নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোকার ব্যবচ্ছেদ!!!

১৮ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০৩



মাঝে মাঝে দেখি কিছু লোকজন বিচিত্র ধরনের আলোচনা করে, যা মনে বেশ চিন্তার খোরাক জোগায়। চিন্তাগুলো সময়ে সময়ে এমন হয় যে, ভাবি.........আমাদের দেশের কিছু মানুষ কেন দেশের হয়ে উঠতে পারে না। কেন দলের বা ব্যক্তির উর্ধে উঠতে পারে না। কেনই বা ব্যক্তিস্বার্থের জন্য তারা দেশের স্বার্থকে জলান্জলি দেয়? আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কি এতোটাই দূর্বল যে, আমাদের কতিপয় তথাকথিত শিক্ষিত লোককেও তাদের বিবেককে বন্ধক রাখতে হয়, আত্মসন্মানবোধকে বিক্রি করে দিতে হয় একটা দলের অনৈতিক কর্মকান্ডকে শর্তহীনভাবে সমর্থন করার জন্য? খুব চিন্তার বিষয়।

ক'দিন আগে এমনই একটা আলোচনার কথা জানলাম। জানতে পারলাম, সেখানে তিনজন ভিভিআইপি জোকারের বর্ণনা এসেছে। প্রথমজন প্রয়াত এরশাদ সাহেব। দ্বিতীয়জন প্রায়-প্রয়াত; আমার মতে বর্তমানে জিন্দালাশ, পতি..........থুক্কু, আমাদের প্রাণপ্রিয় আপা, জনদরদী শেখ হাসিনা। আর তৃতীয়জন ড. মুহম্মদ ইউনুস। ড. মুহম্মদ ইউনুস এই দুইজনের সাথে একই তালিকায়!!! সিরিয়াসলি!!! বোঝাই যাচ্ছে, এটা কোন অন্ধ দলভক্তের গোবর মস্তিস্কের উদ্ভট কল্পনা। তা বেশ। এমন কল্পনা যে কেউ করতেই পারে। তবে সমস্যা হলো, ডায়াবিটিক রোগীর মূত্রচাপের মতো অন্ধভক্তির চাপ এতোটাই প্রবল যে, আলোচকের বোধবুদ্ধিই একেবারে লোপ পেয়েছে।

আসেন, সেইসব ভিভিআইপি জোকারের কিন্চিৎ আলোচনা; আর এক্সক্লুশান-ইনক্লুশান নিয়ে খানিকটা কথা বলি।

এরশাদ সাহেব বহুকিছুই ছিলেন। একজন সেনাপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান, বিরোধী দলের প্রধান, কবি, বিশ্ব-বেহায়া ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে ''জোকার'' উনার টুপিতে লাগানো আরেকটা পালক হয়ে রইলো। ভালো দিক এটা যে, প্রয়াত হওয়ার পরেও উনার অর্জন থেমে নাই। বাংলাদেশের যথাযথ রাজনৈতিক ইতিহাসের পর্যালোচনা আর মুল্যায়নের জন্য উনাকে নিয়ে আলোচনা এড়ানো যায় না, তবে একজন প্রয়াত মানুষ নিয়ে খুব বেশী প্রয়োজন না হলে আমি আলোচনায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না........কারন, উনি এখন সব ধরনের ভূল-ত্রুটির উর্ধে।

এদিকে আমাদের প্রাণপ্রিয়, প্রায়-প্রয়াত আপা মাত্রই জম্বিতে রুপান্তরিত হয়েছেন। কাজেই উহা জোকার, স্মোকার নাকি এক্টর, সেসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা যাবে। সময় আছে। উহা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর তেমন একটা প্রাসঙ্গিক না হলেও একেবারে ফেলে দেয়া যায় না। বিনোদনের জন্য ইহাকে বাংলাদেশের মানুষের খুবই প্রয়োজন। আর কিছু না হলেও এই জাতি বিভিন্ন সময়ে দেয়া রেসিপিগুলোর জন্য উহাকে আজীবন স্মরণ করবে।

এবার আসি এক্সক্লুশান-ইনক্লুশান বিষয়ে। ড. ইউনুসকে জোকার-বিষয়ক কোন আলোচনাতেই আমি রাখতে চাই না, কারন উনাকে শুধু বাংলাদেশ না, সমস্ত বিশ্বের মানুষই চিনে। কেউ এখন পর্যন্ত জোকার বলে নাই। কাজেই এই বিষয়ে আরো পর্যালোচনার প্রয়োজন আছে। তবে, একজনকে আমি অবশ্যই ইনক্লুড করতে চাই। সে হলো, তারেক জিয়া; শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে এবং বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বর্তমানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী হওয়ার কারনে আমি সব সময়েই তার প্রতি একটা আত্মার টান অনুভব করি। এখন যাকে আমি আত্মার আত্মীয় মনে করি, তাকে নিয়ে আমার উপলব্ধি বা পর্যবেক্ষণ মুল্যবান হওয়ারই কথা। নয় কি!!!!

বর্তমান বিএনপিতে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ানের সংখ্যা এতোটাই বেড়েছে যে, কাকে রেখে কাকে নিয়ে বলবো সেটাই মাঝে মধ্যে বুঝে উঠতে পারি না। থুতু বিশেষজ্ঞ, মূত্র বিশেষজ্ঞ, অজু বিশেষজ্ঞ, ভারতীয় দালাল বিশেষজ্ঞ..........কতো রকমের বিশেষজ্ঞের সমাহার!!! এরা সবাই তাদের কথার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত জাতিকে বিনোদিত করে চলেছে। এই বিনোদনকারীদের সর্দার সম্পর্কে দুই চাইরটা কথা বলার জন্যই এতো প্রসঙ্গের অবতারণা।

তারেক জিয়া বাংলাদেশের ভবিষ্যত বিবেচনায় এখন সবচাইতে আলোচিত চরিত্র। সুতরাং তার আমলনামা বা অতীত কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনাও খুবই প্রাসঙ্গিক।

