নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহান সৃষ্টিকর্তার নশ্বর পৃথিবীতে আমি একজন ঠুনকো ছায়া। হয়তো একদিন চলে যাবো,চলে যাবে আমার সব চাওয়া-পাওয়া কিংবা পদরেখা। তবে, রেখে যেতে চাই নিজের তৈরী করা কিছু কীর্তি। যাতে, আমার প্রতি ভালোবাসা কারো কমে না যায়। ভালোবাসুন ভালো থাকুন....

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র)

Do u know what is success.\nWhen ur signature becomes an autograph that\'s call success.

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালো অভ্রর প্রেম-কাহিনীB-)

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

রাতের পর সকালটা যে কেনো আসে, কিছু কিছু মানুষের চোখের অশ্রু ঝরাতে হয়। মানুষের চেহেরা খারাপ হওয়া কি দোষের, এটাতে তো নিজের কোনো দোষ নেই। প্রকৃতি আর স্রষ্টার কৃপায় এই চেহেরা, এটা নিয়ে কিসের এত গর্ব মানুষের...???
.
#অভ্র অনেক সময় ধরে তার নিজের ছায়ার
দিকে তাকিয়ে আছে মুগ্ধ হয়ে। দেখে মনে হয় কত রুপবান তরুণের
ছায়া। এমন কি ভুল হত যদি সে এই ছায়াটার মত রুপবান হত !
বিধাতার প্রতি অভিমান হচ্ছে এখন।
.
আজ অনেক বড় একটা ঘটনা ঘটলো ক্যাম্পাসে। এই ঘটনার কোন
দরকার ছিল না। অভ্র এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না তার মত
একটা হাঁদা-ভোঁদা ছেলে কিভাবে এটা করে বসল ।
.
সে মনে মনে তন্বীকে চাইতো ঠিকই এটা ক্যাম্পাসের সবাই যেমন জানতো তন্বীরর কানেও পৌঁছেছিলো। কিন্তু এভাবে আজ যা করল
তা করাটা কি ঠিক হল? আজ সকালে রুশাব নামের বড় ভাই
তন্বীকে খারাপ একটা মন্তব্য করেছিল । কোন কিছু বুঝে উঠার
আগেই অভ্র চড় বসিয়ে দিল রুশাব ভাইকে । এরপর রুশাব ভাই
প্রতিবাদ করার আগেই তন্বী ঐ বড় ভাইকে বলে উঠল আপনার
সুন্দর মুখটা কত ময়লা হয়ে গেছে আগে ওটা ঠিক করুন প্লিজ ,
হাতটাও ময়লা করতে চান কেন! হাসাহাসি শুরু হল
কালো অভ্রকে নিয়ে। কথাটা শুনে অভ্রর মাথায় বাজ পড়ল ।
.
নিজের রং নিয়ে এমন বাজে কথা সে আগেও শুনেছে। এর
আগে শুনলেও তা কখনোই গায়ে নেয় নি সে। আজ তাকে তন্বীর
মুখে শুনতে হল । হুম, তার গায়ের রং কালো তাই বলে এতে তো তার কোনো দোষ নেই। সে তো ইচ্ছে করে আর এমন হয়নি ।
.
এখনো অবাক হয়ে বসে আছে ক্যাম্পাসের পিছনের গেইটে পুকুরপাড়টায় । দুঃখ
পাওয়া এখনো শুরু হয় নি , অবাক হওয়ার পর্যায়টি সে এখনো পার
করতে পারছে না । তারপরই না দুঃখ।
এই মেয়েটার সাথে কিভাবে কথা বলা যায় তা নিয়ে ১ বছর
ভেবেছে অভ্র । সেই ১ম বর্ষ থেকে, তন্বীর নাম দিয়েছিলো "স্কিনটাচ"। কেন রেখেছে নিজেও জানেনা? পরের বর্ষ গেল প্ল্যান
করতে করতে । কাজে নামার আগেই বড় মাপের ধাক্কা ।
.
অনেক রাত
পর্যন্ত বাইরে ছিল চাপা কষ্টটাকে ঢাকার জন্যই হয়তোবা প্রথমবারের মত সিগারেটের তেতো স্বাদটা নিয়েছে। আজ একটু দেরি করেই ঘরে ফিরলো। পরিবারের দায়িত্ব
নিয়ে ভাবতে হবে তার । এসব নিয়ে বিলাসিতা তার মানায়
