নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বামী-স্ত্রী\'র সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপনে মরিয়া বিএনপি

২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:১৪



আপনাদের আওয়ামী স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলগা মোমেনের সেই যুগান্তকারী বাণীর কথা মনে আছে? উহা বলেছিল, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী'র সম্পর্কের মতো। আবার বলেছিল, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নাকি রক্তের সম্পর্ক। বলি, উহা কি হারাম-হালাল বোঝে না? স্বামী-স্ত্রী'র সম্পর্ক আবার রক্তের সম্পর্ক হয় কিভাবে? সে যাকগে, দুইটা দেশের তো আর এই ধরনের সম্পর্ক হইতে পারে না!!! কাজেই সে এই কথা দিয়ে কি বোঝাতে চেয়েছে, সেটা দুষ্টলোকেরা ঠিক ঠিক বুঝে ফেলেছিল তখন। তার বেশকয়েক বছর পর এই এখন সেই কথার মাজেজা আমরাও বুঝে গিয়েছি। একসময়ে ভাটি অঞ্চলের বধুরা ভরা বর্ষায় (ইংরেজি জুলাই-অগাষ্ট মাসে) বাপের বাড়িতে নাইওর যাইতো। যুগ পল্টি খাওয়ার ফলে এখন ঘটনা ঘটে উল্টা!!!

ওদিকে ভারতের স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান পলিটিশিয়ানদের অন্যতম তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কিছুদিন আগে একটা কৌতুক বলেছে। সেটা হলো, ''ভারত সবসময়েই তার প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়।'' ভারতের বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশীয় নিউজ সার্ভিসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তার এই বক্তব্য উঠে এসেছে। তা কোন কোন প্রতিবেশীর সাথে ভারতের এখন সুসম্পর্ক চলছে? ভাগ্যিস বলে নাই, তাদের প্রতিবেশী প্রতিটা দেশকেই ঠিক করতে হবে যে, তারা ভারতের সাথে কেমন সম্পর্ক চায়!!!!

এতো গেল স্ট্যান্ডআপ কমেডি করা পলিটিশিয়ানদের কথা; বাকীরাও কম যায় না। ভারতের গোদি মিডিয়া আর গোদি বুদ্ধিজীবীদের সাথে যুক্ত হয়েছে কিছু গোদি ব্লগার। এদেরকে এই ব্লগ সাইটে এসে বাক-স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ তথা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মিথ্যা বিষোদগার করতে দেখা যায়। মনের অজান্তেই সম্ভবতঃ ব্লগ কর্তৃপক্ষ এদের প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে পরিণত হয়েছে কিংবা ব্যবহৃত হচ্ছে; আর সাথে আছে কিছু এদেশি নব্য রাজাকার। এরা ক্রমাগত এতো এতো বিভিন্ন কমেডির জন্ম দিচ্ছে যে, বলে শেষ করা যাবে না। আমার গত পোষ্টেই তেমন কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম।

এখন এই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে কাবাব মে হাড্ডি হয়ে যে কোন ফায়দা হাসিল হবে না, এটা বর্তমানের বিএনপি বুঝে গিয়েছে; স্ত্রী'র পদ বেদখল হয়ে যাওয়ার কারনে। কাজেই তাদের বর্তমান স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে এই দম্পতির সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন। সমস্যা হলো, যে কোনও সম্পর্ক স্থাপনে কিছু পূর্বশর্ত থাকে। কে কি শর্ত দিবে, আর কে কতোটা মানবে..........সেটা যার যার ইন্টারেস্টের বিষয়। তবে অবাধ তথ্য প্রবাহের এই যুগে বাংলাদেশের সাধারন জনগন যেহেতু এখন অন্য যে কোনও সময়ের চাইতে অধিকতর রাজনৈতিক সচেতন হয়ে উঠেছে, তাই তাদের কাছে কোন কিছুই গোপন থাকছে না।

তাহলে চলেন আমরা দেখি, আমাদের আলোচিত দম্পতি সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কি কি ধরনের পূর্বশর্ত রাখতে পারে!!!

মোটাদাগে সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বশর্তই হবে, ভারতীয় বদমাশদের আধিপত্যবাদের প্রায় হারিয়ে যাওয়া গৌরবকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারকে অকার্যকর করা আর আওয়ামী মাফিয়াবাদকে পূনর্বাসিত করা। আমরা লক্ষ্য করছি, খুবই নিষ্ঠার সাথে বিএনপি'র বর্তমান নেতৃত্ব এই ভূমিকা পালন করছে। সেজন্যেই তারা গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার বিপরীতে গিয়ে সরকারকে প্রতিপদে অসহযোগিতা করছে। অভ্যুত্থানোত্তর ম্যান্ডেট নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারকে বিএনপি একেবারেই নিজস্ব সরকার মনে করতে পারছে না। তাই তাদের কার্যকলাপ মির্জা ফখরুলের গত ২৬শে জুলাই বলা, ''বিএনপি এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত না থাকার পরেও সরকার মিথ্যা অভিযোগে বিএনপি'র নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে'' বক্তব্যকেই প্রতিষ্ঠিত করছে। এটা সত্যি যে, জুলাই আন্দোলনে বিএনপি'র তৃণমূল নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশের গৌরবময় অংশগ্রহণ ছিল, তবে সেটা বিএনপি'র হালুয়া-রুটির খাওয়ার জন্য ওৎ পেতে বসে থাকা শীর্ষনেতৃত্বের বাইরে। তাই এই সরকার অকার্যকর হলে সবচাইতে বড় লাভ ভারত-বিএনপি-আম্লীগ এই ট্রায়োর, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। এই সরকারের চাইতেও তাদের বড় কমন শত্রু হয়ে দাড়িয়েছে ড.ইউনুস। উনার জন্যই ভারত আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুবিধা করতে পারছে না। কাজেই তাদের কথাবার্তা, কাজ-কারবার আর দাবী-দাওয়া এক এবং অভিন্ন।