বিএনপি'র প্রথম মেয়াদকালে (১৯৯১-১৯৯৬) দুর্নীতি তেমন একটা চর্চিত বিষয় ছিল না। একটা সফল স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনের পর অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই ক্ষমতায় এসে সরকার কল্যানমুখী কাজ করারই চেষ্টা করেছিল। তবে সামগ্রিকভাবে বেশ কিছু ভুল তো অবশ্যই ছিল, যার কারনে তাদের পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতা হারাতে হয়। তাছাড়া তারেক জিয়ার সেসময়ে বয়স কম থাকায় তার পক্ষে সংঘবদ্ধ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া সম্ভব হয় নাই। আমেরিকার পাবলিক ইউনিভার্সিটি সিস্টেমের শিক্ষক ড. সাঈদ ইফতেখার আহমেদ যথার্থই বলেছেন, খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে দুর্নীতি তেমন একটা বিস্তার লাভ করেনি।

কিন্তু বিএনপি'র দ্বিতীয় মেয়াদকালে (২০০১-২০০৬) হাওয়া ভবন থেকে তারেক যেই পরিমান দুর্নীতির কর্মকান্ড চালিয়েছিল, সেটা সেই সময়ের হিসাবে অভূতপূর্ব। সেই সময়ে টানা তিন বছর দুর্নীতিতে শীর্ষস্থানে ছিল বাংলাদেশ। কিছু উদাহরন দেই........গিয়াসউদ্দিন মামুনের সাথে ''খাম্বা সিন্ডিকেট'' করে রাষ্ট্রের প্রায় ১২০০ কোটি টাকা লোপাট করা হয়। এছাড়াও বিদ্যুৎ খাতের ১২টা প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে প্রায় ২৭৩ কোটি টাকা লোপাট করা হয়। টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় ৮০ মেগাওয়াটের একটা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের নামে লুটপাট করে ২১ কোটি টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করা হয়, যার থেকে বিশ কোটি টাকা পরবর্তীতে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এছাড়াও গ্যাটকো, সিমেন্স নিয়ে দুর্নীতি ছিল তখনকার হট নিউজ। সেসবে অবশ্য ছোটভাই কোকোও জড়িত ছিল, তবে তার দায় তারেক জিয়া বা তার বিএনপি নিশ্চয়ই এড়াতে পারে না!!! এসব পরবর্তীতে আম্রিকাতে এফবিআই এর তদন্তেও প্রমাণীত হয়। এছাড়াও ফোর স্ট্রোক সিএনজি আমদানী, বিমান বাংলাদেশ, স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন খাতে তারেক জিয়ার বিরাট আশির্বাদ ছিল। রুপগন্জের তারাবো আর কক্সবাজারে শত শত একর ফসলী জমি দখল করে গড়ে তোলা হয় বিএনপি পল্লী। বলতে থাকলে তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে। হতেই থাকবে। এফবিআই আর উইকিলিকসের পুরানো খবর ঘাটাঘাটি করলেই এসব সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।

এমনকি তারেক জিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না দিতে ওয়াশিংটনে গোপন তারবার্তা পাঠিয়েছিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাবশালী নেতা তারেক জিয়া ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়েছে উল্লেখ করে ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ওই তারবার্তা পাঠানো হয়েছিল। তারবার্তায় বলা হয়, দূতাবাস মনে করে, রাজনৈতিকভাবে সংঘটিত ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতির জন্য তারেকই দায়ী।

তারেকের ব্যাপারে ঢাকায় কাজ করা সবশেষ মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি তার দেশকে লিখেছিলেন , ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান জিয়াউর রহমানের কুখ্যাত বড় ছেলে এবং মায়ের উত্তরসূরি, ''ভয়ঙ্কর রাজনীতিক এবং দুর্নীতি ও চুরির মানসিকতাসম্পন্ন সরকারের প্রতীক'' উল্লেখ করে তাকে বাংলাদেশে মার্কিন স্বার্থের প্রতি হুমকি হিসেবেও দেখানো হয়। সূ্ত্র।

এই যে এতো বছর ধরে তারেক লন্ডনের অভিজাত এলাকায় বাড়ি কিনে থাকছে, দামী গাড়িতে চড়ছে, মেয়েকে ব্যারিস্টারী পড়িয়েছে, শান্তিতে নিরবচ্ছিন্ন জীবন-যাপন করছে, সেটা কিভাবে? সে কি কোন চাকুরী বা ব্যবসা করে? এই বিপুল পরিমান টাকার উৎস কি? যুক্তরাজ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা এশিয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজের ২০১৮ সালের শীর্ষ ১০ জন বাংলাদেশী ধনীর মধ্যে তারেক জিয়ার অবস্থান ছিল ৩ নাম্বারে। আর হাসিনাপুত্র জয় ছিল ৪ নাম্বারে (একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় জানিয়ে রাখি........পরের বছর অর্থাৎ ২০১৯এ তারেক নেমে যায় ১০ এ কিন্তু জয় ৩ এ উঠে আসে!!! কি বুঝলেন?)। যাই হোক, দেশবাসীকে এসবের একটা পরিস্কার ব্যাখ্যা দেয়ার সময় এসেছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী তারেক জিয়ার সমস্যা এখন প্রধানতঃ দুইটা। প্রথমতঃ খাম্বা তারেক বা মিস্টার ১০% হিসাবে তারেক যেই খ্যাতি অর্জন করেছিলো, সেই ব্যাপারগুলো মোকাবেলা করা। দ্বিতীয়তঃ ভারতের কোলে চড়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার ব্লু-প্রিন্ট সম্পর্কে দেশবাসীর সতর্ক থাকার বিষয়ে দৃষ্টি রাখা।

আপাততঃ দুর্নীতি নিয়েই লিখলাম, ভারতের কোলে চড়ে বসা নিয়ে আরেকদিন লিখবো বা অন্য কোন বিজ্ঞ ব্লগার লিখতে পারেন। এখন আপনারাই বলেন, এমন একজন দুর্নীতিবাজ মানুষ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের কি অবস্থা হবে। তদুপরি, আমাদের মনে রাখতে হবে, তার সরকারের মন্ত্রী কারা হবে। মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদের মতো প্রমাণীত দুর্নীতিবাজ, মূত্র এবং অজু বিশেষজ্ঞ দুদু আর বুলু, ভারতীয় দালাল বিশেষজ্ঞ মির্যা ফখরুল ও সালাহউদ্দিন............এরাই তো!!!! তাছাড়া তারেক জিয়ার শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক উপদেষ্টা মাহদী আমীন তো একজন বিশিষ্ট ভারতীয় দালাল। সে গবেষণা করে তারেক জিয়াকে আর কি শিক্ষা বা উপদেশ দিবে, আরেকজন লেন্দুপ দর্জি হওয়া ছাড়া!!! এদের দ্বারা দেশ ও জাতি কিভাবে লাভবান হবে?

