নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কতোই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়!!!!!!!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:০৫



''হীরক রাজার দেশে'' মুভিটা দেখেন নাই, এমন মানুষ বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠিতে খুজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। সত্যজিৎ রায়ের এই মুভিটা বাংলা মুভির ইতিহাসে একটা মাইলফলক। বর্তমান বিশ্বে এখনও এর বিষয়বস্তু আর বিভিন্ন সংলাপ, গান প্রচন্ডভাবে প্রাসঙ্গিক। দিনে দিনে বয়স কম হলো না, তারপরেও দুনিয়ার রঙ্গ দেখতে বিরক্ত লাগে না। বড়ই আমোদিত হই। যখনই আমোদিত হই, সর্বাগ্রে এই গানটা মনের অজান্তেই গুন গুন করে গাই। দারুন একটা গান!!!

স্থান-কাল-পাত্রভেদে দেশ-বিদেশের এমনই বেশ কিছু রঙ্গ কয়েকটা দিন ধরে মাথায় ঘুরছে। আপনাদের সাথে কিঞ্চিৎ ভাগাভাগি করার লোভ সামলাতে পারছি না।

পশ্চিমা বিশ্বের গুনগান করতে গিয়ে এই ব্লগেই অনেকে আবেগে কাইন্দালান। এরা সভ্য, গুনে-মানে উন্নত; গনতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার ধ্বজাধারী........ইত্যাদি ইত্যাদি বহুরকমের বাকোয়াজ। একটা উদাহরন দেই। ২০২১ সালের অগাষ্টে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম, আস্তিকতা, নাস্তিকতা এবং বাক-স্বাধীনতা শিরোনামে। সেখানে লিখেছিলাম, ফ্রান্সের শার্লী এবদো ম্যাগাজিন যখন মহানবী (সাঃ) এর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করে, তখন সারা দুনিয়ার মুসলমানরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এটা নিয়ে জল কম ঘোলা হয় নাই। কিন্তু ফরাসী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন তখন কারো বাক-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না, এই যুক্তি দেখিয়ে এই ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নাই। ব্লগেও নাস্তিক আর ছদ্ম-মুসলমানরা ফরাসী সরকারের এই মনোভাবের প্রশংসা করে আর মুসলমানদের উগ্রতার নিন্দা করে পোষ্টের পর পোষ্ট আপলোড করতে থাকে। ক'দিন আগের খবর। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট একটি বিলবোর্ড মালিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করছেন যিনি তাকে কোভিড -১ বিধিনিষেধের প্রতিবাদে অ্যাডলফ হিটলার হিসাবে চিত্রিত করেছিলেন। এই ব্যাপারে সেই বিলবোর্ড মালিক Michel-Ange Flori এর প্রতিক্রিয়া হলো, ''In Macronia you can make fun of the prophet's ass, that's satire, but to make the president look like a dictator is blasphemy.'' ব্লগের সেইসব অত্যুৎসাহী ব্লগাররা এখন এই বিষয়ে নীরব কারন তাদের কাছে বাক-স্বাধীনতার সংজ্ঞা ব্যক্তিবিশেষের উপর নির্ভরশীল।

মজার না বিষয়টা?

আর আমাদের সবার প্রিয় আম্রিকার ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের কথা বলে তো শেষ করা যাবে না। এরা নিত্য-নতুন রঙ্গের উপাদান পৃথিবীর ইতিহাসে যোগ করছে প্রতিনিয়ত। সেটা মানবতা, গনতন্ত্র, সন্ত্রাসবাদ, ইসলামোফোবসহ যাই হোক না কেন!!! নিজেদের স্বার্থে তারা যে কোনও সংজ্ঞাই পাল্টে ফেলে রাতারাতি।