আরব আমিরাতের কারাদন্ড পাওয়া কর্মীদের মুক্তি, দিল্লির পরিবর্তে ঢাকাতে ইউরোপের ভিসা সেন্টার, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ও কথিত ইসলামী সন্ত্রাসবাদের প্রসার ইত্যাদি বিষয়গুলো সমাধান হয়ে যাচ্ছে অথবা হালে পানি পাচ্ছে না ড. ইউনুসের আন্তর্জাতিক কানেকশান, গ্রহনযোগ্যতা আর ক্লীন ইমেজের কারনে। উনার কারনেই এখন বিদেশ থেকে কৃতি বাংলাদেশীদের এনে দেশের কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে যার অন্যতম উদাহরন হলো, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী করা।

সেদিন টকশোতে দেখলাম বিএনপি'র এক নেত্রী বলছে, বিএনপি যদি একটা ধাওয়া দেয়, তাইলে আর মাঠে কাউরে খুইজা পাওয়া যাইবে না। ভাই রে ভাই.........হাসুম না কান্দুম বুঝি না, পুরাই কনফিউজড। তাইলে গত ষোল বছর ধাওয়া না দিয়া গর্তে লুকাইছিলি ক্যান? এক ধাওয়াতেই তো দেশের হাজার কোটি টাকা বাইচা যাইতো!! হাজার হাজার নিরীহ ছাত্র-জনতার প্রাণ বাচতো বা পঙ্গুত্ব বরণ করতে হইতো না। নাকি আম্লীগরে ধাওয়া দেওয়া যায় না, সম্পর্কে ভাসুর লাগে!!! এমন হাজার হাজার বালখিল্য মন্তব্য আর কাজ-কারবার দেখছি বিএনপির নেতা কর্মীদের। এদের উপরে ফ্যাসিবাদের আত্মা ভর করেছে। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই এই অবস্থা, গেলে কি হবে? এরা ক্ষমতায় গেলে করবে সংস্কার? মির্যা আব্বাস যথার্থই বলেছে, ক্ষমতায় গেলে তারা এই সরকারের সংস্কারগুলোও বাতিল করতে পারে। বিএনপি'র ভারত-আওয়ামীপ্রেম আর ফ্যাসিবাদী চরিত্র পরিস্কার হওয়ার লক্ষণগুলো নিয়ে আমি এই লেখায় বিস্তারিত আলাপ করেছি। =বাংলাদেশে ভবিষ্যতের ফ্যাসিস্টঃ বিএনপি'র সম্ভাবনা এবং বাস্তবতা= আগ্রহীরা দেখতে পারেন।

হাসিনার পলায়নের পরেই যে বিএনপি'র দুই নম্বরী শুরু হয়েছিল, তা পরিস্কার ফুটে উঠেছে উপদেস্টা আসিফের প্রকাশিত বইতে। সেখানে বলা আছে, তারেক রহমানের কারনেই জাতীয় সরকার গঠন সম্ভব হয় নাই। এখন তারেক লন্ডনে বসে সুন্দর সুন্দর গেয়ানের কথা বলে। আমার এতোদিন ধারনা ছিল যে, বিএনপি'র দেশে থাকা শীর্ষ নেতৃত্ব কোন এক কারনে তারেকের চিন্তাধারার সাথে এলাইন করতে পারছে না। আমি ভেবেছিলাম, আওয়ামী নির্যাতনের শিকার আর দীর্ঘদিন দেশের বাইরে একটা উন্নত দেশে থাকার ফলে তারেক বদলে গিয়েছে, তার চিন্তা-ভাবনা অনেক উন্নত হয়েছে। কিন্তু হা হতোস্মি!!! আসিফের বই থেকে পরিস্কার হয়েছে যে, এখন যতোই ভাব ধরুক, কমিশন বা খাম্বাবাবা তার চরিত্র বদলায় নাই। লন্ডনে বসে বসেই সে বাংলাদেশকে নিয়ে তার ভবিষ্যতের দুই নম্বরী পরিকল্পনার ছক কেটে চলেছে। বিষয়টা পরিস্কার করার জন্য আসিফকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই যে চাদাবাজি করে সব জায়গাতে অরাজকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, বহিস্কার কি কোন সমাধান? কিছুদিন পরে এদের আবার দলে নেয়া হবে। এদেরকে বিএনপির পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয় না কেন? তারেক রহমান একটা নিরপেক্ষ কমিটি করে না কেন এদের নিয়ন্ত্রণে, তাইলেই তো এসব নিয়ন্ত্রণ করা যায়; কারন সবাই জানে, চাদাবাজরা কোন না কোন ভাই বা নেতার ছত্রছায়ায় এসব করে। সেই মাথাদেরকে কিছু না করে লন্ডনে বসে হম্বিতম্বি করা পাবলিকের আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই না।

