![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Do u know what is success.\nWhen ur signature becomes an autograph that\'s call success.
মিরান্ডা বার্বর যার পুরো নাম "মিরান্ডা ক্যামেলী ডিন বার্বর। যিনি ১৯৯৪ সালে আলাস্কায় "নর্থ পোল" নামক শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
.
তিনি মাত্র চার বছর বয়সেই তার খালুর ( মা -র আপন বোনের স্বামীর) দ্বারা যৌননির্যাতিত হন, অবশ্য এতে তার খালু ১৪ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হন।
.
তিনি খুব ছোট থাকাকালে মাত্র ১২ বয়স থেকে হিরোইন নিতেন এবং ঐ বারো বছর বয়েসেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান যার কারণে তার কোনো প্রাতিষ্টানিক শিক্ষা ছিলনা। যখন তিনি ফিরে আসেন তখন তিনি তার মা এলিজাবেথ ডিন-কে বলেন, তিনি সেক্সুয়াল কাজ-কর্ম ছেড়ে দিয়েছেন,এখন তিনি ( অলৌলিক শক্তি নিয়ে গবেষণাকারী) ২৫ বছর বয়সী তান্ত্রিক ফরেস্টের সাথে যুক্ত যিনি কিনা এখন তার শিক্ষক।
.
মিরান্ডা খুব বুদ্ধিমতি ছিলেন।,সহজেই একজন মানুষকে তিনি পর্যবেক্ষণ করতে পারতো এবং তাকে অল্প সময়ের মাধ্যমেই নিজের বশে আনতে পারতো ।
.
তিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সে এক সন্ত্রাসী দলের সাথে যুক্ত হন। সেই দলের কথামতো টাকার জন্যই তিনি প্রথম খুন করেন। অবশ্য বিশেষঙ্গদের মতে, মিরান্ডা "সিরিয়াল কিলারদের" সারিতে পরেনা কারণ স্বাভাবিক মহিলা সিরিয়াল কিলাররা খুন করার সময় ছুড়ি ব্যাবহার করতেন না যেটা মিরান্ডা সচারচই করতেন।
.
মিরান্ডার বাবা মনে করতেন, বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় মিরিন্ডা এমন অপরাধ কর্মের সাথে যুক্ত হচ্ছে । কিন্তু,
মিরিন্ডার মা মনে করতেন, তান্ত্রিক ফরেস্টের প্ররোচনাপ্রাপ্ত হয়েই মিরিন্ডা এমন খারাপ কাজ করছে। মিরিন্ডা খুব বাজে রকমের যৌন-পাগল ছিল। সে মেদ ও ওজন বেশী এমন মানুষ পছন্দ করতোনা।শেষ পর্যন্ত জানা যায় তিনি ২০১১ সালে দ্বিতীয়বারের মত প্রেগন্যান্ট হয়েছিলেন এবং কন্যাসন্তান জন্ম দেন। যার পিতা কিনা তার গুপ্ত সন্ত্রাসী সমিতির দ্বিতীয় লিডার "ফরেস্ট", যে কিনা পরে খুন হন মিরান্ডার হাতেই......
.
অবশেষে মিরান্ডার যযাত্রা শেষ হহয় যুক্তরাষ্ট্রে।
.
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মিরান্ডা বার্বর নামের নিষ্পাপ মুখায়বের ১৯ বছর বয়সী এই মহিলা সিরিয়াল কিলারকে।
.
২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে সানবারিতে একটি বাড়ির পেছন থেকে ৪২ বছরের ট্রয় লাফেরারার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ মৃতের মোবাইল ফোনের ‘কললিস্ট’ খতিয়ে সেখান থেকে মিরান্ডা বার্বর এর পরিচয় পায়। মিরান্ডাকেই শেষ বারের মতো ফোন করেছিলেন ট্রয়। এ সূত্র ধরে পুলিশ মিরান্ডাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হয়ে তাকে ট্রয় হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করে।
.
মিরান্ডা গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ট্রয় হত্যাকান্ডে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আরো যেসব তথ্য পুলিশকে জানায় তা শুনে শুধু পুলিশ নয় গোটা বিশ্বের সভ্য সমাজের যে কেউই আঁতকে উঠতে পারেন।
.
মিরান্ডা জানিয়েছেন, শুধু ট্রয়কেই নয়। বরং গত ৬ বছরে ট্রয়ের মতো প্রায় ১০০ জনকে হত্যা করেছেন তিনি। তবে সংখ্যাটা ঠিক মনে করতে পারেননি তিনি। কারণ ২২টি খুনের পরই মিরান্ডা গোনা বন্ধ করে দেন। ফলে ঠিক কত জনকে খুন করেছেন, তা জানা যায়নি।
.
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তিন সপ্তাহ আগেই ২২ বছরের এক যুবককে বিয়ে করে মিরান্ডা। ট্রয় লাফেরারা হত্যায় মিরান্ডার স্বামীও যুক্ত ছিলেন। এক সঙ্গে কাউকে হত্যা করার ইচ্ছা ছিল ওই দম্পতির। বিয়ের পরই তারা উত্তর ক্যারোলিনা থেকে পেনসিলভানিয়ায় যান কাউকে হত্যার উদ্দেশে। সেখানে ক্রেগ্সলিস্ট নামের একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ‘বন্ধুত্ব’র জন্য বিজ্ঞাপন দেন মিরান্ডা। ১০০ ডলারের বিনিমময়ে তাঁর সঙ্গে সেক্স করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মিরান্ডা। সেই ফাঁদে পা দিয়েই প্রাণ হারাতে হয় ট্রয়কে।
.
মিরান্ডার দেয়া তথ্য থেকে পুলিশ জানিয়েছে, মিরান্ডার স্বামী ট্রয়কে গাড়িতে আটকে রাখে, তার পর মিরান্ডা তাঁর শরীরে ২০ বার ছুরির কোপ বসান।
.
মিরান্ডা জানিয়েছেন, ১৩ বছর বয়সে প্রথম খুন করেন তিনি। তখন থেকেই একটি গুপ্ত সমিতির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। গত ৬ বছরে আলাস্কা, টেক্সাস, উত্তর ক্যারোলিনা এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় এই খুনগুলো করেন তিনি। পুলিশ সেসব অঞ্চলে গিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে।
.
এ ব্যাপারে নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অপরাধ বিশেষজ্ঞ জ্যাক লেভিন বলেন, ‘সে একজন সিরিয়াল কিলার। এমন এ পরিস্থিতিতে সবকিছুই সম্ভব।’
.
তবে তিনি এ-ও বলেন, খুব কম মহিলাই সিরিয়াল কিলার হয়ে থাকেন এবং তাঁরা ছুরি ব্যবহার করেন না।
.
উল্লেখ্য মিরান্ডা বার্বর ট্রয় হত্যাকাণ্ডে ছুরিই ব্যবহার করেছেন।
.
----------
অন্ধকার আকাশ্
----------
.
#অভ্র
বি:দ্রঃ-- নতুন ব্লগার তাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর মন্তব্য করলে উপকৃত হবো
©somewhere in net ltd.