নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বীর দাদার গল্প

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯


আমি তখন নয় বছরের দুরন্ত শিশু।
থাকি শহরে। লম্বা ছুটি পেলেই গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্যে লাফালাফি করতাম। আমাদের প্রধান আকর্ষণ ছিল গল্পবলা দাদাভাই। দাদার গল্প যে-একবার শুনেছে সে আর দাদাকে ভুলতে পারে না। দাদা যখন গল্প বলেন তখন চোখের সামনে ঘটনার ছবি ভেসে ওঠে।
গল্পদাদার পেট ভর্তি ছিল মজাদার গল্প আর গল্প।
দাদা যেনতেন গল্প বলতেন না; গল্পের মধ্যে ছিল দৈত্য-দানব, জিন-পরীর গল্প। আর ছিল মুক্তিযুদ্ধের গল্প। এ ছাড়া দাদার নিজেরই কিছু গল্প ছিল। দাদা কীভাবে এলাকার ভূত-পেতনিদের পিটিয়ে সোজা করে রাখতেন সে-সব কাহিনিও শোনাতেন আমাদের। আমরা হা-করে শুনতাম গল্প।
আমরা দু’ভাইবোন ছাড়াও দাদাবাড়িতে ছিল আরো সাতজন চাচাত ভাইবোন। সন্ধ্যার পরে আমরা নয়জন গোল হয়ে বসতাম দাদাকে মাঝখানে রেখে।
দাদা যখন গল্প বলতেন তখন নির্জন ঘরে হালকা আলোতে বসে বলতেন। শীতলপাটি বিছিয়ে মশলা মিশ্রিত পান মুখে দিয়ে, কানে আতরের তুলো গুঁজে আরাম করে বসতেন। দাদা বসেই গল্প বলা শুরু করতেন না। গলা খাকরিয়ে, শোঁ শোঁ, ছিরাত, ছিরাত শব্দে নাক ঝেড়ে, রোমালে মুখটা মুছে একদম পরিপাটি হয়ে বসতেন। তাঁর এসব আয়োজন-উপদ্রবে আমরা বুঝতে পারতাম, আজ দারুন জমবে। সকল প্রস্তুতি নিয়ে দাদা হঠাৎ করে চোখ দুটি বন্ধ করতেন এবং আমাদের বলতেন, ‘তোরা সবাই চোখ বন্ধ কর। এখনই আমার নাক মুখ কান দিয়ে গল্প প্রবেশ করবে। কথা বললে, নড়াচড়া করলে গল্পগুলো পালিয়ে যাবে। সবাই চুপ।’
আমরা গল্প চলে যাওয়ার ভয়ে চোখ বন্ধ করে একদম চুপচাপ বসে থাকতাম। আস্তে করে শ্বাস ফেলতাম। একটু নড়াচড়া করতাম না। এক মিনিট পর দাদা হঠাৎ করে একটা লম্বা শ্বাস ফেলে বলতেন, ‘এবার চোখ খোল, গল্প এসে গেছে।‘ আমরা চোখ খুলে দেখি দাদা পায়ের নরম তালুতে আলতো করে হাত বুলাচেছন। দাদা আমাদের জিজ্ঞেস করতেন, ‘এখন তোরা পুরোনো গল্প শুনবি, না লেটেষ্টটা শুনবি?‘ আমরা ক’জনে সজোরে হাত তুলে বলতাম, ‘লেটেষ্টটা, লেটেষ্টটা।‘ আর ক’জনে বলত, না পুরনোটা, পুরনোটা। দাদা আমাদের সকলের কথাই রাখতেন।