থ্রি স্টুজেস মির্জা ফখরুল-মির্জা আব্বাস-আমির খসরু ভারতের দালাল, এইটা সর্বজনবিদিত। আমি ভাবতাম, এরা বিএনপির সর্বনাশ করছে। কিন্তু আসল ক্রিমিনাল তো খাম্বাবাবা, সে সুকৌশলে সুন্দর সুন্দর কথা বলে জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে প্রায় সক্ষম হয়েছিল, কিন্তু এখন এটা জানা গেল যে, আসল নাটের গুরু সেই-ই। কাজেই বিএনপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনলে দেশের দূর্গতি যে কমবে না, সেটা বোঝা গিয়েছে। অবশেষে থলের বিড়াল মির্জা আব্বাস বের করে দিয়েছে এটা বলে যে, আমরা তাদের করা কোন সংস্কার মানবো না, যদি কিছু করেও, আমরা ক্ষমতায় গেলেই তার পরিবর্তন করবো। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই আমার মাতৃ বা মাতুল বংশ আওয়ামী সমর্থক। অন্যদিকে পিতৃ বা পিতুল বংশ প্রধানত বিএনপি'র সমর্থক। দুইটার পিছনেই বহুবিধ কারন আছে। আমি এই পিতুল অর্থাৎ আমাদের বংশের বেশীরভাগ সদস্যকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, বিএনপিকে ভোট দেয়া যাবে না। আমার প্রচারণা অব্যাহত থাকবে এবং ঈদের পর জোরদার হবে। এটা আস্তে ধীরে আমার মাতুল বংশ, শ্বশুর বাড়ী, বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে সম্প্রসারিত হবে ইনশাআল্লাহ!!!! ;)

আপনারাও আপনাদের পরিবার থেকেই এই ক্যাম্পেইন শুরু করেন, যদি দেশের ভালো চান। মনে রাখবেন, বিএনপির দেশের উন্নতির দিকে কোন মনোযোগ নাই। এরা আবার দেশটাকে ভারতের হাতে তুলে দিবে। জনগন আবার সেই পুরানো দিনের মতো ভারতের দালালদের খপ্পরে পড়ে দুষ্টচক্রে পতিত হবে। দেশে এবং বিদেশে মাথা উচু করে চলার যেই সুযোগ আমাদের ছাত্র-জনতা তাদের রক্ত দিয়ে আমাদেরকে দিয়েছে, সেই রক্তের ঋণের মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব থেকে যদি আমরা পিছু হটি, তাহলে আগামী ৫০ বছরেও সেখান থেকে আমরা আর বের হতে পারবো না।

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!!!!!

Photo courtesyঃ Wasiul Bahar.

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:১০

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আয়!!! হায়!!! একেবারে চাবুক!!! :P
আপনিতো ব্লগে বিএনপিপন্থী সুশীলদের চক্ষুশুলে পরিনত হবেন।

বিএনপি যদি একটা ধাওয়া দেয়, তাইলে আর মাঠে কাউরে খুইজা পাওয়া যাইবে না
ধাওয়া আপার মাইয়া, পরিবার সবাই অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী, আরো ১০ বছর আগে থেইকা। ঈদের পর মনে হয়, দেশকে অষ্ট্রেলিয়া বানানোর মিশনে ধাওয়া দিবো আপায়।

কিন্তু আসল ক্রিমিনাল তো খাম্বাবাবা, সে সুকৌশলে সুন্দর সুন্দর কথা বলে জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে প্রায় সক্ষম হয়েছিল, কিন্তু এখন এটা জানা গেল যে, আসল নাটের গুরু সেই-ই। পুরো পোষ্টের সবচেয়ে মুল্যবান দুইটা লাইন। বিএনপির নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসলে, আগামী দিনগুলোতে দেশের ভাগ্য কি আছে, এই দুই লাইন অনুধাবন করা যায়।ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল ফ্রিল্যান্সার রাজনীতিবিদ, মিষ্টার ১০% পেয়ারা সন্দেশ রপ্তানি ও জনপ্রিয় করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার একটি দিক নির্দেশনা ইতিমধ্যে দিয়ে রেখেছেন। দেখি কি হয়???