আচ্ছা, বাদ দেন আম্রিকা তথা পশ্চিমা বিশ্বের কথা। আমাদের পাশের দেশ বিশ্ব মোড়লের দাবীদার ভারতের কথায় আসি। চিন্ময় মহারাজকে ইসকন থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল শিশু নির্যাতনের জন্য। তার জন্য ভারত কেদে কেটে নাকের পানি, চোখের পানি এক করে ফেলেছে; সেটাকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের তকমা দিচ্ছে। তাকে নাকি বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ ২০২২ এর কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের হিসাবে ভারতে ৩ লক্ষ ৭২ হাজার বন্দী আছে বিনা বিচারে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০২০ এর ফেব্রুয়ারী মাসে দিল্লীতে এক ভয়াবহ দাঙ্গা হয়েছিল। সেই দাঙ্গার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল গুলফিসা ফাতিমা, মীরন হায়দার, আতাহার খান,খালিদ সাইফি, উমর খালিদ প্রমুখসহ আরো অনেক মুসলমান। এর মধ্যে খালেদ উমর ডক্টরেট করা, মোদির মতো আগে মাস্টার্স করে পরে গ্র্যাজুয়েট করে নাই!!!! এদের কারো বিচারের শুনানিই শুরু হয় নাই এখনও। এরা কোন মুখে আমাদের দেশের ব্যাপারে কথা বলে? মানব শরীরের যে কোনও ছিদ্র কিংবা গর্ত দিয়ে আওয়াজ বেরুলেই তাকে ''কথা বলা'' বলে না, জানেন নিশ্চয়ই!!!

ভারত-বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের আরো কিছু তুলনামূলক রঙ্গচিত্র তুলে ধরি। বাংলাদেশে ২৮ থেকে ৩০ শতাংশ হিন্দু (মোট জন সংখ্যার ৮-৯ শতাংশ) যারা সরকারী চাকুরে। আর ভারতে ৩ শতাংশ মুসলমান (মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ) সরকারী চাকুরীতে আছে। তাছাড়া আযান দেয়ার জন্য দুই লক্ষ টাকা জরিমানা, পুলিশ কর্তৃক সেজদারত মুসল্লীর পেছনে লাথি মারা, গো-মাংস রাখার, বহনের বা ভক্ষণের সন্দেহে মুসলমানদের পিটিয়ে মেরে ফেলা........এসব তো ভারতে অহরহ ঘটছে। আর তারা আসে আমাদের দেশের হিন্দুদের ব্যাপারে সবক দিতে। আমরা বাংলাদেশের হিন্দুদেরকে বাংলাদেশী হিসাবে দেখি, সংখ্যালঘু হিসাবে না। কাজেই পাঠার দল রঙ্গ করতে থাকুক। হু কেয়ার্স!!! নিজের দেশের খবর নাই, বাংলাদেশের চিন্তায় ঘুম নাই!!! লজ্জাও করে না ওদের, সংখ্যালঘু নিয়ে কথা বলতে!!!!

কানাডার ভূমিকে ব্যবহার করে খালিস্তানপন্থীরা ভারত বিরোধী কাজ করছে, সেটা নিয়ে ভারত সোচ্চার। খুনী পাঠিয়ে খালিস্তানপন্থী এক নেতাকে সেখানে খুন করা হয়েছে। দাউদ পাকিস্তানে বসে ভারত বিরোধী কাজ করছে। সেটা নিয়েও ভারতের মাথাব্যথা। আর হাসিনাকে তার বাকীসব পলাতক সাঙ্গপাঙ্গসহ আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার কাজে সহায়তা করছে। আবার জয়শঙ্কর বলে কিনা, ''বাংলাদেশকেই ঠিক করতে হবে, তারা কেমন সম্পর্ক চায়''। পুরাই আবাল একটা!!!

আসেন, এইবার তাদের অন্যতম একটা ইন্টারেস্টিং রঙ্গ নিয়ে কিছুক্ষণ কচলা-কচলি করি। আপনারা কি জানেন, ভারত বিশ্বের সবচাইতে বড় গো-মাংস রফতানীকারক দেশ? একটা পরিসংখ্যান দেই........২০১৫ সালে ভারত ১৪ লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন গো-মাংস রফতানী করে। কতোগুলো ''মাতা'' হত্যা করলে এই পরিমান মাংস হয়? গো-মাংস রফতানী করে ভারত বছরে গড়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা আয় করে। এই রফতানী কিন্তু প্রতি বছর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটার একটা গালভরা নামও তারা দিয়েছে; Pink Revolution বা গোলাপী বিপ্লব। বলাই বাহুল্য, তাদের মাতার মাংসের গোলাপী রং থেকেই এই নামের উৎপত্তি!!! এর একটা বড় অংশই যায় মধ্যপ্রাচ্যে হালাল সীলমোহর নিয়ে। এই রফতানী যেসব বড় বড় প্রতিষ্ঠান করে, তাদের মোটামুটি সবার মালিক হিন্দু। আরো রঙ্গের বিষয় হলো, এই দুষ্কর্মের জন্য দায়ী অন্যতম বৃহৎ দু'টা প্রতিষ্ঠান গো-রক্ষার সবচাইতে বড় ধ্বজাধারী যোগী আদিত্যনাথের উত্তর প্রদেশে, যেখানে গো-হত্যা সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ। এর একটি হলো AOV Exports Pvt. Ltd. যার মালিক ওম প্রকাশ অরোরা আর Standard Frozen Foods Exports Limited যার সুযোগ্য মালিক কমলকান্ত ভার্মা। আমি দিব্যচোখে দেখতে পাচ্ছি, এই পর্যন্ত পড়েই আপনাদের অনেকের সবগুলো দাত বের হয়ে গিয়েছে। হওয়ারই কথা, কারন এই লেভেলের রঙ্গ একমাত্র মহান ভারতেই সম্ভব!!!!

