![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Do u know what is success.\nWhen ur signature becomes an autograph that\'s call success.
মাঝে মাঝে বন্ধুদের চার-পাঁচটে গার্লফ্রেন্ডের কথা শুনে খুব হিংসে হতো, নিজের একটাও নেই কিনা তাই। জীবনে কোনদিন প্রেম করিনি, তাই মনের গহীন কোণে একটা চাঁপা দুঃখ নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম।
.
সারাদিন কোন কাজ থাকত না বলে ফেসবুকে জোঁকের মত পড়ে থাকতাম। নিজের চেহেরাটা নিজের কাছেই খুব খারাপ লাগতো তাই ভাল
ভাবে মানিয়ে নিতে পারতামনা বলে
নিজের মুখটা হাত দিয়ে ঢেকেই প্রোফাইল পিকচার দিতাম।মাঝে মাঝে পরিচিত-অপরিচিত মেয়েদের সাথে চ্যাট করতাম। কিন্তু
সেটা হাই-হ্যালো থেকে বড়জোর কেমন আছেন,পর্যন্ত গিয়ে থেমে যেত।
স্ট্যাটাসও তেমন দিতে পারতাম না।
তাই অন্যের স্ট্যাটাসে লাইক দিয়ে ভার্চুয়াল ফেবু লাইফটা পার করতাম।
.
একদিন একটা গল্প নিজের স্ট্যাটাসে পোষ্ট করি। সপ্তাহ
খানেক পার হওয়ার পরও যেখানে লাইক ছিল মাত্র দশটা।
ভাবছিলাম আর ফেবুতে আসবনা।
চিরতরে বিদায় নেব এই জগত থেকে। কিন্তু হঠাৎ এক মেয়ে ইনবক্সে নক করে বলল, আপনার
লেখা কবিতাটা অনেক সুন্দর হয়েছে।যাক শান্তি পেলাম,কারণ এই প্রথম কোন মেয়ে আমার প্রসংশা করলো।তার প্রোফাইল-
নামটা ছিলো অনেক সুন্দর, “বাকশূণ্য রাজকণ্যা”
। প্রোফাইল পিকচারে ছিল
স্নো-হোয়াইটের ছবি। যাই হোক, তাকে ধন্যবাদ জানালাম।
সেই থেকে রোজ চ্যাট হত। চ্যাট
করতে করতে কবে যে রাত শেষ হয়ে যেত টেরই পেতাম না।
ধীরে ধীরে আমাদের বন্ধুত্বটা গাঢ়
হয়।আমিও তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি।কিন্তু সাহসের অভাবে সেটা আর বলা হয়ে উঠে নি।
মেয়েটা আমাকে ফ্রেন্ড হিসেবে শাসন করত, তার কষ্টের কথা শেয়ার করত। আমিও যতদূর পারি সাহায্যের চেষ্টা করতাম।জীবনের প্রথম নারী সঙ্গ ভালই উপভোগ
করছিলাম।
.
একদিন বিকেলে আমি বাসে করে ক্যাম্পাস
থেকে ফিরছিলাম।আমার পাশে সিটটা ফাঁকা ছিল, এক মেয়ে বাসে উঠে আমার পাশে বসল।
পরণে কালো ড্রেস, কানে ছোট দুল,
ঠোঁটে বিরক্তির চিহ্ন। প্রথম দেখাতে অনেক ভাল লাগল।
বাস জ্যামে আঁটকে আছে।
বসে থাকতে থাকতে বোরিং চলে এসেছে। পাশের মেয়েটা দেখি
মোবাইলে কি যেন করছে। আঁড়
চোখে খেয়াল করলাম ফেসবুক ইউজ করছে। আমিও আমার সাধের ওয়াল্টন মোবাইলটা থেকে লগ ইন করলাম।
চ্যাটে দেখি "বাকশূণ্য রাজকুমারী " অন-লাইনে আছে। আমি নক করার আগেই সে আমাকে নক করল।
.
-- কি করছো?
-- বিষাক্ত গরম হাওয়া খাচ্ছি। তুমি?
-- আর বলো না, মেজাজটা পুরাই
খারাপ।
-- কেন? কি হয়েছে?
-- পুরো এক ঘন্টা জ্যামে আঁটকে আছি।
-- এটা আর এমন কি আমিও
জ্যামে আঁটকে হাওয়া খাচ্ছি। (পার্ট
নেবার জন্যে বললাম, যদিও
আমার মেজাজটা অনেক খারাপ
ছিল।)
-- জ্যামে বসে মানুষ মজা পায়???
-- হুম, তবে জ্যামের কারণে নয়, আমার পাশে একটা সুন্দরী মেয়ে বসে থাকার কারণে।
-- মেয়ে?তুমি মেয়ে নিয়ে ঘুরতেছো?
-- আরে না, অপরিচিত।তোমার
আশেপাশে কি কেউ নেই?
