![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Do u know what is success.\nWhen ur signature becomes an autograph that\'s call success.
সারারাত লেখালেখি করে শেষ রাতের দিকে ঘুমিয়ে
সকালে ঘুম ভাঙতেই চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে দেরি হলোনা।
আর তাই বুঝতেও দেরি হলোনা,
যে চেঁচামেচিটা কাকে নিয়ে !!
.
কাল তনু লবণ আনতে বলেছিল, ভুলে গিয়েছিলো,
আর সকালে উঠেই তনু রান্না ঘরে গিয়েই তাই শুরু করে দিয়েছে ।
.
#অভ্র কিছু বুঝে উঠার আগেই তনুর হুঙ্কার,
.
-- আচ্ছা, কাল বাজারে
গিয়েছিলেন আপনি?
আপনাকে আমি কিছু আনতে বলেছিলাম,
আপনার কি মনে আছে?
.
-- ইয়ে মানে না মানে………
.
-- কি, বলেন?
.
-- আসলে আমার ভুল হয়ে
গিয়েছে।
.
-- না না, আপনার ভুল হবে
কেন?
ভুল আমারই। আপনাকে বাজার পাঠিয়ে, মস্ত ভুল করেছি আমি।
এরপর থেকে নিজেই বাজারে যাব আমি।
আপনাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা,
বেশ বুঝেছি আমি।
.
-- আসলে আমি দুঃখিত।
ভুল করে ফেলেছি। আর হবেনা।
.
-- নাহ, ঠিক আছে,
বেশ করেছেন।
এখন লবণ ছাড়া নাস্তা করেন।
আস্তে আস্তে হাত
মুখ ধুয়ে নাস্তার টেবিলে বসলো।
.
তনু লবণ নিয়ে এখনো বকাবকি করছেন।
অথচ,
খেতে গিয়ে
দেখলো, সব ঠিক ঠাক,
লবণ এর পরিমানও ঠিকই আছে।
.
-- তাহলে?
.
অভ্র মুচকি হাসলো। খাওয়ার টেবিল
থেকে উঠে রান্না ঘরে যেয়ে তনুকে পিছন
থেকে জড়িয়ে ধরলো।
.
তনুর হঠাৎ চুপ হয়ে যায় ।
.
অভ্র কানে কানে আস্তে আস্তে বলে,
.
-- তুমি রাগ করো নাকো, আর এমনটা হবেনা,
আসো নাস্তা করবে।
তুমি না খেলে আমি কি করে খাই বল ?
.
রাগে অভিমানে ফুলে থাকা তনু অভ্রর দিকে তাকিয়ে বলে,
.
-- থাক! আর পিরিতি করতে হবেনা, বুড়ো হয়েছো,
তবুও তোমার ছেলে মানুষি গেলনা।
যাও, আসছি।
.
অভ্র চলে আসলো খাওয়ার টেবিলে,
তনুর ঠোঁটের কোনে কয়েক কোটি টাকার চেয়েও
দামি মিষ্টি একটা হাসি শোভা পায়।
.
বাকি রুটি গুলো শেকে খাওয়ার টেবিলে এসে দেখে,
অভ্র বসে আছে এখনো।
.
-- আচ্ছা, তুমি কি বলতো?
কখন নাস্তা দিয়ে গিয়েছি,
খাওনি কেন?
আজ অফিসে আবার দেরি হয়ে যাবে।
.
-- তোমার জন্য অপেক্ষা
করছিলাম।
.
-- বুঝেছি, বুঝেছি……খুব
বুঝেছি,
আর পাম মারতে হবেনা।
নাও খাও।
.
তনু আর অভ্র দুজনই নাস্তা শেষ করে।
.
অভ্র নিছক ভদ্রলোক, একেবারেই মাটির মানুষ।
তনুকে একটু বেশীই ভালবাসে।
আজ সকালের মত প্রতিদিনই এমনটা হয়।
তনু তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে পুরো বাড়ি মাথায়ে তোলে আর অভ্র
চুপ করে দেখেন।
.
