![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ যেন একটা রোলার কোষ্টারে সওয়ার হয়ে চলছে এখন। প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে; একটা সংযোজন-বিয়োজনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। আমরা সরকারের কর্মকান্ডে আশান্বিত যেমন হচ্ছি, তেমনি হতাশায়ও নিমজ্জিত হচ্ছি; তবে বাস্তবতা হচ্ছে গন-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসা এই সরকার বিবিধ দেশী-বিদেশী চক্রান্তের কারনে ঠিকমতো কাজই করতে পারছে না। পক্ষান্তরে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকান্ডে হতাশার পরিমানই বেশী। একটা গন-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০২৪ এর ৫ই অগাষ্ট স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছিল। সেই গন-অভ্যুত্থানের প্রধানতম উদ্দেশ্য ছিল একটা মাফিয়াতন্ত্রকে সমূলে উৎপাটন করে এমন একটা গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করা..........যেখানে রাজনৈতিক গুম-খুন, লুটপাট, বিদেশে সম্পদ পাচার, নব্য স্বৈরাচারের উত্থান আর ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হবে। ''নির্বাচন'' কিংবা ''দ্রুত নির্বাচন'' সেখানে মুখ্য বিষয় ছিল না। ছিল একটা কমপ্লিমেন্টারী বিষয় যেটার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পুরোটা সিস্টেমকে একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে ফেলে সর্বশেষে পূর্ণতার দিকে নিয়ে যাবে।
কিন্তু এখন কিছু রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্যই হয়ে দাড়িয়েছে যেনতেনভাবে ক্ষমতায় গিয়ে আবার সেই পুরানো ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনা। এদের মিশন-ভিশন সেই পুরানো..........দখল, লুটপাট আর চাদাবাজি। এদের কথাবার্তা সেই পুরানো ফ্যাসিস্ট স্টাইলের। দেশের প্রকৃত উন্নয়ন আর আগামীর চ্যালেন্জ মোকাবেলা কিভাবে করা হবে, সেই সম্পর্কে এদের না আছে কোন ধারনা, কিংবা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অথবা রোডম্যাপ। এরা শুধুমাত্র নির্বাচনের রোডম্যাপে বিশ্বাসী। একটাই লক্ষ্য এদের..........নির্বাচন; নির্বাচন হলেই নাকি সব ঠিক হয়ে যাবে। এরা বুঝতেই পারছে না, জনগনকে আবাল মনে করার দিন শেষ। ভাবখানা এমন, দেশের মানুষ এর আগে কখনও নির্বাচিত সরকার আর তাদের কর্মকান্ড দেখে নাই!!! আচ্ছা, হলোই না হয় নির্বাচন, কিন্তু তারপরে? তারপরে সেই একই পুরানো বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া। জনগন কি এই ফাইজলামি দেখার জন্য এতো রক্ত দিয়েছে? দরকার হলে জনগন আবার রাস্তায় নামবে, আবার ঝেটিয়ে বিদায় করবে বর্তমান আর ভবিষ্যতের সকল ধান্ধাবাজদের। আগামীর বাংলাদেশ হবে প্রকৃত দেশপ্রেমিক তথা বাংলাদেশপন্থীদের।
বর্তমান যুগ, সামাজিক মিডিয়ার যুগ। এই মিডিয়াতে ক্রমাগত বিভিন্ন ট্রেন্ডের আবির্ভাব ঘটে, কিছু সময় প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হয়, তারপরে মিলিয়ে যায়। আমি এই শিরোনামের পোষ্টগুলোতে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে, এমন কিছু বিষয় নিয়ে কিঞ্চিৎ তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরার চেষ্টা করবো। এই ইস্যুগুলোকে সময়ের ফ্রেমে ধরে রাখার একটা চেষ্টা বলতে পারেন। এই ধরনের আলোচনা কন্টিনিউ করা যায় কিনা দেখা যাক।
চলেন, তাইলে সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করি!!!
