নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা বিষয়ে কেউ সম্ভবতঃ দ্বি-মত পোষণ করবেন না যে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আওয়ামী লীগ ছিল একমাত্র নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল। স্বাধীনতার পরে বেশ কয়েকটা রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব ঘটে যার সবকটাই ছিল প্রধানতঃ বাম ঘরানার। কিন্তু সেগুলো ঠিকমতো প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই শেখ মুজিবুর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা 'বাকশাল' কায়েম করেন। বুঝতেই পারছেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থায় আর কোন দলের কোন রকমের কার্যক্রম পরিচালনার উপায় ছিল না। এভাবেই একটা সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশে প্রথমবারের মতো গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়।
এই বাকশাল সফল হতো, নাকি বিফল; সেই এসিড টেস্টের আগেই '৭৫ এর পট-পরিবর্তন ঘটে যায়। পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং বহুদলীয় রাজনীতি চালুর মাধ্যমে দেশে আবার গণতন্ত্রায়নের উদ্যোগ নেন। এর ফলেই আওয়ামী লীগ এবং সেই সাথে জামায়াতে ইসলামীও দেশে রাজনীতি করার সুযোগ লাভ করে।
আমি এতোক্ষণ অতি সংক্ষেপে জিয়াউর রহমানের রেইজিম পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উত্থান-পতনের সার-সংক্ষেপ তুলে ধরলাম। এরপরেও গণতন্ত্র নিয়ে বিভিন্ন শাসকের রাজত্বকালে বিভিন্ন লেভেলের খেলা আমরা দেখেছি, সেগুলো আপাততঃ আলোচনার বিষয়বস্তু না। আমি জানি এসব বিষয় ব্লগারগন সবাই কম-বেশি জানেন; তারপরেও বললাম। খানিকটা রিমাইন্ড করাই মূল উদ্দেশ্য। কারন, এরপরে যেই আলোচনাটা করবো তার জন্য এইটুকু গ্রাউন্ড ওয়ার্কের দরকার আছে।
আমাদের দেশে সাধারনভাবে যেই রাজনীতি প্রচলিত, সেটা হলো ধান্ধাবাজি আর অসহিষ্ণুতার রাজনীতি। কিভাবে? মনে হয়না এটা নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন আছে। প্রতিটা সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে, চেয়েছে যেন-তেনভাবে ক্ষমতায় থেকে যেতে। সেইজন্য বিভিন্ন রকমের ছলাকলা তারা করেছে, বিরোধীদের উপর চালিয়েছে দমন-পীড়ন। তবে এর মধ্যে সবচাইতে বড় খেলোয়াড় ছিল আওয়ামী লীগ। তারা সব সময়েই প্রচার করেছে যে, তারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি। অথচ যখনই প্রয়োজন হয়েছে স্বাধীনতার তৎকালীন বিপক্ষ শক্তি জামায়াতে ইসলামীর সাথে আতাত করেছে। আবার যখন প্রয়োজন ফুরিয়েছে, তাদেরকে ছুড়ে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দন্ড উচিয়ে ধরেছে। এসবই হলো একটা জন-বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলের কাজ; জনপ্রিয় হলে এগুলোর প্রয়োজন পড়ে না।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটা নাগরিক তার পছন্দ / অপছন্দ অনুসারে মত প্রকাশের অধিকার রাখে। আবার একই সঙ্গে যে কোনও রাজনৈতিক দল করার কিংবা সমর্থন করারও অধিকার রাখে, যদি না সেটা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যায়। কিন্তু গতমাসে দেখা গেল ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি আখ্যা দিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো। এটা কি তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত করার জন্য করেছিল? তাহলে প্রশ্ন উঠে এতোদিন করে নাই কেন? আসলে এটা তারা করেছিল ধান্ধাবাজির কারনে।
এখন কথা হলো, ১৯৭১ এর দেশ বিরোধী পাকিপন্থী কর্মকান্ডের কারনে জামায়াত যদি ২০২৪ এ এসে নিষিদ্ধ হয় তাহলে ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ ২০২৪ এ এসে ''ভারতের কাছে দেশ বিক্রি'' সংক্রান্ত দেশ বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য কেন নিষিদ্ধ হবে না? আসেন, বিষয়টাকে আরেকটু খোলাসা করে দেখি।
''জ্ঞানপাপী'' বলে একটা নেতিবাচক শব্দ প্রচলিত আছে। এর মানে হলো ''জেনেশুনে অন্যায় করে এমন ব্যক্তি''। সামান্য ব্যাখ্যায় যদি যাই তাহলে বলতে হয়, একজন সৎ কিন্তু মূর্খের চাইতে একজন অসৎ কিন্তু জ্ঞানী পরিত্যজ্য। কথা হলো, জামায়াতের মতো একটা দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কাজ করলে মেনে নেয়া যায়, কারন তাদের কাছে আমাদের কোন প্রত্যাশা নাই। কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো একটা দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কাজ করলে মেনে নেয়া যায় না। কারন, তাদের কাছে আমাদের উচ্চমাত্রার প্রত্যাশা রয়েছে। থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারা আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণের ধারে কাছে দিয়ে হাটে নাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দন্ড উচিয়ে ধরা দলটা গত ৫৩ বছরে যখনই সুযোগ পেয়েছে.........হত্যা, খুন, গুম, ধর্ষণ, দূর্ণীতি, লুটপাট, অরাজকতা সৃষ্টিসহ হেন কোন কুকর্ম নাই, যেটা তারা করে নাই। পক্ষান্তরে জামায়াত তেমন কোন সুযোগ না পেলেও যতোটুকু পেয়েছে, তাদের কর্মকান্ড দিয়ে সাধারন জনগনের মধ্যে ঘৃণা উৎপাদন করে নাই। ফলে, আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত এবং প্রচারিত জামায়াত জুজুর তেমন কোন ভিত্তি প্রতিষ্ঠা পায় নাই। একই কথা প্রযোজ্য আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ আর জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের জন্য। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে, গত ৫৩ বছরে আওয়ামী লীগ ক্রমাগত জাতিকে বিভক্তির যে রাজনীতি চালিয়ে এসেছে, সেটাকে আরো চলতে দেয়া যায় কি না। দেশ এখন যেই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে সেখানে জুজুর ভয়ের চাইতে চিহ্নিত আর প্রমাণিত ক্রিমিনালরাই অধিকতর ভয়াবহ। নয় কি?
