নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়। এর প্রতিশোধ হিসাবে ইরান সরাসরি ইজরায়েলে তিনশতাধিক ড্রোন আর ক্ষেপনাস্ত্র পাঠিয়ে পাল্টা হামলা করে। সব কিছু শোধবোধ, মামলা ডিসমিস।
এই পর্যন্ত সব ঠিক আছে। ইজরায়েল ভেবেছিল, তাদের পিছনে যেহেতু আম্রিকা আর ইউরোপের কালোহাত আছে; ইরানীরা কয়দিন হুমকি-ধামকি দিবে। হেন করেঙ্গা তেন করেঙ্গা বলবে, তারপরে বরাবরের মতো ঝিম মেরে যাবে। আর এভাবেই ইজরায়েল তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাবে। ভুল চিন্তা। বিদেশের মাটিতে একটা দেশের মিশনগুলো নীতিগতভাবে সেই দেশের ভুখন্ডেরই অংশ। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হাজার বছরের নীতি। ফলে ইরান তাদের ভুখন্ডে সরাসরি আক্রমণকে হজম করে ফেলবে, কিছুই করবে না; এটা ভাবাটাই বলদামী। নেতানিয়াহু সেই বলদের কাজটাই করেছে। তা সে করতেই পারে। একটা ইতর যখন বাধাহীনভাবে ইতরামী করতে থাকে, তখন একটা পর্যায়ে সে ভাবতে শুরু করে যে সে চাইলেই যা ইচ্ছা তাই করতে পারে।
এখন আসি লেজ বিশ্লেষণে। ''লেজ'' এর ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করি। ভারত ইজরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ফলে ভারতের দালালেরা ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করছে ইরান এই হামলা করে কিছুই ছিড়তে পারে নাই। এই গাছ বলদ লেজবৃন্দ মুসলিম দেশ হওয়াতে স্বাভাবিকভাবেই ইরানকে দেখতে পারে না। অন্যদিকে ভারত-ভজন সূত্রে ইজরায়েল তাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়জন। কিন্তু ইজরায়েল-প্রেম দেখাতে গিয়ে তারা তারা স্থান-কাল সম্পর্কে বিস্মৃত হয়েছে। এই গাছ বলদদের বোঝা উচিত বর্তমান যুগে কোন তথ্যই বেশিদিন গোপন থাকে না। ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ''গোয়েবলসীয় প্রোপাগান্ডা'' অর্থাৎ গান্ডুগিরি করলে ধরা খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। ব্লগে আপনারা ফেসবুকীয় বিজ্ঞানীর দৌরাত্ম দেখেছেন, এখন ফেসবুকীয় সমরবিদ আর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক দেখছেন। এদের ক্রিয়াকর্মে আমি সাধারনতঃ কোন প্রতিক্রিয়া দেখাই না, তবে দেখতে দেখতে যখন আর হাসি থামিয়ে রাখতে পারি না, তখন একটু কলম........থুক্কু কি-বোর্ড ধরতে হয় বৈকি!!!
এই হামলা থেকে সবদিক দিয়েই ইরান লাভবান হয়েছে বলাই বাহুল্য। কিভাবে? সেটাই আপনাদের ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। সেই সাথে গত কয়েকদিনের বেশকিছু গোয়েবলসীয় পোষ্ট আর মন্তব্যের অসারত্ব প্রমানের চেষ্টাও থাকবে। কাজেই ঝাকুনী এড়াতে এখনই সীটবেল্ট বেধে ফেলেন!!!
সবার আগে গ্রাউন্ডওয়ার্ক হিসাবে ইজরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দু-চারটা কথা বলে নেই। ইজরায়েলের আয়রন ডোম আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা'র একটা উদাহরন। আয়রন ডোম আসলে একটা স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা ৪ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের ড্রোন, মর্টার এবং রকেট লক্ষ্য করে উৎক্ষেপন করা হয়। অর্থাৎ ভূমি থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপনের মাধ্যমে ধেয়ে আসা শত্রুপক্ষের উড়ন্ত অবজেক্টকে আকাশেই ধ্বংস করে দেয়া হয়। এর সাফল্যের হার ৯০ শতাংশ (এটা আইডিএফ প্রদত্ত হিসাব)। আয়রন ডোমের প্রতিটা মিসাইলের দাম ৫০,০০০ আম্রিকান ডলার। দাম বলার কারন পরে ব্যাখ্যা করছি।
নির্ভরযোগ্য খবর হলো, ইরান ইজরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এদের মধ্যে বেশ কিছু ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল। তাদের অন্তত নয়টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইজরায়েলের বিস্তৃত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়। তার মানে হলো, এগুলো যাত্রাপথে ইজরায়েলের মিত্র ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জর্ডান আর সৌদি আরবের সামরিক বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ফাকি দিতে সমর্থ হয়েছে। এই নয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাচটি ইজরায়েলের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। এই ঘাটি থেকেই গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলা হয়েছিল। এতে সি-১৩০ নামে একটি পরিবহন বিমান, একটি পুরো রানওয়ে এবং একটি খালি গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাকি চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নেগেভ বিমানঘাটিতে আঘাত হানে। তবে এতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ'ছাড়া হেরমন পাহাড়ের ওপর থাকা ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর একটি গোয়েন্দা অবকাঠামোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এই স্থান থেকে সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন অবস্থানের ওপর চালানো অসংখ্য হামলা পরিচালিত হয়েছিল। আরো বিস্তারিত বলতে গেলে পোষ্ট অনেক বড় হয়ে যাবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটা ভিডিও লিঙ্ক দিলাম। এতে ইজরায়েলী মিডিয়ায় প্রকাশিত স্যাটেলাইট ইমেজ আর তাদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দেখেন, বিষয়টা পরিস্কার হবে।
আয়রন ডোমের মতোই অ্যারো-৩ ইজরায়েলী সামরিক বাহিনীর আরো একটা নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সম্প্রতি এটা প্রথমবারের মতো মোতায়েন করা হয়। প্রধানত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে। তাই ইরানের গত শনিবারের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছিল এর জন্য একটা পরীক্ষা। কিন্তু সেই পরীক্ষায় পাস করতে অ্যারো-৩ ব্যর্থ হয়েছে, অর্থাৎ ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অ্যারো-৩ কে ফাকি দিতে সমর্থ হয়েছে। অতি গর্বের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে এরই মধ্যে পোস্টমর্টেম শুরু করেছে ইজরায়েলী বাহিনী।
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইরান ১৭০টি ড্রোন, ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১২০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এ হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেছে তেহরান। তবে তেল আবিব দাবি করেছে, ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিমান ঘাটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত এবং এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। কথা হলো, বিমান ঘাটিতে শিশু কি করে? আর হামলার বেশ আগেই সাইরেন বেজেছে, তাহলে সেই শিশুর মা-বাবাই বা কোথায় ছিল? ক্ষয়ক্ষতির খবর গোপন করতে গিয়ে এই রকমের হাস্যকর কথা বলা শুধুমাত্র ইজরায়েলকেই মানায়।