দেখলেন তো, গো-মাতা নিয়ে তাদের কতো রঙ্গ-তামাশা? কোন সীমা-পরিসীমা আছে কি? নাই.........একেবারেই নাই। সেইসাথে এদের হায়া-শরমও নাই। অবশ্য মায়ের গোশত বেচে খাওয়ার মতো রঙ্গ যারা করতে পারে, তাদের কাছ থেকে এর চাইতে বেশী কিছু আশা করাও দুরাশা!!! আমার প্রয়াত নানী অনেক মজার মজার উপমা দিতেন। 'চালুন সুইরে বলে, ওই তোর পাছায় ফুটা'.......এটা প্রথম উনার কাছ থেকেই শোনা। নানী বেচে থাকলে আজ চালুন নামের মোদির ভারতকে এই কথাই বলতেন নিঃসন্দেহে।

ইউরোপ-আম্রিকা আর মহান ভারতের রঙ্গের উপর খানিকটা আলোকপাত করলাম। এইবার দেশের দিকে নজর দেয়া যাক। দেশের সবকিছু ছাপিয়ে এখন আমার মনে দুইটা বিষয় খেলা করছে। প্রথমটা বলি, আমাদের শ্বশুরালয়ে হিজরত করা প্রাণপ্রিয় আপা তার সর্বশেষ অনলাইন ভাষণে জানতে চেয়েছেন, ''আমার কি অপরাধ!! আমার অপরাধটা কি, আমি জানতে চাই!!!'' এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে কেউ আমারে মাইরালায় না ক্যান?? হাসির দমকে কিছু বলতে পারছি না। আপনারা কেউ পারলে উনারে জানায়েন যে, উনার কি অপরাধ!!!! =p~

আর দ্বিতীয় বিষয়টা আমাদের সেনাপ্রধানকে নিয়ে হলেও বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। উনার নামে যেসকল অভিযোগ বাজারে প্রচলিত আছে তার কোন যথাযথ এবং গ্রহনযোগ্য উত্তর না দিয়ে উনি দিচ্ছেন হুমকি-ধামকি। মানুষ এখন অনেক সচেতন, তারা এইসব রঙ্গ আর খায় না। উনার উচিত ঝেড়ে কাশা।

অনেক রঙ্গ আলাপ করলাম। তবে আমাদের এই ব্লগ নিয়ে যদি কিছু না বলি, তাহলে আমার এই আলাপটা পূর্ণতাই পায় না। পোষ্ট বড় হয়ে যাচ্ছে, তাই এই নিয়েও বিস্তারিত বলতে চাই না। শুধু বলি, বাক-স্বাধীনতার নামে এখানে মহানবী (সাঃ)কে ''মরুভূমির ডাকাত'' বলা যায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসকে ''চোর'' বলা যায়, ২৪এর আন্দোলনের সমর্থক তথা অংশগ্রহনকারীদের ''বান্দীর পুত'' বলা যায়। শুধু দেশনেত্রী, জনদরদী আর মানবতার ফেরীওয়ালা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ''পতিতা স্বৈরাচার'' বলা যায় না। সাব্বাশ!!! :P

ছবিসূত্রঃ https://www.freepik.com/free-ai-image/

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



রঙ্গ আলাপের অধিকাংশটা পড়লুম। বেশ লিখেছেন। আসলে দুনিয়াটাই রঙ্গময়। ছলনাময়। ধোঁকার স্থান।

দুনিয়া সম্পর্কে কুরআন এবং হাদিসে বিভিন্ন জায়গায় এর ধোঁকা, খেল তামাশা এবং অসত্যতার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। যেমন, সূরা আল-হাদীদ এর ২০ নং আয়াতে বলা হয়েছে-