ধন্যবাদ ভুয়া মফিজ ভাই। আপনার বুদ্ধিদীপ্ত লজিক আর সুন্দর, সহজ-সরল উপস্থাপনায়, মেরুদন্ড না বিকিয়ে, চাটুকারিতা বিভোর না হয়ে, বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ভন্ডামির মুখোশ উন্মোচন করেছেন।

২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনিতো ব্লগে বিএনপিপন্থী সুশীলদের চক্ষুশুলে পরিনত হবেন। হু কেয়ার্স!!! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পুরাটা সময় ছাত্রদল করছি। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। দেশে যে'কয়বার ভোট দিছি, বিএনপিকেই দিছি। চাইলে আজকে আমি বিএনপি'র নেতা হইতে পারতাম, সেই সুযোগও ছিল। বিস্তারিত বলতে চাই না। কিন্তু নিজের বিবেক কারো কাছে বন্ধক দেই নাই। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো সবসময়েই বলি। কাজেই আমার দ্বারা চাটুকারিতা আর অন্ধভক্তি হবে না।

শহীদ জিয়ার বিএনপি আর আজকের বিএনপি'র আকাশ-পাতাল তফাৎ। এই বিএনপি আমার না। X(

২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:১৮

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: বিগত ১৭ বছরে খালেদা জিয়া ভুগেছেন কিন্তু মিঃ টেন পারসেন্ট কিন্তু লন্ডনে বহাল তবিয়তেই ছিলেন। সেই সাথে বিএনপির হাই কমান্ডের নেতারাও । গুম, খুনের শিকার হয়েছিল ব্লগার জুলভার্ন , শের শাইরি, অথর্ব কান্ডারীর এর মত তৃনমূল ডেডিকেটেড নেতা কর্মীরা।বিএনপির হাই কমান্ড তখন এই নেতা কর্মীদের কোন খোজ খবরই নেয় নাই । জুলাই আন্দোলনেও ছাত্রদের সাথে মাঠে ছিল বিএনপির এই তৃনমূল নেতা কর্মীরাই। ছাত্র জনতার বিজয়ের পর এখন বিএনপির এই হাই কমান্ড নেতারা মীর জাফরের ভুমিকায় অবর্তীর্ন হয়েছে। এরা এখন আবারো কিছু টাকা পয়সা কামাই করে উড়াল দেয়ার ধান্দায় আছে। রাস্তায় পড়ে মার খাবার জন্য তৃনমুলের নেতা কর্মীরাতো আছেই!!

২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তারেকের সাথে বেশ কয়েকবার দেখা হইছে। উহার কথাবার্তা কিন্তু বেশ কনফিউজিং। আমার ধারনা, সে নিজে কনফিউজড হয়া সবাইরে কনফিউজড করতেছে।

বিএনপি'র বিষয়ে আমি অনেকের চাইতে বেশী জানি, আমার সেই কানেকশান আছে। সব কথা ব্লগে বলা যায় না, আবার বলতে থাকলে থামা মুশকিল। কাজেই না বলাই ভালো। ভুয়া মফিজ হিসাবে যতোটুকু কইতে পারি, কই আর কি!!!! :P

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:২৭

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: শহীদ জিয়ার বিএনপি আর আজকের বিএনপি'র আকাশ-পাতাল তফাৎ। এই বিএনপি আমার না। জিয়াউর রহমান সম্ভবনাময় একদল মেধাবী যুবক, আর্মির রিটায়ার্ড ডিসিপ্লিন অফিসার নিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন। পরবর্তীতে দেশের এলিট সোসাইটি, ব্যবসায়িরা বিএনপিকে সাদরে গ্রহন করে। ৯১ ও ০১ নির্বাচনে বিএনপির মত একটি দলের জয় তা-ও আবার আওয়ামী লীগকে হারিয়ে, এই জিয়াউর রহমানের রিক্রুট করা মেধাবী নেতা-কর্মীদের জন্য সম্ভব হয়েছে‌। এরপর আপনার বন্ধু মিষ্টার ১০% এসে বিএনপিকে চোর-ডাকাতের দলে পরিণত করছে।

তবে বিএনপি মন্দের ভাল,‌ মেধা ও বুদ্ধি ভিত্তিক, কৌশলী রাজনীতিতে বিএনপির খুবই পরিপক্ক খেলোয়ার। সাইফুর রহমান, ব্যারিস্টার মউদুদ আহমেদ, মান্নান ভূঁইয়া, হান্নান শাহ, বদরুদ্দোজা চৌধুরী,
কর্নেল অলি, সাকা চৌধুরী আমার খুব পছন্দের রাজনীতিবিদ। ওনাদের হাইটের নেতা বর্তমান বিএনপিতে নাই বললেই চলে।

পোষ্টে দুরবীন নামে একটা ফেসবুক পেজের লিংক দিয়েছেন। এইটা কি আপনার???

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশকে একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে দাড়া করাইছিলো জিয়াউর রহমান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতিসহ প্রতিটা ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপন হইছিলো শহীদ জিয়ার হাত ধরে। এর আগে বাংলাদেশ ছিল একটা অগোছালো দেশ।

পার্ক চুং হি, লী কুয়ান আর মাহাথির মোহাম্মদের মতো একজন ভিশনারী নেতা ছিলেন উনি। বাংলাদেশকে আস্তে আস্তে কোথায় নিতে হবে, সেই সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা ছিল উনার, যার ছিটাফোটাও আজকের বিএনপিতে নাই। আপনার বলা নেতাদের মধ্যে ব্যারিস্টার মউদুদ আহমেদ নিয়া আমার খানিকটা দ্বিমত আছে, তবে উনারা সবাই ছিলেন ক্যারিশম্যাটিক নেতা। প্রেসিডেন্ট জিয়া এইসব ট্যালেন্টদেরকে একটা সুতার মধ্যে গেথে রাখতে পেরেছিলেন, এটাই উনার সবচাইতে বড় যোগ্যতা।

আপনের পোষ্টটা পড়া হয় নাই। মাত্র ইফতার শেষ হলো। একটু দম নিয়া পড়বো। :)

পোষ্টে দুরবীন নামে একটা ফেসবুক পেজের লিংক দিয়েছেন। এইটা কি আপনার??? ওইটা এই অধমেরই!!!! :P

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:২০

শায়মা বলেছেন: বাপরে!!!