এবার চলেন দেখি, ইরানের আর কি কি লাভ হয়েছে।
ইরান রাশিয়ার সহায়তায় তাদের ''আরমান'' আর ''আজরাখশ'' আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্রমাগতভাবে আরো শাণিত করছে। ইজরায়েলের ''আয়রন ডোম'' আর ''এ্যারো ৩'' এর দূর্বলতাগুলোকে সনাক্তকরনের মাধ্যমে ইরানের এই প্রক্রিয়া আরো কার্যকর হবে।
এই হামলার মাধ্যমে ইরান বল ইজরায়েলের কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন তারা যদি বেশী বাড়াবাড়ি করে তাহলে ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়ার একটা অজুহাত পেয়ে যাবে।
শাহাব ব্যালিস্টিক মিসাইল পারমানবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে। এটাও হামলায় সফলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে ইরান এর কার্যকারীতা সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের সক্ষমতা আর কনফিডেন্স অর্জনে সমর্থ হলো।
ইরান বিশাল কোন ধ্বংসযজ্ঞ করার জন্য এই হামলা করে নাই। তাই যদি লক্ষ্য থাকতো, তাহলে ঘোষণা দিয়ে 'অপারেশান ট্রু প্রমিজ' পরিচালনা না করে হঠাৎ করেই হামলা করতো। তাদের মূল লক্ষ্যই ছিল জায়নবাদী ইজরায়েল আর তার মিত্রদেরকে একটা বার্তা দেয়া আর যতোটা সম্ভব কিছু অবকাঠামোগত ক্ষতি করা। ইজরায়েলের মতো কাপুরুষোচিত হামলা করে সিভিলিয়ান হত্যা করতে চাইলে কোন ঘন বসতিকেই টার্গেট করে হামলা করতো, মরুভূমির বিরাণভূমিতে স্থাপিত সামরিক অবকাঠামোতে না। ফলে যেসব সমরবিদেরা বলছে, ইরান হামলা করে একজন লোক কিংবা একটা পাখীও মারতে পারে নাই, তারা এসব বলে তাদের গাধাত্বকেই প্রমান করছে।
ইরান আরো বার্তা দিল যে তারা প্রক্সি ছাড়াই তদের ভূমি থেকে ইজরায়েলী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাকি করে নিখুতভাবে হামলা করতে পারে। এটা তাদের নিজেদের মনোবল বৃদ্ধি করা আর শত্রুর মনোবল ভেঙ্গে দেয়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ইজরায়েল কখনও ভাবেই নাই যে ইরান সরাসরি তাদের ভুখন্ডে হামলা করার দুঃসাহস দেখাবে। তাদের ধারনা ছিল বরাবরের মতোই প্রক্সি দিয়ে তারা জবাব দিবে। ইরান এখন প্রমান করে দিয়েছে যে, ইজরায়েল অপ্রতিরোধ্য না। তাদেরকেও সফলভাবে আক্রমণ করা সম্ভব। আর এটা ইরান করেছে তাদের তৃতীয় শ্রেণীর ড্রোন আর ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে। আসলগুলো তারা ব্যবহারই করে নাই। আর এটাই ইজরায়েলের আর তার মদদদাতাদের ভীতির অন্যতম প্রধান কারন।
দূর্বল প্যালেস্টাইনীদের উপর হম্বিতম্বি করা ইজরায়েল প্রমান করলো যে তারা আসলে পরগাছা, তাদের দোসরদের মদদ ছাড়া তারা কতোটা অসহায়। জর্ডান, আম্রিকা, বৃটেইন, ফ্রান্স, সৌদি আরব ইত্যাদিরা যদি বেশিরভাগ মিসাইল আর ড্রোনকে ধ্বংস না করতো, তাহলে তাদের হালুয়া আরো টাইট হতো। এসব ইজরায়েলী মিডিয়াতেই ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে। ফলে, সাধারন জনগনের বিশ্বাস হারাচ্ছে তাদের সেনাবাহিনী।
ইরানী হামলা ঠেকানোর সরকারী উদ্যোগের বিরুদ্ধে জর্ডানের জনগনের তীব্র প্রতিবাদ থেকে আরবদেশগুলোর হারামী রাজা-বাদশা বা সরকারগুলো এই বার্তা পেলো যে, জনগনকে ক্ষেপিয়ে ইজরায়েলকে সমর্থন করা তাদের জন্য আত্মঘাতী হয়ে উঠতে পারে। ইরান এই সাহস দেখানোর ফলে পুরো উপ-সাগরীয় অঞ্চলের মানুষের ইরানের প্রতি সমর্থন এবং সহানুভূতি আরো বৃদ্ধি পাবে।
আধুনিক যুদ্ধ শুধু সমরাস্ত্র দিয়ে হয় না। প্রতিপক্ষকে অর্থনৈতিকভাবে পর্যদুস্ত করার চেষ্টাও থাকে। ইরান প্রথমে ধীরগতির ড্রোন দিয়ে ইজরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যতিব্যস্ত করে। তারপরে হাইপারসোনিক ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করে টার্গেটে হামলা করে। এই পুরো প্রক্রিয়াতে তাদের খরচ হয়েছে আনুমানিক এক মিলিয়ন ডলার আর এটা প্রতিহত করতে গিয়ে ইজরায়েলের খরচ হয়েছে আনুমানিক ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কাজেই বুঝতেই পারছেন!!!
একটা ব্যাপার নিশ্চিত করি। আমি কিন্তু কোন সমরবিদ কিংবা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক না। তাই কিছু বলার আগে প্রচুর পড়ালেখা করে বিষয়টা জানার চেষ্টা করি। আমার এই পোষ্ট লিখতে আমি সহায়তা নিয়েছি দুই মার্কিন সামরিক বিশ্লেষক মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্নেল (অবঃ) ডগলাস ম্যাকগ্রেগর আর মার্কিন মেরিন ক্যাপ্টেইন (অবঃ) স্কট রিটার এর বিভিন্ন আলোচনা, টক শো আর আর্টিকেল থেকে। এদের প্রোফাইল কতোটা সমৃদ্ধ তা গুগল কররেই জেনে যাবেন। আর নিয়েছি ইজরায়েলের পদলেহী ভারতের টাইমস অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক উদ্ধৃত ইজরায়েলী পত্রিকা ''মারিভ (MAARIV)'' থেকেও। ইচ্ছা করেই কোন মুসলিম মিডিয়া কিংবা মুসলিম বিশ্লেষক থেকে কিছুই নেই নাই; কারন সেক্ষেত্রে ফেসবুকীয় সমরবিদেরা আমার দেয়া তথ্যের সত্যতা ও নির্ভরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়ে যেতো। আরেক হাই প্রোফাইল মার্কিন বিশ্লেষক চ্যাস ফ্রিম্যানের একটা ভিডিও দিলাম। সমরবিদেরা দেখলে অনেক কিছু জানতে পারবেন। দু্ঃখের বিষয় হলো, এটা শুনে বুঝতে হলে ইংরেজি ভাষায় মোটামুটি জ্ঞান থাকতে হবে। অর্ধ-শিক্ষিতদের বুঝতে একটু সমস্যা হবে...........কি আর করা!!!
কাজে কাজেই মনগড়া কথা না বলে যথাসম্ভব নিরপেক্ষ সূত্র থেকে নিশ্চিত হয়েই আমি কিছু বলার চেষ্টা করি। ব্লগের ফেসবুকীয় সমরবিদ আর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের বলছি, এখানে সবাই আপনাদের মতো অর্ধ-শিক্ষিত না। ফলে কিছু লিখলে চিন্তা-ভাবনা করে লিখবেন। নিজেদের দৈনতা, দালালীত্ব আর ইসলাম-বিদ্বেষী মনোভাবকে খুল্লামখুল্লাভাবে বিকশিত করা কোন বুদ্ধিমানের কাজ না। এটা একেবারেই উজবুকীয় মনোভাব!!!
সবাই কষে ভালো থাকবেন।
ছবি সূত্র।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ধারনার সাথে আমার ধারনা মিলে যাওয়াতে আনন্দ পেলাম। ব্লগে আজকাল আনন্দ পাওয়া বেশ কঠিন; ঢুকলেই বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের জ্বালায় পালাই পালাই জাতীয় একটা মনোভাব চেগিয়ে উঠে। আমার কোন পোষ্টে এটাই সম্ভবতঃ আপনার প্রথম আগমন। সেক্ষেত্রে ভুয়া মফিজের ভুয়া জগতে আপনাকে সু-স্বাগতম!!!