না, নিজেই নিজেকে বললো। তারপরও এই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে তার মাথায় ঠিকমত ঘুমোতেও পারলোনা। পরদিন
চিন্তা করলো তন্বীকে সরি বলে আসবে । রুশাব ভাই অন্যায়
করেছে তাকে অভ্র ভুলেও সরি বলবে না। তন্বীর ব্যক্তিগত
বিষয়ে কথা বলে ফেলেছে এজন্যই সরি বলবে। একটা চিঠি লিখল,
যেখানে শুধু একবার "সরি" লেখা। চিঠিটা সে সবুজ মামার
দোকানের অমিতকে দিয়ে তন্বীকে দিল। তারপর আর
কখনো তন্বীর সামনে যায় নি বরং যাওয়া হয়ে উঠেনি কিংবা সাহস করতে পারেনি অভ্র ।
.
সেদিনটা ছিল সপ্তম বসন্ত, তন্বীর বান্ধবী সাবার থেকে খবর আসল
মার্চের ২৫ তারিখ তন্বীর বিয়ে ।আজ ২৫ শে মার্চ ভয়াল কালো রাত্রি, সেটা অভ্রর জীবনেও বটে। বিয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে অভ্র।
অনেকদিন পর তার চোখের কোণে পানি আসল ঠিক পানি নয় জলোচ্ছ্বাস । বিয়েবাড়ির
সামনে আড়ালের শিমুল গাছটায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক কষ্টে চোখের অশ্রুগুলোকে আটকিয়ে রেখেছে কিন্তু আর সম্ভব নয় তাই নিরব-কাঁন্না শুরু করলো সবার অগোচরে।
জীবনে কিছু চায় নি ওভাবে। এই মেয়েটাকেই চেয়েছিল শুধু তবুও....
.
একটু পরেই কাঁধে মেয়েলি হাতের কোমল স্পর্শ পেল অভ্র ।
তন্বী দাঁড়িয়ে আছে। ভুল দেখছে নাতো, নিশ্চয়ই হ্যালুসিনেশন। প্রথমবারের মত একটু ছুঁয়ে দেখলো,
.
-- "তুমি শুধু সরি লিখেছ , ভালবাসি লিখবা না গাঁধা?
মেয়েরা আগে বলে ভালবাসার কথা? এখন কি গাঁধার মত তাকায়
থাকবা নাকি কাঁদবা নাকি আপুর বিয়েতে যাবা?
-- আপুর বিয়ে মানে..??
জ্বী আপুর
বিয়ে , আমার না , সাবা মিথ্যা বলেছিল তোমাকে ঠিক ও বলেনি ওকে বলানো হয়েছে।"
-- মানুষ মৃত্যুর দুয়াড় থেকে ফিরে আসলে যেমন প্রাপ্তির আনন্দ পায় ঠিক তেমনি অভ্র নিজের মধ্যে নতুন জীবনের আশার আলো দেখছে।
.
অভ্র শুধু তন্বীকে দেখছে,পৃথিবীতে সে আদৌ আছে কিনা তার
সন্দেহ হচ্ছে ! কি সুন্দর মাথা ঝাকিয়ে কথা বলছে মেয়েটা।
রুশাব ভাই দাঁড়িয়ে আছে পাশে।
.
-- "আর এটা হল আমার সবচেয়ে প্রিয় মামাত ভাই, রুশাব ভাই ।
.
তোমাকে ভালবাসি বলার পর
তোমার পরীক্ষা করতে চেয়েছিল । অনেক কঠিন
পরীক্ষা হয়ে গেল তাইনা? যাই হোক পূর্ণ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন
আপনি।
-- অভ্রর কান্না যেন থামতে চাইছেনা বরং এখন আরো প্রবল বেগে ববেরিয়ে আসছে
.
-- ভাইয়া এই গাঁধাটা কান্না থামায় না কেন? "
.
রুশাব ভাই এর সামনেই তন্বীকে জড়িয়ে ধরল।
"ভালবাসার রং তাহলে কালো রং কে হারাতে পারে?"
কেঁদে কেঁদেই প্রশ্ন করল অভ্র । তন্বী চুপচাপ ধরে থাকল
অভ্রকে।
.
ভালবাসার রং ছড়িয়ে পড়ল বিয়ে বাড়ীর সামনের গাছের নিচে, যেখানে অশ্রুর ফোঁটাগুলো নিরবে গড়িয়ে পড়েছে।
.
There is never a time or place for true love. It happens
accidentally, in a heartbeat, in a single flashing, throbbing
moment.
.
----------
অন্ধকার আকাশ্
-----------

#অভ্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.