দেশে দেশেও বিয়ে শাদী হয় নাকি! B:-)

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাপরে!!! গাছে গাছে বিয়ে হতে পারলে দেশে দেশে হতে সমস্যা কোথায়!!! =p~

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগ-বিএনপি-ভারতের সম্পর্ক নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেছেন। বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল, তাদের নেতৃত্বের দ্বিচারিতা এবং ভারতের সাথে তাদের সম্পর্কের প্রভাব খুব স্পষ্টভাবেই তুলে ধরেছেন।

আপনার বিশ্লেষনে এটা স্পষ্ট যে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলেও দেশের সার্বভৌমত্ব এবং উন্নয়নের গতি বিপন্ন হতে পারে। আসলে ক্ষমতালিপ্সু হিসেবে এরা আর বিতাড়িত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগে তেমন কোনো পার্থক্য দেখি না। ব্যক্তি ও দলের স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে দেশ গড়ার স্বার্থে তাদের দলীয় নীতি, আদর্শ ও মূলনীতি ঠিক করে নেওয়া উচিত।

আপনি সঠিকই বলেছেন, জনগণকে সচেতন হতে হবে এবং তাদের ভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য চলমান উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে এগিয়ে নেওয়া জরুরি। বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো লাগে এটা দেখে যে আপনি আজকাল রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে বেশ লেখালেখি করছেন। আপনার রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হোক না কেন, বিচার-বিশ্লেষণ যেন নিরপেক্ষ হয়, সেদিকে নজর রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি। রাজনৈতিক দলগুলো যে বলে, ''ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়'' এটা তারা শুধুই বলে। তবে আমি মনে প্রাণে এটা বিশ্বাস করি। আমার আলাপ-আলোচনা, কথা-বার্তা সেই কেন্দ্রিক। আমারও পছন্দ-অপছন্দ আছে, তবে দেশ বিরোধী কাজ যে বা যারাই করবে, আমি তাদের সমালোচনা করবো। এটাই আমার স্ট্যান্স।

দেশের মানুষ এখন অনেক পরিস্কারভাবে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা রাখে। অন্ধভক্তি আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে আশা করি। মানুষ ভালো-মন্দ বুঝতে শিখছে। যে কোনও মতবাদ, সেটা যদি দেশের স্বার্থে হয়, তাহলে ভালো; নয়তো পরিত্যজ্য।

বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এটাই হলো শেষ কথা। এর বাইরে অন্যকিছু চিন্তা করার কোন অবকাশ নাই। :)

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮

রানার ব্লগ বলেছেন: B-)

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: B:-)

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১১

রাসেল বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন: আপনি সঠিকই বলেছেন, জনগণকে সচেতন হতে হবে এবং তাদের ভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে।
দেশে প্রকৃত অর্থে কি কখনো ভোট হয়েছে।

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশে প্রকৃত অর্থে কি কখনো ভোট হয়েছে। হয়েছে। ইতিহাস ঘাটলেই জানতে পারবেন।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৮

রবিন_২০২০ বলেছেন: অফটপিকঃ উত্তর না দিলেও চলবে।
আপনি খুব সম্ভবত অভি /ইলিয়াস পিরিয়ডের ছাত্রদল। কে জানে হয়তো Our paths crossed in DU . ভালো থাকবেন।

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অভি/ইলিয়াসের নাম যেহেতু বললেন, আরো দু'টা নাম..........নীরু-বাবলু কি মনে পড়ে?

কে জানে হয়তো Our paths crossed in DU কে জানে........হলেও হতে পারে!!! ;)

আপনিও ভালো থাকবেন।

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: কারে বিশ্বাস করব আর কারে শত্রু ভাবব??
এতদিন কতকিছুই ভুল জেনেছি ভুল বুঝেছি ভুল শিখেছি আর ভুল মতবাদ আর আদর্শে প্রভাবিত হয়েছি সেটা এমন একটা আন্দোলন না হলে বুঝতেই পারতাম না।
সব কিছুতে বিরক্ত লাগে, কিছু লিখতে বা পড়তে ইচ্ছে করে না।


জুলাই আন্দোলনে পুলাপাইন দেয়াল লিখনে এটা লিখেছিল। তখন রাগ হলেও এখন বুঝতে পারছি - কথা সত্য।