"اِعْلَمُوا۟ أَنَّمَا الْحَيَاةُ ٱلدُّنْيَا لَعِبٌۭ وَلَهْوٌۭ وَزِينَةٌۭ وَتَفَاخُرٌۭ بَيْنَكُمْ وَتَكَاثُرٌۭ فِى ٱلْأَمْوَٰلِ وَٱلْأَنْفُسِ ۚ وَمَتَٰعُ ٱلدُّنْيَا قَلِيلٌۭ وَمَا عِندَ ٱللَّهِ خَيْرٌۭ وَأَبْقَىٰٓ"

"সতর্ক থাকো, তোমরা জানো যে, দুনিয়া তো শুধুই খেলা, আনন্দ, গর্ব এবং একে অপরকে একে অপরের মধ্যে ধন-সম্পদের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা, আর পৃথিবীকে তাত্ক্ষণিক ভাবে উপভোগ করার মতো একটি সাময়িক বিষয়।"

সূরা আল-ই-ইমরান এর ১৮৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে-

"مَّا ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَا إِلَّا لَعِبٌۭ وَلَهْوٌۭ وَلَزِينَةٌۭ وَتَفَاخُرٌۭ بَيْنَكُمْ وَتَكَاثُرٌۭ فِى ٱلْأَمْوَٰلِ وَٱلْأَنْفُسِ ۖ وَمَآ أَنْتُمْ فِىٓهِ مِنْهُ إِلَّا قَلِيلٌۭ"

"এই জীবন কেবলমাত্র খেলা, হাস্যরস, গর্ব, পরস্পরের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও ধন-সম্পদের বড়াই; আর দুনিয়া তাতে কিছুই নয়।"

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার উদ্ধৃত করা আয়াতগুলোতে বিশ্বাসীদের জন্য চিন্তার খোরাক আছে নকীব ভাই, তবে অবিশ্বাসীদের জন্য কিছুই নাই। তারা এর থেকে কোন কনক্লুশানেও আসতে পারবে না।

এই দুনিয়ার জীবনটাই তো সাময়িক, এই সাময়িক সময়ে আমরা কতোই না রঙ্গ-তামাশা করি। তবে দিনশেষে সবার একই পরিণতি ভোগ করতে হয়। তারপরেও অনেকে ভাবে এই জীবনটাই সবকিছু। এটাই দু্ঃখের বিষয়!!!

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার পুরো লেখাটি পড়ে মনে হলো, আপনি বিশ্ব রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির নানা দিক নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করেন। আপনার পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বেশ তীক্ষ্ণ এবং প্রাসঙ্গিক। আপনি পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিচারিতা, ভারতের মোড়লগিরি, এবং আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যে আলোচনা করেছেন, তা সত্যিই ভাবনার খোরাক জোগায়।

পশ্চিমা দেশগুলো মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের নামে যে দ্বিচারিতা ও স্বার্থপরতা দেখায়, তা সত্যিই হতাশাজনক। ফ্রান্সের মতো দেশ যেখানে বাক-স্বাধীনতার নামে কার্টুন প্রকাশ করে মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত করে, সেখানে একই দেশের প্রেসিডেন্ট নিজের সমালোচনাকে "অপমান" হিসেবে দেখে মামলা করে বসেন। এটা সত্যিই হাস্যকর এবং hypocritical। পশ্চিমা বিশ্বের এই "ডাবল স্ট্যান্ডার্ড" তাদের নৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।

আর ভারতের কথা তো বলাই বাহুল্য। গো-মাংস রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষে থাকা দেশটি গো-রক্ষার নামে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালায়। সংখ্যালঘুদের অধিকার, বিশেষ করে মুসলমানদের অধিকারের কথা বলতে গেলে তাদের মুখে কুলুপ এঁটে যায়। অথচ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে তারা নাক গলাতে ছাড়ে না। এ নিয়ে তারা মিথ্যাচারেও কম যায় না। এটা সত্যিই বিস্ময়কর এবং হাস্যকর।

আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আপনার পর্যবেক্ষণ যথার্থ। বাক-স্বাধীনতার নামে কিছু লোক যেভাবে অশালীন ও অমর্যাদাকর ভাষায় নেতা-নেত্রীদের সমালোচনা করে, তা সত্যিই দুঃখজনক। তবে এটাও সত্য যে, সমালোচনা যদি যুক্তিসঙ্গত ও ভদ্রভাবে করা হয়, তা গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত। কিন্তু অশালীন ভাষা ও ব্যক্তিগত আক্রমণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আপনার লেখাটি সত্যিই চিন্তা-provoking এবং প্রাসঙ্গিক। আশা করি, আপনার মতো আরো অনেকেই সমাজ ও রাজনীতির এই দ্বিচারিতা ও অসঙ্গতিগুলো নিয়ে সোচ্চার হবেন। ধন্যবাদ এমন একটি গভীর ও প্রাসঙ্গিক লেখা শেয়ার করার জন্য।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন:


আমি যে কোনও কিছুর গভীরে যেতে পছন্দ করি। কোন বইয়ের কভার দেখে সেটাকে জাজ করার অভ্যাস আমার নাই। তবে ব্লগে বেশীরভাগ ব্লগারই শ্যালো চিন্তা-ধারার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এটা আমাকে কষ্ট দেয়। ব্লগিং হওয়া উচিত জ্ঞান, যুক্তি আর বিচার-বিশ্লেষণ নির্ভর। আপনি যদিও বেশ প্রশংসা করেছেন, তারপরেও বলবো, আমার চিন্তা-ভাবনাও হয়তো অনেকের পছন্দ হবে না। তবে যুক্তি নির্ভর যে কোনও আলোচনার ব্যাপারেই আমি সব সময়ে উৎসাহী।

পশ্চিমাদের প্রেমে অনেকেই গভীরভাবে ভক্ত। তবে আমি দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে এই সমাজে বসবাস করে এর অঙ্গ হয়ে গিয়েছি। কাজেই আমার ভালো-মন্দ সবকিছুই নজরে আসে। এদের ভালো অনেক কিছুই আছে নিঃসন্দেহে, কিন্তু এদের অন্ধ প্রেমে পড়ার কিছু নাই। তবে সাধারনভাবে এদের দেশপ্রেম সন্দেহাতীত, যেখানে আমাদের প্রচুর ঘাটতি আছে। আমরা দেশের চাইতে দলপ্রেম আর অন্য দেশের প্রতি প্রেমকে সব সময়েই বেশী মুল্য দেই।

ভারত আমাদের শত্রু........কেন?........এর হাজারটা উদাহরন দেয়া যায়। কাজেই তাদেরকে সব সময়েই সন্দেহের চোখে দেখা হবে। এদের শত্রুতামূলক কর্মকান্ড নিয়ে আগেও লিখেছি। চাইলে আরো বহু লেখা দেয়া যায়। তবে ভারতেও অল্প-সংখ্যক হলেও যুক্তিবাদী সুন্দর মনের মানুষ আছে। তাদের কথাও মাঝে-মধ্যে ইউটিউবে শুনি। ভালো লাগে। বর্তমানে ভারত পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যার সাথে তার কোন প্রতিবেশীরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নাই। তারপরেও এদের হুশ হয় না। এই অবস্থা দিনে দিনে আরো খারাপ হবে, যদি না তারা তাদের প্রতিবেশীদের সাথে হামবড়া ভাব না দেখিয়ে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলে।

আমি ছাত্রাবস্থায় ছাত্রদল করেছি। সব সময়েই আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভক্ত। কিন্তু তাই বলে বিএনপি'র বর্তমান বা অতীত অন্যয্য কর্মকান্ডের কঠোর সমালোচনা আমি কখনওই বন্ধ করি নাই। দলকে দেশের উর্ধে রেখে চিন্তা করার পক্ষপাতী আমি একেবারেই না।

আপনার যুক্তিনির্ভর আলোচনা আর আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। :)

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: শেখ হাসিনার একটা দোষের কথা আগে জানতাম যে তিনি কানে শোনেন না । এখন দেখছি চোখেও দেখেন না!! উনার কান্ডকীর্তি স্ময়ং জাতিসংঘ তুলে ধরার পরেও তিনি জানেন না যে উনার অপরাধটা কি !!!! =p~