গল্প বলার সময় দাদা বলতেন, ‘ভয় পেলে আমার এখানে গল্প শুনতে আসবে না; সোজা মায়ের কোলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড় গে। আমি ভীরু গোছের ছেলে মেয়েদের মোটেও পছন্দ করি না। যাদের সাহস আছে তারাই শুনবে আমার গল্প। এবার বল কার কার সাহস আছে আর কার কার সাহস নেই, হাত তোলো।‘
আমরা এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছু না বুঝেই দুই হাত তুলে দাদার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। দাদা আমাদের দিকে তাকিয়ে বলতেন, ‘ভীতুর আন্ডা-বাচচা-কাচচার দল। এতক্ষণ সাহসী দাদার সঙ্গে থেকেও তোদের সাহস-টাহস কিছুই হয়নি বুঝি? তোদের বয়সে আমি ঐ জঙ্গলে গিয়ে ভূত-পেরেতের সঙ্গে কত ঝগড়া করেছি, কিলাকিলি করেছি, মারতে মারতে ভূতের বাপ-দাদার নাম পর্যন্ত ভুলিয়ে দিয়েছি। তারপর একা একা হেঁটে বাড়ি এসে কূয়ার ঠান্ডা পানিতে হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসেছি; মা-বাবা টেরও পায়নি, আর তোরা একটু শব্দ হলেই ভয়ে লাফিয়ে উঠিস।‘
‘আচছা আগের কথা না হয় বাদ দিলাম। এইতো ক‘দিন আগে কি ঘটনা ঘটলো সেটা আগে শোন। তোদের দাদির ইলিশ মাছ খাওয়ার খুব শখ হলো। আমার কাছে বলতেই আমি সোজা চলে গেলাম দুলালপুর হাটে। কেনাকাটা করে বেশ রাত হয়ে গেল। দুটো ইলিশ হাতে করে বিলপাড় দিয়ে বাড়ি ফিরছি। হঠাৎ বিশাল এক কালো ভূত সামনে এসে হাজির। ভ’তটা সামনে এসে দু‘পা ফাঁক করে শক্তভাবে দাঁড়াল। সিম্পাঞ্জির মুখের মতো মুখ। চোখ দু‘টো আগুনের মতো লাল করে আমাকে বলল, ‘বহুদিন ইলিশ খাইনা রে ভাতিজা। আইজ খামু। ভালোয় ভালোয় মাছ দুটো আমার হাতে তুলে দে, খাই।
তারপর তুমি কী বললে দাদা? ব্যস্ত হয়ে বলল সুমন।
বড় শখ করে দুটো ইলিশ এনেছি তোকে দেওয়ার জন্যে? ভাগ সামনে থেকে, বললাম আমি।
মুরাদ বলল, ভূতটা কী বলল তোমাকে?
বলল, আমারও ইলিশ খাওয়ার শখ। তাড়াতাড়ি দে নইলে চিনাদী বিলের কাদাজলে আস্ত পুঁতে ফেলব তোকে।‘
মুলার মতো দাঁত, কুলার মতো কান, লম্বা দুটি শিং আর আগুনের মতো জ্বলজ্বলে চোখ!
দাদা কি সর্বনাসের কথা, ভয় পাওনি তুমি! তুমি মাছ ফেলে দৌড়ে পালাতে পারলে না তখন? জানতে চাইল তানজিয়া।
দাদা ঠোঁট বাঁকিয়ে বললেন, ‘হুহ্, ভয় আবার কি? মোটেও ভয় পাইনি আমি। বরং আমি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে ভূতটাকে বললাম, ‘জানে বাঁচতে চাস তো রাস্তা ছেড়ে দাঁড়া, নইলে কিন্তু তোর কপালে দুঃখ আছে আজ।‘
মিথুন ব্যস্ত হয়ে বলল, তারপর ভ’তটাঁ তোমাকে কী করল দাদা?
ভূতটা তার বাম হাত তিন ফুটের মতো লম্বা করে আমার হাতের মাছটা ধরে টানাটানি শুরু করে দিল।‘
আমরা চোখ বড় করে লাফিয়ে উঠে বললাম, তারপর, তারপর! তুমি মাছটা ছেড়ে দিলে বুঝি!‘
দাদা বললেন, ‘আর স্থির থাকতে পারলাম না রে ভাই। রাগে আমার পায়ের রক্ত চেল চেল করে মাথায় গিয়ে উঠলো। ডান হাতে শক্ত করে মাছটা ধরে বাম হাত দিয়ে মারলাম একটা ঘুষি।
তারপর ভ’তটাঁ তোমাকে কী করল দাদা? বলল গালিব।