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:১৩
কামাল১৮ বলেছেন: আমেরিকাকে ইরান গুরত্ব দেয় না।এক সময় দিতো।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। রেজা শাহ পাহলভীর আমলে আমেরিকা ইরানের প্রধান মিত্র ছিল। তখন ইজরায়েলের সাথেও ইরানের দহরম-মহরম ছিল।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একমত আপনার পোস্টের বক্তব্যের সাথে। ইসরাইল দাবার চালে ভুল করছে। সারা বিশ্বের দেশগুলি অর্থনৈতিক মন্দার কাছাকাছি। অ্যামেরিকা বা ইউরোপের দেশগুলি মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেন নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে পরিণামে ওদের দেশগুলিতে অর্থনৈতিক মন্দা চলে আসবে। এটা বাইডেন বা ইউরোপের কোন প্রেসিডেন্ট/ মন্ত্রী থামাতে পারবে না। তখন গদি নিয়ে টানাটানি হবে। আমাদের মত গরীব দেশ এমনিতেও আধা মরা। তাই আমাদের বা প্যালেস্টাইনের হারানোর কিছু নাই। এখনকার বিশ্বে মুল যুদ্ধ অর্থনৈতিক যুদ্ধ। ক্ষেপণাস্ত্র থাকলেই মারা যায় না।
ইরান চাইলে অতর্কিত আক্রমন করতে পারতো। তারা শুধু বুঝাতে চেয়েছে যে তারা আক্রমণ করতে পারে এবং সফলও হতে পারে। হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিলে বিশ্বে মন্দা দেখা দেবে। রাশিয়া ইরানকে পরোক্ষভাবে সাহায্য দিবে তার নিজের স্বার্থে। কারণ রাশিয়া আর অ্যামেরিকার মধ্যে বহুদিনের ইগো সমস্যা আছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের জন্য ক্ষতির কারণ হবে।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইজরায়েল দাবার চালে ভুল করবে কি, তারা দাবাই খেলতে পারে না। আম্রিকার সাথে তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। আমেরিকা না থাকলে বহু আগেই তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়তো। আজকাল পুরো পৃথিবী একটা গ্লোবাল ভিলেজ। প্রলয় শুরু হলে কেউই এর প্রভাবের বাইরে থাকতে পারবে না।
আমাদের মত গরীব দেশ এমনিতেও আধা মরা। এইটা কি কইলেন!! আমরা যেই পরিমান উন্নতি করছি, আগামী ১০০ বছর ঠ্যাং এর উপ্রে ঠ্যাং তুইলা খাইতে পারবো। কোন সমস্যা হবে না। কিছু না.........খালি ফ্লাই ওভারের দিকে তাকায়ে থাকলেই হবে।
শুধু রাশিয়া না, চীনও হিসাব-কিতাব করে ইরানকে কার্যকরভাবে সমর্থন দিবে। মেরুকরণ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। ''হবে'' না, অলরেডি এদের কেরে কেরে অবস্থা। বাইরে থেকে বোঝা যায় না, এরা প্রকাশ করে না ইগোর জন্য। ভিতরে ভিতরে হালুয়া টাইট!! আমেরিকার চামচামী করতে করতে এদের মেরুদন্ড প্রায় নাই হয়ে গিয়েছে।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
ইরানের লাভের দিকটা বা তাদের অভিজ্ঞতা অর্জনের দিকটা যেভাবে বর্ণনা / ব্যাখ্যা করেছেন সে সবের সাথে একেবারেই সহমত।
বড় লাভটা হলো, দেড় হাযার কিলোমিটার উড়ে গিয়ে ইসরাইলি ভুখন্ডে আঘাত করার মতো যোগ্যতা ও সাহস কোন দেশের যে আছে সেটাই প্রমান হলো। এর আগে যা ঘটেনি বা ইজরাইল যা ভাবতে পারেনি সেটাই হয়েছে ইরানের হামলায়। ভোতা আরব দেশগুলোর মতো যে মিউ মিউ করেনি ইরান সেটাই আসল।
তবুও পানি যতোদূরই গড়াক না কেন সেটা কি প্রচন্ড স্রোতের মতো নাকি মরা খালের মতো ধীরগতির হবে, সেটাই মূল বিষয়।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেড় হাযার কিলোমিটার উড়ে গিয়ে ইসরাইলি ভুখন্ডে আঘাত করার মতো যোগ্যতা ও সাহস কোন দেশের যে আছে সেটাই প্রমান হলো। এই বিষয়টাই ইজরায়েলকে আউলায়ে দিয়েছে। এটা তাদের স্বপ্নেরও অতীত ছিল। ইরানকে আমি একটা কারনেই পছন্দ করি, কারন এদের কলিজা আছে। কাতারেরও মোটামুটি আছে। মধ্যপ্রাচ্যের রাজা-বাদশা শাসিত বাকী দেশগুলোর নাম শুনলেই এদের শাসকদেরকে আমার জালি বেত দিয়ে পিটাইতে ইচ্ছা করে।
তবুও পানি যতোদূরই গড়াক না কেন সেটা কি প্রচন্ড স্রোতের মতো নাকি মরা খালের মতো ধীরগতির হবে, সেটাই মূল বিষয়। হ............এইটা একটা চরম মুল্যবান কথা কইছেন!!!
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৪৭
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ইরান ইসরাইল দুই দেশের সরকারই পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে পরস্পরকে কাতুকুতু দিচ্ছে।
তারা তাদের দুই দেশের জনগণকে বুঝ দিচ্ছে যে, তারা কতই না সাহসী,বাহাদুর। আদতে দৃষ্টি আকর্ষণমূলক নাটক মাত্র।
দুই দেশের সরকারেরই নিজ নিজ জনগণের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়তা নেই। তাই নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষার নিমিত্তে এইসব নাটক।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইরান ইসরাইল দুই দেশের সরকারই পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে পরস্পরকে কাতুকুতু দিচ্ছে। দুঃখিত......একমত হতে পারলাম না।
তারা তাদের দুই দেশের জনগণকে বুঝ দিচ্ছে যে, তারা কতই না সাহসী,বাহাদুর। আদতে দৃষ্টি আকর্ষণমূলক নাটক মাত্র। এটা কি আপনার মনের মাধুরী মেশানো উক্তি, নাকি ব্যাকড বাই সাম এভিডেন্স? বিষয়টা যদি কিছু রেফারেন্স দিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতেন, তাহলে আমার জানার বাইরে নতুন করে কিছু জানতে পারতাম।
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এত আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই।
এই যুদ্ধ খুব একটা বেশি দূর গড়াবে না।
কারণটা সহজ। দুটি দেশে কোন সীমান্ত নাই স্থল যুদ্ধ সম্ভব নয়।
হাজার মাইল দূরে কোন যুদ্ধ হয় না।
ক্ষেপণাস্ত্র মারা হলেও চার পাঁচ ঘন্টা লাগে, মোটামুটি সবাই এলার্ট হয়ে যায়।
হিজবুল্লাহ হুতি বেশি বাড়াবাড়ি করলে হামাসের মতো নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হবে
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এত আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই। এই যুদ্ধ খুব একটা বেশি দূর গড়াবে না। যুদ্ধ অনেক দূর গড়াবে, এমন আশাবাদ কি ব্যক্ত করছি পোষ্টে? মনে তো হয় না!!
হাজার মাইল দূরে কোন যুদ্ধ হয় না। বলেন কি? তবে যে আম্রিকা বিভিন্ন দেশে গিয়ে গিয়ে যুদ্ধ করে?
হিজবুল্লাহ হুতি বেশি বাড়াবাড়ি করলে হামাসের মতো নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হবে বলেন কি.........হামাস নিশ্চিহ্ন? খবর পাক্কা? সরাসরি নেতানিয়াহু'র কাছ থিকা নিউজ পাইছেন??
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৩২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গত কয়েকমাসে বঙ্গ মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে হামাসের বীরত্ব দেখতে দেখতে ক্লান্ত- হাজার হাজার ইসরাইলি সেনাদের কুপকাত করলো হামাস, হামাসের আক্রমণে ইসরাইলি বাহিনীর পালায়ন, হামাসের ফাঁদে পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী.. ইত্যাদি সব নিউজ দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পরেছি।
যাক তবে এখন বাঁচা গেলো, এখন আর হামাসের বীরত্ব দেখতে হবে না, এখন শুরু হবে ইরানের গুণকীর্তন-ইরানের এই আছে, সেই আছে, একদিনেই ইরান ইসরাইলকে ধ্বংস করে দিতে পারে, ইরানের সাথে চিন আছে রাশিয়া আছে.. ইত্যাদি আরও কত কি!!
তা ভাইজান বলছিলাম কি, গাজায় আর কত লাখ লোক মরালে ইরানের ঘুম ভাঙ্গবে? ইরানের আর কতজন উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তাদের হত্যা করলে, বিজ্ঞানীদের খুন করলে ইরানের টনক নড়বে? বিগত ১০ বছরে ইসরাইল ও তার মিত্রদের দাঁড়া ইরানের কতজন সমারিক কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে তার হিসেব আছে?
ইসরাইল গাজায় হাজার হাজার মানুষ মেরে ধছিয়ে দিচ্ছে, লেবান, সিরিয়ায় ইরানের প্রক্সি হেজবুল্লাহ, হুতি মুতি এদের উপর প্রায় প্রতি সাপ্তাহেই ইসরাইল আক্রমন চালাচ্ছে, ইরানের বিভিন্ন সামরিক কর্মকার্তদের হত্যা করছে কিন্তু এর পরেও কি ইরান শুধু বার্তা দিয়েই যাবে? ইসরাইলকে থামানোর ক্ষ্যামতা কি তাদের নেই? এসব আতশবাজি আর পটকা ফুটিয়ে ইরান ইসরাইলকে আসলে কি বার্তা দিতে চায় একটু শুনি?
