![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করবার মুন্চায়, খালি সাহসের অভাব.......। বেশি স্বাধীনতা চাইলে নির্বাক হতে হয় যে...............
ধর্ষক, খুনি সহ সকল অপরাধী অপরাধের ধরণ অনুযায়ী শাস্তি পাক এটাই সবার আশা। কিছু কিছু অপরাধ আছে যেগুলোর শাস্তি দুনিয়ার কোন আদালত দিতে পারে না। যেমন- পুঁজার ঘটনা। ধর্ষক প্রায় ৪০ বছর বয়সের । সে তার ছোট মেয়েটার বয়সি ৫ বছরের পুজার উপর যে অত্যাচার করেছে তা ভাবলেই যে কোন বিবেকবান মানুষের প্রাণ কেঁদে উঠবে। ছোট পুজাকে বেঁধে তার যৌনাঙ্গ ধারালো কিছু দিয়ে কেটে বড় করে নিয়ে তার উপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে কাঁমরের দাগ। ঊরুতে জলন্ত ছিগারেটের ছ্যাকা। যৌনাঙ্গ ছিড় গেছে, হয়েছে প্রচুর রক্তক্ষরণ। এই রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে ছেড়া ন্যাকরা, কাদামাটি ব্যবহার করেছে। দুপুরের পর থেকে সারারাত এভাবে কত যন্ত্রনা পেয়েছে নিস্পাপ মেয়েটি। কতটা নির্মম!!! মানুষ এমন হতে পারে!!!
এতটাই নির্মম পশুত্বের শাস্তি কি হলে তা যথাযথ হবে? আইন কি পারবে কয়েকবার ফাঁসি দিয়ে এর সমতা করতে??? অথবা এই ধর্ষক শয়তানকে বেঁধে শরীর থেকে প্রতিটা অঙ্গ আস্তে কেটে নিয়ে যথাযথ শাস্তি দিতে??? পারবেনাতো বটেই। উপরন্তু এর বিচারই কতদুর হবে তা নিয়েই সংশয়। কেননা এখন বিচারহীনতার সংস্কৃতি চর্চা হয়। অনেক গুরুতর অপরাধই বিচারের মুখ দেখেনা।
সুবিচার আদৌ হবে কিনা সেটি নিয়েই সংশয়। আজ যখন বাড়ীতে যাচ্ছি যাওয়ার পথে ট্রেনে পুজার ধর্ষক সাইফুলের বিষয়ে কথা উঠল। একজন বিজ্ঞ উকিল পাশের যাত্রিদের বলতেছিল" অন্যকেউ হয় ঘটনা ঘটাইছে, দোষ হইছে সাইফুলের, কেউ কি দেখেছে সাইফুল মেয়েটাকে নিয়ে গেছে, কেউ কি দেখেছে সাইফুল মেয়েটাকে ধর্ষন করেছে ইত্যাদি।" আইনের ফাক গলিয়ে সাইফুল বেঁচে গেলে বিচারের বাণী যে নীভৃতে কাঁদবে।
বিচারের বাণী যেন নীভৃতে না কাঁদে, আর যেন কোন পুজার বেঁচে থাকতেই নরক যন্ত্রনা না হয়।
©somewhere in net ltd.