আমাকে ধরার সুযোগ পেল কই। ধুম করে আরেকটা ঘুষি মারলাম। উফ্, জওয়ান ভূতটা তিনটা পাক খেয়ে বোরো খেতের কাদায় পড়ে গেল। তার মুখ দিয়ে সাদা ফেনা বেরুতে লাগল। কিন্তু বেহায়া ভূতটা পড়ে গিয়েও আমার হাতের মাছটার দিকে তাকিয়ে রইল। আমি চলে আসব এমন সময় সে ছুটে এসে আমার গলায় ঝুলে পড়ল। আহ্, ভ’তের বিশাল মুখটা তখন আমার মুখের সামনে। এক নজর দেখেই আমি বেদিশা হয়ে গেলাম। কারণ ভ’তের মুখটা দেখতে যেমন ভয়ংকর তেমন বিচ্ছিরি গন্ধ। আমার সারা শরীর ছম ছম করতে লাগল। আমি তাকে ছাড়াতে পারছি না। ওর শরীরটা গরুর ভ’ড়ির মতো, যেখানে ধরি সেখানেই গলগল করে। একদিকে ধরলে আরেক দিকে ফুলে ওঠে।
ছোট্ট রিমা বলল, বেলুনের মতো নাকি দাদা?
ডরমার কথা শুনে আমরা হেসে ফেললাম। বললাম, ভ’তটা কি খুব ভারী ছিল দাদা? তুমি কাতুকুতু দিতে পারলে না?
বহুত চেষ্টা করেছি কিন্তু ভ’তের গায়ে ধরাই যায় না। খুব পিচ্ছিল শরীর। ভ’তটা হঠাৎ আমার মুখে থুতু ছুড়ে মারল। তারপর সে ইলিশ মাছ ধরে টানাটানি করতে লাগল। ভ’তের থুতু যেখানে পড়েছে সেখানেই জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে গেল। আমি লাফালাফি শুরু করে দিলাম। ভ’তটা ছিটকে পড়ে গেল কাদায়। আমি ভ’তটাকে ঠেসে ধরলাম কাদার মধ্যে।
আমরা সবাই তালি দিয়ে হই চই শুরু করে দিলাম।
আমি ভ’তটাঁকে কায়দামতো ধরে এক হাত কাদার তলে নিয়ে গেলাম। কিন্তু বেহায়া ভ’তটাঁ তখনও আমার হাতের ইলিশ মাছের দিকে তাকিয়ে বলল, একটা মাছ আমাকে দিয়ে যা নইলে তোর কলেরা হবে। তখন কলেরা ছিল ভয়ানক এক রোগ।
হিঃ হিঃ, পরে কী করলে দাদা।
আমি ভ’তটাকে বললাম, ‘ইলিশ খাওয়ার শখটা কি এখনও মিটেনি? না মিটলে নে, খা।‘ একথা বলতেই ভূতটা কাদার ভেতর থেকে উঠে ঝাপিয়ে পড়ল আমার মাছের ওপর। আর কি দাঁড়িয়ে থাকা যায়? শুরু করে দিলাম ধুমাধুম মাইর। হাতে দুটা মারি তো পায়ে মারি চারটা। পায়ে মারি তো মাথায় মারি ঢুস ঢাস। ভ’তটাঁও আমাকে খাবলা মেরে ধরে টেনে বিলের গভীরে নিয়ে যেতে চাইছে। সেখানে নিয়ে গিয়ে আমাকে পানিতে চুবিয়ে মারবে। অনেকক্ষণ কোস্তাকুস্তির পর আমার সঙ্গে পেরে উঠছে না ভূতটা। সে হাঁপাতে হাঁপাতে আমার পায়ে পড়ে কান্না জুড়ে দিল। সেকি কান্না রে বাবা! একটা মাছের জন্যে এতগুলো মার খেল বেচারা! তারপর আবার পা ছুঁয়ে মাফও চাইল। যেই মার দিলাম, ভূতটা বাঁচে না মরে বলা যায় না।
ভ’তটাঁর জন্যে আমাদের খুব মায়া হলো। ভ’তটার খুব খিদে পেয়েছিল মনে হয়। তুমি একটা ইলিশ দিয়ে দিলেই ভাল হতো দাদা।
দাদা হাসতে হাসতে বললেন, আমারও বড় মায়া হলো। শেষে দয়া করে শখের একটা মাছ দিয়ে দিলাম ভূতটাকে।
ভাল করেছ দাদা। তারপর ভ’তটাঁ খুব খুশি হয়েছিল নিশ্চই।
ভূতটা খুশি হয়ে আমাকে সেলাম করে মাছটা খেতে খেতে অদৃশ্য হয়ে গেল।
আমি বাড়ি এসে ঘটনাটা খুলে বলতেই তোদের এই ভীরু দাদি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে বসে পড়ল।
আমি গোসল করে খেয়ে-দেয়ে আরামে দিলাম লম্বা একটা ঘুম।
পরের দিন তোদের দাদি এসে হঠাৎ আমার পা ছুঁয়ে সেলাম করতে লাগল। বললাম, ‘ঘটনা কি? কোন অনুষ্ঠান নেই, নতুন শাড়ি-টারিও দিলাম না তবু এভাবে সেলাম করছো যে?‘ তোদের দাদি সেদিন কি বলেছিল জানিস?
