নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহান সৃষ্টিকর্তার নশ্বর পৃথিবীতে আমি একজন ঠুনকো ছায়া। হয়তো একদিন চলে যাবো,চলে যাবে আমার সব চাওয়া-পাওয়া কিংবা পদরেখা। তবে, রেখে যেতে চাই নিজের তৈরী করা কিছু কীর্তি। যাতে, আমার প্রতি ভালোবাসা কারো কমে না যায়। ভালোবাসুন ভালো থাকুন....

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র)

Do u know what is success.\nWhen ur signature becomes an autograph that\'s call success.

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বামী-স্ত্রী র মিষ্টি ভালবাসার গল্প

১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৯

সারারাত লেখালেখি করে শেষ রাতের দিকে ঘুমিয়ে
সকালে ঘুম ভাঙতেই চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে দেরি হলোনা।
আর তাই বুঝতেও দেরি হলোনা,
যে চেঁচামেচিটা কাকে নিয়ে !!
.
কাল তনু লবণ আনতে বলেছিল, ভুলে গিয়েছিলো,
আর সকালে উঠেই তনু রান্না ঘরে গিয়েই তাই শুরু করে দিয়েছে ।
.
#অভ্র কিছু বুঝে উঠার আগেই তনুর হুঙ্কার,
.
-- আচ্ছা, কাল বাজারে
গিয়েছিলেন আপনি?
আপনাকে আমি কিছু আনতে বলেছিলাম,
আপনার কি মনে আছে?
.
-- ইয়ে মানে না মানে………
.
-- কি, বলেন?
.
-- আসলে আমার ভুল হয়ে
গিয়েছে।
.
-- না না, আপনার ভুল হবে
কেন?
ভুল আমারই। আপনাকে বাজার পাঠিয়ে, মস্ত ভুল করেছি আমি।
এরপর থেকে নিজেই বাজারে যাব আমি।
আপনাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা,
বেশ বুঝেছি আমি।
.
-- আসলে আমি দুঃখিত।
ভুল করে ফেলেছি। আর হবেনা।
.
-- নাহ, ঠিক আছে,
বেশ করেছেন।
এখন লবণ ছাড়া নাস্তা করেন।
আস্তে আস্তে হাত
মুখ ধুয়ে নাস্তার টেবিলে বসলো।
.
তনু লবণ নিয়ে এখনো বকাবকি করছেন।
অথচ,
খেতে গিয়ে
দেখলো, সব ঠিক ঠাক,
লবণ এর পরিমানও ঠিকই আছে।
.
-- তাহলে?
.
অভ্র মুচকি হাসলো। খাওয়ার টেবিল
থেকে উঠে রান্না ঘরে যেয়ে তনুকে পিছন
থেকে জড়িয়ে ধরলো।
.
তনুর হঠাৎ চুপ হয়ে যায় ।
.
অভ্র কানে কানে আস্তে আস্তে বলে,
.
-- তুমি রাগ করো নাকো, আর এমনটা হবেনা,
আসো নাস্তা করবে।
তুমি না খেলে আমি কি করে খাই বল ?
.
রাগে অভিমানে ফুলে থাকা তনু অভ্রর দিকে তাকিয়ে বলে,
.
-- থাক! আর পিরিতি করতে হবেনা, বুড়ো হয়েছো,
তবুও তোমার ছেলে মানুষি গেলনা।
যাও, আসছি।
.
অভ্র চলে আসলো খাওয়ার টেবিলে,
তনুর ঠোঁটের কোনে কয়েক কোটি টাকার চেয়েও
দামি মিষ্টি একটা হাসি শোভা পায়।
.
বাকি রুটি গুলো শেকে খাওয়ার টেবিলে এসে দেখে,
অভ্র বসে আছে এখনো।
.
-- আচ্ছা, তুমি কি বলতো?
কখন নাস্তা দিয়ে গিয়েছি,
খাওনি কেন?
আজ অফিসে আবার দেরি হয়ে যাবে।
.
-- তোমার জন্য অপেক্ষা
করছিলাম।
.
-- বুঝেছি, বুঝেছি……খুব
বুঝেছি,
আর পাম মারতে হবেনা।
নাও খাও।
.
তনু আর অভ্র দুজনই নাস্তা শেষ করে।
.
অভ্র নিছক ভদ্রলোক, একেবারেই মাটির মানুষ।
তনুকে একটু বেশীই ভালবাসে।
আজ সকালের মত প্রতিদিনই এমনটা হয়।
