নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

LET'S START...........

যে জানেনা এবং জানে যে সে জানেনা সে সরল, তাকে শেখাও। যে জানেনা এবং জানেনা যে সে জানে না, সে বোকা-তাকে পরিত্যাগ কর।

আজমান আন্দালিব

নিজের সম্পর্কে আর কি লিখবো, অন্যেরা যা ভাবছে তা-ই শেয়ার করবো...

আজমান আন্দালিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজ্যের ভোট উৎসব

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

(রাজ্যপ্রধান সিংহাসনে উপবিষ্ট। প্রধান অনুচর সিংহাসনের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যপ্রধানের সাথে কথা বলছে।)

-মহারাজ, আপনার রাজ্য দিন দিন অবরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, প্রজারা ঘর থেকে বেরুতে ভয় পায়।

-ভয় পাবে কেন? তাদের জন্য কি পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় নি?

-তা করা হয়েছে মহামান্য, তবে তা অপর্যাপ্ত। সাত কোটি পরিবারের জন্য সেনা দরকার সাত কোটি।

-ঠিক আছে। সাত কোটি সেনা নামিয়ে দাও। প্রয়োজনে আমার অনুগত ছাত্র-যুব সেনাদেরও নামাতে হবে। তবুও প্রতিটি ঘরে ঘরে ভোটের নিরাপত্তা চাই।

-ভোটের দিন আপনার বিরোধীপক্ষ গণকার্ফিউ ডেকেছে। কার্ফিউ থাকলে কেউ ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাবে না।

-কী দুঃসাহস! কার্ফিউ দেব আমি...আর দেয় কীনা শত্রুপক্ষ। কার্ফিউ কেউ মানবে না। সবাই দলে দলে ভোটকেন্দ্রে যাবে ভোট দিতে। কেন্দ্র কেন্দ্রে উৎসব হবে। ভোটের উৎসব।

-মাননীয়, সেই উৎসবের মধ্যে যদি শত্রুপক্ষ ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর করে, আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়, বোমা ফাটায়?

-প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্র প্রতিটি ঘরে বহন করে নিয়ে ভোট নিয়ে আসতে হবে। ভোট হচ্ছে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার। সে অধিকার যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতেই হবে।

-আপনার শত্রপক্ষও তো বলছে, তারাও জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় লড়াইয়ে নেমেছে।

-হুহু, তারা বললেই হলো? এ রাজ্যের তারা শত্রু। তারা এ রাজ্যের স্বাধীনতা চায়নি। শত্রুপক্ষের হাতে দেশকে আবার তুলে দিতে চায়...তাদের আবার কিসের ভোটাধিকার?

-কিন্তু মহামান্য, তারাও তো এদেশরই নাগরিক। এদেশের আলো-বাতাসেই তারা বড় হয়েছে। তাদেরকে রাজ্য থেকে বিতারিত করা কি সম্ভব হবে?

-তারা এমনিতেই বিতাড়িত হয়ে যাবে। তাদেরকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে তাই তারা ভোট পাওয়ার নির্বাচনেই আসে নাই। আমরাই ভোট করব, ভোট পাব এবং ভোটের জোরে আবার রাজ্যের গদিতে বসব।

-মহামান্য, ভোট করেন ভালো কথা, রাজ্যের এই অস্থির অবস্থায় নানান প্রান্তে বাস পুড়ছে, মানুষ জীবন্ত দগ্ধ হচ্ছে, রাস্তাঘাট খুঁড়ে ফেলা হচ্ছে, ককটেল-বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। শত্রুপক্ষকে একত্রে নিয়ে ভোট করলে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট করা হতো।

-হে মূর্খ অনুচর, ভোটের বিষয়ে আমাকে জ্ঞান দিতে এসো না। তোমার ভোট ইচ্ছা হলে দিবা, আমার ভোট আমি দিবই- আমার অনুসারীদের এ কথা জানিয়ে দাও...আর দূর হও আমার সম্মুখ থেকে।

(মূর্খ অনুচরের নীরব প্রস্থান)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর কথার ব্যঞ্জনা
শুভকামনা

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা আপনার জন্যও।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর কথার ব্যঞ্জনা
শুভকামনা

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

মদন বলেছেন: আমার ভোট আমি দেবো, সুযোগ পেলে তবেই না দেবো :)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

আজমান আন্দালিব বলেছেন: ঠিক বলেছেন...ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.