এই যে বাংলাদেশের সাধারন জনগনের টাকা দূর্নীতির মাধ্যমে কব্জা করে যুক্তরাজ্যে ল্যাভিশ জীবন-যাপন করছে একজন ব্যক্তি; শুধুমাত্র জিয়া দম্পতির সন্তান হওয়ার কারনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকবে, এটাকে আপনি কিভাবে দেখেন? বুকে হাত দিয়ে বলেন দেখি, বর্তমানের হাইপারসনিক যুগে বাংলাদেশের মতো একটা উদীয়মান অর্থনীতির দেশকে সঠিক নেতৃত্ব দেয়ার মতো কি কি যোগ্যতা আছে তারেক জিয়ার? অথচ এই একই ব্যক্তি এখন দেশকে দুর্নীতি আর চাদাবাজীমুক্ত করার ছবক দিচ্ছে; একদল অথর্ব, অযোগ্য, অকর্মণ্য কিন্তু দুর্নীতিবাজ আর দালালশ্রেণীর গ্রুপকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, এটা কি সেরা জোক না? এই জোক পরিবেশন করা ব্যক্তিই হলো এখনকার সমসাময়িক বাংলাদেশের সবচাইতে বড় ভিভিআইপি জোকার। আর এর সমর্থনে এগিয়ে এসেছে হালুয়া-রুটির লোভে থাকা দীর্ঘদিনের অভুক্ত একদল লোভী, নির্লজ্জ এবং বিবেক বর্জিত তথাকথিত সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত মানুষ!!!!!!

আফসোস!!! বড়ই আফসোস!!!!


ছবিঃ উইকিপিডিয়ার সৌজন্যে।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৯

আরোগ্য বলেছেন: সময় কইরা আমু। হাজিরা দিয়া গেলাম।

১৮ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাজিরা দেওনের লাইগা ধন্যবাদ। সময় কইরাই আহেন..........অপেক্ষায় থাকলাম!!!! :)

২| ১৮ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪০

যাযাবর চখা বলেছেন: জাতির শ্রদ্ধার পাত্রদের যথাযথ সন্মান করা উচিত।

১৮ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সঠিকই বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ। :)

৩| ১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ্ডক্টর ইউনুসের বিরুদ্ধে এইবার আমার সিরিয়াস অভিযোগ আছে। উনারে লন্ডনে গিয়ে টেন পার্সেন্ট এর সাথে বৈঠক করার বুদ্ধিটা দিল কে এবং তিনি সেই বুদ্ধিটা কাজে লাগালেন কেন? তিনি যেখানে শেখ পরিবারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এতটা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন সেখানে দুর্নীতির দায়ে দেশ থেকে বিতারিত তারেক রহমানের সাথে বৈঠক করাটা উনাকে মানায়? এইটা কি ডাবল স্ট্যন্ডার্ড নয় ? এনিসিপির ২৫-৩০ বছর বয়সী নেতৃবৃন্দের দেখেন। তারা কিন্তু বিএনপির লোভের ফাদের পা দেয়নি। চাইলেই দুই /চারটি সিটের বিনিময়ে তারা বিএনপির পক্ষে যেতে পারত ,কোটি কোটী টাকাও কামাতে পারত । কিন্তু তারা শুরু থেকেই যা বলে এসেছে, সেই পয়েন্টেই স্থির রয়েছে যে, কেবল নির্বাচন আয়োজনের জন্য ছাত্ররা রক্ত দেয়নি। সংস্কার ও বিচারের আগে নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচন বয়কট করার কথাও ঘোষনা দিয়েছে। নাহিদ পরিষ্কার বলেছে যে, ডক্টর ইউনুস কিভাবে একটা মাত্র দলের সাথে বৈঠক করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করে? তারেক রহমানের সাথে ডক্টর ইউনুসের বৈঠকে মনে হয়েছে যে, তিনি হার স্বীকার করে তারেক রহমানের শরণাপ্নন হয়েছেন!!!

১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে আমারও অভিযোগ আছে। আমি তেমন একটা করি না, কারন আমি সব সময়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি। আপনে যদি আবেগ না দিয়া বাস্তবতার আলোকে বিষয়গুলি তলায়ে দেখেন, তাইলেই বুঝতে পারবেন। সংক্ষেপে বলি,

উনারে লন্ডনে গিয়ে টেন পার্সেন্ট এর সাথে বৈঠক করার বুদ্ধিটা দিল কে এবং তিনি সেই বুদ্ধিটা কাজে লাগালেন কেন? তিনি যেখানে শেখ পরিবারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এতটা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন সেখানে দুর্নীতির দায়ে দেশ থেকে বিতারিত তারেক রহমানের সাথে বৈঠক করাটা উনাকে মানায়? এইটা কি ডাবল স্ট্যন্ডার্ড নয় ? উনার আশেপাশে যারা আছে, তারাই এই বুদ্ধি দিয়েছে। আর একটা পর্যায়ে উনি মানতে বাধ্য হয়েছেন। আপনে যখন গণতান্ত্রিকভাবে সরকার চালাবেন, তখন সবার সাথে ব্যালেন্স করেই চলতে হবে, নয়তো ডিক্টেটর হয়ে যাবেন। ড. ইউনুস চাইলেও ডিক্টেটর হইতে পারবেন না। ইচ্ছা থাকলেও। ডিক্টেটর হওয়ার জন্য বেশকিছু প্রিকন্ডিশান দরকার, পরিস্থিতি অনূকুলে থাকা দরকার..........যেইটা উনার নাই। আশাকরি, বুঝবেন। সবকিছু ভেঙ্গে বলতে গেলে বহুকিছু বলতে হবে!!!! :(

