![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Do u know what is success.\nWhen ur signature becomes an autograph that\'s call success.
বাইরে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম,হঠাৎ করে ছোট বোনটা মোবাইলটা হাতে ধরিয়ে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে বললো,
-- ভাইয়া আজকে বাসায় যাসনে,সবাই তো তোর উপর রেগে আছে...!!!
.
-- কেনো রে, কি হয়েছে..??
-- মোবাইলের কললিষ্টটা একবার ঘেঁটে দেখ, মা দেখে ফেলেছে সবকিছু
.
বুকটা ধক করে উঠলো এবার নিয়ে তৃতীয় বারের মতন ধরা খেলো, মেয়েলি ব্যাপার। "আমি তো মেয়েদের জ্বালাইনা বরং মেয়েরাই আমাকে জ্বালায়"- এ স্লোগানেই এগিয়ে যাওয়া। #অভ্র আবার নারীদের ব্যাপারে বেশ স্পর্শকাতর। মানে নারীদের গন্ধ পেলেই তার সাথে ভাব জমানোর জন্য কাতর হয়ে পরে। বর্তমানে চার-চারটা গার্লফ্রেন্ড বর্তমান।
.
জীবনে লেখাপড়া শুরুর প্রথম বারই ধরা খায় স্কুলে, দ্বিতীয় বার কলেজে থাকতে। ডেটিং এর সময়। বলা বাহুল্য যে দু বার দু মেয়ের সাথে। প্রথমবার পাশের বাসার বুইজ্জা এবং পরেরবার পাশের বাসার আন্টি কিভাবে যেন দেখে ফেলে......। তারপর আর কি, মা কে বলে দেয়। মা হাতে নাতে ধরতে পারেন নি বলে কোনো কিছু বলেন নি। এরপর থেকে অবশ্য মা সন্দেহে চোখ-নাক কুঁচকে রাখতেন কিন্তু এবার তো পুরাই কট। কোন অলুকক্ষনে সময়ে যে বন্ধুর সাথে আড্ডা দেয়ার কথা ছিল.........তাড়াহুড়ো করে বেরোতে গিয়ে মোবাইলটাই টেবিলের উপর ফেলে এসেছিলাম.........
.
ব্যস! হাটে হাড়ি ভেঙ্গে চুরমার......! এক এর পর “মেয়ে বন্ধুদের’’আগমন বার্তা সাথে আবার কিছু কলও আসা শুরু হয়। মা ফোন ধরেন......রিসিভের সাথে সাথেই কেউ বলে, “জান কি কর?”... কেউ বলে, “কেমন আছে আমার দুস্টুটা?”...। এক জন তো ফোন করেই, “উমমমমমাহ!”........... আম্মা তো জায়গায় হার্টফিল,
.
আহারে,এমন রমনীমহলে ছেলের বিরাট জনপ্রিয়তা দেখে মা তো রীতিমত শিউরে উঠেন......। “নাহ..., ছেলে তো নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে......এখুনি কিছু একটা করা লাগবে নাহলে তো ছেলে না জানি কবে বংশের মুখে “চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি” ছিটিয়ে দিয়ে যায়...”। পরদিন বাসায় জরুরী সভা যা জাতীয় সংসদ নির্বাচন সভা থেকেও শ্বাসরুদ্ধকর...। আম্মুর কাছের এক বান্ধবী,খালামণি-মামা এসেছেন। মামাতো বলেই ফেললো, “ভাগনে,তুমি তো মিয়া বিরাট চালু...চোখে চশমা দাও বলে, দেখে তো মনে হয় ভাজা মাছটা উল্টায়াও খাইতে পার না......আর এক সাথে চার-চারটা.......!! এগুলোরে হ্যান্ডেল কর কেমনে? আমি তো জীবনে এ সর্বসাকুল্যে দুইটা প্রেম করসি......।’’ অভ্র বুঝে না যে এতে দোষের কি আছে। তবুও নিরব শ্রোতার মত শুনে যায়। কথার শেষ তীরের আশায় অপেক্ষায় থাকে।
.
সারাদিন রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হল যে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে দেয়া হবে। যেন ও লাইনে থাকে।
.
“ওমা!!! কি বলে এসব!! কেবল মাত্র ডিপ্লোমা ফাইনাল ইয়ারে এ আর এখনি বিয়ে!!! কি মুশকিল!!” -ভাবে অভ্র। বিপাকে পরে গেল বেচারা। এমন বিচার আশা করে নি স্বপ্নেও ।
.
এই সিদ্ধান্তের জনক বাবা তাই প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। উনি চরম বদরাগী ও ঘাড়ত্যাড়া পাবলিক। ছেলেটা ভ্যাম্পায়ার আর লাইকেনের মতই ভয় পায় লোকটাকে। চিন্তা করার চেয়ে তার কথা মেনে নেয়াই ভাল।
.