আমাদের সেনাপ্রধানকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। উনি জাতিকে বিভক্ত করার দিকে না গিয়ে তথাকথিত নিষিদ্ধ জামায়াতসহ সব দলের নেতাদের সাথেই বসেছেন। ''তথাকথিত নিষিদ্ধ'' বললাম এই কারনে যে, একটা স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট অবৈধ সরকারের নেয়া কোন বিভক্তিমূলক পদক্ষেপই এখন আর বৈধ না। আজ ২০২৪ এ এসে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ১৯৭১ এ জামায়াত যেই কাজ করে ঘৃণিত হয়েছিল, সেই একই কাজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী দলটা অবলীলায় চালিয়ে গিয়েছে। এই সংক্রান্ত সব রকমের প্রতিবাদকে তারা বিভিন্ন ধরনের কালা-কানুন দিয়ে প্রতিহত করেছে। তারপরেও যখন পারে নাই, আবরারের মতো হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
শেখ হাসিনার শেষ মুহুর্তের যেসব খবর সামনে আসছে, তা এক কথায় ভয়াবহ। সে ক্ষমতায় থাকার জন্য বাহিনীগুলোকে আরো কঠোর হওয়ার, আরো রক্তপাত ঘটানোর জন্য চাপ দিচ্ছিলো। মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত যে আমাদের বাহিনীগুলোতে এখনও সুস্থ মস্তিষ্কের দেশ প্রেমিক মানুষের পরিমান বেশী। ফলে ওই সময়ে তাদের যথাযথ এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারনে একটা শীতল রক্তের রক্তপিপাসু উন্মাদের এই হত্যাকান্ড চালিয়ে যাওয়ার বাসনা রুখতে পারা সম্ভব হয়েছে............না হলে কি হতো চিন্তা করলেও গা শিউরে ওঠে!!!
যাই হোক, সিরিয়াল কিলার সাইকো হাসিনা বিদায় নিয়েছে। এখন সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পালা। এই যাত্রায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যথাযথ সময় দিতে হবে। কারন, আরেকটা নির্বাচন দিয়ে আরেক স্বৈরাচারের আসার পথ করে দেয়াই এই সরকারের একমাত্র কাজ না। এই সরকারের প্রধান কাজ হবে আগে প্রয়োজনীয় রিফর্ম করে আরেক স্বৈরাচারের আসার পথ রুদ্ধ করা। তারপরে পরিস্থিতি বুঝে নির্বাচন দেয়া। আর আমাদের সবার দায়িত্ব হবে যার যার অবস্থান থেকে সরকারকে সহায়তা প্রদান করা।
মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এখন একটাই প্রার্থনা...........কোন ধরনের অপশক্তিই যেন এই দেশটার অগ্রযাত্রার পথে আর কোন ধরনের বাধার সৃষ্টি না করতে পারে। ছাত্র-জনতার এই বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।
ছবিসূত্র।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভরসা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইজান।
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২
আরোগ্য বলেছেন: ১৬ বছরের ক্ষুধার্ত ঘুমন্ত প্রাণীগুলো জেগে উঠেছে দীর্ঘকালের ক্ষুধা তৃষ্ণা মেটানোর জন্য। স্বাভাবিকভাবেই ১৬ বছরে যা একদল খেয়ে গেছে ১৬ মাসেই সেই মাত্রা অতিক্রম করার জন্য উঠেপড়ে লাগবে। স্বাধীনতার দিনই তার আভাস পাওয়া গেছে।
আল্লাহ আমাদের দেশের ও দশের কল্যানের অগ্রযাত্রা সহজ ও তরান্বিত করুক এবং সকল অপশক্তির অপচেষ্টা পণ্ড করুক।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দীর্ঘদিন না খায়া থাকলে ক্ষুধা লাগাটাই স্বাভাবিক। তয় খাই খাই করলে এখন মলমুত্র খাওয়ায়ে দেওয়া হবে, সে যেই হোক না কেন। কোন দূর্ণীতিবাজ গোনার টাইম নাইক্কা!!!!
স্বাধীনতার দিনই তার আভাস পাওয়া গেছে। বিষয়টা খুইলা কন দেখি? নির্দিষ্ট কারো কথা কন? কে সেই হতভাগা?
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। কথা হলো, আমি সব সময়েই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করি। সময়ে পারি, সময়ে পারি না!!!!!
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ব্যাখ্যা অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে। যে যুক্তিতে ৭১ এ জামাতকে দেশবিরোধী আখ্যায় আখ্যায়িত করেছিল আজকে আ: লীগকে সেই যুক্তির সঙ্গে ৩০০ জনের অধিক বাঙ্গালীকে হত্যার দায় যুক্ত করলে আগামী একশত বছর এই দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ছাড়া বিকল্প রাস্তা নেই বলে আমার বিশ্বাস। বাঘ একবার রক্ত খেলে তার নরখাদক হয়ে ওঠার প্রবণতা অত্যধিক বেড়ে যায়। আগামী দিনে এই দল যদি আবার সুযোগ পায় তাহলে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এবার শত সহস্র যে গণহত্যা করবে সে কথা বলা বাহুল্য।
সেদিনের বাকশাল চালু, এবারের গণহত্যা এসব থেকে যদি আবারও বাঙালি জাতি আ লীগকে আর পাঁচটা দলের মতো সুযোগ দেয় তাহলে সামনে বাঙালি জাতির জন্য আরও ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ যে অপেক্ষা করছে তা আ: লীগের বায়োডাটা থেকে পরিষ্কার।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এতোদিন পরে কোত্থেকে উদয় হলেন? আমি তো ভেবেছিলাম কয়েক হাজার কোটি টাকা নিয়ে ইউরোপ-আম্রিকা ভেগে গেলেন কিনা!!!