এনিসিপির ২৫-৩০ বছর বয়সী নেতৃবৃন্দের দেখেন। তারা কিন্তু বিএনপির লোভের ফাদের পা দেয়নি। চাইলেই দুই /চারটি সিটের বিনিময়ে তারা বিএনপির পক্ষে যেতে পারত ,কোটি কোটী টাকাও কামাতে পারত । ক্ষমতার চেয়ারে বসে কাজ করা এক কথা, আর বাইরে থেকে কথা বলা আরেক কথা। চেয়ারে বসলে আপনে অনেককিছুই করতে পারবেন না। বাইরে থেকে রাজা-উজীর মারা সহজ। আপনেরে একটা উদাহরন দেই.............ছাত্ররা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সোচ্চার। ভালো কথা। নাহিদ তথ্য উপদেষ্টা থাকার সময়ে কি দেশে ভারতীয় চ্যানেলগুলো বন্ধ করছে? এইটা কিন্তু বহুদিন থেকেই একটা জনপ্রিয় দাবী। কারন, ভারত তাদের দেশে আমাদের চ্যানেল চালাইতে দেয় না ঠিকমতো, কিন্তু তাদের শতাধিক চ্যানেল বাংলাদেশে বাধাহীনভাবে চলে। মানলাম, এই কাম আওয়ামী সরকার করে গিয়েছে...........কিন্তু নাহিদ সেইটা ঠিক করে নাই কেন? ভাবেন,গভীরভাবে ভাবেন!!!! B-)

ড. ইউনুস না, সেই অগাষ্টেই ছাত্ররা কিছু ভুল করেছিল, তার মাশুল এখন দিতে হচ্ছে। ভবিষ্যতেও দিতে হবে।

৪| ১৮ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মিরোরডডল বলেছেন:





সবাই পোষ্ট পড়ে চলে যায়, কেউ কমেন্ট করে নাহ কেনো!

এই পোষ্টে একটা লাইক দিতেই হয়।
কারণ তারেক চোরা কে আমার খুবই অপছন্দ।

ব্লগে অনেক কে বলতে দেখেছি তার পরিবর্তনে, তার কথায় মুগ্ধ!
এটা কমনসেন্স, পাবলিকের ভোটের জন্য এখন এই চোর সাধুর ভুমিকায় থাকবে।
যে একবার চোর, সে অলওয়েজ চোর।
তাকে কেনো আবার বিশ্বাস করবে!

২০০১-২০০৬ সে যা করেছে, ভাবা যায় সে যদি ১৫ বছর সময় পেতো, তখন কি করতো!
বাবার ধারে কাছেও যেতে পারেনি, তারেক জিয়া পরিবারের কলঙ্ক!


১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবাই পোষ্ট পড়ে চলে যায়, কেউ কমেন্ট করে নাহ কেনো! না করুক। এটা নিয়ে আমি একেবারেই worried না। আমি লিখি মূলতঃ নিজের আনন্দে। কেউ মন্তব্য করলে ভালো অবশ্যই লাগে, তবে না করলেও যে বিশাল মাইন্ড খাই, বিষয়টা তেমন না!!!! চাইলে আমি এই ব্লগের অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগার হইতে পারতাম। কথার কথা না, I can prove it. কিন্তু সেইজন্য যা করা দরকার, তার সবটা আমার পক্ষে সম্ভব না। বিষয়টা কি কিলিয়ার করতে পারলাম!!!! ;)

যে একবার চোর, সে অলওয়েজ চোর। না। এইটা মানতে পারলাম না। প্রচুর উদাহরন দেয়া যায় আমার না মানার পক্ষে। তবে তারেকের সামনে অবশ্যই বিশাল সুযোগ ছিল পরিবর্তিত হওয়ার, ইতিহাসে নাম লেখানোর। সেইটা সে কাজে লাগায় নাই। সে আমার কথা না শুনে শুনেছে ভুট্টো..........থুক্কু, সালাউদ্দিন সাহেবের কথা। এর মুল্য তাকে অবশ্যই দিতে হবে। তাকে আমি যতোটুকু দেখেছি, একবার মনে হয়েছিল সে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছে। কিন্তু হাসিনা পালানোর পরেই তার আসল চেহারা বের হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন কারনেই বিষয়টা বোঝা আমার জন্য কিছুটা সহজই ছিল!!!! :P

তারেক জিয়া পরিবারের কলঙ্ক! ২০০১-২০০৬ মেয়াদে এই কথা অবশ্যই বলা যেতো। তবে এখন, বর্তমানের বাস্তবতায় সেটা আরো জোড়ালো ভাবে বলা যায়। কোন সন্দেহ নাই।

৫| ১৮ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

আরোগ্য বলেছেন: জোকারের তালিকায় BAL( Bangladesh Awami League) আপারে কেউ ছাড়ায়ে যাইতে পারবো না। আমি তো কাল নাকি পরশুও এই বেটির ভিডিও সার্চ দিয়া দেখতাসিলাম। বিনোদনের লেইগা ;)
ইউনুস সাহেব হইসেন ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ী। হাতির দেহানের দাঁত আলাদা আর খাওনের দাঁত আলাদা। দেইখেন সময়ই কয়া দিবো। আমি বেশি কথা কমু না। B:-/
তারেক হইসে একটা মক্কেল, ওর হাতে কি দলের কোন কন্ট্রোল আছে? ছাই! ওর চেয়ে তো নিজেগো দলে BAL ভাইগ্না জয়ের দাম বেশি । বিএনপি হইসে একটা টুন্ডা দল। দ্যাশ একটু গরম রাখনের লেইগা এগো তাপ দিয়া গরম করন লাগসে। বুঝেন তো ;)

মোদ্দা কথা হইসে বিশ্ব one world order এর লেইগা কাম করতাসে। এহন ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ী ছাড়া চলবো না। যতই নির্বাচন নির্বাচন কইরা ফাল পাড়ুক, ঠুস কইরা লকডাউন দিয়া দিবো নির্বাচনের আগে। আর নাইলে অন্য কোন ব্যবস্থা করন যাইবো কিন্তু টুন্ডালুলা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিম্পি আইবো না। আমার এটাই মনে অহে। Let's see.... :-B

১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাচাই কইছেন। আপার ভিডিও আমিও খুইজা খুইজা দেহি। মজা লাগে!!!! :P

ইউনুস সাহেব হইসেন ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ী। উনারে নিয়া যদি একটা SWOT Analysis করেন, তয় বিষয়টা আরো পরিস্কার হইবো। উনার যেমন কিছু সুবিধা আছে, তেমন অসুবিধাও আছে। বুজবারই পারতাছেন, বিষয়ডা এতো স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড না।

বিএনপি হইসে একটা টুন্ডা দল। এইডাই আসল কথা। দুই নম্বরী করনের লেইগাও কিছু বুদ্ধি লাগে। যা হ্যাগো মাথায় কম আছে। তারেকের মাথায় আরো কম। হ্যায় অন্যগো কথা হুনে বেশী। হ্যারাই তারে মিসগাইড করে। আর মাথায় সব সুমায় ট্যাকার ধান্ধা ঘুরলে দ্যাশের কাম করবো কুন সুমায়?