-- আছে, বাসের মধ্যে অনেকেই আছে।
তোমার মত আমার পাশেও একটা ছেলে বসে আছে।
-- ছেলে?
তুমি ছেলে নিয়ে ঘুরছো?
-- এই ভাল হবে না কিন্তু, আমার
কথা আমাকে ব্যাক দিচ্ছ কেন?
-- সরি, ফাজলামো করলাম।
-- ওকে, মাফ করলাম।
-- তা তোমার এখন কোথায়
যাওয়া হচ্ছে?
-- জি.ই.সি-র মোড়ের জ্যামে আঁটকে আছি, মনে হয় না কোথাও যেতে পারব।
(আমি জি.ই.সি-র মোড়েই ছিলাম। তাই মনে আশার সঞ্চার হল,যদি তার দেখা পাই)
-- আচ্ছা, তুমি কোন বাসে আছ?
-- #দশ_নাম্বার বাসে। কেন?
(আমিও দশ নাম্বারেই ছিলাম।
কেন জানি
মনে হল “বাকশূণ্য রাজকন্যা” নামের সেই মেয়েটি আমার আশেপাশেই আছে।)
-- আচ্ছা,তুমি কি ধরণের ড্রেস পড়েছ?
-- কালো। কেন?
(আশে পাশে তাকিয়ে দেখি বাসে
অনেক মেয়ে।কিন্তু কারো পাশেই
ছেলে বসা নেই।শুধুমাত্র আমার
পাশেই একটা মেয়ে বসে আছে।
এবং কালো ড্রেস।মনে
মনে নিশ্চিত হলাম। আরো নিশ্চিত
হবার জন্যে আড় চোখে তার মোবাইলের দিকে থাকানোর চেষ্টা করলাম।
কয়েবার ব্যর্থ হবার পর দেখলাম ওর ফেসবুক চ্যাটে আমার
নাম।তার মানে??? এই সেই "বাকশূণ্য রাজকন্যা"।)
-- না,এমনি জিজ্ঞেস করলাম।
আচ্ছা,তোমার পাশে বসা ছেলেটা দেখতে কেমন?
-- ধুর, ঐ মেন্টাল্টার কথা আর
বলো না।চোখে বড় বড় দুইটা চশমা,গায়ে ব্লু টি-শার্ট আর
জিন্স-প্যান্টে কি অদ্ভুত যে লাগতেছে তাকে,তুমি না দেখলে বুঝেই পারবে না।
(মনে মনে ভাবছি এ
যে আমার সামনে আমারই বদনাম
করা হচ্ছে)
-- ওকে কি তোমার ভাল লেগেছে?
-- আরে ধুর, রাস্তায় যাকে তাকে দেখলেই কি ভাল লেগে যায়?
(আমি রিপ্লে না দিয়ে লগ আউট করি।
পরে মেয়েটার সাথে কথা বলার
চেষ্টা করি।বেশ কয়েক বার প্রশ্ন করার পরও মেয়েটি কোন উত্তর দেয় না। অবশেষে হতাশ হয়ে ফেবুতে ঢুকে দেখি আরো ১টা রিপ্লে।)
-- জানো,ছেলেটা কেমন ফাজিল, আমার সাথে বেহায়ার মত কথা বলতে চাইছে।
-- তুমি কথা বললেই পারতে।
এরপর আর রিপ্লে আসছে না।
(মনে মনে ভাবলাম,সে বোধহয় আমার সাথে কথা বলবে।
কিন্তু তা না করে মনমরা হয়ে বসে আছে।)
আমি কিছু বুঝতে পারলাম না।তাই
মেয়েটিকে জিজ্ঞেস
করলাম, আপু আপনার কি মন খারাপ?
সে কোন উত্তর দিল না।
দেখতে দেখতে লালখান বাজারের বাসস্টপ চলে এলো।
মেয়েটি নেমে গেল। আমার বাসস্টপ ছিল পরেরটা টাইগারপাস । কিন্তু আমি মেয়েটার ঠিকানা জানার
জন্যে পিছু নিলাম।কিছুদুর গিয়ে একটা বাসায় প্রবেশ করল।আমি বাসার ঠিকানা নোট করে চলে এলাম।
রাতে বিছানায় শুয়ে চিন্তা করছিলাম আজ তাকে প্রপোজ করব।যেই ভাবা সেই কাজ,ফেবুতে ঢুকেই
তাকে নক করলাম।কিছুক্ষণ চ্যাটের পর বললাম ভালবাসি।কিন্তু
সে রাজি না।অনেক বুঝানোর
চেষ্টা করলাম। কিন্তু তার একটাই
কথা, হবে না।
.