ওয়াকার সাবের ওপড় এখন সবচেয়ে খেপেছে পিলখানা হত্যাকান্ডে নিহত অফিসারদের স্বজনেরা। পিলখানা ইস্যূতে তিনি যা বলেছেন তাতেতো উনার স্বরুপ বাহির হয়ে গেছে। উনার বক্তব্যের সাথেতো আওয়ামিলীগের বক্তব্যের কোণ পার্থক্যই নাই। তারাওতো সব দায় বিডিয়ার সৈ্নিকদের ওপড় চাপাইসিল। ওয়াকার সাব সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করে তাতে ফুলস্টপ বসিয়ে জনগনকে এক প্রকার হুমকি দিয়েছে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শেখ হাসিনার একটা দোষের কথা আগে জানতাম যে তিনি কানে শোনেন না । এখন দেখছি চোখেও দেখেন না!! উনার কান্ডকীর্তি স্ময়ং জাতিসংঘ তুলে ধরার পরেও তিনি জানেন না যে উনার অপরাধটা কি !!!! =p~ এইটা একটা দারুণ কথা কইছেন। বড়োই আনন্দ পাইলাম!!!! :P

ওয়াকার সাহেব মাইনকার চিপার মধ্যে আছে। জনগন উনার কাছ থিকা অনেক প্রশ্নের জবাব চায়, তবে দেশের বর্তমান নাজুক অবস্থায় এইসব নিয়া বেশী আলোচনা করাও ঠিক না। যা করার, তলে তলে করতে হবে। ভারত ওৎ পাইতা বইসা আছে। কোন সুযোগই তারা হাতছাড়া করবে না। তবে ওয়াকার রিটায়ারমেন্টে যাওয়ার পরে শান্তিতে থাকতে পারবে না, এইটা নিশ্চিত!!!

এখন দেখার বিষয়, বিএনপি'র হুশ ফিরে কিনা!!! ;)

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১৯

নয়া পাঠক বলেছেন: আপনি যে আসলেই আপনার নিকের বিপরীত চরিত্রের তা আবারও প্রমাণ করলেন। ধন্যবাদ আমাদের সুন্দর একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ''ভুয়া'' এবং ''মফিজ''...........আমার নিকের মধ্যেই তো বৈপরিত্য আছে!!!! ;)

প্রশংসা শুনলে আমি খানিকটা শরম পাই। তারপরেও আপনাকে ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মোবাইলে আছি, বেশি কিছু লিখতে পারুম না। একটা জিনিস দেখলাম এখানে, ইসলাম বিদ্বেষীদের নিয়ে কিছু লিখলে পোস্ট ডিলিট করতে হয়, অথচ এই ইসলাম বিদ্বেষিরা ইসলাম নিয়ে, আমাদের নবীজিকে নিয়ে খারাপ কথা সম্বলিত কমেন্ট পোস্ট করলে এসব ডিলিট হয় না। ধরেন কেউ মন্তব্যের বিরুদ্ধে কমপ্লেইন করলো না, তাতে কী, কর্তৃপক্ষ নবীজিকে অপমান করলে সেটা ইচ্ছে করে আমলে নেবে না? দেখেন এখানে ব্লগারদেরও ইতর বলায়, এমন কী নারী ব্লগারদেরও ইতর বলে অপমান করা হয়। কেউ প্রতিবাদ করে না
https://www.facebook.com/share/p/1DxA3ZAQfh/

নারী ব্লগারদের নিয়ে

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশের অনেক থানার ওসি তার এলাকার অনেক অপরাধের জন্য কোন পদক্ষেপ লয় না। সাম্বাদিকরা জিগাইলে কয়, কেউ তো মামলা করে নাই, তাই পদক্ষেপ লই নাই। মামলা করলেই তুরন্ত ঝাপাইয়া পড়মু। ব্লগ কর্তৃপক্ষও সেই রকমের। তয় পদক্ষেপ যে একেবারেই লয় না, বিষয়টা এমুন না, লয়। কিন্তু তাদের ঘুম ভাঙ্গাইতে অনকে কসরৎ করন লাগে!!! B-)

দেখেন এখানে ব্লগারদেরও ইতর বলায়, এমন কী নারী ব্লগারদেরও ইতর বলে অপমান করা হয়। কেউ প্রতিবাদ করে না অত্যন্ত গর্হিত কাম। তয় এমন যে বা যারা কয়, তারা নিজেরাই আসলে ওই শ্রেণীর। আপনের লিঙ্কটা দেখুম নে। আইজকা হঠাৎ কামের খুব চাপ গেছে। অহন একটু দম লইতাছি!! আবার ঝাপাইতে হইবো!!! :)

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:



পুরাতন কিছুকে কপিপেষ্ট করেছেন, সমসাময়িক কিছু ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কি ব্লগিং করেন..........মন্তব্যটাও দেখি ঠিকমতো করতে পারেন না!!!!! B:-)