অনেক খোঁজা-খুঁজি করে দুদিন পর পাত্রীর নাম ঘোষনা করা হল। নুসরাত । মা’র বান্ধবীর খালাতো বোনের মেয়ে। ক্যান্টনমেন্টে পড়ে।
.
এহেন সিদ্ধান্তে বিরাট ক্ষুব্ধ অভ্র কিন্তু পরিবার পুরো উল্লাসিত দেখা যাচ্ছে। কোথাকার কোন মেয়ের সাথে সারাজীবন থাকা লাগবে চিনিনা,জানিনা- এমনটাই মনে মনে বলছিলো। অন্তত মেয়েটার সাথে কয়েকদিন ঘোরাফেরার সুযোগ দিত। তা না, ধুম করে বিয়ে,এটা কিছু হলো।
.
অবশেষে শত যল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিয়ে হল। বাসর রাত। বন্ধুরা বলেছে বেড়াল মারতে। ওমা! ও কি বেড়াল মারবে! ঘরে ঢুকেই ওই বেড়াল হয়ে যায়। ঘরে ঢুকে দেখে যে নতুন বউ ঘরের মাঝখানে কোমরে দুই হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে। একেবারে যাকে বলে রুদ্রমূর্তি পুরো হিন্দুদের দেবী দুর্গার মত......। অভ্র কিছু বলার আগেই নুসরাত বলে, “দেখো আমি তোমার সম্পর্কে সব শুনসি......তুমি যে খুবই লুইচ্চা একটা ছেলে......আমাদের পরিবারটা যদি হঠাৎ বিপর্যয়ে না পড়তো তাহলে তোমার মত বড়লোকের লুইচ্চা ছেলেকে জীবনেও বিয়ে করতাম না...। যতদিন না এইসব লুইচ্চামি ছাড়বা ততদিন আমার সাথে স্বামীগিরি ফলাইতে আসবা না......।’’
.
হতবম্ব হয়ে কথাগুলো শোনে অভ্র। কি বলে এই মেয়ে...! ও লুইচ্চা...! তাও আবার ওর ঘরে দাড়িয়ে...! ঘটনার আকস্মিকতায় আর কিছু বলতে পারেনা ও পুরো বাকরুদ্ধ।
.
বিছানা থেকে একটা বালিশ নিয়ে অভ্রের হাতে ধরিয়ে দিয়ে নুসরাত বলে- ‘নিচে শোও,কোন কথা বলবা না’।
.
হঠাৎ এমন নির্দয় ব্যাবহারে মনে হয় যে ঘর থেকে বের হয়ে যায় কিন্তু বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে অনেক মানুষ। লোকে কি বলবে এই ভেবে বালিশটা নিয়ে চুপচাপ নিচেই শুয়ে পড়ে......মনে মনে বললো,কোলবালিশটাও দিলোনা, কি মেয়েরা বাবা।।
.
এভাবেই কয়েকদিন কেটে যায়......পারতপক্ষে নুসরাত কে অনেকটা এড়িয়ে চলে অভ্র। সামান্য কথা হয় কিন্তু কি তেজ রে বাবা! আরে এতই যদি তাকে অপছন্দ তাহলে বিয়েতে কে তাকে রাজি হতে বলেছে- চিন্তা করে ছেলেটা। মেজাজ সবসময় খিটখিটে। কোন সময় মানুষের সামনে কোন কথা বলে ফেলে- এই জন্য ও বেশ ভয়ই পায় নুসরাতকে। ওর মুখে কি ওর মা বাবা মধু দেয়নি-ভাবে ও। অথচ ওর গার্লফ্রেন্ডগুলো কি সুন্দর করে কথা বলে......আহা! শুনলেই জানটা ভরে যায়।
.
সপ্তাহখানেক পরের কথা।
.
অভ্রের মন খুব খারাপ। ওর গার্লফ্রেন্ডগুলা কিভাবে যেন ওর বিয়ের কথা জেনে গেছে। দুটো অবশ্য এখনই চম্পট দিয়েছে। ক্লাসের সুন্দরী নিহারিকাও এখন আর চোখাচোখি করে না। এদের মধ্যে সবচেয়ে পুরানো মুন। ওর জন্যই সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে। মুনও কেমন যেন হয়ে গেছে। বিয়ের ঝামেলার মধ্যে ওর সাথে ঠিকমত কথা না বলায় বিশাল একটা ফাঁকা তৈরি হয়ে গেছে। ইদানিং মুনের ফোন খালি ব্যাস্ত থাকে। কোথাকার কোন হিমাশিশ ফিদাতো না ধাতুর সাথে নাকি কথা বলে। এটাও আঁচ পাওয়া যাচ্ছে চলে যাবে, অভিঙ্গতা তো আর কম হয় নি। ব্যাপক মন খারাপ ওর। যে ছেলে মেয়েদের কাছে রীতিমত সাড়া জাগানোর ব্যাপার ছিল সেই কিনা আজ পান্তাভাত.............।।
.