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এতো ভাবাভাবির দরকার কি? নিজের গেয়ানের উপ্রে আস্থা রাখেন। সেই আপনেরে জানাবে, কোনটা সঠিক আর কোনটা বেঠিক। আর হ্যা.......চোখ-কান খোলা রাখেন। আপনে তো আড্ডা দেন, তাছাড়া আপনে তো কইছিলেনই দেশ-গেরামের কথা আপনে ভালো জানেন। তাইলে প্যারা লন ক্যান? :-B

সব কিছুতে বিরক্ত লাগে, কিছু লিখতে বা পড়তে ইচ্ছে করে না। হতাশ হবেন না। আমরা চাই বা না চাই, দেশ এখন একটা রিফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এর ভালো দিক হলো, পক্ষ-বিপক্ষ পরিস্কার হয়ে যায়। ফলে অনেক কিছু সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পাওয়া যায়। দেখেন না, আমার পোষ্ট করার মতো বিভিন্ন ধরনের বহু লেখা পড়ে আছে, কিন্তু আমি পলিটিক্স নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি সারাদিন। এটাই পরিবর্তন!!!!

impostor syndrome নামে একটা টার্ম আছে। বিষয়টা সম্পর্কে জানেন? :)

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:১২

মায়াস্পর্শ বলেছেন: আমি এক আজব জিনিস দেখেছিলাম। আপনার লেখার শিরোনাম দেখে বিষয়টা মনে পড়লো,
বলি তাহলে ,
একদিন ভোরবেলা হেটে যাচ্ছিলাম রাস্তা দিয়ে। কার্তিক মাস ছিল সম্ভবত। দেখলাম দুইটা কুকুর সঙ্গমের পর জোড়া লেগে আছে। আমরা ছোটবেলায় এটা দেখে বেশ মজাও পাইতাম আবার সাথে লোকজন থাকলে লজ্জায় অন্যদিকে চেয়ে থাকতাম। তবে সেদিন দেখলাম অন্য একটা কুকুর এসে ওই জোড়া লাগা দুইটার ওপরে উঠে লাফানোর চেষ্টা করছে। আশেপাশে অন্য অনেক মাদী কুকুরও ছিলো কিন্তু কেন যেন ওই কুকুর ওই জোড়া লাগা দুইটার ওপরে উঠেই লাফাচ্ছিলো।

আপনার লেখার শিরোনাম দেখেই হঠাৎ কেন জানি সেই দৃশ্য আমার মনে হয়ে গেলো তাই লিখলাম।

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার দেখা এই দৃশ্য আমি জীবনে বহুবার দেখেছি। আমি জানি, কম-বেশী সবাই দেখেছে। তবে আপনার মতো দার্শনিকের দৃষ্টিতে কয়জন দেখেছে? আপনার মন্তব্যে চিন্তাশীলদের জন্য চিন্তার খোরাক আছে!!!!! ;)

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শালা দুলাভাই সম্পর্কের জায়গাটা খালি আছে। বিএনপির জন্য এই জায়গাটা খালি আছে। তাতে বুবুও খুশি হবে।

মির্জা ফখরুলের কথায় বোঝা যায় যে ২৬ জুলাই তারিখেও তারা অভ্যুত্থানের বাইরে থাকার চেষ্টা করেছে। তাদের তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকরা নিজ উদ্যোগে এই অভ্যুত্থানে জড়ালেও ফখরুল সাহেবরা তাদের দায়িত্ব নিতে চায় নাই। যে কারণে এই অভ্যুত্থানকে এখনও তারা নিজেদের মনে করে না।

ছাত্রদের প্রস্তাবের কারণে ডঃ ইউনুস প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন বলে শোনা যায়। ডঃ ইউনুস না থাকলে আরও বেশী ষড়যন্ত্র হত।

মির্জা আব্বাস গং পুনরায় তাদের আসল রূপে ফিরে আসছে।

যত সব দুই নম্বর লোক ছিল তারেক জিয়ার বন্ধু। যেমন গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, লুতফুজ্জামান বাবর প্রমুখ। কে কাকে শয়তানি শিখাইসে সেটা জানতে হলে গবেষণা করতে হবে। শৈশব কাল থেকেই ছেলে বখে গেলে তাকে লাইনে আনা অনেক কঠিন কাজ ।

মির্জা ফখরুল সাহেবের আচরণে দালালীর ছাপ আছে।

আমাদের দেশের আমজনতা যোগ্যতা এবং গুণ দেখে ভোট দেয় না। যে কারণে এতো অপকর্মের পরেও নির্বাচনে বিএনপির এগিয়ে থাকার সম্ভবনা আছে। বিএনপির মধ্যেও এই ব্যাপারে আত্মতুষ্টি আছে। বিএনপি দেখছে যে ভোটের ময়দান ফাঁকা। তাই তারা বেপরোয়া আচরণ করছে। তবে আমার মনে হচ্ছে কোন দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। বিএনপি ধরা খেতে পারে। তবে বিএনপি কোন রকমে যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে তারা আপনার পোস্টের শিরোনামে উল্লেখিত দম্পতির পরম আত্মীয় বনে যাবে। এখনই পরিষ্কার আলামত পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামীলীগের মত আরেকটা ফ্যাসিস্ট দল তৈরি হোক এটা বাংলার জনগণ চায় না। এদেরকে ভোটের মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে।