ভালো-মন্দ সব মিশায়াই কওন যায়, এই মূহুর্তে ড. ইউনুসের বিকল্প নাই। বিএনপি না পারবো দ্যাশ সামলাইতে, না পারবো আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সামলাইতে। শ্যাষমেষ দিশা না পায়া দ্যাশটারে দিবো ভারতের হাতে তুইলা। বিষয়ডা এইহানেই প্যাচ খাইছে!!! X(

৬| ১৮ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: এই যে খাইছে এবার! আপনার নামে তো এমনিতেই জামাত শিবির ট্যাগ আছে এবার ফ্যাসীবাদের দোষর ট্যাগও খাবেন নিশ্চিত ! :D

যাই হোক এখানে আরো কিছু যুক্ত করি, ৯৬ সালে বিএনপি কিন্তু ভোটারহীন নির্বাচন করে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু পারে নি। আবার এর ২০০১-০৫ টার্মেও কিন্তু নিজেদের পছন্দের প্রধান উপদেষ্টা বসাতে চেয়েছিল প্রধান বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে। সেটাও কিন্তু সফল হয় নাই। আওয়ামি আর বিএনপির অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার ভেতরে পার্থক্য ছিল কেবল আওয়ামী গায়ের জোরে পেরেছে বিএনপি গায়ের জোরে পারে নি, পারলে ঠিকই থাকতো। এসব কথা বললেই বিড়াই বেজার!

আপনাকে একটা কুইজ জিজ্ঞেস করি। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরেই এস আলম গ্রুপ আবার বাংলাদেশে ফিরে আসবে। বলুন তো কার হাত ধরে ফিরে আসবে? B:-/

১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ট্যাগ যা খাওয়ার, এমনিতেই খাবো। সবাইকে তো খুশী করা সম্ভব না!! কাজেই কোন না কোন পক্ষ ট্যাগাবেই। হু কেয়ার্স!!!

যাই হোক এখানে আরো কিছু যুক্ত করি, ৯৬ সালে বিএনপি কিন্তু ভোটারহীন নির্বাচন করে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু পারে নি। আবার এর ২০০১-০৫ টার্মেও কিন্তু নিজেদের পছন্দের প্রধান উপদেষ্টা বসাতে চেয়েছিল প্রধান বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে। সেটাও কিন্তু সফল হয় নাই। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমি ইতোমধ্যেই আমার কিছু লেখায় বলেছি।

অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার ভেতরে পার্থক্য ছিল কেবল আওয়ামী গায়ের জোরে পেরেছে বিএনপি গায়ের জোরে পারে নি, পারলে ঠিকই থাকতো। শুধু গায়ের জোর না, ঘটেও কিছু থাকা লাগে। বিএনপি ছাগলদের দল। দুই নাম্বারী করতেও বুদ্ধি (কুবুদ্ধি) লাগে, যেইটা আম্লীগের ছিল। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার..........বিম্পির তাও নাই। :P

আপনাকে একটা কুইজ জিজ্ঞেস করি। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরেই এস আলম গ্রুপ আবার বাংলাদেশে ফিরে আসবে। বলুন তো কার হাত ধরে ফিরে আসবে? B:-/ এতো সহজ কুইজ ধরলে হবে? দৃশ্যমান হাত শালা-উদ্দিনের। অদৃশ্য হাত তারেকের!!! :-B

৭| ১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৮

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: আমি লিখি মূলতঃ নিজের আনন্দে। কেউ মন্তব্য করলে ভালো অবশ্যই লাগে, তবে না করলেও যে বিশাল মাইন্ড খাই, বিষয়টা তেমন না!!!!

পোষ্ট পড়তে হবে তা না।
আবার পড়লে মন্তব্য করতে হবে, নট দ্যাট।
কিন্তু এটাতো কবিতা বা গল্প না, এখানে আলোচনার সুযোগ থাকে।
এরকম পোষ্টে ১০০/১৫০ পাঠক পড়ে চলে যাচ্ছে কোন অভিমত না জানিয়ে, তাই বললাম।

যে একবার চোর, সে অলওয়েজ চোর। না। এইটা মানতে পারলাম না। প্রচুর উদাহরন দেয়া যায় আমার না মানার পক্ষে
লুক, আমি নিজেও বিলিভ করি একজন অপরাধী তার অপরাধ স্বীকার করে অনুশোচনা করলে সে ক্ষমা পেতে পারে। জীবনে আবার সামনে এগিয়ে যাবে, সেটাই স্বাভাবিক। এ কারণেই আছে কোর্ট, উকিল, জেল, জরিমানা, মেইনলি নিজের ভুল নিজে বুঝতে পারা।

কিন্তু তারেকদের মতো যারা পুকুর চুরি করে, মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে, দেশের টাকা, তারা নিজেকে শুধরে নিলেও আবার কখনোই যেখানে চুরির সুযোগ থাকে সেখানে দিতে নেই। সে যদি সত্যিকারের ভালো হয়ে যেতো, আর কখনোই রাজনীতিতে যেতো না কিন্তু আমরা জানি সে ভীষণ লোভী, আবারও সুযোগ নেয়ার সব ধরণের চেষ্টা করবে।


১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের বেশীরভাগ ব্লগারই তালগাছ নিয়ে বসে থাকে। কাজেই আলোচনা করার সুযোগ থাকে না। তাছাড়া অনেকেরই গঠনমূলক আলোচনা করার সক্ষমতাও নাই। সেটাও একটা বড় কারন এসে, পড়ে, চলে যাওয়ার। তবে মিডের কনসার্ন আমি বুঝতে পারছি। :)

আমি আসলে ভেবেছিলাম ১/১১ এর পরে প্যাদানী খেয়ে তার হুশ ফিরবে। হাসিনার পরিণতি দেখেও শিক্ষা নিবে। কিন্তু সব আশার গুড়ে বালি। ক্ষমতা আর টাকার লোভ কতো হলে মানুষ এমন অন্ধ হতে পারে, সেটাও একটা গবেষণার বিষয়। কাজেই হালুয়া-রুটি খোরদেরকে খুব একটা দোষ দেয়া যায় না। :P

৮| ১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:





চাইলে আমি এই ব্লগের অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগার হইতে পারতাম। কথার কথা না, I can prove it. কিন্তু সেইজন্য যা করা দরকার, তার সবটা আমার পক্ষে সম্ভব না। বিষয়টা কি কিলিয়ার করতে পারলাম!!!!

