নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একাকি ভাবনা

বাদশা মিন্টু

সাধারণকে দেখি অসাধারণ হিসেবেসাধারণ সবাই আমার আপনআমি সাধারণের ভিড়ে খুঁজি সেই অসাধারণকেযাকে নিয়েই জীবন যাপন।

বাদশা মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইসিটি আইন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রয়োজন

২১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

আইসিটি আইন নিয়ে ব্লগাররা কী ভাবছেন? এই আইন ব্লগারসহ অনলাইনে মত প্রকাশে স্বাধীনতার ওপর কী প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন। সবার গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রয়োজন।

আইনে পুলিশকে সরাসরি মামলা করা ও পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া, কয়েকটি ধারা অজামিনযোগ্য করা এবং আমলযোগ্য নয় এমন অপরাধকে আমলযোগ্য হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব রয়েছে।আইনের ৫৪, ৫৬, ৫৭ ও ৬১ ধারায় উল্লেখিত অপরাধকে আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই চার ধারার অপরাধগুলো হলো কম্পিউটার ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধ, সিস্টেমে হ্যাকিং, সংরক্ষিত সিস্টেমে প্রবেশ ও ইলেকট্রনিক ফরমে মিথ্যা, অশ্লীল বা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করা। খসড়ায় এই চার ধারার অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তির মেয়াদ ১০ বছর থেকে বাড়িয়ে ১৪ বছর করা হয়েছে। আর ন্যূনতম শাস্তি হবে সাত বছর।

৫৪ ধারার অপরাধ: কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মালিক অথবা জিম্মাদারের অনুমতি ছাড়া তার নথিতে থাকা তথ্য নষ্ট করা বা ফাইল থেকে তথ্য উদ্ধার বা সংগ্রহ করার জন্য কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্কে প্রবেশ করা বা তা করতে অন্য কাউকে সহায়তা করা।

কোনো উপাত্ত বা উপাত্তভান্ডার থেকে আংশিক তথ্য নিয়ে ব্যবহার করাকেও অপরাধ হিসেবে ধরা হয়েছে। কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়ানো বা ছড়ানোর চেষ্টা, ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কের উপাত্তভান্ডারের ক্ষতিসাধন করা, অন্য কোনো প্রোগ্রামের ক্ষতি করে নেটওয়ার্কের বিঘ্ন সৃষ্টি করা বা করার চেষ্টা, কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অবৈধ প্রবেশে সহায়তা করা, অনুমতি ছাড়া কোনো পণ্য বা সেবা বাজারজাত করা, অযাচিত ইলেকট্রনিক মেইল পাঠানো, কারসাজি করে কোনো ব্যক্তির সেবা গ্রহণ বাবদ ধার্য চার্জ অন্যের হিসাবে জমা করাও অজামিনযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হবে।

৫৬ ধারার অপরাধ: এই ধারায় কম্পিউটার সিস্টেমের হ্যাকিং-সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের তথ্য নষ্ট, বাতিল বা পরিবর্তন করা অজামিনযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। মালিক বা দায়িত্বশীল ব্যক্তি না হয়ে কেউ কোনো কম্পিউটার, সার্ভার, নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ক্ষতি করাও একই ধরনের অপরাধ বলে গণ্য হবে।

৫৭ ধারার অপরাধ: ইলেকট্রনিক মাধ্যমে মিথ্যা, অশ্লীল বা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ-সংক্রান্ত অপরাধ এই ধারায় গণ্য হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা ও অশ্লীল কিছু প্রকাশ করলে এবং তার কারণে মানহানি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে বা কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে।

৬১ ধারার অপরাধ: সংরক্ষিত সিস্টেমে প্রবেশ এই ধারার অন্যতম অপরাধ। সংরক্ষিত সিস্টেম হিসেবে ঘোষণা করা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তির তাতে অননুমোদিতভাবে প্রবেশ করা শান্তিযোগ্য অপরাধ।

এ ছাড়া আইনের ৭৬(১) ধারা সংশোধন করে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা কোনো পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ একই সঙ্গে তদন্ত করা যাবে না। যদি কোনো মামলার তদন্তের কোনো পর্যায়ে দেখা যায়, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত পরিচালনার দায়িত্ব পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে নিয়ন্ত্রক বা তাঁর ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তাঁদের কাছ থেকে পুলিশ কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা প্রয়োজন, তবে সরকার বা ক্ষেত্রমতো, সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদেশের মাধ্যমে হস্তান্তর করতে পারবে।

আইনজীবী তানজীব উল আলম প্রথম আলোকে বলেন, এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান-প্রদত্ত মৌলিক অধিকার ও বাক্স্বাধীনতার অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগে এ আইনে বাক্স্বাধীনতায় একধরনের সুরক্ষা ছিল। কিন্তু অপরাধ আমলযোগ্য করার প্রস্তাব করায় সেই সুরক্ষা নষ্ট হবে। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে ইন্টারনেটকে যোগাযোগমাধ্যম বিবেচনা করা হয়। এ ক্ষেত্রে কথায় কথায় শাস্তির বিধান রাখা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার চেতনাবিরোধী।

তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে সর্বোচ্চ শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আইন করায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিলুপ্ত হওয়ার আশংবকা করছেন কিনা। আপনাদের মূল্যবান মতামত অবশ্যই পরিচয় প্রকাশ করে দেবেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

ভোরের সূর্য বলেছেন: ভাই আপনার জন্য আমার খুব মায়া হচ্ছে। আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন কিন্তু কেউ আপনার লেখা পড়ছেনা। মতামত ও দিচ্ছেনা অথচ আপনার পরে পোষ্ট করেও অনেকের লেখা অলরেডি ১৫০ বার পড়া হয়েছে আথচ এই আইন পাশ হলে যে ব্লগারদের সমস্যা হতে পারে সেটার খেয়াল নাই।আপনি যদি পোষ্টে ১৮+ বা একটা মেয়ের ছবি দিয়ে দিতেন তাহলে হিট পরতো বেশি। একজন তার আপকামিং এফ এম রেডিওর ভাইভা নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন হিট পরেছে ১৫০+।

এবার আসল কথাতে আসি।আসলে আমাদের দেশের সমস্যা হচ্ছে,হয় আইন প্রয়োগ হয়্না বা অপব্যাবহার করা হয়।আইনে পুলিশকে সরাসরি মামলা করা ও পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া, কয়েকটি ধারা অজামিনযোগ্য করা এটার তিব্র বিরোধিতা করছি।এটা এমনকি জঘন্য অপরাধ যে অজামিনজোগ্য?অবশ্য উসকানি দিয়ে বা ভুল তথ্য দিয়ে প্রচারনা চালালে অনেক ক্ষতি হবে সেটার জন্য আইন শক্ত করা উচিৎ আবার কাউকে ব্যাক্তিগৎ আক্রমন করা,অশ্লিল ভাষয় গালি দেয়া এসবের জন্য এই আইন ঠিক আছে কিন্তু সাথে সাথে বাক স্বআধীনতা রোধ হয়ে যাবে এবং আইনের ভুল প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষ কে হ্যারাসমেন্ট করা হবে।

২১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

বাদশা মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২২

আবু শাকিল বলেছেন: পোষ্টে ১৮+ লাগিয়ে আওয়াজ দিতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.