২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুবু তার জামাইয়ের শালাকে উদ্দেশ্য করি বলেছিল, আরে ব্যাটা তোর সাহস থাকলে দেশে ফিইরা আয়। সম্ভবতঃ জামাইয়ের সাথে মোলাকাত করানোই উদ্দেশ্য ছিল, কিন্তু শালাবাবুতো তখন আসে নাই। সেই দুঃখে বুবু একাই চলে গিয়েছে। বড়োই আফসোস!!!! :(

একটা বিষয় পরিস্কার..........ড. ইউনুস না এসে যদি অন্য কেউ আসতো, তার পক্ষে জোড়াতালি দিয়ে দেশের আভ্যন্তরীন সমস্যা হয়তো সাময়িকভাবে মেটানো সম্ভব হতো, কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপ মিটিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করা আর সুবিধা নেয়া সম্ভব হতো না। ফলে ধীরে ধীরে তাকে ভারতের কাছে একটা সময়ে নতিস্বীকার করতেই হতো। ড. ইউনুসের সেইসময়ে রাজি হওয়াটা ছিল এই দেশটার উপরে আল্লাহর একটা বিশেষ রহমত!! আর ঠিক এইখানেই ভারতের জ্বালা-যন্ত্রণার উদ্ভব!!!

আমি এখন বিএনপিকে বলি, Bangladesh Naive Party; কারন হাসিনা পালানোর পর যেই সুযোগ তাদের সামনে এসেছিল, ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ সামলাতে না পেরে জনগনের পালসের বিরুদ্ধে গিয়ে তারা সেই সুযোগ নষ্ট করেছে। এখন তাদের সাইলেন্ট সাপোর্টারদের একটা বিরাট অংশ বিএনপিকে আর বিশ্বাস করে না। ভবিষ্যতে তাদের অভ্যুত্থান পরবর্তী কার্যকলাপের জন্য তাদের বিশাল মুল্য চুকাতে হবে। যতো দিন যাবে, তাদের জনসমর্থন কমতে থাকবে।

আমাদের দেশের আমজনতা যোগ্যতা এবং গুণ দেখে ভোট দেয় না। যে কারণে এতো অপকর্মের পরেও নির্বাচনে বিএনপির এগিয়ে থাকার সম্ভবনা আছে। কথা ঠিক, তবে এটাও ঠিক যে অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। জনগন আরেকটা স্বৈরাচারের উত্থান কিংবা তাদের হাত ধরে পতিতা স্বৈরাচারের পুনরুত্থান দেখতে চায় না। ফলে, তবে আমার মনে হচ্ছে কোন দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না এটাই আমার মনের কথা। এখন নতুন দলের উপরে জনগনের প্রত্যাশার চাপ থাকবে। এই চাপ তারা কতোটা বা কিভাবে সামাল দেয়, সেটাই দেখার বিষয়।

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:০৫

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: মিসটার টেন পারসেন্ট এইবার হাজির হইসে - সেনাবাহিনীকে নাকি জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হচ্ছে =p~ এই ষঢ়যন্ত্রের মুল কারন নির্বাচন পেছানো!! মানুষ এত নিল্লজ্জ হয় কি করে বুঝি না। জুলাই অগাস্ট আন্দোলনে বিএনপির নেতারা ছিল না, জাতীয় সরকারের প্রস্তাবে রাজী হয় নাই! কিন্ত চরম নিল্লজ্জের মত ছাত্রদের রক্তের উপড় দাড়িয়ে তাদের অর্জিত বিজয়ের ফল খাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠসে।

ডক্টর ইউনুসের মত সম্পদকে দেশের কাজে লাগানোর সুযোগ আর আসবে না। এনসিপির কাছে অনুরোধ , যেভাবে পারো নির্বাচন আটকাও। অন্তত পাঁচ বছর ডক্টর ইউনুসকে ক্ষমতায় রেখে দেশটাকে ঠিক করতে পারলেই একমাত্র হাজারো শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। ক্ষমতার মধু খেতে মরিয়া এইসব লুটেরা দালাল ডাকাতদের একমাত্র তোমরাই পারবে প্রতিহত করতে।

২৫ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আম্লীগের লজ্জা আর অনুশোচনা, কোনটাই নাই। অপরদিকে বিএনপি'র অবস্থা খানিকটা ভালো। এদের শুধু লজ্জা নাই......কি কন!!!! :P

আসলে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কুত্তাপাগল হয়ে আছে। এদের কাছে দেশের ও জনগনের মঙ্গল কোন বিষয় না, ক্ষমতায় গিয়ে কখন লুটতরাজ করবে, সেই অপেক্ষায় আছে। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই লুটতরাজের প্র্যাক্টিস করতেছে; এমনকি নিজেরা নিজেরা কামড়া-কামড়িও করতেছে। গরীব মানুষের গরু চুরি করে বেচে দেয়া, ভিক্ষুকের টাকা মেরে দেয়ার মতো জঘন্য কাজ করতেও এদের আত্মা কাপে না। কি একটা অবস্থা!!!! X(