১। ১৭ বছরের কিশোর ফাইয়াজ। আটক হয়েছিল জুলাই অভ্যুত্থানের সময়ে হাসিনার পেটোয়া পুলিশ বাহিনীর করা মামলায়। সে এখনও জেলে। আইন উপদেষ্টাকে সাংবাদিকরা এর কারন জিজ্ঞেস করায় তার উত্তর, এটা আপনারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করেন। সরকারের যেই দুই মন্ত্রণালয়ের সবচাইতে বেশী কো-অর্ডিনেশান দরকার তার মধ্যে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্যতম। এটা যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হয়, তাহলেও কি আইন মন্ত্রণালয় তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারে? আসিফ নজরুলের কি করণীয় কিছুই নাই?
আরেকটা উদাহরন দেই...........জনাব মাসুদ করিম। ৫ই অগাষ্টের পর থেকে তাকে ডিএমপি'র সিটিটিসি (কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) এর প্রধানের পদে বসিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশের ইউনিফর্ম পড়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজিরা দেয়া এই আওয়ামী পুলিশ কর্মকর্তা সিটিটিসি'র মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা বিভাগে এখনও কি করে?
আমার প্রশ্ন...........স্বৈরাচারের ছুপা দোসর নপুংসক এইসব উপদেষ্টাদের লইয়া এই জাতি কতোদূর কি হাসিল করিবে?
২। বাংলাদেশের চিকেন নেক ফেনী জেলা, আমাদের অন্যতম দুর্বল জায়গা। ভারতীয় গোদি মিডিয়া ক্রমাগত উস্কানি দিচ্ছে এই এলাকা দখল করে সেভেন সিস্টারের জন্য সমুদ্রের এক্সেস উন্মুক্ত করার। এখানেই ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার একটা অংশ নিয়ে মীরসরাইয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠেছে। আর এখানেই ভারতকে ৯০০ একর ভূমি দেওয়া হয়েছে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য। দুঃখের বিষয় হলো, যে ১০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল হয়েছে তার মধ্যে এটা নাই। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীকে যথাযথ তথ্য না দিয়ে অন্ধকারে রাখার মূল হোতা কারা?
৩। উপদেষ্টা ফরিদা আক্তারের বলা একটা উক্তি ''বৈশাখে ইলিশ না খাওয়াই বাঙালি সংস্কৃতি'' নিয়ে সামাজিক মিডিয়াতে কিছুদিন তোলপাড় হলো। এই কথাকে হাসিনার বিভিন্ন সময়ে বলা বিভিন্ন অদ্ভুত উপদেশ আর রেসিপির সাথে তুলনা করে মজা করা হলো। ব্লগেও দেখলাম একই অবস্থা, ফজা মিয়া হয়ে মজা লোটার অদ্ভুত প্রচেষ্টা!! অথচ কথাটা ঠিক হোক বা না হোক, বৈশাখে ইলিশ খাওয়ার সংস্কৃতি যে প্রকারান্তরে ইলিশের বাজার ধ্বংস করার পায়তারা, এটা মূর্খরা বুঝতেই পারলো না।
ইলিশ ডিম পাড়ে অক্টোবরে। এই ডিম থেকে যে পোনা হয় তা পূর্ণ ইলিশে রুপ নিতে কমপক্ষে আট মাস লাগে। কাজেই পরের বছর জুলাইয়ের আগে এগুলো কোনভাবেই পূর্ণতা পায় না। ফলে এপ্রিলে যারা নতুন ধরা ইলিশ খাবে.........তারা জাটকা খাবে, যেটা ধরা এবং বিক্রি করা নিষিদ্ধ। আর যদি পুর্ণতাপ্রাপ্ত ইলিশ খায়, তাহলে সেটা আগের বছরে ধরে কোল্ড স্টোরেজে রাখা ইলিশ। এটা তখন হবে পহেলা বৈশাখে বেশী দামে বিক্রি করার জন্য মজুতদারী, এটাও বেআইনী। দু'টাই তথাকথিত সংস্কৃতির নামে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া। কিছু বঙ্গসন্তানের মূর্খতা কোন মাত্রার সেটা কি পরিস্কার করতে পারলাম?