ও আচ্ছা বুঝতে পেরেছি- ইরান তাহলে ইসরাইলে মানুষ মারার জন্য মিসাইল ছুড়ে নি, তারা মুলত পটকা ফুঁটিয়ে পাখি তাড়াতে চেয়েছিল, সে দিক দিয়ে ইরান অবশ্যই সফল, খবরে প্রকাশ "ইরানের পটকার আওয়াজে হাজার হাজার ইসরাইলি কাক ভিন দেশে পালিয়েছে"।
ঘটনা যাই ঘটবে তা গুজামিল দিয়ে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আনন্দে আত্নহারা হয়ে আস্ফল করতে বঙ্গবাসীর জুড়ি মেলা ভার, মাইরা ভচকায়া দিচ্ছে...আর এরা নিজেরাই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে আনন্দে লাফাচ্ছে!! তিনশটি রকেট, মিসাইলের মধ্যে মাত্র ৯ টি ইসরাইলের মাটি স্পর্শ করতে পেরেছে, আর তাতেই এদের কত আনন্দ!!
ইংরেজীতে একটি আর্টিক্যাল লেখা দেখলেই তা সত্য হিসেবে ধরে নিয়ে লাফাতে হবে? সত্য মিথ্যা যাচাই করতে হবে না?
গত ১০ বছরে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুরে ইরানের স্বার্থে এখন পর্যন্ত যতগুলো আঘাত এসেছে ইরান এর একটিরও সমুচিত কোন জবাব দিতে পারেনি, কুটনৈতিক ভাবে তো কিছু করতে পারেইনি, সামরিকভাবেও কিছু করতে পারেনি, শুধু দুই চারটি পটাকা ফুটিয়ে খালাস।
ইরানের এই মিত্র আছ সেই মিত্র আছে, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের এই কনফ্লিক্টে এরা সবাই মিউ মিউ করছে কেন?
যত্তসব মনে মনে মন কলা খাওয়া!! আপনি আরও কিছু মনকলা খেয়ে আরামের একটি ঘুম দেন, ইরান এবার ইসরাইলকে ধ্বংস করেই দেবে
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। এমন জ্ঞানী গুনীদের মন্তব্যই মনে মনে আশা করছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ!!!
বাই দ্য ওয়ে, আপনার ছবিটা সুন্দর হয়েছে। বাহনটা কিনতে কতো পড়লো?
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৩৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:- হিজবুল্লাহ হুতি, মুতি বেশি বাড়াবাড়ি করলে হামাসের মতো নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হবে।
আরও পড়ুন- অবশেষে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু!
ইরানকে শায়েস্তা করতে না পারলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হিজবুল্লাহ হুতি, মুতি বেশি বাড়াবাড়ি করলে হামাসের মতো নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হবে। বিনা পয়সার স্বপ্ন, দেখতে থাকেন। আর হিপোক্র্যাটদের ব্যাপারে আমার কোন আগ্রহ নাই.........দুঃখিত।
৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৫৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে হামাসদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব নয় এটা সত্য, এখনো বেশকিছু হামাস গর্তে লুকিয়ে রয়েছে তাদের সবকটাকে পাকড়াও করা সম্ভব হয়নি।
সাধারণ জনগণকে ঢাল বানিয়ে যারা শত্রুর মোকাবেলা করে আর যারা সাধারণ জনগণ হত্যা করে তারা দু পক্ষই সমান অপরাধী। গাজায় হাজার হাজার মানুষ হত্যার দায়ভার হামাস কখনোই এড়াতে পারে না।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সাধারণ জনগণকে ঢাল বানিয়ে যারা শত্রুর মোকাবেলা করে এই বিষয়টা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন দেখি?
১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:২৩
অহরহ বলেছেন: পবিত্র ইরান থেকে ধেয়ে আসা ঝাকে-ঝাকে "আবাবিল পাখি" ইহুদি ইসরাইলের আকাশে বিলিন হয়ে গেল!! সুবাহানআল্লাহ কইবেন্না, @ মফিজ ভাইয়া??
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোথায় যেন বলেছিলাম, দেশী আবাল আমি কিছুটা সহ্য করতে পারি, কিন্তু ভারতীয় আবাল একেবারেই না।
১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:১২
আমি নই বলেছেন: আপনার পোস্টের সাথে একমত, আমি ৩ দিন আগে মঞ্জুর চৌধুরী ভাইয়ের পোষ্টের মন্তব্যেও সক্ষেপে এই কথাগুলোই বলেছিলাম। কিন্তু কিছু আবাল প্রজাতির মানুষ আছে যারা মনে করে নিরিহ, নিরস্ত্র মানুষ হত্যাই আক্রমনের একমাত্র লক্ষ (অবস্য ওদের বস ইসরাইল সেটাই করে)। স্ট্রাটিজিক বিষয়টা ওদের ধারনার বাহিরে। এই আক্রমনে ইরান যে পরিমানে তথ্য পেয়েছে তা অন্য কোনো ভাবেই পাওয়া সম্ভব ছিলনা, পুরো পশ্চিমা গ্যাংয়ের দুর্বলতা এক্সপোজ হয়েছে। এর পরে আক্রমনের প্রয়োজন পরলে আগে ৪০০-৫০০ নিম্নমানের ড্রোন পাঠিয়ে ঐসব ডোম, এ্যরো, প্যাট্রিয়টকে খালি করে দিয়ে আসল মাল পাঠালেই কেল্লা-ফতে।
যাইহোক, যেই আবালরা বেজায় বক বক করতেছে তাদের কাছে একটা সিম্পল প্রশ্ন, ৭২ ঘন্টা আগে জানিয়ে ইরান হামলা করল এর কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে ইসরাইল চুপ মাইরা বসে আছে কেন? গাজা থেকে না একটা ফটকা ফুটালেও সাথে সাথে এফ৩৫, এফ১৬, ট্যান্ক নিয়ে ঝাপায়া পরে, এখন চুপ কেন? কারন ডায়াপার বাহিনি পারেই শুধু শিশু, বৃদ্ধ, মহিলা, শারিরিক ভাবে অক্ষমদের সাথে, সত্যিকারের সামরিক বাহিনির সামনে পরলেই ডায়াপার ভিজে যায়।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আবাল তো আবালই। স্ট্র্যাটেজিক বিষয় তাদের বোঝার কথা না। আর আবলামী করার জন্য এইসব স্ট্র্যাটেজি বোঝার দরকারও নাই। কিছু নমুনা তো এই পোষ্টেই দেখতে পাচ্ছেন। এদেরকে যথাসম্ভব ইগনোর করবেন, কারন এদের সাথে আপনি যতোই যুক্তিযুক্ত আলোচনা করতে যাবেন; সবকিছু এদের মাথার উপর দিয়ে যাবে। শুধু শুধু সময় নষ্ট করার মানে কি?