খুনী হাসিনা ৩০০ জন না, হাজারের উপরে খুন করেছে। আস্তে আস্তে সব হিসাব বের হবে। সে এক ভয়াবহ অবস্থা। মুক্তিযুদ্ধ বাদ দিলে এই দেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম গনহত্যা। এর শাস্তি আল্লাহ এই মহিলাকে দুনিয়াতেই দিবে ইন শা আল্লাহ।
আসলে এই দলটার কাছ থেকে সুস্থ্য কোন কর্মকান্ড আশা করাই ভুল। এরা মানুষের জাতের মধ্যে পড়ে না। এদের রক্তের মধ্যে আছে যড়যন্ত্র, হত্যা আর বিরোধী শক্তিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার কূটচাল। প্রোগ্রাম করা কথার বাইরে এদের কাছ থেকে ভিন্ন কিছু কখনও শোনা যায় না। শেয়ালের মতো এরা একসাথে আর একই সূরে হুক্কা হুয়া রব তোলে!!!!
৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাংলাদেশ হেলমেট লীগ কে বাজেয়াপ্ত করা দরকার। ফেসিষ্টদের নিষিদ্ধ করা দরকার।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি সাংবিধানিকভাবে বিলুপ্ত করার এখনই সুযোগ। আওয়ামী লীগের চিহ্নিত মুখগুলোকে স্থায়ীভাবে ব্যান করা দরকার রাজনীতি থেকে। একদম সুলেমানী ব্যান!!!
৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে আপনি বিচক্ষণ ঠিকই ধরেছেন টাকা পয়সা নিয়ে ভেগেছি উউরোপে কিন্তু..
একটা গল্প শোনেন। ছোটো বেলায় বাংলা প্যান্ট মানে কোমরে দড়ি বাধা প্যান্ট পরতাম।চাল চুরি করে খাওয়ার এক বদ অভ্যাস তৈরি হয়েছিল।কারো বাসায় গেলে লক্ষ্য থাকতো যে করেই হোক দুই পকেট ভর্তি চাল চুরি করার। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে আনন্দে চাল খেতাম আর তৃপ্তি পেতাম। একদিন এক চাচার বাড়িতে গেছিলাম সবে তাদের রান্নাঘরে ঢুকে দুই পকেটে চালে ভর্তি করেছি এমন সময় চাচাকে ভাই দিল তাড়া। উদ্দেশ্যে দিলাম দৌড়। ঝোলা প্যান্টের পকেট আমার দৌড়ানোর ছন্দে মিলিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে চাল রাস্তায় পড়তে থাকে। যখন চাচাতো ভাই ধরে ফেললো আমাকে তখন আবিষ্কার করি দুই পকেট আর কোনো চাল অবশিষ্ট নেই।
ভাই আমার ঘাড় ধরে পকেটে চাল না পেয়ে আর কিছু করতে পারেনি। যাক বিদেশে গেছি এখন দেশে ফিরবো খালি পকেটে কীভাবে উপায় বলেন
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চাল ভাজা খায় জানতাম। কিন্তু খালি চাল? কেমনে কি? শক্ত না অনেক?
আছেন তো ইউরোপে। পকেট খালি থাকলে অসুবিধা নাই। জার্মানী চলে যান। ওখানে প্লাস্টিকের বোতল কুড়ান। প্রতি বোতল ২৫ সেন্ট। ৪টা বোতলে ১ ইউরো!!!!
৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: পরে আসবো।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওকে আপা। নো প্রোবলেম!!!
৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: একটা কমেন্ট করেছিলাম । কই গেল কমেন্ট ?
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি মুছি নাই, নিশ্চিত থাকেন। আপনে আবার অন্য কোথাও মাইরা দেন নাই তো!!!!
৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এবার আওয়াজ উঠুক পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক, গনতন্ত্র মুক্তি পাক।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পরিবারতন্ত্র নিপাত যাওয়া জরুরী। এক পরিবার খতম। এইবার অন্য পরিবারকে ধরার টাইম হইছে। গনতন্ত্র হইলো শেষ কথা।
১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭
নয়া পাঠক বলেছেন: দেশে এখন সকল প্রকার পরিবারতন্ত্র মুক্ত রাজনীতি চালু করতে হবে। বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের রাজনীতি ফলো করে সংবিধান তৈরি করতে হবে, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সকল সরকারী কর্মকর্তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহীতা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তাদের অবৈধ আয়ের পথ বন্ধ করতে হবে। ন্যায়-নীতি সমাজের সর্বত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। সামাজিক বৈষম্য দূর করতে হবে। এমনকি আইন সবার জন্য সমান করতে হবে, যেন অন্যায় করলে দেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তির বিরুদ্ধেও মামলা করা যায় ও সাজা দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই দেশের উন্নয়নে আর কোন বাধা থাকবে না।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার বলা কথাগুলো আমাদের সবার প্রাণের কথা। ছাত্র-জনতা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এসব বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছে। তাদের মাথায় আছে। এখন দল-মত নির্বিশেষে সব কিছুর উর্ধে উঠে এগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে। কোন দল বা ব্যক্তির স্বার্থ দেখতে গেলে যে কি হয়, এটার ভুক্তভোগী আমরা সবাই। এর পুনরাবৃত্তি আমরা আর দেখতে চাই না। এবারই এসবের শেষ আমাদের দেখতে হবে। আর কোন বিকল্প নাই।
১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৬