৪। কিছুদিন আগে আমরা অত্যন্ত সফল একটা ইনভেস্টমেন্ট সামিটের আয়োজন দেখলাম। এই সামিটে মোট বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে ৩১০০ কোটি টাকার। সদিচ্ছা থাকলে যে এই ধরনের একটা আয়োজন বিদেশী বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তাদের বিশ্বাস অর্জন করে, সেটার বাস্তব উদাহরন দেখলাম আমরা। আর বিগত মাফিয়া সরকারের দুই নাম্বারীর একটা উদাহরন হলো, অসহযোগিতার কারনে স্যামসাংয়ের ২২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ভিয়েতনামে চলে যাওয়া। দেশপ্রেমের কি অপূর্ব নজীর স্থাপন করেছিল বিগত ফ্যাসিজম কোটেড মাফিয়া সরকার!!!!
৫। এবার বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আবালতার একটা নমুনা নিয়ে কয়েকটা কথা বলি। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কিছু মানুষের জ্ঞান, বিচক্ষণতা আর অভিজ্ঞতা বাড়ে; আর কিছু মানুষের বাড়ে আবালতা। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য একজন আপাতঃদৃষ্টিতে সন্মানীত মানুষ কতোটুকু নীচে নামতে পারে, কতোটা প্রতারণামূলক মিথ্যা আশ্বাস দিতে পারে এটা তার একটা উদাহরনও বটে!! উনি বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথম ১৮ মাসে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে ৫,৫৫,৫৫৫ কর্মসংস্থান!!!! আর এটাকে ৩০ দিয়ে ভাগ দিলে দাড়ায় ১৮,৫১৮ (এটা শুক্র/শণি বন্ধের দিনেও কাজ করলে প্রতিদিনের কর্মসংস্থানের হিসাব)। আমি আসলেই খানিকটা কনফিউজড...........উনি নিজে আবাল, নাকি জনগনকে আবাল মনে করেন?
৬। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের একটা বিশাল আশার কথা বলি এবার। চীনের অর্থায়নে দেশে হচ্ছে তিনটা অত্যাধুনিক হাসপাতাল। অন্যদিকে ২.২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের এক বিশাল হাসপাতাল কমপ্লেক্স নির্মানের পরিকল্পনা চুড়ান্ত। এই দুই প্রকল্প যদি সফলভাবে সমাপ্ত করা সম্ভবপর হয়, তাহলে দেশের চিকিৎসাখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। কথা হলো বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে ভারতকে চটিয়ে তারা এই কাজগুলো কি ঠিকমতো হতে দিবে, নাকি স্যামসাংয়ের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে!!! বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন, নয় কি?
খুনী হাসিনা গং পালিয়েছে। কিন্তু তাদের দোসররা সরকারের প্রশাসনে, পুলিশে আর সেনাবাহিনীতে এখনও পূর্ণমাত্রায় সক্রিয়। এদের সরাসরি মদদ দিচ্ছে ভারতের ''র'' আর তাদের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের আশ্বাস পাওয়া আমাদের দেশের কয়েকটা প্রধান রাজনৈতিক দল। এদের কাজই হলো এই সরকারের প্রতিটা কাজে পদে পদে বাধার সৃষ্টি করা আর ড. ইউনুসকে বিতর্কিত করা। এই ড. ইউনুসের জন্যই বিশ্বমঞ্চে ভারত কোন সুবিধা করতে পারছে না। কাজেই তাদের প্রধানতম একক শত্রু এখন ড. ইউনুস।
আরো উদ্বেগের বিষয় হলো, খোদ উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন উপদেষ্টাও তলে তলে এই একই এজেন্ডা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। অন্ততঃ তথ্য-উপাত্ত তাই বলছে!!! সব দেখে মনে হচ্ছে ড. ইউনুস যেন খুব একটা সফল না হতে পারেন, সেইজন্য কিছু উপদেষ্টা উনাকে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে সমস্যা সৃষ্টি করছে, যাতে করে জনগন একপর্যায়ে মনে করে যে, ড. ইউনুস বিদায় হয়ে ভালোই হয়েছে...........আপদ বিদায় হয়েছে!!! কিন্তু এরপরে যা ঘটবে, তার জন্য কি সবাই প্রস্তুত?