নাহ! কিছুই বুঝিনি।
এখানে অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগার হবার কথা আসছে কেনো, বুঝলাম না।
মোটিভ নিয়ে হয় নাকি! যে হবার সে তার লেখা দিয়েই হবে, সময়ের সাথে।

যাইহোক, খালেদা জিয়ার আবার ফিরে আসাটাও ভালো লাগেনি। কেউ ছাড় দিতে রাজি না। এখন সে সরে দাড়াতে পারতো।
খালেদা জিয়ার সাথে একবার সাক্ষাৎ হয়েছিলো। বিরোধী দলের নেত্রী একটা ইভেন্টে স্পেশাল গেস্ট হয়ে আসে। অর্গানাইজার আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলো। If I'm being honest, কথা বলে মুগ্ধ হয়েছিলাম। তখন সে ভীষণ সুন্দরী, অনেক টল, আলোর জ্যোতি ছড়ায় অনেকটা এমন, কথাবার্তায় ভদ্র নম্র সফিস্টিকেটেড। ভালো লেগেছিলো।

Despite all this praise, I have to say that a person's external beauty or well manners are not enough to be qualified to be a prime minister. Initially she was a dummy but nothing else.
দেশ পরিচালনা করার জ্ঞান তার ছিল না। অন্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। বাকিটা ইতিহাস।
আমার ব্যক্তিগত মতামত, সন্মান নিয়ে সরে যাওয়া বেটার ছিলো, কেনো ক্ষমতার লোভে আবারও ফিরে ফিরে আসে!!!


১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার মনে হয় আজকাল বোঝানোর ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। বিষয়টা হলো, জনপ্রিয় ব্লগার হলে মানুষ শুধুমাত্র পড়েই চলে যায় না, ফুটপ্রিন্ট রেখে যায়। কমেন্ট না করার একটা কারন হিসাবে সেটা বলেছিলাম। এবার কি বোঝাতে পারলাম? না পারলে সমস্যা............কারন আমার ব্যাকইয়ার্ডে কচুগাছ নাই!!! :||

খালেদা জিয়া ফিরে আসাটা অনেকটা সাইন বোর্ডের মতো। উনি সেভাবে এক্টিভলি আর কখনওই ফিরবেন না। পাবলিক সেন্টিমেন্ট বিল্ডআপের জন্য উনার ইমেইজ ব্যবহার করা হবে আর কি। সেটাই তারেকের প্ল্যান। তবে উনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একেবারেই যে প্রভাবহীন হয়ে পড়বেন, তা না। ড. ইউনুস-তারেকের সাক্ষাতে উনি একটা বড় ভূমিকা রেখেছেন। তাছাড়া, বিএনপি'র ছাগলদের বর্তমানে মুখ বন্ধ রাখার ব্যাপারেও উনার ভূমিকা আছে।

বাংলাদেশের মানুষ সব সময়েই দুই নেত্রীর মধ্যে তুলনা করতে অভ্যস্ত। এই তুলনায় খালেদা জিয়া হাসিনার থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। মিডের বলা গুনগুলোর বাইরে আরেকটা কারনেও উনি হাসিনার প্রতিহিংসার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেটা হলো, খালেদা জিয়া উনার কোন নির্বাচনেই হারেন নাই। হাসিনা হেরেছিল।

Despite all this praise, I have to say that a person's external beauty or well manners are not enough to be qualified to be a prime minister. Initially she was a dummy but nothing else. এই কথাটা আংশিক সত্যি। দোষ-গুন নিয়েই মানুষ। উনার কিছু গুণও আছে, যেটা রাজনীতিবিদদের থাকা জরুরী। তবে ''ডামি''র ব্যাপারটার জন্য শুধু বাংলাদেশ না, এই রিজিয়নের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে। এই অন্চলের মানুষও পারিবারিক রাজনীতি পছন্দ করে। তাই এন্ড অফ দ্য ডে, ডামিদের রাজনীতিতে পদার্পণ ঘটে। এই কালচার পরিবর্তনে প্রচুর সময় লাগবে।

দেশ পরিচালনা করার জ্ঞান তার ছিল না। অন্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। দেশ পরিচালনার ওভারঅল পারফরমেন্স বিবেচনা করলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছাড়া আর সবারই এই সমস্যা ছিল/আছে/থাকবে!!! B-)

৯| ১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৪৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
আজকেও তো অনেক মুক্তা ছড়ালে। এই গুলিও কুড়াবো নাকি ভাবীর মালার জন্য!!! :)

১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইগুলি ছড়ানোর সাথে সাথেই কুড়িয়ে ফেলেছি। কারো জন্য কিছু বাকী রাখি নাই!!!! :P

১০| ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:০০

শায়মা বলেছেন: যাক নিজেই তাহলে নিজের ব্যবস্থা করেছো!!! :)

১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই। আমি তো তারেক না, সব সময়েই অতীত থেকে শিক্ষা নেই। :-B

১১| ১৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চান?