এরা এখনও ১৯৬৭ সালের যুদ্ধেই পড়ে আছে। বিশ্ব রাজনীতি বোঝার মতো জ্ঞান যেহেতু এদের নাই, কাজেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিও এরা বুঝবে না।
কারন ডায়াপার বাহিনি পারেই শুধু শিশু, বৃদ্ধ, মহিলা, শারিরিক ভাবে অক্ষমদের সাথে, সত্যিকারের সামরিক বাহিনির সামনে পরলেই ডায়াপার ভিজে যায়। অতি সত্যি কথা।
১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:০২
অহরহ বলেছেন: আমি নই বলেছেন: ব্লা ব্লা ব্লা ইরান বাজিমাত করে দিবে।
ভাইয়া, ১৯৮৪ সালের পর থেকে সমগ্র আরব বিশ্বের মুমিন মুসলমানরা এই ক্ষুদ্র ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলকে নিচিহ্ন করে দিতে চার চারটি সর্বাত্মক যুদ্ধ করে গো-হারা হেরেছে। তো, ইরানের পরিনিতি হবে সাদ্দাম হোসেনের মতই। ধন্যবাদ।
১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:০৪
অহরহ বলেছেন: দুঃখিত ১৯৪৮ সাল হবে।
১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪০
আমি নই বলেছেন: অহরহ বলেছেন: আমি নই বলেছেন: ব্লা ব্লা ব্লা ইরান বাজিমাত করে দিবে।
ভাইয়া, ১৯৮৪ সালের পর থেকে সমগ্র আরব বিশ্বের মুমিন মুসলমানরা এই ক্ষুদ্র ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলকে নিচিহ্ন করে দিতে চার চারটি সর্বাত্মক যুদ্ধ করে গো-হারা হেরেছে।
১৯৪৮ এ জায়নিষ্টরা দয়া চেয়ে দলে দলে রিফিউজি হিসেবে প্যালেস্টাইনে আসে। ওরা অত যুদ্ধাস্ত্র পেল কোথায়? উত্তর হচ্ছে সন্ত্রাসি ইজরাইলের বাপেরা মুলত যুদ্ধটা করেছে, আর জারজ পোলারে ক্রেডিটটা দিয়েছে যাতে আপনার মতরা একটু আনন্দ করতে পারেন।
"The Germans destroyed our family and homes- don't you destroy our hopes" এই ব্যানার লাগিয়ে জায়নিস্ট বেইমানরা প্যলেস্টাইনে আশ্রয় নিয়েছিল, যাদের পায়ে জুতা ছিলনা, মাথার উপরে ছাদ ছিলনা, পেটে খাবার ছিলনা তারা কেমনে যুদ্ধ করতে পারে এইটা বোঝার মগজ আপনার নাই। শুধু শুধু চেস্টা করে লাভ নাই।
তো, ইরানের পরিনিতি হবে সাদ্দাম হোসেনের মতই। ধন্যবাদ।
সাদ্দাম হোসেন সরল বিশ্বাসে আনবিক কমিশনকে তার দেশে ঢুকতে দিয়েছিল আর আনবিক কমিশন তার প্রভুর কাছে ইরাকের অস্ত্রের সব খবর প্রকাশ করে দেয়, ইরান এখনো সেই ভুল করেনি। তবে টুডে-টুমরো আপনাদের মুখে চুন-কালি পরবেই, জায়নিস্টরা শক্তিশালী হলে মুর্তি-পুজারী ভারতকেই প্রথম ধরবে।
১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার যুক্তিযুক্ত বক্তব্য শুনলাম- বেশ বিশ্লেষনধর্মী নিবন্ধ! অনেক তথ্য উপাত্ত ঘেঁটে নিবন্ধটি লিখেছেন বোঝা যায়।
তবে এ ধরণের প্রতিটা নিবন্ধ লেখার আগে লেখক নিজেকে এক পক্ষে দাড় করাতে বাধ্য হন- তিনি যতই নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেন না কেন, শেষমেশ যুক্তিটা সেই পক্ষেই যায়। আপনি আমি সবাই এর উর্ধ্বে নই।
আমি এমন একটা বিশ্লেষনধর্মী লেখা বাংলায় জায়ানবাদীদের পক্ষে কারো কলমে আশা করছি।
তবে আমার মত কি জানেন; উপরের লাইন সব ঠিক আছে। ওদের প্লান পোগ্রাম আমাদের মত আম জনতা কোনদিন জানতে পারাব না। আমরা হুদাই লাফাব আর যুগ যুগ ধরে শুধু ভিকটিম হব। কখনো ১৫০০ ইহুদীর জান কোরবান হবে কখনো দেড়লক্ষ মুসলিম মরবে। কিন্তু বাইডেন ঠিকই প্রমোদ ভ্রমণে যাবে, নেতানিয়াহু বসে বসে মদ গিলবে, হামাসের নেতারা গর্তে বসে নতুন আকামের ছক কষবে। কোনদিন কেউ জানবে না কেন রাশিয়ার ৫০ হাজার সোলজার উক্রাইনে আগ্রাসন চালাতে গিয়ে হুদাই জান দিয়ে ৫০ হাজার পরিবারের সপ্নকে চিরতরে কবর দিয়ে দিল, যেইদেশে এক পরিবারে একটা মাত্রই সন্তান হয়তো সর্বোচ্চ থাকে।
পৃথিবীতে ধর্মের চাইতে ভয়ঙ্কর তত্ত্ব হচ্ছে জাতীয়তাবাদ তত্ত্ব। এ তত্ত্ব শুধুমাত্র ক্ষমতাবানদের সাধারন মানুষদের ইমোশন নিয়ে খেলার তত্ত্ব- এই তত্ত্বকে চিরতরে আর নির্মুল করা অসম্ভব!
ভাল থাকবেন।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুরুতেই কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করছি। মোটা দাগে পাগল ছাড়া কেউই নিরপেক্ষ না, সত্যি। তবে নীতি-নৈতিকতা, সঠিক মতাদর্শ, সত্য পথ বলে কিছু শব্দ প্রচলিত আছে মানব সমাজে। যাদের ন্যুনতম বিবেকবোধ আছে, তারা এসব দ্বারাও সময়ে সময়ে পরিচালিত হয়। দীর্ঘ সময়ের পক্ষ ত্যাগ করে। আর যারা নির্ভেজাল দালাল, তারা পরিচালিত হয় তাদের প্রভুর দ্বারা, ঠিক সুতায় টানা পুতুল নাচের পুতুলের মতো করে।
ফলে একটা পক্ষের হয়েও দিনের পর দিন যদি সেই পক্ষকে আপনি অন্যায় করতে দেখবেন, তখন আপনার পক্ষের বিপক্ষেই আপনি আওয়াজ তুলবেন। সেই কারনেই দেখবেন জায়নবাদী ইজরায়েলেও দুই চারজন মানুষ আছে যারা মানবতার ফেরীওয়ালা। আশাকরি, ভিন্নমতের কারনটা পরিস্কার করতে পেরেছি।
আমি এমন একটা বিশ্লেষনধর্মী লেখা বাংলায় জায়ানবাদীদের পক্ষে কারো কলমে আশা করছি। আমাদের এই ব্লগে এই্ পর্যায়ের শিক্ষিত জায়নবাদী নাই, সেই জন্যই পোষ্টে এদেরকে আমি অর্ধ-শিক্ষিত বলেছি। আমার এই পোষ্টেই কয়েকটা নমুনা দেখতে পারেন। এদেরকে কোন একটা প্রশ্ন করলে হয় আপনাকে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলবে, নয়তো ভেগে যাবে। নীতি-নৈতিকতার কোন বালাই এদের মধ্যে পাবেন না।
পরের প্যারাতে যা বলেছেন সেটাই বাস্তবতা। ক্ষমতার লোভ, ক্ষমতার লড়াইগুলো এই রকমেরই। কিন্তু তার মানে এই না যে, এইসব অনাচার দেখেও চুপ থাকতে হবে। নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতা বলেও একটা কথা আছে। ভিকটিমরা যদি আওয়াজ তোলে তাহলে কিছুটা অনাচার কমতে পারে, আশা থাকে। কিন্তু চুপ থাকলে না কমে যে বাড়বে, সেটা নিশ্চিত।
পৃথিবীতে ধর্মের চাইতে ভয়ঙ্কর তত্ত্ব হচ্ছে জাতীয়তাবাদ তত্ত্ব। এ তত্ত্ব শুধুমাত্র ক্ষমতাবানদের সাধারন মানুষদের ইমোশন নিয়ে খেলার তত্ত্ব- এই তত্ত্বকে চিরতরে আর নির্মুল করা অসম্ভব! সত্য। তবে নিয়ন্ত্রণ করা কিন্তু সম্ভব।
১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৭
রাসেল বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ এবং ধন্যবাদ। আমার মন্তব্য প্রকাশ করতে- "আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর এবং ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো" বাগধারাগুলো নিজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি। শুরুতেই আপনার লেখার গৌণ বিষয়টা নিয়ে বলতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, ইসরায়েল মুসলিমদের জেরুজালেমে থাকতে দেবে না। অন্যথায়, তারা ফিলিস্তিনকে তাদের দেশ হিসাবে নির্বাচন করত না। এ কারণেই ইসরায়েল এ ধরনের গণহত্যা করছে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের মানুষের (মুসলিম) বেঁচে থাকার এবং ফিলিস্তিনে থাকার সমস্ত অধিকার রয়েছে। কিন্তু কেউ রক্ষা করছে না ফিলিস্তিনের মানুষদের।
আপনার মতো, আমিও বলতে চাই যদি ইরানের যুদ্ধ এবং ইসরায়েলকে ধ্বংস করার ইচ্ছা থাকত, ইরান কখনই আক্রমণের আগে সবার প্রতি সময়সূচী ঘোষণা করত না। সম্ভবত, ইরান তাদের সামরিক শক্তি দেখানোর জন্য এটি করেছে। ইরানের সামরিক হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েল কি মোকাবিলা করেছে? অবশ্যই না, কারণ ইরানের সামরিক আক্রমণের বিরুদ্ধে যদি তাদের যথেষ্ট শক্তি থাকত, তবে তারা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডানের সাহায্য গ্রহণ করত না। এটা বলা যেতে পারে যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান কি ইসরাইলের মতো করে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেছে? না এবং এর কারণ বিশ্লেষণের প্রয়োজন নেই। আমি মনে করি ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তি (সামরিক শক্তি ও গোয়েন্দা) দুর্বল। অন্যথায় ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আক্রমণ সফল হত না।