তনু তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে পুরো বাড়ি মাথায়ে তোলে আর অভ্র
চুপ করে দেখেন।
.
তনুর এমন কান্ড-কারখানা তার মজাই লাগে।
অফিস শেষ করে অভ্র বাড়ি ফেরে।
.
তনুকে দেখে অভ্র বুঝেছে,
আজও মেয়েটা কেঁদেছে, চোখ দু’টো ফুলে আছে।
.
কিছুই বলেনা।
রাতে খাবারের পর নামায সেরে শোবার ঘরে এসে দেখে তনু
চুপ করে বসে আছে।
.
-- কি হয়েছে, তনু?
.
-- অণুর কথা ভাবছো?
“অণু”
নামটা শুনতেই অভ্রকে জড়িয়ে কেঁদে ওঠে।
তনু আর অভ্রর একমাত্র মেয়ে “অণু”।
.
আহ্লাদে মানুষ হলেও আর দশটা সাধারণ মেয়ের মতই বড় হয়েছে।
.
ক’দিন আগে Australia চলে গিয়েছে তার খালার ওখানে,ওনাদের
কোন সন্তান হয়না কিনা তাই।
মেয়ের কথাই বার বার মনে পড়ছে তনুর।
অভ্র, তনুর মাথায় হাত দিয়ে বলে,
.
-- তনু, আর তো ক’দিন
“অণু” ফিরে আসবে,
এভাবে মন খারাপ করে থাকলে কেমন লাগে বলো?
তনু চোখ মুছতে থাকে।
.
অভ্রর হাতে একটা ছোট Ice Creamএর বাক্স।
তনু Ice Cream খুব পছন্দ করে,
আর চকলেট ফ্লেভার তার সবচেয়ে প্রিয়। তনু অবাক হয়।
.
-- তুমি এটা কখন আনলে?অভ্র কিছু বলে না,
.
মুচকি হেসে বলে,
অফিস থেকে ফিরছি তখনি দেখি রাস্তার পাশে Ice Cream এর
দোকান। ব্যস, চট করে নিয়ে এলাম।
.
পূর্ণিমার আলোতে তনু অভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে।
মায়াবী চোখ দুটি অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠে।
ভালবাসার সিক্ত হৃদয়ে তনু বলে,
.
-- তুমি আমাকে এত্ত ভালবাসো?
.
-- চল, ঘুমাবে, অনেক রাত হয়েছে
.
তনুকে ঘুম পাড়িয়ে, রাতজাগা পাখি হয়ে অভ্র কলমের আচড়
কেটে যায়,
.
কাগজের গায়ে লেপ্টে থাকা কালি
যে অব্যক্ত বাণী প্রকাশের ব্যর্থ প্রচেষ্টায় লিপ্ত,
তা হয়তো তুমি বুঝবে না।
.
শুধুই আমার অন্তহীন হৃদয় অতলের বার্তা পৌঁছে দিতে চায়
তোমায়
কবি তার কবিতার পাতায় পাতায়,
যে বাণী লিখে যায়
তা হয়তো তুমি কখনো পড়বে না।।
.
তবু জেনে রেখো, সে শুধু তোমারই প্রসংশা।
আমার কবিতা লেখার এ হাস্যকর চেষ্টা
যে কথাটি মর্ম বুঝার সাধ্য হয়তো তোমার নেই,
তা হয়তো তোমার কাছে শুধুই হাস্যকর
তবু জেনে রেখো, কবিতাটি লেখা হয়েছে গভীর ভালোবাসায়।।
.
ভালোবাসি, বড্ড বেশিই ভালোবাসি তোমাকে
.
(তনু আর অভ্র দু’জন দু’জনকে যতটা না ভালবাসেন তার চেয়েও
বেশী সম্মান করেন।
ভালবাসার মাঝে বেঁচে থাকাই জীবনের সবচেয়ে বড়
স্বার্থকতা।
ভালবাসুন, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে আপন করে।)
.
-----------
অন্ধকার আকাশ্
----------

#অভ্র

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: বেশ পরিচ্ছন লেখা। ভাল লাগলো গল্পটা

১৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৩৩

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার মূল্যবান মন্তব্য দেয়ার জন্য.......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.