আমাদের মনে রাখতে হবে যে, প্রথম স্বাধীনতার পরে দ্বিতীয় স্বাধীনতা আসতে ৫৩ বছর লেগে গিয়েছে। আমরা কি তবে আবার তৃতীয় স্বাধীনতার জন্য অপেক্ষা করবো? কতো বছর? হাজারো ছাত্র-জনতা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদেরকে খোলা আকাশের নীচে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেয়ার যেই সুযোগ করে দিয়ে গিয়েছে, সেটাকে বাচিয়ে রাখার দায়িত্ব এখন আমাদের। এখানে যদি আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে তাদের অভিশাপ আমাদেরকে তাড়া করে ফিরবে প্রতিনিয়ত। আমরা কি সেটাই চাই? ভাবেন, ভাবেন............ভাবতে থাকেন। সঠিক সিদ্ধান্ত আমাদেরকেই নিতে হবে, আর সেটা এখনই। নয়তো অনেক দেরী হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, যেই সময় চলে যায় তাকে আর কখনও ফিরিয়ে আনা যায় না।
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি হোক শুধুই আমাদের!!! বাংলাদেশপন্থীদের!!!!!
ছবি কৃতজ্ঞতা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আছি ভালাই। আপনে কেমন আছুইন?
পোষ্ট পড়মু পরে .. পরে কয়া আবার গায়েব হয়া যাইয়েন না কইলাম!!!!
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কিছু দালাল আর গাদ্দার দেশ প্রেমিকের মুখোশ পড়ে বসে আছে, এদের মুখোশ খুলতে হবে, দেশের সব খাতে সংস্কার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাক সেটাই চাই।+++
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এদের মুখোশ খোলার আর বাকী নাই কিছু। যাদের ন্যুনতম বুদ্ধি-বিবেচনা আছে তারা সবাই বোঝে। সমস্যা হলো, প্রশাসনে এরা সংখ্যায় বেশী আর ড. ইউনুস ভদ্রলোক হওয়াতে এইসব ইতরদেরকে তেমন কিছু করতে পারছে না। তবে উনার বোঝা উচিত যে, এরাই একসময়ে সুই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরুবে............ততদিনে না আবার বেশি দেরি হয়ে যায়!!!!!
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমাদের দেশে সব সময় স্বপ্নের অপমৃত্যূ হয়। এটাই আমরা দেখে আসছি।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তারপরেও আশা বাচিয়ে রাখতে হবে। হতাশ হওয়া যাবে না। আশা শেষ, তো সবকিছুই শেষ!!!
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১৩
লুধুয়া বলেছেন: দোয়া করেন যেনো দেশ মৌলবাদীদের হাতে না যাই। জামাতি ব্যাকড বিএনপি এর কাছে যদি যাই তাহলে ১২ তা বেজে যাবে। যদিও বর্তমান ক্ষমতায় যারা আছে তাদের লেজ পাকিস্তান পন্থী দের সাথে যুক্ত।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশে মৌলবাদীদের ক্ষমতায় আসার কোন চান্স নাই। সেই পরিস্থিতি দেশে তৈরী করা বলা যায় এক কথায় অসম্ভব।
জামাতি ব্যাকড বিএনপি এইদুইটাই ব্যাকড বাই ''র''।
বর্তমান ক্ষমতায় যারা আছে তাদের লেজ পাকিস্তান পন্থী দের সাথে যুক্ত। এদের লেজ বিভিন্নপন্থীদের সাথেই যুক্ত, তার মধ্যে ভারতও আছে। তবে দিনশেষে খুব একটা লাভ হবে না। সাধারন জনগন এখন অনেক সচেতন। যারাই ক্ষমতায় গিয়ে উল্টা-পাল্টা করবে, ধরা খাবে।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫