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: দেশনেত্রী, জনদরদী আর মানবতার ফেরীওয়ালা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ''পতিতা স্বৈরাচার'' বলা যায় না। সাব্বাশ!!! আপাকে কি বলা যাবে আর কি বলা যাবে না, ৫ তারিখে গনভবন থেকে আপার ব্যাবহারিত ভিক্টোরিয়া সিক্রেট এর অন্তর্বাস, স্বর্গীয় সুরা, অখন্ড ভারতনামা, ফিরবি দিল হ্যা হিন্দুস্তানি :P নামক আমলনামা দিয়ে জনতা বুঝায় দিছে।

তবে আপা একটা সাবাসি পাওয়ার যোগ্য! দলে কিছু ভাফাদার কুত্তা পুষে গেছে।
চোখের সামনে এমন নির্লজ্জ, নিকৃষ্ট উদাহরণের পর এখনো আপার নাম নিয়ে ঘেউ ঘেউ করে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তবে আপা একটা সাবাসি পাওয়ার যোগ্য! দলে কিছু ভাফাদার কুত্তা পুষে গেছে। চোখের সামনে এমন নির্লজ্জ, নিকৃষ্ট উদাহরণের পর এখনো আপার নাম নিয়ে ঘেউ ঘেউ করে। আপনের মুল্যায়ন ঠিক হয় নাই। ''কিছু'' হবে না, সবগুলাই একই সূরে ডাকে আর ল্যান্জা নাড়ে!!! :-B

জনতা কোন কিছু বুঝতে ভুল করে না। খালি সব সময় রিয়্যাক্ট করে না। আর যখন করে, তখন তল্পি-তল্পা নিয়া শ্বশুড়বাড়ি ভাগা লাগে। আফসোস!!!!:)

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

আরোগ্য বলেছেন: ধুর্ আপনেগো জালায় আমার আর ঈদের আগে পোস্ট করা হইবো না। চাইসিলাম রোজার আগে এক খান পর্ব পোস্টায়া দিতে কিন্তু রেডি করনের টাইম আর কই। ঠুস কইরা এতোদিন বাদে পদাতিক ভাই আয়া পড়লো, করলাম একটু আলাপ শালাপ, আবার আজকা আপনে একখান মাইরা দিলেন। না আয়া কি পারন যায়!!! দিনে দেখলাম "নাস্তা" আয়নাঘর লয়া নাটক। আবার আটটায় ইলিয়াসের বিডিআর ইনভেস্টিগেশন ভিডিও। :(

এতো ধইরা জানতাম আমি একটা দুষ্কর প্রাণী, আজ আপনের পোস্টের প্রথম লাইনে আরেকবার পর্মান পাইলাম। :|

ইসলামফোব শব্দটা আমি নিশ্চিত এটা শয়তানের কারসাজি। ওই কোরআনের আয়াত থেইকা চুরি করসে। এই আয়াতটা একটু ভালামতন দেহেন, "যারা কুফর অবলম্বন করেছে, আমি অচিরেই তাদের অন্তরে ত্রাস (phobia) নিক্ষেপ করব। কেননা তারা এমন সব জিনিসকে আল্লাহর শরীক সাব্যস্ত করেছে, যাদের সম্পর্কে আল্লাহ কোনও প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। আর তা জালিমদের নিকৃষ্টতম ঠিকানা।" (আলে ইমরান-১৫১)
এবার আরেকটা আয়াত মিলায়ে দেহেন, চোখের সামনে বাস্তব ঘইটা গেলো।" তিনিই আহলে কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফের তাদেরকে প্রথম সমাবেশেই তাদের ঘর-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছেন। (হে মুসলিমগণ!) তোমরা কল্পনাও করনি তারা বের হয়ে যাবে। তারাও মনে করেছিল তাদের দুর্গগুলি তাদেরকে আল্লাহ হতে রক্ষা করবে। অতঃপর আল্লাহ তাদের কাছে এমন দিক থেকে আসলেন যা তারা ধারণাও করতে পারেনি। আল্লাহ তাদের অন্তরে ভীতি (phobia) ছুড়ে মারলেন। ফলে তারা নিজেদের হাতে নিজেদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করে ফেলছিল এবং মুসলিমদের হাতেও। সুতরাং হে চক্ষুষ্মানেরা! তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।"
(—আল হাশ্‌র - ২) যদিও আয়াতে আহলে কিতাব উল্লেখ আছে তবে নামে মুসলিম হইলেই তো আর মুসলিম হয় না। ওহ্ মনে আছে আপামনি একবার কইসিলো তার পুত্রবধু আহলে কিতাব :P ধরাটা খাইসে।
এতো কিছুর পর ইসলামবিদ্বেষী কপালপোড়াগুলি চোখে দেহে না। ওগো তো অন্তর্চক্ষু নষ্ট।