আমি মনে করি, মুসলিম ও আরব বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে অমুসলিমদের উপর নির্ভরশীলতা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং মুসলিম ও আরব বিশ্বের অনৈক্য ও পদলেহননীতি আমাদেরকে দুর্বল এবং আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে তুলেছে। আলাদাভাবে, আরেকটি বিষয় বলতে চাই, আমাদের নবী মোহাম্মদ (সাঃ) যাদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর ছিলেন, তারা হলেন মোনাফেক, আবারও বলি তারা হলেন মোনাফেক। আবারও ধন্যবাদ।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইসরায়েল মুসলিমদের জেরুজালেমে থাকতে দেবে না। সেই চেষ্টা তো তারা শুরু থেকেই করছে। আর প্যালেস্টাইনকে তাদের দেশ হিসাবে নির্বাচন করা শুধু তাদের বিষয় ছিল না; এটার পিছনে একটা বিশাল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আর সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা কাজ করেছিল। আপনি সেই ইতিহাস গল্পের মতো করে না, একজন বিশ্লেষকের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যদি পড়েন, অনেক কিছুই আপনার কাছে পরিস্কার হবে।
কিন্তু কেউ রক্ষা করছে না ফিলিস্তিনের মানুষদের। আমি অনেক আগে এই ব্লগেই একটা পোষ্ট করেছিলাম। সেটাতে বলেছিলাম, কিভাবে মুসলমানরাই মুসলমানদের সবচাইতে বড় শত্রু। এই সত্যটা সব সময়েই প্রযোজ্য। এই সর্বশেষ ইনসিডেন্টেও দেখেন, মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটা মুসলিম দেশই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইজরায়েলের পক্ষে তথা প্যালেস্টাইনের বিপক্ষে কাজ করেছে। আমার দৃষ্টিতে এরা নামেই মুসলমান। আপনাকে একটা ফানি অথচ নির্মম সত্যের ভিডিওর লিঙ্ক দিচ্ছি। দেখতে পারেন। view this link
আমি মনে করি ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তি (সামরিক শক্তি ও গোয়েন্দা) দুর্বল। আপনাকে বুঝতে হবে ইরান অলমোস্ট একহাতে একটা বিশাল শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছে। ইজরায়েল ইরানের কাছে কিছুই না। কিন্তু ইজরায়েলের পেছনে যে আমেরিকা আর গোটা পশ্চিমা শক্তি, তাদের সাথেই ইরানের মূল লড়াই। এরা ইজরায়েলকে মদদ না দিলে ইজরায়েলের ধুলাও থাকতো না আজকে। এতোসব বাধা বিপত্তি, স্যাঙ্কশান, বিশ্বাসঘাতকতাকে মোকাবেলা করে যে ইরান টিকে আছে আর আজকের এই সক্ষমতা অর্জন করেছে, এটা একটা বিস্ময়। আমার স্যালিউট ইরানের নেতাদের প্রতি।
আমি মনে করি, মুসলিম ও আরব বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে অমুসলিমদের উপর নির্ভরশীলতা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং মুসলিম ও আরব বিশ্বের অনৈক্য ও পদলেহননীতি আমাদেরকে দুর্বল এবং আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে তুলেছে। সেটাই। শুধু নামায/রোযা করলেই মুসলমান হওয়া যায় না। প্রকৃত মুসলমান এখন খুবই কম। প্রায় সবই মোনাফেক। এটাই বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের দুর্ভোগের সবচাইতে বড় কারন।
১৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১
নতুন বলেছেন: বিশ্ব রাজনিতি বোঝার মতন বুদ্ধি আমার নাই তবে এটা জানি যুদ্ধে সুধুই সাধারন মানুষের কস্ট হয়।
আমেরিকা তার সম্রাজ্য বিস্তার এবং টিকিয়ে রাখতে এই সব যুদ্ধ/ঝামেলা জিইয়ে রাখে...
এর জন্য জাতীয়তাবাদ, ধর্ম, ক্ষমতা, সম্পদ, লোভ, ভয় সব কিছুরই ব্যবহার করে।
বিশ্বের মানুষ এখন অনেক জ্ঞানী হয়েছে আশা করি যুদ্ধের মতন ক্ষতিরক কাজ থেকে বিরত রাখতে জনগন সরকারের উপর চাপ সৃস্টিকরবে।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিশ্ব রাজনীতি বোঝার মতো বুদ্ধি আমারও নাই, তবে কিছুটা কমনসেন্স আছে। সেটা দিয়েই বোঝার চেষ্টা করি। বঙ্গবন্ধু তো বলেছিলেনই............যার যা আছে তাই নিয়া ঝাপায়ে পড়ো!!!
বিশ্বের মানুষ এখন অনেক জ্ঞানী হয়েছে আশা করি যুদ্ধের মতন ক্ষতিরক কাজ থেকে বিরত রাখতে জনগন সরকারের উপর চাপ সৃস্টিকরবে। নিয়মিতই করছে। কোথাও আংশিক সফল হচ্ছে, কোথাও হচ্ছে না। এটা আসলে নির্ভর করে সেই দেশের সরকার ব্যবস্থার উপরে।
১৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০১
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
ইন্ডিয়ার দালালরা বলছে ইসরাইলের প্রযুক্তি আছে, তারা এক হামলা করে সাত জনকে হত্যা করেছে। আর ইরানের হামলা ইসরাইল ঠেকিয়ে দিয়েছে,
ইরান ইসরাইলের কোন ক্ষতি করতে পারেনি। অথচ তারা এটা বলছে না যে, ইরানের এই সাধারণ হামলা হতে বাঁচতেই ,আম্রিকা, ব্রিটেন, জর্ডানের সাহায্য নিয়েছে, আরো বড় হামরা হলে কী হবে? এতো উন্নত, এতো টেকনোলজি তাইলে পশ্চিমাদের সাহায্য কেন লাগে। তারা এটা বলছে না যে, ইসরাইলি সন্ত্রাসীরা না জানিয়ে পেছন থেকে কাপুরুষের মতো হঠাৎ হামলা করেছে, তাও আবার অন্য একটা দেশে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা করেছে। সন্ত্রাসীরা অবশ্য না জানিয়ে কাপুরুষের মতো হঠাৎ করেই হামলা করে। আর ইসরাইল তো বরাবরই বিভিন্ন দেশে মোসাদ চোরাদের দিয়ে মানুষ খুন করে, একটা রাষ্ট্র কখনো এমন কাজ করতে পারে না, খুনি সন্ত্রাসীরাই এমন কাজ করে।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দালালরা তো বহুকিছুই বলে। সত্যি বলতে, দালালরা যেসব পোষ্টে মূলতঃ দাপাদাপি করে, সেইসব পোষ্টে আমার যাওয়া হয় না বললেই চলে। ইরান ইজরায়েলের কি করতে চেয়েছিল, আর কি করতে পেরেছে সেটা পোষ্টেই প্রমাণ সহকারে বলেছি। আসলে, দালালদের দালালী দেখার সময় আমার নাই।
ইজরায়েলের পেছনে আম্রিকা, বৃটেন, ফ্রান্সসহ গোটা পশ্চিমা বিশ্ব রয়েছে। রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা মুসলিম বিশ্বের অনেকটাই। এমন কি আমাদের বাংলাদেশের সরকারও তলে তলে ইজরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে। এতো কিছুর পরও ইজরায়েলকে কাপুরুষের মতো আচরণ করতে হয়, এটা লজ্জাজনক। অবশ্য প্রভু আর তার চামচা যখন নির্লজ্জ হয়, তখন দালালদের দোষ দিয়ে লাভ নাই। তাদেরও তো কিছু একটা করে খেয়ে পড়ে বাচতে হবে, তাই না!!!
ইরানকে নিয়ে কিছু বলতে গেলে এসবই বিবেচনায় রাখতে হবে। তবে সব প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা ইরানের রয়েছে।
১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
অহরহ বলেছেন: তো ভাইয়া, আমাদের বাংলাদেশের আল্যা-পূজারী মুমিন মুছলমানরা রাতের আঁধারে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে মুর্তি-পুজারী ভারতের গরু চুরি করে ক্যান?
বাংলার মুসলমানরা কি ওপারের মানুষের ঘরে ঢুকে গরু আনে? নাকি ওপারের গরু মায়ের সন্তানরা তাদের গরু মাকে বিক্রি করতে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে নিয়ে আসে?