পরেরদিন বিকালে বিস্তারিত জানার জন্যে ওর বাসার দিকে রওনা দিলাম।
বড় চশমাটা রেখে এসেছি।চুল গুলোও ঠিক করেছি,
যাতে অনেকটা মানুষের মত লাগে।
বাসার কাছাকাছি এসেই দেখি তাদের
বাসায় প্রচুর লোকজন আর লাল-নীল বাতি দিয়ে খুব সুন্দর করে বিয়ে বাড়ির মত সাজানো।
মনে মনে অজানা ভয়ের আশাঙ্কায় শঙ্খ দানা বাঁধল, “বাকশূণ্য রাজকন্যার” বিয়ে নয় তো?তড়িঘড়ি করে ওদের বাসায় প্রবেশ করলাম।
.
অপরিচিত হলেও
কেউ বাধা দিল না।পাশের একজন
বয়স্ক লোককে জিজ্ঞেস করলাম, কার বিয়ে?বলল,আমাদের ছোট
মেয়ের।
তার মানে এই বাড়িতে আর কোন
ছোট মেয়ে নেই।
আবার সেই হতাশা।"বাকশূন্য রাজকুমারী "ই বোধহয় এ বাড়ির ছোট মেয়ে।তাই হতাশ হয়ে ফিরে যাব এই মুহুর্তে দেখলাম কনের পাশে মেহেদী রাঙ্গা হাতে নীল শাড়ি পড়ে বসে আছে।
.
মনে কিছুটা আশার সঞ্চার
হল।এবার অন্য পাশের জনকে জিজ্ঞেস করলাম,
.
-- কনের পাশে বসা মেয়েটা.কে?
-- সে কনের চাচাতো বোন।
-- তার কোথায় বিয়ে হয়েছে?
-- তার বিয়ে হয় নি।
(আমি আকাশ থেকে পড়লাম।প্রচন্ড বিস্ময় নিয়ে বললাম।)
-- কেন???
-- কেন আপনি জানেন না? ও
তো কথা বলতে পারে না। বারবার বিয়ের প্রস্তাব আসে,কিন্তু
বোবা মেয়ে বলে সবাই ফিরে যায়।
.
তাই এইবার ওর বাবা অনেকটা বাধ্য হয়ে ছোট মেয়েটাকে বিয়ে দিচ্ছেন।
হয়ত উনি আরো কিছু বলতেন কিন্তু
আমি তা না শুনে ধীরে ধীরে হাটতে শুরু করেছি।আর ভাবছি-
একটি মেয়ে যে কিনা ভার্চুয়াল
জগতে
আমার সাথে সব ধরনের মনের ভাব
প্রকাশ করেছে।কিন্তু বাস্তব জগতে তার মনের ভাব প্রকাশের শক্তি নেই।ফেবু-চ্যাটের মাধ্যমে যে আমার সাথে রাতের পর রাত
কথা বলেছে।সে বাস্তবে কারো সাথে কথা বলতে পারছে না।
.
সত্যিই পৃথিবীটা অনেক বিচিত্র ,অনেক নির্মম।
ইশশ..মেয়েটার নামটাই তো জানা হল না।
যাক ব্যাপার না,কাল আবার আসবো।
তবে একা নয়, বাবা-মা কে সাথে নিয়ে। সাথে কিছু মিষ্টি হলে কেমন হয়?
------
অন্ধকার আকাশ্
-------
#অভ্র
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪১
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন:
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: প্রত্যাশা রইলো রাজকুমারী এবার তার রাজকুমারকে খুঁজে পাবে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: সেকেন্ড পার্ট নিয়ে চিন্তিত আছি....m/
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৪
বটের ফল বলেছেন: সরল ভাষায় সোজা কথায় ছোট বাক্যে চমৎকার প্রকাশ। ভালো লেগেছে অনেক বেশি। ++++++++
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২১
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: আরো বেশি +++ আশা করছিলাম ....হি হি হি
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৮
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান। বোবার শত্রু নেই। আপনার বাকশুন্য রাজকন্যাকে নিয়ে আশাকরি ভালো থাকবেন আজীবন।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২২
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: হা হা হা.....
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে, আমি গল্পটা ফেসবুকে আগে কোথাও পড়েছি।
আমি নিশ্চিত আমি পড়েছি। লেখাটা কি আপনার?
আপনার হলেও অন্য কেউ কপি করে দিতে পারে?
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:০৭
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন:
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1607185299521793&id=100006910152854&refid=17&_ft_
জ্বি, পর্যাপ্ত এমবি না থাকায় ব্লগে আসতে পারি নি ,কপিতো অনেক হয়েছে। অবশ্য #ট্যাগের সার্থকতা এ যাত্রায় পেয়েছি
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
যাক রাজকুমার আর রাজকুমারীর মিলন শেষ পর্যন্ত হচ্ছে।
গল্প পাঠে ভাল লাগা।++++
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩২
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: ইনশাল্লাহ, সেকেন্ড পার্ট ইজ ইন নিউরন খামিং সুন....হা হা হা
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভালো লাগলো, বিষাদের প্রেমগাঁথা