![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Do u know what is success.\nWhen ur signature becomes an autograph that\'s call success.
খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠেছিলাম, আজ একটু বাইরে বেড়োবো। সকাল থেকেই আকাশটা কেমন যেন মেঘলাচ্ছন্ন..!!!! চারপাশের পরিবেশটা কেমন যেন ঠান্ডা বাতাসে ছেয়ে আছে..!!! এ অবস্থায় জিইসি মোড়ের বি.টি কোচিং সেন্টারের সামনে থেকে সেন্ট্রালের মোড় পর্যন্ত জ্যামে রিক্সায় বসে আছি। ভ্যাপসা গরম।
.
অনেকক্ষণ ধরে পাশে বসা একজন মহারাণী অধরা বিরক্তিভরা মুখ করে তার পার্সে কি যেন খুঁজে ফিরছে। মনে হয় টিস্যু। তার
কপাল, নাক ঠোঁটে বিন্দু বিন্দু ঘাম। আমি আমার
হাতের রুমাল এগিয়ে দিলাম।
.
-- লাগবেনা তোমার এমন পঁচা ঘন্ধযুক্ত রুমাল।
-- মুছে দিচ্ছি দেখি
-- আজিব ব্যাপার! অন্যের রুমাল ইউজ করব কেনো আমি?
-- কিহ,আমি অন্য?
-- তাই বলে কি তোমার রুমাল শেয়ার করতে হবে নাকি?"
.
আমি কিছু বললাম না ওর নিষ্ঠুর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম,মেয়েরা এমন নিষ্ঠুর হয় কি করে..??? হঠাৎ রাস্তার পাশের টং এর দোকানগুলোর দিকে চোখ পড়তেই রিক্সা থেকে নেমে গেলাম।
ফুটপাথের উপর চাকা লাগানো দোকান। বসুন্ধরা পকেট
টিস্যুও দেখা যাচ্ছে। দুইটা গোল্ড-লীফও নিলাম।
একটা ছোট পানির বোতলও। বিল পে করার সময় দোকানদার ছেলেটা কেমন যেন করে দেখছে আমাকে, মনে হচ্ছে গিলে খেয়ে ফেলতে চাচ্ছে পাত্তা দিলাম না।
আমি রিক্সার উঠে মনের সুখে সিগ্যারেট টানছি আর ধোঁ।
.
অধরা যত্ন করে ঘাম মুছছে। আমার হঠাৎ ওর দিকে চোখ পড়তেই
মনে হলো, টিস্যুগুলো না কিনে দিলেই মনে হয় ভাল হতো।
তার ফর্সা চিবুকে আর নাকের উপর ঘামের বিন্দু গুলো মুক্তোর
মত লাগছিলো,যার সৌন্দর্য আমাকে চুম্বকের মত আকর্ষণ করছিলো ।
.
আকাশের দিকে তাকালাম সেন্ট্রালের ছাদের ঐ কোণার দিকটার ওয়েল-ফুডের ঐ পাশে আকাশের কোনায় ঘন-কালো মেঘ জমেছে।
আমি শেষ হয়ে যাওয়া সিগারেটটা দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিতে দিতে বললাম,
"মে বি, বৃষ্টি আসবে"
.
-- তোমার মাথা আসবে। ঘেমে টেমে শেষ আর উনি বলছে বৃষ্টি আসবে...হুহ্ঔ
-- মিলিয়ে নিও আমি অল্প করে মুচকি হাসলাম। জ্যাম ছেড়ে দিচ্ছে মনে হয়।
.
ইউনোস্কের সামনের রাস্তাটা প্রায় খালি। ঝুম বৃষ্টি নেমেছে।
অধরা ইতোমধ্যে চেচাঁমেচি শুরু করে দিয়েছে, রিক্সা ওয়ালার
কাছে পলিথিনও নাই। রিক্সার হুড উঠিয়ে কোনো লাভ
হচ্ছে না। বৃষ্টির অদ্ভুত ছাঁটে দুইজনেই
ভিজে যাচ্ছি। নাহ, হুড উঠিয়ে লাভ তো হয়েছে।
অধরাকে এক হাতে জড়িয়ে ধরেছি। তার
গায়ের পারফিউমের কড়া ঘ্রাণ আর বৃষ্টির ঘ্রাণ
মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। তার ঠোঁট চুঁইয়ে ফোটা ফোটা
পানি পড়ছে। বর্ণনাতীত
ভাললাগার একটা দৃশ্য।
.
অধরা হঠাৎ যেন বিরক্ত হয়ে হুড টেনে নামিয়ে দিলো। আমি মুচকি
হেসে ফেললাম।
.
-- এমনিতেই তো ভিজছি,আর কি হবে; তার মুখে কৃত্রিম বিরক্তি।
-- হুম,সেটাই। তোমার চোখের কাজল ধুয়ে গেছে।
-- যাক। বলে সে দুহাত
বাড়িয়ে আজলা ভরে পানি নিয়ে মুখে দিল।
.
রিক্সাওয়ালা একবার পিছনে ফিরে তাকালো মনে হয়,সেও হয়তো এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভাগিদার হতে চাচ্ছিলো।
তার চোখে নিখাঁদ বিস্ময়।
নোংরা, ধোঁয়া ধূসর
শহরটাকে বৃষ্টি এসে মাঝে মাঝে ধুয়ে দিয়ে যায়।
কারেন্টের তারের উপর বসে থাকা ভেজা পাঁতিকাক
গুলোকেও কেন জানি খুব আপন লাগে।রাস্তার পাশের গাছগুলোও মনে হয় শুষ্ক মরুময়তা কাটিয়ে একটু জীবন ফিরে পায়, সজীব আর প্রাণবন্ত হয়ে উঠে ।
.
কিন্তু আমার মনে হচ্ছে বৃষ্টি ভেজা শহরে আমি এক স্নিগ্ধ
নীলাবতীকে পাশে নিয়ে রিক্সায় ঘুরে বেড়ানোর কি যে অপার আনন্দ সেটা বলে বোঝানো যাবেনা।
.
আকাশের বুক থেকে ঝরে পড়া অশ্রুফোঁটা গুলো অদ্ভুত
কারণে আমাদের স্পর্শ করতে পারেনা কারণ ভালোবাসা নামক জিনিসটাকে কোনোদিনও বেধে রাখতে নেই,
খোলা আকাশে উড়িয়ে দিতে হয়,
যাতে সে অনেকটা জায়গা নিয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারে...!!
.
অপেক্ষায় আছি এমন একজন অধরার...????
--------
অন্ধকার আকাশ্
-------
#অভ্র
১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৩১
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: হুম,চাচ্ছি ভালো লাগার মতই কিছু নিয়ে আসতে...
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভালো লাগল।
নামটা ভুল হয়ে গেছে, "পিচঢালা" হবে
১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২০
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: হুম, কিন্তু কনফিউশনে ছিলাম, রিদমিকে এটা সাজেষ্ট করেছিলো তাই দিয়ে দিয়েছিলাম... ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৩
বটের ফল বলেছেন: ভালো লাগলো।