যাযাবর চখা বলেছেন: আমরা দালাল মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই। সব ধরনের দালাল ধরে ধরে কাবাব বানাতে হবে।
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি সাত-আট মাস আগে বলেছিলাম যে আমাদেরকে অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। সেই অদৃশ্য শক্তি, অদৃশ্য শত্রু বা প্রতিপক্ষ কিন্তু আজ আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছে।
-তারেক রহমান।
তারেক রহমান খুব সম্ভবত বিগত ১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিকে ইঙ্গিত করছেন যাদের হাতে মাইর খেয়ে পরে খালেদা জিয়ার বিশেষ অনুরোধে দেশ ছাড়ার সুযোগ পাইসিল। এরা আসলে শুধরাবার নয়। তিনিও দেখি হাসিনার মত প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে। ১৭টা বছর আওয়ালীগের তুমুল দমন নীপিড়নের শিকার হয়েও আওয়ামিলীগ বা ভারতকে তারেক রহমানের প্রতিপক্ষ মনে হচ্ছে না, ১/১১ সরকারকে প্রতিপক্ষ মনে হচ্ছে !! কারন গুম খুনতো আর সে বা তার পরিবার হয়নি , হয়েছে তৃনমূল বিএনপি !! দেশতো বাদই দিলাম , এই প্রচন্ড স্বার্থপর ব্যক্তির কাছ থেকে কি আশা করতে পারে বিএনপির কর্মীরা ?
তারেক রহমানকে যেভাবেই হোক রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে হবে। তানাহলে বিএনপি নিজেও ডুববে , এই দেশকেও অগ্নি গর্ভে নিক্ষেপ করবে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একজন মানুষ যখন নির্যাতিত হয়, তখন স্বাভাবিক আশা থাকে যে, সে মজলুমের পক্ষে দাড়াবে। কিন্তু এর অন্যথা যদি হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে, এর চারিত্রিক সমস্যা অত্যন্ত প্রকট!!! তারেক রহমানের কাছে আমার আশা ছিল যে, অত্যাচারিত হওয়ার কারনে তার আপাদমস্তক পরিবর্তন ঘটবে। তবে হতাশার সাথে দেখছি, তা হয় নাই। ক্ষমতার এমনই লোভ!!!
তারেকসহ বিএনপি'র সিনিয়র সব নেতা বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এদের কাছ থেকে জাতির আর পাওয়ার কিছুই নাই।
তারেক রহমানকে যেভাবেই হোক রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে হবে। ওর সাথে বিএনপি'র বুইড়া নেতাগুলারেও মাইনাস করতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই। আফসোস!!!!
৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৩
যামিনী সুধা বলেছেন:
ড: ইউনুসকে আমেরিকান দুতাবাস ও সেনাবাহিনী নিয়োগ দিয়েছে; যারা উনাকে নিযুক্ত করেছে, ওদের প্ল্যান অনুসারে উনি কাজ করছেন।
আপনি যা দেখছে, আমেরিকান দুতাবাস ও মিলিটারীর ইন্টেলিজন্স এর থেকে লক্ষগুণ বেশী দেখছে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে সর্বনাশ!!!!..........আপনে সেক্স চেন্জ করলেন কবে? অপারেশান করাইছেন, নাকি প্রাকৃতিকভাবে হইছে? পারলে নতুন চেহারার একটা ফটোক পোস্ট কইরেন!!!!
৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির একটি তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন। ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন সরকারের সম্মুখীন চ্যালেঞ্জ, রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার লোভ, এবং দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গগুলো সুন্দরভাবে উল্লেখ করেছেন। ফাইয়াজের মতো তরুণদের কারাবাস, ভারতের প্রভাব, স্বাস্থ্যখাতে সম্ভাবনা, এবং ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে চক্রান্তের বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের সচেতনতা ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের তাগিদ সঠিক। ধন্যবাদ। +
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ঘুরে দাড়ানোর যেই সুযোগ বাংলাদেশের সামনে এসেছে সেটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কিছু দালালের নষ্টামীর কারনে। বিষয়টা সবচাইতে হতাশার। যারা দেশের ভালো না চেয়ে শুধু ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়, আর যাই হোক তাদের উদ্দেশ্য কোনভাবেই মহৎ হতে পারে না।
এরাও গণ-অভ্যুত্থানের একটা অংশ ছিল, ভাবলে দুঃখ হয়। হাসিনাকে সরিয়ে যেনতেনভাবে ক্ষমতায় বসাই এদের লক্ষ্য। এদেরকে কোনভাবেই এই কাজ করতে দেয়া যাবে না। দরকার হলে আরেকটা অভ্যুত্থান করতে হবে। এবারের লক্ষ্য হবে দেশকে সম্পূর্ণরুপে দালালমুক্ত করা।
৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৮
যামিনী সুধা বলেছেন:
আপনি যেই দলকে সাপোর্ট করেন, তারা ১৯৭১ সালে জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করেছিলো; ওরা এবার আমেরিকান ক্যু'তে জল্লাদের ভুমিকায় ছিলো।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ১৯৭১ সালে যারা জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করছিলো তারা আমার সাপোর্টের দল..........আপনের এই কথার প্রমাণ দেন। নয়তো আমি কমু, আপনে একটা জারজ সন্তান। আমার কাছেও কোন প্রমাণ নাই কইলাম!!!!
১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:১২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আলোর নিচে আঁধার...। আঁধার কেটে যাবে ইংশাআল্লাহ। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি সত্যিই খারাপ। ইউনুস স্যার আইন কানুনের দিকে নজর দেয়া উচিত এখন। খুনখারাবী চলছে তো চলছেই
স্বপ্নের অপমৃত্যু না হোক।
আমাদের দেশে রাজনীতিবিদরা স্বার্থপর। উনারা দেশ বা দেশের মানুষকে ভালোবাসে না। দুর্নীতি ঘুষ এসব চলতেই থাকে। টেন্ডারবাজি। যে ক্ষমতায় আসে সেই রাজা বনে যায়। অথচ পরিণতি যে ভয়াবহ সেটা দেখেও ভুলে যায়।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আঁধার কেটে যাবে ইংশাআল্লাহ। এই ভরসাতেই তো আছি। ড. ইউনুসের উচিত প্রশাসন থেকে দালালগুলাকে তাড়ানো। আর প্রশাসনের বাইরের দালালগুলারে শক্তহাতে শায়েস্তা করা। নয়তো অবস্থার কোন উন্নতি হবে না। বিষয়টা তার জন্য কঠিন হইলেও এইটা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।
আমাদের দেশে রাজনীতিবিদরা স্বার্থপর। খালি স্বার্থপর হলেও টু সাম এক্সটেন্ট মেনে নেয়া যায়, কিন্তু আসল সমস্যা হলো এরা দালাল। এদের কাজই হলো দেশকে ভারতের একটা তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করা। দেশের, জনগণের স্বার্থের কোন মুল্যই এদের কাছে নাই।
১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৩১
যামিনী সুধা বলেছেন:
@কাজী ফাতেমা ছবি ,
"কোমলমতিদের বিপ্লব" কি আর ভালো লাগছে না?
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিপ্লব ঠিক আছে। সমস্যা হইলো, আপনেদের পশ্চাদ্দেশের আগুন নিভানো যাইতেছে না।
১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: ফাতেমা আপু ঠিকই বলেছেন। এমন না যে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অতীতে ভাল ছিল বা ভবিষ্যতে রাজনৈ্তিক দল ক্ষমতায় এলেও ভাল হয়ে যাবে। তবে এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। বিচার বিভাগ ও স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের অযোগ্যতার কারনেই হয়ত শেষ পর্যন্ত অন্তবর্তী সরকার ব্যার্থ হয়ে যেতে পারে। ডক্টর ইউনুসের উচিত অবিলম্বে দুইজন বিদেশী এক্সপার্টকে এই দুই মন্ত্রনালয়ের দ্বায়িত্বে বসানো। ডঃ ইউনুস একবার স্কটল্যান্ড পুলিশকে আনার কথা বলেছিলেন। এই কাজটা জরুরী ভিত্তিতে করা উচিত।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অর্থনীতিতে সরকার খুবই ভালো করতেছে। পররাষ্ট্র মোটামুটি। আইন......বিশেষ করে স্বরাষ্ট্রের অবস্থা সবচাইতে খারাপ। সাখাওয়াত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা থাকলে অবস্থা এতো খারাপ হইতো না। আপনেরা তো তারে টাইনা নামাইলেন। আমি তখনই কইছিলাম যে, তারে আরো সময় দেওয়া দরকার ছিল। হুদাই ধৈর্য না ধইরা উত্তেজিত হয়া যান আপনেরা। এখন ঠ্যালা সামলান!!!!