আরোগ্য বলেছেন: আমাদের বাসা তো রোডের উপর তার উপর এই জায়গায় বিএনপি সমর্থক অনেক বেশি। স্বাধীনের ঘোষণার পর দেখি রাস্তায় মানুষের বেশ উল্লাস। ভালো কথা এটাই স্বাভাবিক। বিকেলে মিষ্টি কিনে বাড়ি আসার পথে শুনি " এই মুহূর্তে দরকার, খালেদা জিয়া সরকার" । পোলাপান রক্ত দিসে এক চোররে খেদায়া আরেক বাটপাররে বসাইতে? (BTW I like the lady but not the party) খুশিমনে বাড়ি থেইকা বের হইসিলাম। আসার সময় রিক্সা নিমু, রিক্সাআলা কয়, ওদিক যামুনা মারামারি লাগসে । বাড়িত আয়া মহল্লার এক ফ্রেন্ডরে কল দিলাম কইলো ওদিক মারামারি লাগসে, ওর চাচাও গুলি খাইসে। ওই নিজের চোখে পুলিশগো ছাদেরতে গুলি মারতে দেখসে। সন্ধ্যার পর এক কাজিন কল দিলাম কইলো যাত্রাবাড়ী থানা আগুন লাগায়া দিসে, লুটপাট করসে, পুলিশগো খুন করসে, দুই দল মারামারি করতে করতে ওগো বাড়িত ঢুইকা গেছে। আরেক কাজিনরে কল দিলাম কইলো ওয়ারী থানায়ও ঝামেলা হইসে, আন্ধার কইরা রাখসে, মানুষজন কতগিলি হন্ডাও পুরায়া দিসে। পাশের বাড়িত আওয়ামী থাকে, বিএনপির পোলাপান আয়া ইচ্ছামত গেট বাইরায়া গেসে। কইলাম এইটি কি করতাসে। কইলো এতো বছরের ক্ষোভ তো বাইর করবোই। কইলাম বিএনপি করতাসে, কয় বিএনপি জামাত সবই আছে। আর ফেসবুকে তো বলে দেহাইসে কত লীগকো কোপাইসে।
সেদিন পাঁচতলা বাড়িতে খালি আমার পরিবার আর স্টাফরুমে এক দুঃসম্পর্কের আত্মীয়। রাতে রোড থেকে সেই হাঙ্গামার আওয়াজ, আমি ভাবসি বিএনপি আমোদ ফুর্তি করতাসে, দোতলায় নাইমা শুনি পুলিশ ওদিক তে বন্দুক নিয়া ধাওয়া করে আর এদিকতে মানুষ প্রতিহত করে। রাত দুইটা আড়াইটা তহন। কুকুরের আওয়াজ আর কেমন জানি একটা কোকানির শব্দ পাইলাম, মনে হইলো কেউ আহত অবস্থায় কোকাইতাসে। খবর নিলাম মহল্লার ভিতরেও ৭/৮ টা গুলি করসে। বেশ আতঙ্কিত ছিলাম, অপেক্ষা করতাসিলাম কহন ভোর হবে। দিনে খবর পাইলাম মহল্লার পাঁচজন মরসে। আজকে বুয়ার কাছে শুনলাম তারা ছাদ থেকে সরাসরি দেখসে, পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য গুলি করসে কারণ তাগো উপরে হামলা হইসে আগে।
গতকাল রাইত পেরেশানিত কাটসে। আমার এক আত্মীয় রাজনৈতিক মামলায় জেল থেইকা কালকা বাইর হইসে কিন্তু ওর ১৮ বছরের পোলাও অস্ত্র মামলায় এহতে ভিত্রে আসে। আর ওই পোলার শোকে কুত্তাপাগল হয়া গেসে। রাইতে আয়াই কাগো জানি বাড়িত আইনা মিটায়া রক্তাক্ত করসে, আরেক মুরুব্বি আত্মীয় কোনমতে আপাতত সিচুয়েশনে ঠান্ডা করসে কিন্তু ওই লীগের এক পোলার নাম লয়া কি জানি কইলো আমি উপর থেইকা যা শুনলাম। স্বাধীনের দিন কইতাসিলাম আজকা ওই বাড়িত থাকলে ওই বাড়ির পোলাগো খবর আছিলো, ওগো বাড়িত ঢুইকা পিটাইতো। কইতে না কইতে কালকা হাজির। আমরা বেশ আতঙ্কে আছি। এসব সহ্য করা বেশ টাফ, প্রতিবাদ করার কোন ক্ষমতা নাই। যাই হোক এসব অমানুষের শয়তানির কথা কয়া শেষ হইবো না।
সোশাল মিডিয়ায় দেহায় পুলিশ হামলা করতাসেন, র ঢুকসে, লীগ বিশৃঙ্খলা করতাসে সব মানলাম। কিন্তু বিএনপির আকামগুলি সামনে আইতাসেনা। এরা প্রতিহিংসার আগুন লাগাইসে থানায় আগে, এতোকাল নির্যাতনের বদলা লইতে পুলিশ হত্যা করসে, লীগগো কোপাইসে, বাড়িত হামলা করসে। এগো কাছে কি ভালো কিছু আশা করা যায়। শহীদের রক্তের দাগ না শুকাইতেই সমাবেশ করে। আনন্দে প্রতি রাতে কর্মীরা মদ পান কইরা বাড়ি যায়। তাগো ভাব এমন যে হাসিনার পালানোর সাথে সাথে খালেদা ক্ষমতা পায়া গেসে। একটা কথা সত্যি যে হাসিনা চরম মাত্রার নির্যাতনের সাথে সাথে যে উদ্দেশ্যেই হোক, ইলেক্ট্রিসিটি, মেট্রো, এক্সপ্রেসওয়ে, ডিজিটালাইজেশন ইত্যাদি নানা কিছু করেছে কিন্তু বিএনপি থাকলে দেশ আরো রসাতলে যেত। একটু মনে করে দেখেন বিএনপির সময়টাতে কিন্তু চুরি ছিনতাই বেশি হতো, কারণ এদের দলের কর্মীরা ডাকাতি, চাঁদাবাজি, লুটপাট করে বেশ আনন্দ পায়, আমি কিন্তু সব অভিজ্ঞতালব্ধ কথা বলছি। এরা ক্ষমতায় আসলে প্রতিহিংসা আর ক্ষুধা নিবারনের রাজত্ব কায়েম হবে।
আল্লাহ বাংলাদেশের জন্য একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক নিযুক্ত করে দিক যাতে সে শক্তভাবে সব দুষ্কৃতিকারীদের দমন করতে পারে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের বিস্তারিত মন্তব্য থিকা দেশের পরিস্থিতির ভয়াবহতার একটা খন্ডচিত্র পাইলাম। এই সময়ে আমাগো সবার সাবধান থাকতে হইবো। সহনশীল আচরণ করতে হইবো।
আমাগো প্রত্যেকেরই পছন্দের ব্যক্তি, দল থাকতে পারে। কিন্তু সেইটা অন্ধ প্রেম হওন যাইবো না। দেশ আগে। দেশের স্বার্থ আগে। বিএনপি-জামাতসহ যারা এতোদিন অত্যাচারিত হইছে, তারা প্রতিশোধ নিতে চেষ্টা করবো, সেইটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বইলা বাড়াবাড়ি বা ধান্ধাবাজি করন যাইবো না।
আজকে যদি এই প্রতিশোধের খেলা শুরু হয়, তাইলে যেই ত্যাগ ছাত্র-জনতা করলো, এর কোন দামই থাকে না। বিএনপি এখন দেশের সবচাইতে বড় দল। তাগো খুবই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হইবো। কিন্তু সেই নমুনা দেখা যাইতেছে না। গাধাগুলান কোন শিক্ষা নিছে বইলা কোন লক্ষণ এহন পর্যন্ত নাইক্কা।
আমি খুব কইরা আশা করুম, বিএনপি কোন ভুল করবো না। নতুন সরকাররে সবকিছু করনের লাইগা টাইম দেওন লাগবো। ক্ষমতার জন্য হ্যারা যদি এখন আন্ধা হয়, তাইলে তাগো আম-ছালা সবই যাইবো। বিএনপিতে মগজওয়ালা কেউ কি নাই যে ছাত্র-জনতার সত্যিকারের পালস বুঝবার পারে?