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাদ দেন আবালের কথা। কথায় কথা বাড়বে। এদের সাথে বাৎচিৎ করে হুদাই সময় নস্ট করার কোন মানে নাই। সময়ের অনেক দাম।
২০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৪
কথামৃত বলেছেন: আমি জাতীয়তাবাদকে খুব ভয় পাই। উগ্রডানপন্থীদেরও খুব ভায় পাই।
লেখা খুব ভাল হয়েছে। যদিও আগেই এক্স এ Scoot Ritter এর এই আলোচনা পড়েছি। আরো অনেক বিশ্লেষকের আলোচনা পরেছি। তবে আমেরিকার সিনেটররা ইস্রাইলের পক্ষে যুদ্ধ করার প্ররোচনা দিচ্ছে বাইডেনকে। ধন্যবাদ
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোকুনে মোড়ানো উগ্র জাতীয়তাবাদ আর উগ্র ডানপন্থীদের ভয় না পাওয়ার কোন কারন নাই। এরা বিরুদ্ধমতের প্রতি অত্যন্ত নিষ্ঠুর। যুক্তি, মানবতা, পরমতসহিষ্ণুতা এইসব শব্দের কোন মুল্যই নাই এদের কাছে।
স্কটের আলোচনাগুলো চমৎকার। একটা আলোচনাতে সে ব্যাখ্যা করছিলো, কিভাবে ইরানী মিসাইলগুলো ডিকয় তৈরী করে আয়রন ডোমকে বিভ্রান্ত করেছিল। আমার এই পোষ্টে সেটাও যুক্ত করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু দেখলাম লেখা অনেক বড় হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে বাদ দিয়েছি।
আমেরিকার সিনেটররা ইজরায়েলের পক্ষে যুদ্ধের প্ররোচণা দেয়ার অন্যতম প্রধান কারন হলো ইহুদি টাইকুনদের কাছ থেকে নির্বাচনী ফান্ড বাগানো। সবই স্বার্থের খেলা। মানবাধিকার আম্রিকান সিনেটরদের কাছে কেতাবী বিষয়। তবে সেখানেও গুটিকয় মানবিক সিনেটর আছে।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
২১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩২
ঢাবিয়ান বলেছেন: ইন্টারন্যশনাল মিডিয়ার খবরতো বহু আগেই বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। তারা বলতেছে Israel launches strike on Iran, US official says ; Iranian president makes no mention of Israeli strike while lauding its previous weekend attack (CNN) । কে যে সত্য বলছে বলা মুশকিল। তবে আপনার বিশ্লেষন যথেষ্ঠই যৌক্তিক লাগছে। ইরানের সক্ষমতা খাট করে দেখার উপায় নাই। গাজায় যেভাবে মানুষ খুন করে বেড়াচ্ছে খুনে ইজরাইল, পারলে ইরানেও একই অবস্থা করত। কিন্ত সেটা যে পারছে না তা বলাই বাহুল্য। আমেরিকাও নাকি এই বিষয়ে ইজরাইলকে আর সাপোর্ট দিচ্ছে না। এছাড়া এটাও সবার জানা আছে যে , ইরান পারমানবিক শক্তিধর দেশ।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইন্টারন্যশনাল মিডিয়া বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে বলেই তো বিশ্বাস-অবিশ্বাস করতে হবে ক্রস চেক করে। পক্ষ-বিপক্ষ মিডিয়া দেখবেন। আজকাল প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেক ভিডিও পাওয়া যায়। মোটামুটি নিরপেক্ষ বিশ্লেষকদের বিশ্লেষন পাওয়া যায়। মোট কথা, বহু উপায় আছে এখন। আগের মতো ২/১ টা মিডিয়ার উপর নির্ভর করতে হয় না। কাজেই কমনসেন্স এপ্লাইয়ের কোন বিকল্প নাই।
আর ইজরায়েলের পক্ষে-বিপক্ষে CNN কি বলবে, এটা চক্ষু বন্ধ করে আগেই বলে দেয়া যায়!!!
২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: লিখার মূলবক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত।
দু্ঃখের বিষয় হলো, এটা শুনে বুঝতে হলে ইংরেজি ভাষায় মোটামুটি জ্ঞান থাকতে হবে। অর্ধ-শিক্ষিতদের বুঝতে একটু সমস্যা হবে........
আমি নিজেও মোটামোটি অর্ধ-শিক্ষিতই বলা চলে তাই আপনার চাছাছোলা কথাগুলো একটু বেশি বেমানান ঠেকল। কারন আপনি শিক্ষিত মানুষ, আপনার ভাষাটা আরো একটু পরিশিলীত হলে কিন্তু দোষের কিছু ছিল না।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার কনসার্নের জন্য ধন্যবাদ।
অর্ধ-শিক্ষিত বলেছি যারা অর্ধ-শিক্ষিত হয়েও মহা-শিক্ষিতের ভাব ধরে, তাদেরকে। হিন্দিতে ''অওকাদ'' বলে একটা শব্দ আছে। প্রত্যেকেরই নিজের সম্পর্কে ওই রিয়ালাইজেশানটা জরুরী। আরো অনেক কারন আছে যার সবটা এই ওপেন প্ল্যাটফর্মে বলা যায় না; তবে ওই ক্ষেপনাস্ত্র-বাক্য টার্গেটেই আঘাত করেছে, আপনি নিশ্চিত থাকেন।
আমি শিক্ষিত কতোটুকু জানি না, কারন এটা একটা আপেক্ষিক বিষয়। তবে আমি ''যেমন কুকুর, তেমন মুগুর'' তত্ত্বে বিশ্বাসী। আপনি একজন চাইনীজকে যেমন বাংলায় কোন কিছু বোঝাতে পারবেন না, তেমনি একজন ইতরকে পরিশীলিত ভাষায় কথা বলে কোন লাভ হবে না। একটা উদাহরন দেই..........আপনার পরেই যেই আবালটা মন্তব্য করেছে, তাকে আমি নিষেধ করেছি আমার পোষ্টে এসে ল্যাদাইতে। কতোটা নির্লজ্জ বেহায়া দেখেন, তারপরেও সে আবার এসেছে। এখন এর সাথে আপনি মধুর স্বরে কথা বলবেন? হয়তো। তবে আমি বলবো না।
ভার্চুয়াল দুনিয়ায় তো কাউকে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া যায় না, মন্তব্য মুছে দেয়া এখানে বিকল্প হিসাবে কাজ করে। সেটাই করতাম। আপনাকে দেখানোর জন্য রেখে দিলাম। এই ধরনের সারমেয়কে লাঠির বাড়ি দিলেও আবার কুই কুই করতে করতে পায়ের কাছে ঘোরাঘুরি করে। কি করা উচিত? আপনার সাজেশান কি?
২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:০১
অহরহ বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: ইন্টারন্যশনাল মিডিয়ার খবরতো বহু আগেই বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। তারা বলতেছে Israel launches strike on Iran .............. ব্লা ব্লা ব্লা এছাড়া এটাও সবার জানা আছে যে , ইরান পারমানবিক শক্তিধর দেশ।
ভাইয়া, আপনি সাদ্দাম রোগে আক্রান্ত।
২৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: কি করা উচিত? আপনার সাজেশান কি?
কি করা উচিত এটা আমার চাইতে আপনি বেশি ভাল জানেন বলে মনে করি। তবুও বলছি, যারা বেশি ঝামেলা করেন তাদের মন্তব্যের কোন জবাব না দিয়ে ইগনোর করতে পারেন, বেশি স্ল্যাং কথাবার্তা লিখলে মন্তব্য মুছে দিতে পারেন অথবা যদি চান কমেন্ট ব্যান করেও রাখা যায়, যদিও আমি কমেন্ট ব্যান এর পক্ষে নই এবং অদ্যাবদি আমি কাউকে কমেন্ট ব্যান করি নাই। বাজে মন্তব্য করলে রিপোর্টও করতে পারেন।
ধন্যবাদ।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আগেই বলেছি, আমি ''যেমন কুকুর, তেমন মুগুর'' তত্ত্বে বিশ্বাসী। আরো একটা কাছাকাছি তত্ত্বেও আমি বিশ্বাসী। সেটা হলো, ''ধরো তক্তা, মারো পেরেক'', অথবা ''ঢিল মারলে পাটকেল মারা''। ছোটবেলায় আমি আইসক্রীম কোন সময়ে চুষে খেতাম না, কামড়িয়ে খেতাম। চুষে খাওয়ার যে ধৈর্য, সেটা আমার ছিল না।
আপনার সাজেশানে বোঝা যাচ্ছে, আপনি সুশীল ক্যাটাগরীর মানুষ। এদিকে আমাকে যদি কেউ আঘাত করে, পাল্টা আঘাত না করা পর্যন্ত আমার শ্বাসকষ্ট হতে থাকে, কারন আমি আপনাদের মতো সুশীল ক্যাটাগরীতে পড়ি না। তাছাড়া ব্লগে আপনার সাজেশানগুলোর কোনটাই ভায়াবল না। কেন না, ব্যাখ্যা করতে গেলে অনেক কথা বলতে হবে। মন্তব্যও অনেক বড় হবে; তাই বাদ দিলাম।
আপনাকে আপন মনে করে এতো কথা বলার কারন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন!!!
২৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১
আরোগ্য বলেছেন: দুইটা পোস্ট আপনের সিরিয়ালে আছে। ইরানের ঘটনা নিয়া ঘাটাঘাটি করার সুযোগ পাইতাসি না। আপনে পোস্ট দেওনে ভালোই হইলো। ঘর, গরম আর ক্লাস তিনটা মিলা আমি ক্লাব স্যান্ডউইচ। সবতে আমারে লয়া টানা হেচড়া করলে আমি কেমনে কী....
আইতাসি সময় কইরা পইড়া। এদিকে আবার chrome এ আহন যায়না, না পাইরা uc তে দেখলাম।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুইটা পোস্ট আপনের সিরিয়ালে আছে। আপনের পোষ্টও আছে কয়েকটা। এখন কয়েকদিন একটু সময় পামু, দেখি সিলেবাস কমপ্লিট করবার পারি কিনা!!
ক্লাব স্যান্ডউইচ আমার প্রিয় খাদ্য। আপনে হইলে সাবধানে থাইকেন। আমার মতোন কেউ হইলে খাইয়া ফেলাইবো!!!
এদিকে আবার chrome এ আহন যায়না, না পাইরা uc তে দেখলাম। uc জিনিসটা কি?
আপনের পরের মন্তব্য একটু সময় লয়া উত্তর দিতে হইবো। আইতাসি ইকটু পরে।
২৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
আরোগ্য বলেছেন: পড়সি দুই দিন আগেই কিন্তু মন্তব্য করার মত আমার এ বিষয়ে জ্ঞান নাই। তবে আমার যা মনে হয় ইরান নিজের ক্ষমতা দেহানের লেইগা পাল্টা জবাব দেয়, যেটা ঠিক আছে। অবশ্যই শক্তি সামর্থ্য থাকলে নিজের প্রতিরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়াটাই সমীচীন। কিন্তু এতে গাজাবাসীদের কি কোন উপকার হয়েছে তা আমার জানা নাই। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো পাপেটে পরিণত হয়েছে নতুবা ইসরায়েলিদের মত উদ্বাস্তুরা কি করে সাহস পায় মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে ঠাই নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের গৃহচ্যুত করার। তবে এ ধারা বজায় থাকবে। জেরুজালেম ইসরায়েলের দখলে যাবে, পাপেটরা কিছুই করবে না, ইরান কতদুর যায় দেখা যাক।
আমি সিনিয়র এক ভাইয়ের সাথে ইরান ইসরায়েলের ঘটনাটা নিয়ে আলাপ করতে নিয়েছিলাম, উনি শুধু বললো এটা রাজনৈতিক ব্যাপার। সময়ের অভাবে আর কথা বেশিদূর এগোতে পারিনি।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইরানের সবচাইতে ভালো দিক হইলো, তারা চেষ্টা করতেছে। আরব পাপেটদের মতো হাত গুটায়া বইসা নাই। আর পিঠে ছুরি মারার মেন্টালিটি নাই।
ইরান পাল্টা জবাব না দিলে ইজরায়েল আরো পায়া বসতো, এতে কোন সন্দেহ নাই।
উনি শুধু বললো এটা রাজনৈতিক ব্যাপার। রাজনৈতিক তো বটেই, তবে এর সাথে ধর্মের মিশেল আছে। খুবই বিশদ আলোচনা এইটা। লেইখা আলাপ করতে গেলে অনেক টাইপ করতে হইবো। আপনের কোন স্পেসিফিক প্রশ্ন থাকলে জানায়েন। কমু নে।
২৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৭
জুন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পুর্ন সহমত ভুয়া। আপনি যাদের রেফারেন্স দিয়েছেন তাদের বক্তব্যের সাথে দ্বিমত করার প্রশ্নই আসে না। উপরে একজন বলেছেন ঈসরায়েলের সাথে যুদ্ধ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো চার বার হেরেছে। তো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো কি ঈসরায়েলের সাথে যুদ্ধ করেছে নাকি প্রকৃতপক্ষে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে!! পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের সাথে কি মধ্যপ্রাচ্যের জেতার কথা!
আর ভারত ভালোই কূটনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে গোটা দুনিয়ায়। রাশিয়ার সাথে সস্তায় তেল নিয়ে গলা জড়িয়ে আছে আবার ইউক্রেনে ভারতীয়রা নাগরিকরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, ইসরায়েলের হয়ে ফিলিস্তিনিদের খুন করছে। মোদী নিজ দেশে মসজিদ ভেংগে মন্দির বানিয়েও শান্তি নাই, মুসলিম দেশ ( জানিনা এরা আদৌ মুসলিম কিনা) আমিরাতে বিশাল মন্দির নির্মান করে তার উদ্ভোদন করছে। কি অদ্ভুত।
এখন নিউজে দেখলাম চীনের বন্দরে উত্তর কোরিয়া আর রুশ সামরিক জাহাজ। আল্লাহ মালুম গোটা দুনিয়া কোথায় যাচ্ছে!
+
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: উপরে একজন বলেছেন ঈসরায়েলের সাথে যুদ্ধ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো চার বার হেরেছে। এদের ব্রেইনগুলো আসলে কোন কিছু এনালিসিস করার উপযোগী না। বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, এদের কোন খবর নাই। এরা একধরনের প্রিকনসিভড আইডিয়া নিয়ে বসে আছে। আমি আসলে এই ধরনের বুদ্ধি-প্রতিবন্ধীদের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়াতেই চাই না আপা। তাছাড়া, আমার সময়ের বড়ই অভাব। জীবনে এখনও বহুকিছু করার বাকী। কখন হুট করে মরে যাই সেটা নিয়ে সব সময়ে টেনশানে থাকি। কাজেই সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহারের চেষ্টা করছি।
ভারত ভালোই কূটনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে গোটা দুনিয়ায়। দক্ষিন পূর্ব এশিয়া আর প্রশান্ত মহাসগরীয় এলাকার আমেরিকান স্বার্থ রক্ষা করার জন্য আমেরিকা ভারতকে কিছুটা ছাড় দিচ্ছে। কিন্তু তাদের ইতোমধ্যেই খানিকটা মোহভঙ্গ হয়েছে, সেজন্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা ভারত সরকারের প্রকাশ্য সমালোচনা করা শুরু করেছে। কারন, প্রতিবেশী দেশগুলোসহ পুরো বিশ্বে ভারতের গ্রহনযোগ্যতা খুবই দূর্বল।
আর মুসলিমদেশগুলো, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সরকার যারা চালায়, আমার মতে তারা মুসলমান নামধারী, কিন্তু আসলে মোনাফেক। এদের নিয়ে কিছু বলতেও রুচীতে বাধে।
চীনের বন্দরে উত্তর কোরিয়া আর রুশ সামরিক জাহাজ। শত্রুর শত্রু বন্ধু হয়। বহু পুরানো কিন্তু কার্যকর একটা নীতি।
২৮| ০৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ইরানের লাভের দিককগুলো চমৎকারভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। আমাদের দেশী মিডিয়াও এই এঙ্গেল থেকে আলোচনা করেনি। ভাল লেগেছে।
হাসান কালবৈশাখীর মন্তব্য পড়ে হাসলাম কিছুক্ষণ।
১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের বেশীরভাগ দেশী মিডিয়া আম্বানীর ছেলের বিয়ে, বলিউডের নায়ক-নায়িকারা কি খায়, কি পিন্দে এইসব নিয়া ব্যস্ত। এই ধরনের অ-গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়া লেখালেখি করার তাদের সময় আছে? বাকীরা ''নাই কাজ, তো খই ভাজ'' নিয়া ব্যস্ত!!!
হাসান কালবৈশাখীর মন্তব্য পড়ে হাসলাম কিছুক্ষণ। ইনি ব্লগের গুরুত্বপূর্ণ সিট-আপ (স্ট্যান্ড আপের বসা ভার্সান) কমেডিয়ান!!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৮
মায়াস্পর্শ বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। যা লিখেছেন আমার ধারণাও অনেকটা সেরকম ছিল। দেখি, ভারতের পক্ষের শক্তি কে কেমন মমন্তব্য করেন। ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য।