গোমুত্রের ফ্যাক্টরি ভারতরে লয়া আর কি কমু। পুরা ধর্মব্যবসায়ী। আসলে মুসলমানদের দশাও বেশ ভালো না, বর্তমানে মানুষ ধর্ম ব্যবহার করে, ধর্ম পালন করে কই? যারা ধর্ম পালন করতে চায় তাগো কেমনে খিচা ধরবো এ ধাম্দায় আশেপাশের লোক। ট্যাগিং তে আছেই। ব্লগ এক ধাপ আগায়ে আছে রেসে। ;)

আরেক দেশে বিয়া ছাড়া ভাইগা যাওয়া আপা জানতে চাইসে তার কি অপরাধ? জন্মই তার আজন্ম অপরাধ। =p~

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে চ্যাতেন ক্যালা? আপনে পোষ্টাইবেন আগে কইবার পারেন নাই!!! তয় তো আমি আমি আর পোষ্টাই না। পদাতিক এতোদিন বাদে কইত্ত্বে আওয়াজ দিলো? হ্যায় আছে কেমুন? পোষ্ট রেডি থাকলে পোষ্টায় ফালান। অহনও থোড়া টাইম আছে।

দুষ্কর হওনের কাম কি.......দেইখা হালান!! মজা পাইবেন!!!

এতো কিছুর পর ইসলামবিদ্বেষী কপালপোড়াগুলি চোখে দেহে না। ওগো তো অন্তর্চক্ষু নষ্ট। যাগো লেইগা আয়াত দুইটা নাজিল হইছে, তাগো দিলের মইদ্দে সীলমোহর মারা। কুনো কাম হইবো না। খালি অন্তর্চক্ষু না, তাগো সবকিছুই বরবাদ হয়া গ্যাছে গা।

আসলে মুসলমানদের দশাও বেশ ভালো না, বর্তমানে মানুষ ধর্ম ব্যবহার করে, ধর্ম পালন করে কই? যারা ধর্ম পালন করতে চায় তাগো কেমনে খিচা ধরবো এ ধাম্দায় আশেপাশের লোক। হাচাই কইছেন।

আরেক দেশে বিয়া ছাড়া ভাইগা যাওয়া আপা জানতে চাইসে তার কি অপরাধ? জন্মই তার আজন্ম অপরাধ। =p~ কিছু কমু না............হে হে হে!!!

৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আরোগ্য বলেছেন: আবার আইলাম এখন একটা ভিডিও দেখলাম, দেইখাই আপনের পোস্টের কথা মনে পড়সে তাই দৌড়ায়া শেয়ার করতে আইসি। view this link

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লিঙ্কানোর লেইগা ধইন্যা। বাইত্তে যায়া লই, তারপরে দেহুম নে!!! :)

১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৬

এ পথের পথিক বলেছেন: আপনার নিক দেখে আগে ভেবেছিলাম আপনি মনে অন্য পক্ষের লোক । যাইহোক ভাল লিখেছেন, আরো লিখবেন ইনশাআল্লাহ্‌ ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সর্বনাশ!!! আপনি তো মনে হচ্ছে আমার চেয়েও অলস প্রকৃতির। আমি ২/৪টা পোষ্ট পড়ি, মন্তব্যের ধরন দেখি। তারপরে সিদ্ধান্ত নেই। আর আপনি নিক দেখেই কাম সারেন!!!! সাব্বাশ!!!!! :-B

আরো লিখবেন ইনশাআল্লাহ্‌ । আমি লিখি। ব্লগ ছাড়াও এদিক সেদিক লিখি। :)

১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৫

শায়মা বলেছেন: রাজপুত্র ভাইয়া পোস্টের শিরোনাম পড়েছি শুধু। প্রগ্রেস রিপোর্ট লিখি...... তারপর বাকীটা পব্বো আত্তা!!!!!!!!!!


এই শিরোনামের গানের মুগ্ধ শ্রোতা আমি.....

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আত্তা.........ঠিক আতে!!! পলবা কিন্তু!!!! ;)

এই শিরোনামের গানের মুগ্ধ শ্রোতা আমি..... আমিও!!!!! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.