আইন উপদেষ্টা হইলো ধান্ধাবাজ, আর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হইলো অপদার্থ। এরা থাকলে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ক্যান, আসমান থিকা কাউরে নামায়ে আনলেও লাভ হইবে না।
১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯
যামিনী সুধা বলেছেন:
@ঢাবিয়ান ,
ড: ইউনুস আমেরিকার দেয়া চাকুরী করছেন, দেশের মানুষকে আরো গ্রামীন ব্যাংকের ঋণ ধরায়ে দিবেন।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন:
১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: খানকি যামিনীতে সুধা বিলায়?
@ যামিনী সুধা
আপনি কি চেঙ্গিস খান নামে আগে লিখতেন? খানকি আপনার পারিবারিক নাম? না উপাধি ? না ব্যবসাগত নাম?
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নতুন বোতলে পুরান মদ!!!!
১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫২
আরোগ্য বলেছেন: পোস্টের শিরোনামটা ঠিক দিসেন। আসলেই কেমন হতাশ পরিস্থিতি লাগে। দেশটা মগের মুল্লুক হয়া গেছে। পোস্ট পুরাটাই পড়সি কিন্তু বড় মন্তব্য করার জোশ পাইতাসিনা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোস্ট পুরাটাই পড়সি কিন্তু বড় মন্তব্য করার জোশ পাইতাসিনা। পোতায়া গেলেন ক্যালা? অবশ্য আপনেরে কি কমু, আমিও কইলাম ইকটু পোতাইছি!!! তয় আশা এক্কেরে ছাড়িনাইক্কা!!!!
১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২০
অপু তানভীর বলেছেন: এই সময়ে এসে ভারত আক্রমন করে দেশের একটা অংশ দখল করে নিবে এটা আসলে সম্ভব না কোন ভাবেই। তাই এটা নিয়ে এতো চিন্তার কারণ নেই।
তবে আগামী ১০/১৫ বছর আমাদের এই দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রে একটা পরিবর্তন আসবে এটা নিশ্চিত। সেই সময়ে আমাদের দেশের নেতৃত্রে যারা থাকবে তাদের উপরে নির্ভর করবে যে আমাদের দেশের আয়তন বাড়বে নাকি কমবে!
১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্রিগেডিয়ার সাখোয়াৎ সম্পর্কে পিনাকির ভিডিও দেখেন নাই? তিনিতো সাক্ষাত ঐ পারের এজেন্ট। সাখোয়াৎ , জাহাঙ্গীর বিএনপি ও সেনাবাহিনীর মনোনিত ক্যন্ডিডেট। তাদের কাজই হচ্ছে প্রসাষনকে নিস্ক্রিয় করে রাখা। ডক্টর ইউনুস এদের বিরুদ্ধে পেরে উঠছেন না তা বোঝাই যায়। এনসিপিকে আরেকটু বেশি সক্রিয় হতে হবে বিচারের দাবীতে। জুলকারনাইন সায়ের, জিল্লুর রহমান টাইপ বিক্রি হয়ে যাওয়া সাংবাদিক দালালদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে এনসিপির উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের অবস্থান রাজনৈ্তিক ময়দানে দিনকে দিন জোড়ালো করা। জনগনকে তারা পাশে পাবেই যদি তাদের অবস্থান জনগনের পক্ষে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসছি। ভালা আছুইন
পোষ্ট পড়মু পরে ..