আজ ক্লাস শেষে আর বাসায় ফেরে না অভ্র। বন্ধুর বাসায় চলে যায়। মোবাইল বন্ধ করে সারাদিন ওখানে আড্ডা দিয়েই পার করে দেয়। রাতে একেবারে খেয়েদেয়ে বাসায় ফেরে। প্রায় ১২ টা বেজে ত্রিশ মিনিট। কলিংবেল চাপে। মা’র বড়সড় ঝাড়িমূলক লেকচার শোনার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নেয়।
.
কিন্তু দরজা খোলে নুসরাত। খুলেই ব্যাপক ঝাড়ি। “মোবাইল বন্ধ ক্যান তোমার? কই ছিলা সারাদিন? জানো মা কত চিন্তা করতেসে!’’
.
অভ্র একটু নরম সুরেই বলে...........‘দেখো আমার মনটা খুব খারাপ, প্লিজ বকাঝকা কোরো না। তোমার রাগ করা চেহারা দেখলে না তোমাকে ফুলন দেবী’র মত লাগে।’’
.
কথাটা শুনেই নুসরাত মুচকি হেসে দেয় কিন্তু পরক্ষণেই অগ্নিমূর্তি ধারণ করে।
.
হঠাৎ করে অভ্রের মেরুদন্ড বেঁয়ে যেনো ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়............এত্ত সুন্দর ওর হাসি!!! নুসরাত কে কখনও ওর সামনে হাসতে দেখে নি অভ্র। হঠাৎ খেয়াল করে যে, আজ নুসরাত নীল শাড়ী পড়েছে। চুল ছাড়া,বুঝল ভেজা। মনে হয় গোসল করেছে। ওর রাতে গোসল করার অভ্যাস আছে। ‘কিন্তু নুসরাতকে আজ এত সুন্দর লাগছে কেনো.........??’
.
“তাড়াতাড়ি ভেতরে আস’’- নুসরাতের কথায় ঘোর কাঁটে অভ্রের।
.
ভেতরে ঢুকে দেখে ঘর মোটামুটি অন্ধকার। উপলদ্বি করলো সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে।
.
বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখে যে ডাইনিং এর লাইট জ্বলছে। গিয়ে দেখে নুসরাত বসে আছে। দুটো প্লেট দেখে অভ্র বলে, -তুমি খাও নি?
.
-না । বসো, খেয়ে নাও।
.
অভ্রের পেট ভরা। তাও খেতে ইচ্ছে করে। নুসরাত ওর প্লেটে ভাত তুলে দেয়।
.
-- এই জিনিষটা ও নাটক-সিনেমা এবং ওর মা’কে ওর বাবার জন্য করতে দেখেছে............।
.
অভ্র অবাক হয়ে উদ্ধত এই ডানাকাটা নীলপরির মত মেয়েটার অবনত আর স্নিগ্ধ রুপ দেখে.........।
.
একটু একটু করে বেশ খানিকটাই খায় আর আড়চোখে নুসরাতকে দেখে । মেয়েটার চোখে অনেক কিছু আছে। একদম অন্যরকম মেয়েটা। নুসরাতের প্রতি ওর চেপে থাকা ভয়টা অনেকটাই কেটে যায়।
.
অভ্রের খাওয়া শেষ। নুসরাতের একটু বাকি।
.
পুরো বাড়ি নিরব। অভ্র নিরবতা ভাঙ্গে।
.
-- নুসরাত, তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড হবা...?
.
একটু বিরতি......অভ্র ঠোট কামড়ে বসে থাকে...কি বললো এটা,পুরো মাঠে মারা অবস্থা।
.
প্লেটের দিকে তাকিয়েই নুসরাত বলে, ‘হতে পারি এক শর্তে......’
.
-কি ??
.
-‘আমি কিন্তু আমার বয়ফ্রেন্ডকে কারো সাথে শেয়ার করতে পারব না......।।’ বলেই নুসরাত আবার হেসে ফেলে।
.
-ইয়েস !!!!
.
উচ্ছ্বসিত অভ্র...।। এমন গার্লফ্রেন্ড একটা হলেই তো চলে.........।।।
.
সত্যিই তো-- লাইফ ইয সো লুমান্টিক..!!!!!
.
---------
অন্ধকার আকাশ্
--------
#অভ্র
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৪৮
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: হি হি হি
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন:
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন:
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৮
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: পুরাই লুল!
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: জ্বি ভাই, হে হে হে
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬
মোঃ তানজীম বলেছেন: অসাধারন হইছে ভাইয়া ... অনুমতি দিলে আমার একটা পেজে আপনার কার্টেছি দিয়ে পোষ্ট করে দেই ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: তা ঠিক আছে,লিংকটা দিয়েন কষ্ট করে
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৮
অহন_৮০ বলেছেন: অসাধারন হইছে
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভালো| কিন্তু বস, একটা কথা বুঝলাম না| গল্পের নায়িকারা সবসময় নীল শাড়ি পড়ে কেন?
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: আরে ভাই বুঝলা না, নীল মানেই ভালো বাসার ভালো রং........হি হি হি
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০২
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: