নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে আর কি লিখবো, অন্যেরা যা ভাবছে তা-ই শেয়ার করবো...
জীবনটা হচ্ছে মানিয়ে চলার খেলা। সবার সাথে মানিয়ে নাও। তুমি মানিয়ে নিতে পারলে না, তো পিছিয়ে যাও। কিন্তু এই মানিয়ে নেওয়ার খেলায় সবার জন্য প্লেয়িং ফিল্ড সমান হয় না। কেউ তালগাছ হাতে নিয়ে বলবে তালগাছটা আমার। তুমি মেনে নাও। তখন হয়তো তালগাছ নিয়ে কুরুক্ষেত্র বেধে যাবে।
-কী! তালগাছটা তোমার? কক্ষনোই নয়। এটা আমার বৈবাহিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি।
-অসম্ভব! এ হতেই পারে না। তালগাছ অবশ্যই আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি।
-উহু, তোমার বাবা এ তালগাছটা লাগান নি। তিনি আরেকজনের কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছেন।
-হুমম, আমারও জানা আছে তোমার স্বামী এ তালগাছটাই ডাকাতি করে নিয়ে গেছেন।
-তোমার বাবাকে তালগাছের জনক বলে গ্রামবাসী মানে না। তাই তালগাছ তোমার হতে পারে না।
-তোমার স্বামীকেও তো কেউ তালগাছের মালিক বলে মনে করে না। তুমি পুরো গ্রামবাসীকে জিজ্ঞেস করে দেখ?
-দেখ, তালগাছ আমার। এটা উত্তরাধিকার সূত্রে আমার সম্পত্তি। এর তাল আমি খাব। আমার উত্তরসূরিরা খাবে। আমার অনুসারীরা খাবে। গ্রামবাসীকে আমি কেন জিজ্ঞেস করতে যাব?
-দাঁড়াও! তোমাকে আমি তালগাছ খাওয়াচ্ছি! দা, কাঁচি নিয়ে আমি তালগাছের ডালপালা সব ছেঁটে দেবো।
-কী! এতবড় দুঃসাহস! আমি লগি বৈঠা দিয়ে তোমার হাত পা থেতলে দেবো। তালগাছের গায়ে হাত দিলে তোমার আর রক্ষা নাই।
-আমাকে ভয় দেখিও না। আমি কোনো কিছুতে আপোষ করি না। গ্রামবাসী সবাই আমাকে ডাকে আপোষহীন বধু। আমার তালগাছ আমার। এ ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ আপোষহীন। আমি গ্রামবাসীকে নিয়ে পিটিয়ে তোমাকে গ্রামছাড়া করবো।
-ওও, আমাকে ভয় দেখনো হচ্ছে। তুমি আপোষহীন হলে আমি আন্দোলনে তুলনাহীন। এর আগেরবার যখন আমার বাবার লাগানো তালগাছ জোর করে দখল করে খাচ্ছিলে গ্রামবাসীকে নিয়ে তোমাকে উচ্ছেদ করেছিলাম, সে কথা মনে নেই?
