![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Do u know what is success.\nWhen ur signature becomes an autograph that\'s call success.
জীবনের উপর বিরক্ত হয়ে সিদ্ধান্ত
নিলাম আত্নহত্যা করবো।দুনিয়াটা যখন
জাহান্নাম হয়ে গেছে কি লাভ দুনিয়াতে থেকে।
পাপী মানুষ জাহান্নামেতো এমনিতে যেতে হবে।
যেই ভাবা সে কাজ।আত্নহত্যা করতে যাচ্ছি
চট্টগ্রামের নতুন স্টেশনের দিকে।ওই দিকে ঢাকা–চট্রগ্রামের
ট্রেনগুলো জোরে চলে। সিদ্ধান্ত নিলাম সুবর্ন
এক্সপ্রেসের নিচে জীবন দিমু। সব
ব্যাপারে আমি আবার ভীষন চুজি। কেউ কোনদিন
বলতে পারবো না ব্রান্ডের জিনিস
ছাড়া কিছু গায়ে দিছি। আত্নহত্যার
জন্য তাই বেছে নিলাম সেরাটা। আর মেইল ট্রেনের
নিচে কাটা পড়ে এতদিন ধরে তিল তিল
করে তৈরি মান ইজ্জত খোয়ামু নাকি।প্রশ্নই উঠেনা.......???
.
রাস্তায় হাঁটছিলাম আর সিগ্যারেট ফুঁকতে ফুঁকতে অন্ধকার আকাশ্ দেখছিলাম রাত দু’টার সময়।
হঠাৎ একটা লেগুণা এসে সামনে দাড়ালো। একজন
মোটা মতন ঠোলা (মানে পুলিশ) হুঙ্কারের সাথে জিজ্ঞেস
করলেন
-- “আপনি কী ফেসবুকের অান্ধা বাবা?
.
-- জ্বি মহাশয় আমি আন্ধা বাবা।
--প্রোফাইল পিকচারটা ডিএসএলআর দিয়ে তোলা।
কার্টেসি ময়লা বাবা!
-- আপনার চোখ লাল কেন? কি খেয়েছেন?
-- যৌবন চোখে আসলে চোখ লাল হয়?
-- হয়, এই সম্পর্কে কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেছেন
“তোমার চোখটা এত লাল কেন?
-- চুপ করেন. আপনার বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ আছে।
আপনাকে আমাদের সাথে এক্ষুনিই থানায় যেতে হবে -
অবশ্যই যাবো, বলেছেন যখন যাবো না কেন?
-- নিমন্ত্রন রক্ষা না করার মত অমানুষ আমি নই।
ওরা আমার ওঠার অপেক্ষা করলো না।
চ্যাংদোলা করে লেগুণাতে তুলে ফেলল।
দুপাশে দুজন পুলিশ মাঝখানে আমি।
নিজিকে বারাক ওবামা মানে ভিআইপি মনে হচ্ছে। দুই পুলিশের
নাকে হাত। একটা বিদঘূটে গন্ধ।
সিএনজি ড্রাইভারের নাকে হাত নেই।
তাকে জিজ্ঞেস করলাম –
-মামা গন্ধ পাও না?
-পাইতো
-নাকে হাত নাই কেন? দেখ না মহাশয়রা নাকে হাত
দিছেন।
-নাকে হাত দিলে আপ্নে চালাইবেন গাড়ী? আর
গোসল করেন না কয়দিন?
ওহো গোসল করা হয়নি গত কিছুদিন কার্টেসি ময়লা বাবা। এতক্ষন
গন্ধটা বিদঘুটে লাগছিলো। এইমাত্র মনে হলে- বাহ!
মাথার উপরে একটা বাল্ব। সামনে বসে আছেন
ওসি "গোবরধন পাল"। উনি কি বলবেন গুছিয়ে নিচ্ছেন। আমার
অত অপেক্ষা করার সময় নেই।
-- গোবর স্যরি প্রধান সাহেব কি বলবেন বলুন? বাসায় গিয়ে গোসল
করতে হবে। ভয় পাবেন না, আপনি সেফ।
প্রধান সাহেব হতচকিত হয়ে গেলেন। চোখ যেন বেরিয়ে আসছে কপাল দিয়ে।
-- আপনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে।
-- আমার জানামতে আমি খুন হত্যা, গুম, রাহাজানি,
ধর্ষন কোন কিছুই করিনি
-- আপনি মন্ত্রী সাহেবের ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট একসেপ্ট করেননি।
-- শীট মন্ত্রী সাহেব? ঐ যে ফেসবুকের ** মন্ত্রী? উচিত
হয়নি, অনুচিত হয়েছে, আমার খুব খারাপ
লাগছে ওসি সাহেব, নিজেকে নিজে ব্লকাইতে ইচ্ছা হচ্ছে।
-- আপনি কি জানেন আপনি বেশী কথা বলেন বাচাল ?
