পেশা যে শুধু মহান হতেই নয় পকেট ভরাতেও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে সেটা পৃথিবীতে খুব অল্প দেশই করে দেখিয়েছে যার মাঝে বাংলাদেশ অন্যতম। অন্যান্য ব্যবসায় পিছিয়ে থাকলেও রাজনীতি ব্যবসায় পৃথিবীর শীর্ষস্থানে আমরা।
এই সাধারন জিনিসকে অসাধারন করে তুলেছে একমাত্র বাংলাদেশের সোনারটুকরো রাজনীতিবীদরা। সাধারণত ব্যবসা করতে তিন ধরনের উপাদানের প্রয়োজন। ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন। আমাদের দেশের মিথ্যা নামক ব্যবসাটার সবগুলো মূলধনই রয়েছে। তাহলে আমরা কেন পিছিয়ে থাকব ? ভূমি হিসাবে রয়েছে ১,৪৭,৫৭০ বর্গ্ কিঃমিঃ নিষ্কর জমি। আমাদের দেশের জমিতে রাজনীতি নামক ব্যবসার জন্যে কোনও কর দিতে হয়না। এছা্ড়াও দেশে রয়েছে একদল অতিউদ্যমী রাজনীতিবীদ যারা ঠান্ডা ঘরে বসে মিধ্যা বলার ছক কষতে শ্রমদিয়ে রীতিমত গলদঘর্ম হয়ে যাচ্ছেন। একটা মিথ্যা কি করে আরও মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় সেই ছক কাটতে তাদের প্রচেষ্টা রীতিমত প্রসংশনীয়। আমাদের দেশে মূলধনেরও কোনও অভাব নেই। সাধারন জনগনের বিশ্বাস তাদের বড় মূলধন। আর এর রয়েছে উপযুক্ত যোগানদাতা। আর সেইসব যোগানদাতাদের নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থারও কোনও ত্রুটি নেই। এদের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশে পুলিস, মিলিটারী, বিএসএফ ইত্যাদি এবং অসাধারন সুন্দর আগ্নেয়াস্ত্রসহ কিছু ভয়ঙ্কর সুন্দর মানবসদৃশ উচ্চগুনসম্পন্ন হায়েনা, কুকুর ও লাল-সবুজ রঙের মূল্যবান পবিত্র বস্ত্রখন্ড সজ্জিত অত্যাধুনিক গাড়ীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরা অতি সুন্দরভাবে ধর্ম্ নামের একটা অতি পবিত্র জিনিসকে ব্যবসায় রুপান্তরীত করে সেই পুরাতন নড়বড়ে ব্যবসাকে শক্তহাতে চালিয়ে যাচ্ছে । যদিও ব্যবসাটার ফিটনেস সার্টিফিকেট তাদের কাছে নেই তবুও মিথ্যা ও বিশ্বাস নামক উৎকোচ প্রদানের ব্যবসায়িক স্বার্থে ওটাকে মেনে নেওয়া হয়েছে। এরা ক্ল্যসিকাল ধর্মকে ডিজে ও ব্যান্ড স্টাইলে পরিবর্তন করেছে। আর সৃষ্টিশীলতার মূল্য হিসাবে ব্লগার নামের কিছু রক্তবীজসদৃশ প্রতিদ্বন্দী সৃষ্টি হওয়ায় তাদেরও সমূলে বিনাশ ও এই বিনাশকে সংবিধান নামক একটা পুরাতন হাসির বইয়ের সাথে সামন্জস্য বিধানের জন্যেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এই তিনপ্রকারের উপাদানের চালিকাশক্তি অর্থাৎ সংগঠনও খুবই জোরালো। এদের রয়েছে সরকারী ও বেসরকারী দুইরূপ। অর্থাৎ কিছু সরকারী ও কিছু বেসরকারী। সরকারী সংগঠনগুলো সরকারী সুযোগসুবিদা পেয়ে তাকে আর বেসরকারীগুলো পায় বেসরকারী সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে আঁতেল সংগঠন। নামান্তরে এরা সুবিধাবাদী হিসাবেও পরিচিত। এরা কোনও একটা ইস্যু পেলেই কাঙালীদের মত একহাতে ঝান্ডা আর অন্যহাতে থালা নিয়ে রাস্তায় নামে। প্রথমাবস্থায় ঝান্ডা নিয়ে নেমে ডান্ডা খেলেও পরে রাজনৈতিক দলগুলোর সুবাদে থালাতেও বেশকিছু জমা হয়। ভাগাভাগির পরে তাদের যে কজন বোকার মত আদর্শ আঁকড়ে পড়ে থাকে তাদের ভাগ্যের খাতায় ব্লগার নামের সিল পড়ে আর চকচকে চাপাতির কোপে চলে যায় সোজা উপরে । তখন সংবিধান নামক হাসির বইখানার সুবাদে খুব জোর তদন্ত হয়, সোস্যাল মিডিয়া, সংবাদপত্র, টেলিভিশানের বদৌলতে সারাদেশে আলোচনার ঝড় বয়ে যায়। সেই ঝড়ে মানুষটা হয়ে যায় নামহীন যার মৃত্যু ব্লগারের মৃত্যু নামে বড়বড় করে পত্রিকার প্রথম পৃষ্টায় লালকালো রঙে ছাপা হয়। আর যে মানুষটা সেতো শুধু ব্লগার হয়ে আত্মহত্যাই করেনা পরিবারের মানুষগুলোর জন্যে এক অনিশ্চিত আর অনিরাপদ জীবনের ব্যবস্থাও করে দিয়ে যায়।