ডক্টর ইউনুসের মত সম্পদকে দেশের কাজে লাগানোর সুযোগ আর আসবে না। এনসিপির কাছে অনুরোধ , যেভাবে পারো নির্বাচন আটকাও। অন্তত পাঁচ বছর ডক্টর ইউনুসকে ক্ষমতায় রেখে দেশটাকে ঠিক করতে পারলেই একমাত্র হাজারো শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। এইটা নিয়া একটা পোষ্ট মোটামুটি তৈরী, কোথায় পোষ্ট করবো ভাবতেছি!!!! :)

১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,



বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের রক্তের মধ্যেই মিরজাফরীয় বিষ সব সময়েই বইছে। নিজের স্বার্থের জন্যে এরা নিজেদের পাছা উন্মুক্ত করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। তাই ভয় হয়, ছাত্র-জনতা তাদের রক্ত ঢেলে দেশ গড়ার যে সুযোগটা এনে দিয়েছে তা কাউয়ারা ঠুকরে ঠুকরে খেয়ে পেলে কিনা!!!!!

দেশের হালচাল জেনে শেরজা তপন এর মতোই সব কিছুতেই বিরক্ত লাগে, কিছুই লিখতে বা পড়তে ইচ্ছে করে না। তবুও এখানে আসি যদি কিছু সত্যিকারের আশারবাণী শোনা যায়!

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের রক্তের মধ্যেই মিরজাফরীয় বিষ সব সময়েই বইছে। নিজের স্বার্থের জন্যে এরা নিজেদের পাছা উন্মুক্ত করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। সেইটাই জী এস ভাই!! এই সমস্যার জন্যই আমরা স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও তৃতীয় বিশ্বের দেশ। বিগশটদের তো ৫৩ বছর দেখলাম। দেশটাকে ছোবড়া বানানো ছাড়া এরা কিছুই করতে পারে নাই। আমাদের সাথে বা আমাদের পরে শুরু করেও বহু দেশ আমাদের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছে। আমরা ব্যস্ত আছি কামড়া-কামড়ি আর কে কতো কম চুরি করেছে সেই হিসাবে। আর এই কাজটা অশিক্ষিতরা না, করছে আমাদের তথাকথিত উচ্চ শিক্ষিতরা।

দেশের হালচাল জেনে শেরজা তপন এর মতোই সব কিছুতেই বিরক্ত লাগে, কিছুই লিখতে বা পড়তে ইচ্ছে করে না। তবুও এখানে আসি যদি কিছু সত্যিকারের আশারবাণী শোনা যায়! এসব দেখে বিরক্ত আমিও হই, তবে একইসাথে আশাবাদীও হই। নতুনদের অনেক সমস্যা আছে সত্যি, তবে নতুনদের সমস্যা তো হবেই। এটা স্বাভাবিক। রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান হবে না। এদের আমরা সমালোচনা করবো, তবে দিনশেষে এদের উপর ভরসাও করবো। এরাই আমাদের ভবিষ্যত। এদেরকে ''না'' বলাটা টু আর্লি!!! মনে রাখতে হবে, একটা ভয়ানক স্বৈরাচারকে এরাই রুখে দিয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে কেউ যদি পারে, এরাই পারবে। এডাল্ট ডায়াপার পড়াদের সময় শেষ!!!!

১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:৩৪

জিকোব্লগ বলেছেন:





হয় ভারত থেকে নাহয় ওয়াকারের কাছে থেকে প্রস্তাব এসেছে তারেককে দেশে ফেরাতে
হলে রিফাইন্ড আওয়ামীলীগ মানে ক্লিনড গু দিয়ে খুনি হাসিনার পুর্নবাসন করতে হবে।
এইজন্যেই স্বামী-স্ত্রী'র সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপনে মরিয়া বিএনপি। আপনার
দোস্ত তারেকতো আপনার প্রতিবেশী। উনাকে জিগাই-ই তথ্যটি ভেরিফাই করতে পারেন।
আপনার বড়ভাই চেংগিস খানতো আইসা গেছে। উহাতো বলবে সবই আমেরিকা করছে।
কথাটাও খারাপ না। কারণ বান্দরের রুটিভাগের গল্প আমরা সবাই জানি।

ক্ষমতার লোভে বিএনপি আসলে স্বামীর সাথে সম্পর্ক বানাবে
" আমি ছোট আমাকে মারবেন না "

১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৫

রাসেল বলেছেন: লেখক বলেছেন: হয়েছে। ইতিহাস ঘাটলেই জানতে পারবেন।

হয়ত সেটা ১৯৯১। এর আগে পরে আর নয়। ১৯৯১ এর নির্বাচনের নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমেও আমরা ভালো কিছু আনতে পারিনি।

১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এইটা নিয়া একটা পোষ্ট মোটামুটি তৈরী, কোথায় পোষ্ট করবো ভাবতেছি!

ফেসবুকেও দেন , ব্লগেও দেন

১৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫৩

শায়মা বলেছেন: হা হা গাছে গাছে বিয়ে। মাছে মাছে বিয়ে। গাছের সাথেও বিয়ে দেয় শুনেছি ইন্ডিয়াতে। কলাগাছের সাথে জলজ্যান্ত মানবশিশু কনের বিয়ে .....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.