-বেশ বেশ! সেই গ্রামবাসীকে নিয়েই তো তোমাকে আমিও উচ্ছেদ করেছিলাম। এই গ্রামবাসী আমার পক্ষে এবং এই তালগাছের পক্ষে।
-আরে যাহ! বললেই হলো। সব গ্রামবাসী আমার পক্ষে। এরা সবাই আমার বাবার লাগানো তাল খেয়েছে। কচি শাঁস খেয়েছে। তালের রস দিয়ে পিঠা বানিয়ে খেয়েছে। গ্রামে ষোলশ মানুষ আছে। সবাইকে জিজ্ঞেস করে দেখ।
-এই ষোলশ গ্রামবাসীর প্রত্যেকেই আমার স্বামীর কথা বলবে। তাঁর নিজ হাতে পরিচর্যা করা এই তালগাছের প্রতিটি ডাল-পাতা তাঁর জয়গান গাইবে। সুতরাং আমি এর দখল ছাড়তে পারি না কোনোমতেই।
-ঠিক আছে! সব গ্রামবাসীই যদি তোমার পক্ষে হয় তাহলে ডাকো সব গ্রামবাসীকে। তালগাছটা আমি আমার হাতেই রাখলাম।
-এই যদি তোমার মনে ছিল, ঠিক আছে আমিও দেখে নেবো। আমি পুরো গ্রাম ঘেরাও করে রাখবো। তালগাছের চারদিকে হরতাল বসাব। তুমি তালগাছের একটা ডাল-পাতা নিয়েও বেরুতে পারবে না।
-ঠিক আছে। তোমার যা খুশী কর। আমি তালগাছের চারিদিকে বন্ধুকধারী পাহারা বসাব। তালগাছের কাছে ধারে কেউ ভিড়তে পারবে না। সামনে এগুলেই ঠুস!
-তোমার বন্দুক আছে, আমাকে তুমি বন্ধুকের ভয় দেখাচ্ছ। আমার গ্রামের সীমানা দিয়ে তুমি কিভাবে বেরোও তা আমি দেখে নেবো। গ্রামবাসীকে বলে দিয়েছি সবাই দা-কোদাল নিয়ে রেডি থাকবে। সামনে আসলেই ঘ্যাচাং!
-তালগাছের দখল নিয়েছি। প্রয়োজনে তালগাছের মাথায় চড়ে লাফ দিয়ে অন্য গ্রামে চলে যাবো। তবুও আমি এর মালিকানা ছাড়বো না।
-মালিকানা কিভাবে ছাড়াতে হয় তা আমার জানা আছে। আমার স্বামীর স্বপ্নের এ তালগাছ আমি দখলে নিয়েই ছাড়বো। তাতে গ্রামবাসী সবাই শহীদ হোক, তাও কবুল।
-আরে যাহ্! তালগাছের মালিকানা রক্ষায় সমস্ত গ্রামবাসী একাট্টা। তারা আমার পক্ষেই আছে। প্রয়োজনে সবাই জান কোরবান করবে তবুও মান কোরবান করবে না। তাই তালগাছ আমার।
-না তালগাছ আমার।
-না তালগাছ আমার।
-না তালগাছ আমার।
-না তালগাছ আমার।
........................
........................
-তালগাছ আমার
-তালগাছ আমার।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
আজমান আন্দালিব বলেছেন: হুমম, তাইতো বলি এটা আপনারও নয়...একমাত্র আমার।
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যা বাবা....
দেখুনতো এই সত্যের মাঝে তবে কেন মিথ্যামিথ্যি জতিকে ফোনে জুবানো
বরং চলুক যুদ্ধ! টিকে থাকুক এক পক্ষ। ব্যাস মামলা ফিনিশ।
রাখেন রাখেন চেইতেন না। যুদ্ধ মোটেও আমরা করতে রাজি না
যুদ্ধ করবে দুই দলের ৩০০ প্রার্থী। মোট ৬০০ জন। লাগলে সাইড লাইনে আরো কয়েকশ হাতে রাখথে পারে...
জাতীয় ষ্টেডিয়ামে হবে.. লাইভ তালগাছ কার প্রতিযোগীতা
প্রথ রাউন্ডে
১:১
তারপর
গ্রুপ বাই গ্রুপ
তারপর
ফাইনাল ওপেন রেসলিং........
যে জিতবে আমরা সকলেই তালগাছ সমর্পণ পূর্বক তার প্রতি অনুগত থাকিব
অবশেষে সুখে শান্তিতে বাস করিতে থাকিব।
কি বলেন? আপ্নেরা!!!
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
আজমান আন্দালিব বলেছেন: হাহাহা...জটিল বলেছেন...