১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
মিরোরডডল বলেছেন:
এই সরকারের প্রধান কাজ হবে আগে প্রয়োজনীয় রিফর্ম করে আরেক স্বৈরাচারের আসার পথ রুদ্ধ করা। তারপরে পরিস্থিতি বুঝে নির্বাচন দেয়া।
সেটাই, পুরান পাপী কাউকেই আর দেখতে চাইনা।
যাদের অভিজ্ঞতা একবার জনগণের হয়ে গেছে, তাদের যেনো আর কোন সুযোগ দেয়া না হয়।
নতুন নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই নতুন সরকারকে কমপক্ষে তিন বছর সময় দিতে হবে সবকিছু ঠিক করার জন্য। তারপরে অন্য চিন্তা। সত্যিকারের নির্বাচনে যে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে। এতে কারো হাত থাকা যাবে না। জনগনের ইচ্ছাই ফাইনাল।
১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: ঠিক বলেছেন, পাকিস্তানকে সহযোগিতার দায়ে জামাত নিষিদ্ধ হয়েছিল। এখন ভারতকে সহযোগিতার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা দরকার।
বিরক্তি লাগছে এটা দেখে আওয়ামী লীগের অতি বাড় বেড়ে যাওয়ার পরিণতি দেখেও বিএনপি কিছু শেখেনি। তারা সমানে লুটতরাজ করে চলেছে, চাঁদাবাজি করছে। এগুলো খবর আসছে। তাদের নেতাগুলো এখন বোধহয় মসনদে যাবার স্বপ্ন দেখছে। তারা কেন এইসব অনাচার বন্ধ করার চেষ্টা করছে না, এইসব খবর দেখেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না!!
আরেকটা জিনিস, জাতিগতভাবেই কি আমরা লোভী এবং সন্ত্রাসী! এটাই আমি ভাবতাম যদি না এই আন্দোলনের ছেলে মেয়েগুলোকে দেখতাম! কোন ভয়, প্রলোভন, অত্যাচার এদের দমাতে পারেনি। এই ধরনের মানুষগুলোই দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।
এইমাত্র খবরই দেখলাম তারেক রহমানের বাণীকে ব্রেকিং নিউজ দেখাচ্ছে। অতি নির্লজ্জ! এতদিন কিছু করতে পারল না, এখন অন্যদের রক্তে আর ঘামে অর্জিত বিজয় নিজের প্রাপ্য বলে ধরে নিচ্ছে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিএনপির সর্বশেষ কর্মকান্ডে আমার মনে হচ্ছে তাদেরও নিষিদ্ধ করা উচিত। এরা ইতিহাস থেকে কিছু তো শিখেই নাই, রিসেন্ট ঘটে যাওয়া আন্দোলন থেকেও কিছু শিখেছে বলে মনে হচ্ছে না। নিজেদের কোন কিছু করার মুরোদ নাই, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ভর করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। সোওওও ডিজগাস্টিং!!!!
আমাদের আসলে বুঝতে হবে যে, আমরা এক্সপায়ার্ড। নতুন জেনারেশানের যে মেধা, যোগ্যতা আর ডায়নামিজম আছে, তার ধারে কাছেও আমরা নাই। আমাদের এখন তাদের কাছে জায়গা ছেড়ে দিয়ে রিটায়ারমেন্টে যাওয়া উচিত।
১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: ছবিটা কি আপনি নিজেই আঁকলেন?
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন। আমার সেই মেধাই যদি থাকতো, তাহলে তো ''পুরুষ শায়মা'' হয়ে যেতাম!!!!