১৯ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খাটি বাংলায় লিখলাম, তাও বুঝেন নাই!!! কোন ভাষাটা সবচাইতে ভালো বুঝেন, জানায়েন। চেষ্টা করবো। :P

১২| ১৯ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২২

রবিন_২০২০ বলেছেন: তারেক সম্পর্কে পড়তে পড়তে বার বার মনে হচ্ছিলো, অরে এই গুলো সব আমার মনের কথা। ভুয়া মফিজ লিখে ক্রেডিট নিয়ে নিলো।
হাওয়া ভবনে চরম উদ্ধত তারেকের ছবি চোখে ভাসে। এই জিনিস বদলাবার নয়। সে যদি ক্ষমতার দখল পায় তাহলে অসহায় জাতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিইবা করার আছে।

১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মনের কথা এই ব্লগে একজনই জানে। তিনি হলেন আউলিয়া সাব। আমার সাথে যদি মিলে যায়, তাহলে সেটা হবে কাকতালীয়!!! :P

হাওয়া ভবনে চরম উদ্ধত তারেকের ছবি চোখে ভাসে। এই জিনিস বদলাবার নয়। সে যদি ক্ষমতার দখল পায় তাহলে অসহায় জাতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিইবা করার আছে। দেশ লুট করবে তো বটেই, তার চাইতে বড় ভয়.......দেশটাকে ভারতের হাতে না তুলে দেয়!!! X(

১৩| ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:১২

অপু তানভীর বলেছেন: তবে এইবার তারেক রহমানকে আরেকটা সুযোগ দেওয়ার পক্ষে আমি। গতটার্মে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন তারেক রহমানের বয়স ছিল কম। এখন আশা করি ম্যাচুউর হয়েছে। গত টা্মের দুর্নীতির ফল সে পেয়েছে। যদি সেটা থেকে শিক্ষা নেয়!
দেখা যাক শিক্ষা নেয় কিনা !

২০ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শেখ হাসিনা পালানোর আগে, অর্থাৎ ৫ই অগাষ্টের আগে তারেকের বক্তব্য ছিল এক রকম, পরবর্তীতে তার বক্তব্য পুরাই পল্টি। অর্থাৎ ক্ষমতার গন্ধ পাওয়ার পরেই সে তার আসল চেহারা দেখিয়েছে। ৫ই অগাষ্ট পরবর্তী বিএনপি'র প্রতিটা কর্মকান্ডে তার প্রতিফলন দেখবেন। কোনটাই ভালো কিছু ইঙ্গিত করে না। কোনটাই ইঙ্গিত করে না যে, সে অতীত থেকে কোন শিক্ষা নিয়েছে। দাগী চোরকে বহু বছর জেলে রাখলেও তার স্বভাবে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। সেটাই তারেকের বেলায় হয়েছে। নিশ্চয়ই মানবেন, তারেকের অনুমোদনেই বিএনপি'র সব নীতি নির্ধারিত হয়!!!

তবে এইবার তারেক রহমানকে আরেকটা সুযোগ দেওয়ার পক্ষে আমি। এটা আসলে এক্সপেরিমেন্টের কোন বিষয় না। ৫ বছরে বিএনপি দেশের যে ক্ষতি করবে, তাতে দেশ কতো বছর পেছাবে, সেটাও ভাবতে হবে আমাদের। আমি আমার জীবনে যে কয়বার ভোট দিয়েছি, বিএনপিকেই দিয়েছি। আমি আন্তরিকভাবেই চেয়েছি একজন পরিবর্তিত তারেকের। কিন্তু তার অতীত কর্মকান্ড, বর্তমান কথাবার্তা আর ভারতীয় দালাল দিয়ে ঘিরে থাকা একটাই বার্তা দেয়, সেটা হলো সে প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ।

তাছাড়া কূটনীতি বা আন্তর্জাতিক রাজনীতি সফলভাবে মোকাবেলার সক্ষমতাও বিএনপি'র নাই। আমার সবচাইতে বড় ভয়, ক্ষমতায় এসে বিএনপি ব্যর্থ হয়ে আবার ''রিফাইন্ড'' আওয়ামী লীগকে পূনর্বাসনের রাস্তা খুলে দিবে, এবং সেটা তাদের ৫ বছর টার্ম পূর্ণ করার শেষের দিকেই ঘটবে। এটা আমি এখনই লিখে দিলাম। আমি বেচে থাকলে তারা ক্ষমতায় আসার ৪.৫ বছরের মাথায় আপনার সাথে আবার কথা হবে।

বিষয়টা বিভিন্ন পয়েন্টে বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে না বললে আসলে বোঝা মুশকিল। আমার ইচ্ছা আছে এটা নিয়ে লেখার। কবে পারবো, জানি না। মোদ্দাকথা, ''দেখি না কি হয়'' বা ''এডভেন্চার'' এর জন্য বিএনপিকে ক্ষমতায় এনে আমি বিএনপি কর্তৃক দেশের সর্বনাশ দেখতে চাই না। তারপরেও আপনারা চাইলে তাদেরকে ভোট দিয়ে আনবেন। আপনারা দেশে থাকেন, সাফার আপনারাই করবেন। আমার তো কোন সমস্যা নাই, তাই না!!! একজন বৃটিশ নাগরিক হিসাবে আমি আরামেই আছি। শুধু দূর থেকে দেশের সর্বনাশ দেখবো.............এটাই যা একটু কষ্টের। সেইজন্যই এতোকিছু বলা।

জয় বাংলা!! কিসের যেন গামলা? :P

১৪| ২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:১৮

অপু তানভীর বলেছেন: তাছাড়া কূটনীতি বা আন্তর্জাতিক রাজনীতি সফলভাবে মোকাবেলার সক্ষমতাও বিএনপি'র নাই। এটাঈ হচ্ছে সব থেকে বড় সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে কে জানে?

আর আওয়ামিলীগ তো আসবেই। এটা যেই ক্ষমতাই আসুক না এক সময়ে আওয়ামীলীগ ফিরে আসবে। কত বছর পরে আসবে সেটা আসলে নির্ভর করবে এরা কী পরিমান দূর্নীতি করে সেটার উপরে!

২১ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুধু কূটনীতি না, আরো সমস্যা আছে। যেমন, ২০২৬ সালের ২৪শে নভেম্বর বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে আসবে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। তখন দেশের উৎপাদন, আমদানী-রপ্তানীতে এর বিরাট প্রভাব পড়বে। সেই চ্যালেন্জ বিএনপি কিভাবে মোকাবেলা করবে তার কিছু তাদের মুখে কখনও শুনেছেন? আমি শুনি নাই। এরা আছে শুধু নির্বাচন নিয়ে। ক্ষমতায় এসে লুটপাট করবে। বিভিন্ন সমস্যা কিভাবে সমাধান করবে, তার কোন রুপরেখাই নাই।

আওয়ামী লীগ যদি পাচ বছর পরে আসে, ভয়ঙ্করভাবে আসবে। ১০ বছর পরে আসলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরা আর তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না। এদের অবস্থা তখন হবে মুসলিম লীগ বা বাম দলগুলোর মতো। অথবা শেখ মুজিব মারা যাওয়ার পরে আওয়ামী লীগ যেভাবে তিন ভাগে ভাগ হয়েছিল, তেমন কিছু হবে। সেই আওয়ামী লীগ হবে বিষমুক্ত!!!