যে জিতবে আমরা সকলেই তালগাছ সমর্পণ পূর্বক তার প্রতি অনুগত থাকিব
অবশেষে সুখে শান্তিতে বাস করিতে থাকিব।
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৮
নাসরীন খান বলেছেন: সত্যি চিরচেনা যে কারো ,নতুন কে অাসবে!অসলে ভাল হতো তবে রাজাকাররা নয় নিশ্চয়।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১২
আজমান আন্দালিব বলেছেন: নতুন কে আসবে...সেই ভাবনা সবারই। কিন্তু কাউকেই তো দেখছি না।
৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: আজমান আন্দালিব,
তালগাছটি আসলে আন্দোলনে তুলনাহীন মহিলার ও নয় কিম্বা আপোষহীন বধুর ও নয় । (ইউনিভার্সাল ট্রুথ )
চিরকালের আহাম্মক গ্রামবাসী ভাবে যে তালগাছের মালিকানার যুদ্ধে যে- ই জিতুক একটু ভাগ যেন " মুই পাই " । আহাম্মকদের এই খাসলত দেখেই তালগাছের মালিকানা দাবীদার দু'জন বুঝে গেছে যে, এই আহাম্মকেরা তাদের নিজস্ব তালগাছটির দাবী "চোঙ্গে" তুলে ফেলেছে " জম্মের মতো" । এই আহাম্মক গ্রামবাসীর " মুই য্যানো এট্টু পাই" আশাটুকুকে পূঁজি করে করেই তাদের মাথায় তাল রেখে তার শাস খাচ্ছে একবার বধু এর একবার মহিলা । নুন এগিয়ে দিচ্ছে " মুই য্যানো এট্টু পাই" খায়েশধারী আহাম্মকের দল । মজাটা হলো, তারা জানেও না খা্ওয়া শেষে দুই জনেই বারবার হাত মুছে যাবে তাদের পাছা উদলা করে তাদেরই কাপড়ে ।
এই মাথায় তাল রেখে তার শাস খা্ওয়া আর পাছার কাপড়ে হাত মোছা চলছে ... চলবে । আহাম্মক গ্রামবাসীরাই এটা টিকিয়ে রাখবে কারন তাদের পেটে ক্রিমির প্রাদুর্ভাব বাড়ছে দিনে দিনে !
এটা বন্ধ হতে পারে যদি রাস্তার পাশের কোন ধন্বন্তরী ক্যানভাসার ক্রিমির খান কয়েক বড়ি খাইয়ে দিতে পারে এই সব আহাম্মকদের ।
[ স্বগতঃ কথন - অতি পুরাতন বিষয় আবার নতুন করে এসেছে দেখে বেশ কষ্ট নিয়ে খানিকটা ত্যাদোর শব্দ এখানে ব্যবহার করতে হলো বলে দুঃখিত । ]
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৪
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। গ্রামবাসীকে আহম্মক করে রেখেছে কোন দুষ্ট যাদুকর তা ভেবে দেখার সময় এসে গেছে। অবশ্য আমরা তা সবাই জানি কিন্তু ধন্বন্তরী কোন ক্যানভাসারের সন্ধান পাচ্ছি না।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
সূক্ষ্ম কিছু খোঁচা খুঁজে পেলাম।
ভাল হয়েছে পোস্ট।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
আজমান আন্দালিব বলেছেন: খোঁচা পেয়ে থাকলে দু্ঃখিত কারণ এইটা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি লেখা। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সব সমস্যার মুল ঐ তালগাছ
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
আজমান আন্দালিব বলেছেন: এই জন্যই তো তালগাছটা আমার...হে হে হে
৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: তালগাছ গোড়াসুদ্ধু কেটে ফেলা হোক।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৪
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভয় পাইয়ে দিলেন...
৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার স্যাটায়ার।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৪
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হামা ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তাল গাছ আসলে কারও নয়
একমাত্র আমার