১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, আপনার মত আমারও চাওয়া - এক রাক্ষসের হাত থেকে কোন রকমে বেঁচে-বর্তে দেশ যেন আবার অন্য খোক্ষস-ভোক্ষসের হাতে না পরে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নতুন রাক্ষসের হাত থেকে বাচার জন্য আমাদের যথাযথ প্রিকশনারী পদক্ষেপ নিতে হবে। এখনই। সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।
১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাস্তার আন্দোলনে এবং রাস্তার সহিংশতায় আওয়ামীলীগ চ্যাম্পিয়ন ছিল আগে থেকেই। এক ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের (একে বিপ্লব বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না) মাধ্যমে এই চ্যাম্পিয়ন দলের পতন ঘটিয়েছে সরলমনা ছাত্ররা। এই বিষয় থেকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি বার্তা হল ক্ষমতায় গেলে বেশী বাড়াবাড়ি কইরো না। তোমাদেরকেও সাইজ করে দেয়া হবে প্রয়োজন মত।
বর্তমানের প্রেক্ষাপটে রেন্টুর লেখা 'আমার ফাঁসি চাই' বইটা সকলের জন্য পড়া ওয়াজিব হয়ে গেছে। রেন্টু হাসিনাকে নিয়ে আরেকটা বই লেখে। এই দুইটা বইই সকলের পড়া উচিত। আমি আরও ১০ বছর আগে পড়েছি বই দুটি। হাসিনা কি ভয়ংকর চিজ ছিল এই বই দুটি পড়লে জানা যায়। শুধু জামাতের সাথে আতাত না এরশাদের সাথেও গোপন রাজনৈতিক আতাত করেছিল হাসিনা। আন্দোলনের প্রয়োজনে লাশ দরকার তাই নিজের দলের কর্মীকে হত্যার ব্যবস্থা সে করেছে।
জামাত নিষিদ্ধ করার কথা তারা অনেক দিন ধরে বলে আসছিল। এই আন্দোলনে হাসিনার বোকামির আরেকটা নমুনা হল এই সময়ে জামাতকে নিষেধ করা। জামাতের লোকেরা বুদ্ধিমান। তারা প্রকাশ্য কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি কিন্তু সময় মত মাঠে নেমেছে। হাসিনার মত হায়েনাকে ধাওয়া দেয়ার জন্য বি এন পি জামাতের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার প্রয়োজন পড়ে এবং সময় মত সেটাও ঘটেও। হাসিনা রাজনীতির চালে ভুল করার জন্য এবং ঘাউরামির জন্য এই পরিস্থিতিতে পতিত হয়। ৩৬ দিনে এক হাজারের বেশী মানুষ হত্যার পরে, দশ হাজারের বেশী মানুষকে পঙ্গু করার পরে, রাতের আঁধারে বাড়িতে বাড়িতে ব্লক রেইড দেয়ার পরে জনগণ শুধু আন্দোলনে যোগ দিবে আর বিএনপি, জামাত চুপ করে বসে থাকবে এই ধরনের চিন্তার কোন অবকাশ নাই। যে কোন জাতীয় ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলির যোগ দিবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই আন্দোলনের মূল ক্রেডিট ছাত্রদের। জামাত, বিএনপি এবং জনগণ মুলত তাদের সহায়তা করেছে। ছাত্ররা অসাধ্য সাধন করেছে এবং ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
জামাত ১৯৭১ সালে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগে সহায়তা করেছে। এটা সবাই জানে। হাসিনা ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্য যা করেছে সেটা পরিষ্কার দেশদ্রোহিতা। এগুলি তারা করেছে শুধু গদির জন্য। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ হত্যা, গুম করেছে আওয়ামীলীগ এই ১৬ বছরে। নিরপেক্ষ বিচার করলে জামাতের চেয়ে আওয়ামীলীগের দোষ কোন অংশে কম না। এক সময়ে বিএনপিও বাড়াবাড়ি করেছে। তবে হাসিনার তুলনায় কম বলেই আমার মনে হয়।
হাসিনা জাতিকে বিভক্ত করে শাসন করেছে। আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে বলা মানে সে রাজাকার, জামাত বা শিবির। সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত সফলভাবে সব কিছু করছে। আমার ধারণা সেনাবাহিনী হাসিনার পক্ষ নেয়নি কয়েকটা কারণে। এক হল সেনাবাহিনী জনগণের রক্তে নিজেদের রঞ্জিত করতে চায়নি।
দুই হল সেনাবাহিনী বহু বছর ধরে বিভিন্ন অনুন্নত দেশে শান্তি মিশনে সফলভাবে কাজ করেছে। তাই তারা মনে করেছে যে নিজের দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা তাদের পরম দায়িত্ব। নইলে তারা সারা বিশ্বের কাছে ছোট হয়ে যেত। এটাকে তারা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছে। তিন হল সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসাররা ছাত্রদের পক্ষে ছিল প্রথম থেকেই। শুধু জুনিয়র অফিসার না সকল অফিসারদের স্ত্রী এবং বাচ্চারা হাসিনার জল্লাদ বাহিনী এবং ছাত্রলীগের বর্বরতা অনলাইনে দেখেছে। জেনারেলদের পক্ষে এই জুনিয়র অফিসার এবং পরিবারের চাপকে উপেক্ষা করা সম্ভব ছিল না।
হাসিনা একজন কোল্ড ব্লাডেড মার্ডারার। তার পুলিশ, রাব এবং গোয়েন্দা বাহিনীতেও এই ধরনের লোক ছিল। আমার মতে এবং আমার ধারণা দেশের অধিকাংশ মানুষের মতে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ আরও দীর্ঘ হওয়া প্রয়োজন। যে ভয়ংকর কু সিস্টেম হাসিনা তৈরি করে গেছে সেটাকে আগে ঠিক করতে হবে। নইলে রাজনীতিতে পূর্ব পরিচিত বানরগুলি পুনরায় ক্ষমতায় এসে হাসিনাকে অনুসরন করবে। কারণ বানর ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা আমুল পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। আমাদের উচিত হবে এই সুযোগকে কাজে লাগানো। নইলে পুরাতন চেনা বানরেরা নতুন উদ্যমে লুটপাট করতে পারে।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিশাল কিন্তু চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন। এটা নিজেই আলাদা একটা পোষ্ট হতে পারতো।
খুনী হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ যে কতোটা ভয়ংকর ছিলো, তা একে একে বেরিয়ে আসছে। ''আয়নাঘর'' তার একটা জ্বলন্ত উদাহরন। এরা যদি আবার কোনদিন ক্ষমতায় আসে, দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দিবে কোন সন্দেহ নাই। এরা এদের অতীত থেকে শিক্ষা নিবে, সেই সম্ভাবনা একেবারেই নাই।
বিএনপিও কি নিবে? আমার মনে হয় না। তবে আশার ব্যাপার হলো, এরা নৃশংসতার দিক দিয়ে আওয়ামী লীগের ধারে কাছেও যেতে পারবে না। শত চেষ্টা করলেও না।
রেন্টুর লেখা 'আমার ফাঁসি চাই' বইটা পড়েছি, তবে পরেরটা পড়ি নাই। কোন অনলাইন ভার্সান কি পাওয়া যায়? জানা থাকলে লিঙ্কটা দিয়েন প্লিইইইজ!!!
দেখেন, ভুল সব স্বৈরাচারই করে। সেইজন্যই তাদের পতন হয়। এই ভুলটা এক পর্যায়ে আল্লাহই তাদেরকে দিয়ে করায়। নয়তো মানব জাতির ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো। হিটলারের মতো স্বৈরাচারও ভুল করেছিলো। আমি বিশ্বাস করি, জামায়াত আর আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বরং অনেক ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের থেকেও জামায়াত ভালো বলেই মনে হয়, কারন ''পাকিস্তান'' শব্দটা তাদের নতুন নেতৃত্ব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছে। সেটা মাথায় রাখা বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাস্তবসম্মতও না। বাংলাদেশকে কোনভাবেই আর পাকিস্তান বানানো সম্ভব না। এটা জামায়াতের নেতৃত্বের না বোঝার কোন কারন নাই। পক্ষান্তরে ''ভারত'' শব্দটা আওয়ামী লীগের মাথা থেকে মুছে ফেলা সম্ভব না। এটাই আমাদের জন্য বর্তমানের বাস্তবতায় সবচাইতে বড় থ্রেট!!!
বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা আমুল পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। আমাদের উচিত হবে এই সুযোগকে কাজে লাগানো। নইলে পুরাতন চেনা বানরেরা নতুন উদ্যমে লুটপাট করতে পারে। সেই জন্যই এই নতুন সরকারকে সময় দিতে হবে। কমপক্ষে পাচ বছর। তাহলে তারা দেশের খোল-নলচে বদলে ফেলতে পারবে। নয়তো দিনশেষে যেই লাউ সেই কদুই হবে।
১৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৩
জটিল ভাই বলেছেন:
পোস্টেদি আপনার বড় ভাইয়ের কমেন্ট নাই!!!
তিনি কি এই পোস্ট বুঝতে অক্ষম?
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তিনি কি এই পোস্ট বুঝতে অক্ষম? আপনের এই ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আপনের বোধহয় জানা নাই যে, উনার শরীরে কোন গোশত নাই, পুরাটাই মগজ। ফলে এই পোষ্ট তো বটেই, দুনিয়ার তাবৎ গুপ্ত গেয়ানও উনার াছা-দর্পনে!!!!!
ডাক্তার বড়ভাইরে কইছে কাঠালপাতা কম খাইতে। ফলে উনার ফাইবারের পরিমান কমে যাওয়াতে ল্যাদানোর সক্ষমতা খানিকটা হ্রাস পাইছে। বিষয়টা বুঝাইতে পারলাম?
১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:৩৬
সোহানী বলেছেন: আরোগ্য এর কমেন্ট পড়ে হতভম্ব। কি চলছে দেশে?
সব পাগল অবস্থায় আছে, আওয়ামী, বিএনপি, পুলিশ, র বাহিনী!!
যে অস্ত্রের মহড়া দেখেছি লুটেরাদের হাতে সেগুলো কই? এতো সহজে এরা ছেড়ে দিবে ক্ষমতা? নেত্রী না হয় পালালো, তারা কই?
যাহোক, একটি দেশ সদ্য স্বাধীন হলে এমন কিছু স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যেন সাধারন মানুষের জীবনের হুমকি না হয়, সম্পদের ক্ষতি না হয়, বিনা বিচারে কারো মৃত্যু না হয়।
আপনার লিখার সাথে সহমত।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরোগ্য এর কমেন্ট পড়ে হতভম্ব। দেশের অবস্থা এতোটাই খারাপ ছিলো যে, আমার হতভম্ব হওয়ার ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে গেছে। এদের যেই কর্মের খবরই এখন সামনে আসে...........পড়ার পর স্তম্ভিত হয়ে ভাবি, এই বর্তমান আধুনিক দুনিয়ায় এইটাও কি সম্ভব!!!!
যে অস্ত্রের মহড়া দেখেছি লুটেরাদের হাতে সেগুলো কই? নেত্রী পালানোতে এরা সাময়িক বিরতি দিয়েছে। চিন্তা করবেন না, ভারতের ডনরা যেমন দুবাই থেকে ভারতের আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করে; একটু সেটল হলে হাসিনাও তাই করবে। এতো সহজে দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিবে, এইটা চিন্তা করাও বড় ধরনের বেকুবী। কাজেই খুব বেশী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার কিছু নাই।
নতুন সরকারকে প্রচন্ড রকমের কৌশলী আর সাবধানী হতে হবে, কারন দেশের ভিতরে তার পুরা নেটওয়ার্ক আর কিছুদিন পরেই সক্রিয় হবে।
১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:৫৬
জুন বলেছেন: আপনার পোস্ট আর সাড়ে চুয়াত্তর এর মন্তব্যে ১০০% সহমত। অনেকের পোস্ট পড়ে মনে হয় তারা আমাদের ছাত্রদের মহান আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ / তুচ্ছ করার খেলায় নেমেছে। তাদের প্রতি তীব্র ঘৃনা জানাই।
এখানে একটি ব্যাক্তিগত কথা না বল্লেই না, আমার দুই ভাগ্নে প্রথম থেকেই রাজপথে ছিল, সাথে ছিল আমার বোন, সেই বিপুল জনস্রোতের মাঝে নিজ রক্তের সন্তানদের দেখা পায় নি বটে কিন্ত অন্য মায়ের সন্তানরা তার পাশে ছিল নিজ সন্তানদের মতই।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই আন্দোলনকে তুচ্ছ আর প্রশ্নবিদ্ধ করতে মাঠে নেমেছে ''মাদার অফ হিউম্যানিটি'' এর সু-সন্তানেরা। এদের নার্ভাসনেস কাটানোর এটা একটা উপায়। খুবই বালসুলভ উপায়। এদের প্রতি ঘৃণা জানানোর কিছু নাই। এদেরকে কানে ধরে দুই একটা থাপ্পড় মারলে যদি কিছুটা হুশ হয়।
এবারের বিষয়টা ঠিক ৭১এর মুক্তিযুদ্ধের মতো। ২৪এর রাজাকারেরা বাদে দেশের প্রতিটা মানুষই কোন না কোনভাবে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।
২০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমার কাছে এদেশে আওয়ামীলিগ বিএনপি মূদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