আমরা এতই মনযোগ দিয়ে দাদার বীরত্বের কাহিনি শুনছিলাম যে দাদা কি প্রশ্নটা করলেন তা আমরা খেয়ালই করিনি।
‘তোদের দাদি দরোজার চিপায় দাঁড়িয়ে আঁচল কামড়ে বলেছিল, ‘আমি যদি কখনো আপনাকে কোনো কষ্ট দিয়ে থাকি আমাকে মাপ করে দিবেন। আপনি যে এত শক্তিশালী ও সাহসী পুরুষ তা আমি আগে জানতাম না। আপনি দশ গ্রামের গর্ব, আপনি বীর পুরুষ। আপনাকে আমি মাাথায় তুলে রাখব।‘
দাদার কথা শেষ হতে পারল না। দাদি বিছার মতো লাফিয়ে এসে ঘরে দপ্ করে দাঁড়ালেন আমাদের সামনে। দাদা ভয়ে একেবারে চিমসে গেলেন। দাদি মাথার আঁচল কোমরে প্যাঁচিয়ে তেজ দেখিয়ে দাদাকে বললেন, ‘আপনার কেমন আন্দাজ যে আমার জন্য বাজার থেকে দুই নাম্বার চুন আনলেন? চুন ভিজাইলে পানির মাথা গরম হয়ে বুদবুদি ছাড়ে আর আজকের চুন পানিতে ফেলে বসে রইলাম, বুদবুদি তো দূরের কথা, শরমে দেখি কথাই কয় না। আমি এখন পান খাব কি দিয়া, শুনি? আপনি এহনও ...।‘
দাদা হুড়মুড়িয়ে উঠে দাঁড়ালেন এবং লম্বা পায়ে আমাদের ডিঙিয়ে তিনটা লাফে ঘর থেকে বেরিয়ে উধাও হয়ে গেলেন।
আমরা দাদাহীন, গল্পহীন শূণ্য ঘরে রাগে কম্পমান দাদির সামনে চুপ করে বসে রইলাম।
এই তোমাদের দাদা এত কী কথা বলে তোমাদের সঙ্গে, শুনি।
আমি সাহস করে বললাম, দাদা ভ’তকে পিটিয়েছে শুনে আপনি আমাদের বীর দাদাকে মাথায় তুলে রাখার শপথ করেছিলেন তা বলেছেন। একথা শুনে দাদি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন। দাদি কোমরে হাত রেখে ভেংচি মেরে বললেন, ‘তোমাগোর বীরবাহাদুর দাদাজান যে এখনও রাতে বাইরে গেলে আমার আঁচল ধরে যায়, ঐ কথা কি তিনি তোমাদের বলেছেন?‘
আমরা মাথায়, হাতে ও মুখে একত্রে বলে উঠলাম- ‘না, না, ঐটা বলেনি দাদি, ঐটা বলেনি।‘
দাদি আঁচলে চোখ মুছে বললেন, ‘ঐটা বলতে যাবেন কেন, বাহাদুরি কমে যাবে না!
একটু চুপ থেকে দাদি হঠাৎ আঙ্গুল নেড়ে আমাদের বললেন, ‘এত্ত যে বীর বাহাদুর আর সাহসী, ভূত কিলানেওয়ালা, তো এখন পালালো ক্যান? দেখ তো কই গেল।‘
আমরা একে একে ঘর থেকে বেরিয়ে তন্নতন্ন করে খোঁজলাম, দাদাকে কোথাও পেলাম না। পরে দাদাকে না পাওয়ার খবরটা দাদির কাছে বলতেই দাদির মুখটা মলিন হয়ে গেল। দাদি আঁচলে চোখ মুছে বললেন, ‘এই সোজা লোকটা মনে হয় আমার চুন আনতে আবার বাজারে গেছে। যা তো ভাই তোরা দাদাকে আগাইয়া নিয়া আয়, এই গপ্পবাজ বুড়োকে নিয়ে আমি আর পারি না।‘
আমরা নেচে-গেয়ে মিছিল করে বাজার থেকে এক পুঁটলি খাঁটি চুনসহ বীরদাদাকে সোজা বাড়ি নিয়ে এলাম।







মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন ভয় পেলে আমার এখানে গল্প শুনতে আসবে না।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ওরা ছিল আপনার মতোই ভীতুর ডিম তাই এই কথা!

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: স্বাগত।
আমি আনন্দিত।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

জোবায়েদ ইসলাম বলেছেন: খুব ভালো লাগলো

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: স্বাগত।
আমার প্রীতি নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.