-- না জানিনা, একজন রাঁধুনী কখনই নিজের রান্নার টেষ্ট নির্ধারণ করতে পারে না, একজন লেখক কখনও
নিজের লেখা কেমন সেটা যাচাই করতে পারেনা।
তাই আমি যে বেশী কথা বলি এটাও
আমি বুঝতে পারি না হয়তবা, কার্টেসি কথাবাবার ।
আমাকে একটা ল্যাপটপ এনে দেয়া হল। ভন্ডামির
কিছু নতুন টেকনিক পেয়েছি। এক্ষেত্রে খুব
একটা বেগ পেতে হয়নি।
আপাতত
সেটা মন্ত্রী পর্যায়ে চলে গেছে দেখে অবাক হলাম।
-- আপনি আন্ধা কেন?
-- কারণ আমি আন্ধা বাবা,
আন্ধা বাবারা আলো জ্বালাইতে পারে না। দৃশ্যটা দেখতে বিশ্রী। দেখলে মনে হয়
আমি একাই আলোকিত।
-- আপনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।
আপনি ফেসবুকে আঠারো বয়সি এক
বালিকাকে “জানু” বলে সম্বোধন করেছেন।
অনেক্ষন ভেবে মনে করলাম মাস খানেক আগে এক
মধ্যরাতে এক নারী ফেসবুকে নক দিলো “hi andha
baba”
বললাম “জ্বি জানু”
ওমা এতেই রেগে গেলো। তার নাকি জানু হবার বয়স
হয়নি। আজব মেয়ে। জানু হবার বয়স না হলে ফেসবুক
আইডি খুলেছে কিভাবে কে জানে! পুলিশকে এ তথ্য
জানানো দরকার “দেখেন গোবরধন সাহেব,
মেয়েটাকে আমি বলেছি জ্বি জানু,
এতে সে রেগে গিয়ে জানালো তার জানু হবার বয়স
হয়নি। অথচ আমি জানি ফেসবুকে আঠারো বছরের
আগে কেউ একাউন্ট খুলতে পারে না। যদি তার জানু হবার বয়স না হয়
তবে সে জালিয়াতি করে ফেসবুক একাউন্ট খুলেছে।
এটা তদন্ত হওয়া দরকার। আপনি তদন্ত শুরু করেন
আমি স্ট্যাটাস দিই এ বিষয়ে”
এবার ওসি প্রধান রেগে গেলেন। আমি বোধহয়
সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি “শোনেন
আন্ধা বাবা না কানা বাবা. ওই মেয়ে সে মন্ত্রীর
মেয়ে। মন্ত্রী সাহেবের ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট
একসেপ্ট করেন নাই কিন্তু তার মেয়েকে নিজেই
ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠিয়েছেন।
-- দেখুন ওসি সাহেব, আমি গে না!! স্বাভাবিক।
এবার প্রধান চূড়ান্ত রেগে “তুই মন্ত্রীর ফ্রেন্ড
রিকোয়েষ্ট একসেপ্ট করিস নাই ক্যান?
প্রধানের কন্ঠ শুনে আবেগী হয়ে গেলাম।
মনে হলো আমার বন্ধু আমার সাথে কথা বলছে।
আমিও উত্তর দিলাম “দ্যাখ প্রধান তুই ভুল বুঝতেছিস।
আমার আসলে ৫ হাজার ফ্রেন্ড হয়ে গেছে”
-- এসব কি বলছেন?