দেশে নতুন কোন শাষক আসুক সেটাই চাই।যে হবে সাধারন জনতার।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার প্রতিটা কথার সাথেই একমত। তবে আমাকে যদি আওয়ামী লীগ আর বিএনপি'র মধ্যে যে কোনও একটাকে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি বিএনপিকে বেছে নিবো। এরা খারাপ সব বিষয়েই অন্ততঃ আওয়ামী লীগের চাইতে একধাপ নিচে।
২১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
দি এমপেরর বলেছেন: ড. ইউনুস ছয় বছর থাকুক। এই ছয় বছরে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনসাধারণ জাস্টিফাই করার সুযোগ পাক। তারপর সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাঙ্ক্ষিত দল ক্ষমতায় আসুক।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছয় বছর থাকলে ভালো। তবে এটা ফিক্সড করা যাবে না, তাতে দেশে অরাজকতা তৈরী হবে। এই সরকারের পরিস্কার করে বলা উচিত, কি কি রিফর্ম তারা করতে চায় আর এই রিফর্মগুলো করতে ন্যুনতম কতোটা সময় লাগতে পারে; ঠিক ততোটা সময়ই এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে।
২২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
জুন বলেছেন: আয়নাঘরের কাহিনী পড়ে আর ছবি দেখে গা শিউরে উঠলো। মনে পরলো নিজ চোখে দেখা ক্যাম্বোডিয়ার তোল স্লেং কারাগারের সেই ঘুপটি ঘরগুলো, যাতে নিষ্ঠুর হিংস্র পলপট তার বিরোধিতাকারীদের আমৃত্যু বন্দী করে রাখতো । আমি আমার পোস্টে সেই সব গা শিউরে ঊঠা ছবি লিখেছিলাম ভুয়া।
আমাদের দলবাজ অন্ধরা মনে হয় এসব নিউজ দেখে না। এক ভাংগা রেকর্ড দিনরাত বাজিয়েই চলছে সাথে তাদের সাংগাৎরাও।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্বৈরাচাররা দমন-পীড়নের জন্য এইসব করে, সব দেশেরই কম-বেশী একই অবস্থা।
আসলে আপা অন্ধ-সমর্থকরা অন্ধ কেন হয়, এই সাইকোলজীটা আমাদের বুঝতে হবে। এদের প্রত্যেকেই দেখবেন ডাইরেক্টলী বা ইনডাইরেক্টলী কোন না কোন অন্যায় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে। তখন তাদের মধ্যে একটা কুত্তা-স্বভাব তৈরী হয়। কুত্তা যেমন একটু খাবারের আশায় মালিকের উপস্থিতি দেখলেই ননস্টপ লেজ নাড়তে থাকে, তেমনি এরাও তাদের মালিকের নাম শুনলেই লুটিয়ে পড়ে পদলেহনের জন্য। তাদের সকল নীতি-নৈতিকতা, মানবতা, ন্যায়-অন্যায় বোধ এই কুত্তা স্বভাবের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যায়। তখন অদৃশ্য লেজ নাড়ানো ছাড়া তাদের আর কোন উপায় থাকে না।
কারন এই কুত্তা স্বভাবের মানুষগুলো জানে, লেজ নাড়ানো ছাড়া আর কোন যোগ্যতা তাদের নাই। এটা তাদের মালিকও জানে। এখন এটাও যদি বন্ধ করে দেয়, তাহলে তো মালিক লাথি মেরে বের করে দিবে! এই চিন্তায় আরো ঘন ঘন লেজ নাড়ে!!! এরা ঘুমের মধ্যেও লেজ নাড়ে!!!!
২৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৯
দূর মিয়া বলেছেন: আমরা জাতি হিসেবে বিশ্বে ও সরকার কে যে চিত্র দেখিয়েছি আমার মনে হয় না এই জাতির ভাল কিছু হবে। এই দেশের যেই সরকার হোক না কেন সে আগে তার বেগ গুচাবে, ভাল লিডার হলে তার সাংগ-পাংগদের বেগ গুচিয়ে দিবে। তারপরে যা করবে। বর্তমান সরকার তা আগে থেকে করে রেখেছে। আগের তত্ত্ববদায়ক সরকার এখন আমেরিকাই।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম কথা হলো, এটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এই সরকার এখনও কাজই শুরু করে নাই, এর মধ্যেই সমালোচনা শুরু করা ঠিক না। কিসের ভিত্তিতে এখন সমালোচনা করবেন? প্রিডিটারমিন্ড কনসেপ্ট থেকে বের হয়ে এসে আমাদের আশাবাদী হতে হবে। কয়েকটা মাস যাক!!!
২৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছাত্র লীগ আর হেলমেট লীগের কাছে যেসব অস্ত্র রয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করা দরকার। জাতীয় স্বার্থে এটা দরকার।
১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছাত্রলীগ + যুবলীগ = হেলমেটলীগ।
এদের অস্ত্র ভবিষ্যতে বিদেশ থেকে পরিচালিত হবে। আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের কাছে টাকার কোন অভাব নাই। এই টাকার একটা বড় অংশই তারা ব্যয় করবে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার কাজে........আপনি নিশ্চিত থাকেন।
সরকার যদি স্বৈরাচার ভেগে গিয়েছে ভেবে আত্মতৃপ্তিতে ভেগে, তাহলে এটা আত্মঘাতী হবে।
২৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১৫
আরোগ্য বলেছেন: আপনের ও তো কোন বিষয়ের নাড়িনক্ষত্র উদঘাটন করতে ভালা লাগে। লন একটা লিংক দিলাম। আপনের পছন্দ হইবো। হয়তো আপনে আগেই রিসার্চ কইরা ফালাইসেন। আমি ২/৩ দিন আগেই কাহিনি ধরতে পারসি তয় ওইটা অন্য কায়দায়, আমার আবার ইলুমিনাতি লয়া ঘাটাঘাটি মজা লাগে। আজকা আবার এই জিও পলিটিকাল ভিডিওটা দেখলাম। যাই হোক আমার লগে অংক মিলসে।
view this link
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি বেশী গেয়ানী মানুষ না। হ্যার আলুচনা ভালা হইছে, তয় অনেক কিছুই হাইপোথিসিসের উপ্রে করা; যার সবটা আমার ঠিক মনে হয় নাই। আমি দেশী আর আন্তর্জাতিক রাজনীতির খবরাখবর রাখনের চেষ্টা করি যতোটুকুন সম্ভব। এই পোলায় সবকিছু ২+২=৪ কইরা মিলানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু ভু-রাজনীতিতে সময়ে সময়ে ২+২=৫ও হইবার পারে। সেইটা এর বিশ্লেষণে আসে নাই।
যাউকগ্যা, গুড ফাইন্ড!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক আছে।