তনুর এমন কান্ড-কারখানা তার মজাই লাগে।
অফিস শেষ করে অভ্র বাড়ি ফেরে।
.
তনুকে দেখে অভ্র বুঝেছে,
আজও মেয়েটা কেঁদেছে, চোখ দু’টো ফুলে আছে।
.
কিছুই বলেনা।
রাতে খাবারের পর নামায সেরে শোবার ঘরে এসে দেখে তনু
চুপ করে বসে আছে।
.
-- কি হয়েছে, তনু?
.
-- অণুর কথা ভাবছো?
“অণু”
নামটা শুনতেই অভ্রকে জড়িয়ে কেঁদে ওঠে।
তনু আর অভ্রর একমাত্র মেয়ে “অণু”।
.
আহ্লাদে মানুষ হলেও আর দশটা সাধারণ মেয়ের মতই বড় হয়েছে।
.
ক’দিন আগে Australia চলে গিয়েছে তার খালার ওখানে,ওনাদের
কোন সন্তান হয়না কিনা তাই।
মেয়ের কথাই বার বার মনে পড়ছে তনুর।
অভ্র, তনুর মাথায় হাত দিয়ে বলে,
.
-- তনু, আর তো ক’দিন
“অণু” ফিরে আসবে,
এভাবে মন খারাপ করে থাকলে কেমন লাগে বলো?
তনু চোখ মুছতে থাকে।
.
অভ্রর হাতে একটা ছোট Ice Creamএর বাক্স।
তনু Ice Cream খুব পছন্দ করে,
আর চকলেট ফ্লেভার তার সবচেয়ে প্রিয়। তনু অবাক হয়।
.
-- তুমি এটা কখন আনলে?অভ্র কিছু বলে না,
.
মুচকি হেসে বলে,
অফিস থেকে ফিরছি তখনি দেখি রাস্তার পাশে Ice Cream এর
দোকান। ব্যস, চট করে নিয়ে এলাম।
.
পূর্ণিমার আলোতে তনু অভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে।
মায়াবী চোখ দুটি অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠে।
ভালবাসার সিক্ত হৃদয়ে তনু বলে,
.
-- তুমি আমাকে এত্ত ভালবাসো?
.
-- চল, ঘুমাবে, অনেক রাত হয়েছে
.
তনুকে ঘুম পাড়িয়ে, রাতজাগা পাখি হয়ে অভ্র কলমের আচড়
কেটে যায়,
.
কাগজের গায়ে লেপ্টে থাকা কালি
যে অব্যক্ত বাণী প্রকাশের ব্যর্থ প্রচেষ্টায় লিপ্ত,
তা হয়তো তুমি বুঝবে না।
.
শুধুই আমার অন্তহীন হৃদয় অতলের বার্তা পৌঁছে দিতে চায়
তোমায়
কবি তার কবিতার পাতায় পাতায়,
যে বাণী লিখে যায়
তা হয়তো তুমি কখনো পড়বে না।।
.
তবু জেনে রেখো, সে শুধু তোমারই প্রসংশা।
আমার কবিতা লেখার এ হাস্যকর চেষ্টা
যে কথাটি মর্ম বুঝার সাধ্য হয়তো তোমার নেই,
তা হয়তো তোমার কাছে শুধুই হাস্যকর
তবু জেনে রেখো, কবিতাটি লেখা হয়েছে গভীর ভালোবাসায়।।
.
ভালোবাসি, বড্ড বেশিই ভালোবাসি তোমাকে
.
(তনু আর অভ্র দু’জন দু’জনকে যতটা না ভালবাসেন তার চেয়েও
বেশী সম্মান করেন।
ভালবাসার মাঝে বেঁচে থাকাই জীবনের সবচেয়ে বড়
স্বার্থকতা।
ভালবাসুন, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে আপন করে।)
.
-----------
অন্ধকার আকাশ্
----------
#অভ্র
১৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৩৩
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার মূল্যবান মন্তব্য দেয়ার জন্য.......
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪৫
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: বেশ পরিচ্ছন লেখা। ভাল লাগলো গল্পটা