আমাদের রাজনীতি নামক এতবড় ব্যবসার এতবড় ক্ষেত্র থাকতেও আমরা কেন এত পিছিয়ে থাকব ? এগুলো একজন রাজনীতিব্যবসার সঙ্গে জড়িত কাওকে জিজ্ঞাসা করলে উত্তরটা হবে সম্ভবত,“ আমরা পিছিয়ে থাকতে রাজী নই। আমরা ব্যবসার আরও উন্নতী চাই্। আমাদের দেশের রাজনীতিবীদদের প্রয়োজনে বিদেশে রপ্তানী করা হোক । ধর্ম ব্যবসায়ীদের আরও বেশী করে অন্যায়গুলোকে ন্যায় প্রমানের যুক্তিতর্কের সুযোগ করে দেওয়া হোক। আমাদের প্রশিক্ষিত মানবসদৃশ হায়েনা আর কুকুরগুলোকে প্রয়োজনে বিভিন্ন বিদেশী রাষ্ট্রায়ত্ত সিকিউরিটির কুকুরদের সাথে পালন করে সযত্নে আরও বুদ্ধিমান ও চতুর করে তোলার ব্যবস্থা করা হোক। ব্লগারদের জন্যে এমন মৃত্যুর ব্যবস্থা করা হোক যেন তাদের দেখে কারও ধর্মব্যবসার মুখে ছেঁড়াস্যান্ডল ছোঁড়া তো দূরের কথা ফুলের টোকা দিতেও যেন সাহস না হয়। আমরাই পারব দেশের মাথা উঁচু করতে (সেটা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাঁশের আগায় করে হলেও)। ব্লগার মরে মরুক। আমরা চাই না উচিৎ কথা কেও বলুক। আমাদের মুখ যত নোংরা আর কুঃসিতই হোক সেটা কে যেন কেউ নোংরা না বলে। আমাদের মুখে বাস্তবে মলমূত্র ত্যা্গ করলেও কেউ যেন সেটাকে ব্লগে প্রকাশ না করতে পারে। ধর্মের মূলকথা না শুনে সবাই যেন আমাদের মুখের বানানো ধর্মসংক্রান্ত অশ্লীল ডিজে আর ব্যান্ড সংগীতের তালে শোনে। আমরা যে ঋণখেলাপী, মদ্যপ, নারীলোভী বলে একথা ব্লগে প্রকাশের সাহস যেন কেও না পায়। আমাদের পশ্চাৎদেশে যে ঘনঘন লাথি পড়ে তা যেন কেউ না শোনে। আমাদের ভাইবার কল যেন রেকর্ড্ করতে কেও সাহস না পায়। এগুলোর সফল বাস্তবায়ন হলেই আমরা রাজনীতি ব্যবসাকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে পারব। সর্বোপরি একটা কথা আমার এই বক্তব্যকে যদি কেও কোনও ব্লগে প্রকাশ করে তাকে বিনীতভাবে জানাতে চাই সে যেন জেনে রাখে, ব্লগিং মানেই মৃত্যু আর ব্লগার হওয়ার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড।”
##বড়ই ভয়ে ভয়ে না লুকিয়ে বেঁচে আছি। কি জানি ! এরই মাঝে বিদেশে পাঠিয়েছিল কিনা !! বিদেশী ডগস্কোয়াডগুলোর সংস্পর্শে এদের গন্ধ অনুধাবন ক্ষমতা কি অনেক বেড়ে গেছে ?? বিদেশীগুলো তো জানি খুবই শক্তিশালী।ঘামছি, খুব ঘামছি .:(( আর ভাবছি হে আল্লাহ! আমাকে রক্তবীজ বানিয়ে দাও। আমার সমস্ত রক্তের বিনিময়ে হলেও একটা হলেও ব্লগার যেন তৈরী হয়…….……আমিন…##

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ব্লগেই ব্লগার, পাঠক, কমেন্ট এর অভাব।
আপনার পাঠক কমেন্টের আশায় বসে থেকে কী লাভ বলেন।
চলুন আমাদের প্রায় মৃত ব্লগটাকে বাচিয়ে তুলি।

শুভ কামনা রইলো।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

অযুক্তিবাদী বলেছেন: শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ, রফিক ভাই। আমি না হয় ব্লগেই ব্লগার হয়ে থাকি, বাইরে তো আপনারা আছেনই। সাধারন মনের অনুভূতি অসাধারন কাওকে জানাতে পারছি এটাই বড় কথা। লাইক, কমেন্ট এর কি জীবনে খুব বেশি প্রয়োজন ?? কারও আশায় বসে নেই। চেষ্টা করব আপনার কথা মেনে চলার। যদি মৃত ব্লগে প্রাণসন্চার করায় একফোঁটা সাহায্য করতে পারি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করব্।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.