বেচারা রেগে গেছে কিন্তু কিচ্ছু করতে পারছেনা।
মন্ত্রী সাহেব তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তার
ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট একসেপ্ট করবার জন্য,
মেরে ফেলবার জন্য না। অতএব গোবরধন বেচারা মুখ
বুজে সহ্য করছে। মুশকিল বিদায় দিতে পারলাম না।
আমাকে লগইন করতে হলো।
এখন একজন ফ্রেন্ড
ডিলিট করতে হবে, নইলে মন্ত্রী সাহেবকে এড
করা পসিবল না। ভাবলাম নিজেকে নিজেই
আনফ্রেন্ড করে দিই। কিন্তু নিজের বন্ধু তালিকায়
নিজেকে দেখতে না পেয়ে রাগে দুঃখে ক্ষোভে "কলা বাবাকে" ডিলিট করেই দিলাম। এখন সেই
মহেন্দ্রক্ষন। ওসি
হাসিহাসি মুখে মন্ত্রী সাহেবের
সাথে কথা বলছেন। মন্ত্রী সাহেব এক্ষুনি ফ্রেন্ড
রিকোয়েষ্ট পাঠাচ্ছেন।
মিনিট খানেক পর প্রধানের ফোন বেজে উঠলো।
সে জ্বি স্যার ইয়েস স্যার বলতে বলতে অস্থির।
ফোন রেখেই “আদা বাবা, আদা বাবা স্যার
ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন। একসেপ্ট করেন
দ্রুত”। লোকটা আন্ধা বাবা উচ্চারণ করতে পারে না।
উচ্চারণ করে আদা বাবা। ভাগ্যিস শব্দটা আন্ধা,
বা** না! মান ইজ্জত একদম *** ঢুকে যেতো।
যাকগে দুইটি ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট এসেছে। প্রথমজন
মন্ত্রী মহোদয়। দ্বিতীয়জন আজরাঈল!
ওসি খুব চিন্তিত। প্রথম কথা হচ্ছে আমার
ফ্রেন্ডলিষ্ট থেকে আর কোন ফ্রেন্ডকে ডিলিট
করা যাচ্ছে না। তাই সে সিদ্ধান্ত
নিতে পারেনি কার ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট
আমি একসেপ্ট করবো। দুই বধু এক স্বামীর
অবস্থা হয়েছে। দুই বন্ধু একটা জায়গা।মন্ত্রী সাহেব
ফোনের পর ফোন দিচ্ছেন। এ সমস্যার কথা সংসদীয়
উপ-কমিটিতে চলে গিয়েছে। তথ্য মন্ত্রনালয়
বিকালে মিটিং ডেকেছে।
আশা করা যাচ্ছে রাতের মধ্যে জানা যাবে কার
ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট একসেপ্ট করবো।
ইতোমধ্যে টিভি চ্যানেলগুলো এসএম এর
মাধ্যমে জনমত নিচ্ছেন কাকে ফ্রেন্ডলিষ্টে এড
করলে ভালো হয়।
“গোবর ভাই, ধন ভাই” ওসি সাহেবকে ডাকলাম।
-- বলুন
-- আজরাঈলকে রেখে আমি কিছুতেই
মন্ত্রী সাহেবের ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট একসেপ্ট
করতে পারবো না।
-- কেন? কেন?
-- কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি আজরাঈল পরিবারের সাথে আছেন।
প্রধানমন্ত্রী হলেন দেশনেত্রী। তিনি সাথে আছেন
মানে ষোলকোটি জনতার সাথে আছে।
আমি রাজাকার নাকি যে ষোলকোটি মানুষের
বাইরে যাবো!
জয় বাংলা বলে আজরাঈলের ফ্রেন্ড
রিকোয়েষ্ট একসেপ্ট করে একজন নিপীড়িত,
শোষিত অসহায় মানুষকে বন্ধু
বানিয়ে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর মত মহান
বানিয়ে ফেললাম। কেবল মহান নয় আজরাঈলের
পরিবারের সাথে থেকে আমি এখন সবচেয়ে নিরাপদ।
নিজের নিরাপত্তার খাতিরে সবার উচিত আজরাঈলের পরিবারের সাথে থাকা। আপনারা সবাই
নিজ নিজ পরিবার ছেড়ে আজরাঈলের
পরিবারের সাথে থাকুন। কোন শালায় কিছু বললেই,
আজরাঈল দেইখা নিবে বইলা দিলাম!
----------
অন্ধকার আকাশ্
----------
#অভ্র
১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৬
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: রম্য বলে কথা না ভালো হলে চলে...........
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৩
রাখালছেলে বলেছেন: লেখা ভাল হইছে । সমানে চালিয়ে যান ।