কত বছর পরে আসবে সেটা আসলে নির্ভর করবে এরা কী পরিমান দূর্নীতি করে সেটার উপরে! বিএনপি ভয়াবহ দুর্নীতিই করবে। সবাই ওৎ পেতে আছে। গত ১০ মাসে ক্ষমতায় না থেকেই যে ডেমো দিয়েছে, তার নমুনা আপনের কতোটা চোখে পড়েছে জানি না; তবে আমি ফিরিস্তি দিলে সিরিজ পোষ্ট দেয়া লাগবে। বিএনপির মন্ত্রী-এমপি কারা হবে দেখলেই তো বোঝা যায়। আমার ভয় সেখানেই। বাংলাদেশের জনগন এমনিতেই দ্রুত সব ভুলে যায়। যখন এদের অত্যাচার তুঙ্গে উঠবে, তখন দেখবেন সাধারন লোকজনই বলা শুরু করবে, আম্লীগই ভালো ছিল। তখনই ভারত প্রভাবক হিসাবে কাজ করে জনগনকে আরো খেপায়ে দিয়ে আম্লীগের ফেরার পটভূমি তৈরী করবে। এই হইলো সংক্ষেপে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।

১৫| ২১ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা প্রবাদের মত আছে 'কোথায় আগরতলা আর কোথায় চকির তলা'। ডঃ ইউনুসকে লুইচ্চা এরশাদ আর মিস্টার ১০% এর সাথে তুলনাটা অনেকটা এই প্রবাদের মত। ডঃ ইউনুস সমালোচনার ঊর্ধ্বে না। কিন্তু এই দুইজন জোকার কাম নীতিহীন লোকের সাথে ওনাকে তুলনা করার কোন যুক্তি আমি খুঁজে পাই না। সাড়া বিশ্বের নেতাদের কাছে ডঃ ইউনুসের মত গ্রহণযোগ্যতা আর কোন বাংলাদেশীর নাই। জুলাইয়ের বিপ্লব/ অভ্যুত্থানের পরে উনি হাল ধরাতে দেশ হাসিনার পুনরায় আগমনের ঝুকিকে সফলভাবে মোকাবেলা করা গেছে। নইলে দেশের একটা সুশৃঙ্খল গোষ্ঠী এবং ভারতের সহযোগিতায় রিফাইন্ড আওয়ামীলীগ চলে আসত জনসম্মুখে। পরিনামে হাসিনার আগমন সহজ হত।

বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে এখন তারেক জিয়া ছাড়া আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না। এটাকে মন্দের ভালো বলা যেতে পারে। এই দেশের ১০% ( এটার কম বা বেশী হতে পারে, প্রকৃত কোন পরিসংখ্যান নাই, তাই অনুমান মাত্র) লোককে প্রকৃত শিক্ষিত বা বুদ্ধিমান বলা যেতে পারে। কিন্তু ৯০% নির্বোধ এবং নিম্ন নৈতিকতার মানুষের কারণে এখন নির্বাচন হলে হয়তো বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। এই কারণে ইসলাম ধর্মে নেতা নির্বাচন করা হয় সমাজের গ্রহণযোগ্য এবং নেতৃস্থানীয় নেত্রীবৃন্দের ভোটে বা পরামর্শে। গণতন্ত্রে চোর, ডাকাত, ধর্ষক, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, লুইচ্চা, খুনি, নারী নির্যাতনকারী, দলকানা লোকেরাও ভোট দেয়। আমাদের সমাজের এই ধরণের মানুষ অনেক বেড়ে গেছে। তাই তারেক জিয়া ভোটে জিতলে তাকে মেনে নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নাই। আশা করা যায় সে এই বার নিজেকে সংশোধন করে দেশের জন্য কাজ করবে। অন্তত নারী নেতৃত্ব থেকে আমরা মুক্তি পাব। নারীরা দেশ চালানোর জন্য উপযুক্ত না।

সময় পেলে আরও কিছু পরে লিখবো পোস্টের অন্য বিষয়গুলি নিয়ে। :)

২১ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে সম্ভবতঃ যেই পোষ্টের কারনে আমার এই আলোচনা, সেইটা দেখেন নাই। ডঃ ইউনুসকে লুইচ্চা এরশাদ আর মিস্টার ১০% এর সাথে তুলনা তা না, সেখানে ড. ইউনুসকে হাসিনা আর এরশাদের সাথে এক কাতারে দেখানো হয়েছিল। সেইজন্যই আমি এই পোষ্টে এক্সক্লুশান-ইনক্লুশানের কথা বলেছি। ড. ইউনুসকে এক্সক্লুড করে মিস্টার ১০% কে ইনক্লুড করা। এটাই দলকানা না হলে করা উচিত!!!!

তারেক জিয়া মন্দের ভালোও না। নমুনা অন্ততঃ তা বলে না। আমাদের সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি বা জাতীয় সরকারের দিকে যাওয়া উচিত। সেটাই ভবিষ্যতের স্বৈরাচার ঠেকানোর একমাত্র উপায়। ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইলের গণতন্ত্র বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য না। সেইজন্য যেসব প্রিকন্ডিশানের দরকার হয়, তা আমাদের দেশে নাই। আপনে আপনার মন্তব্যের দ্বিতীয় প্যারাতে তার গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরেছেন।

তারেক জিয়া ভোটে জিতলে তাকে মেনে নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নাই। আশা করা যায় সে এই বার নিজেকে সংশোধন করে দেশের জন্য কাজ করবে। সমস্যাটা এইখানেই। সে সংশোধিত হয় নাই। আপনে কইছিলেন না........দাগী চোর জেল খাটলেও সংশোধিত হয় না!!! সেই ঘটনাই ঘটছে। তারেক সংশোধিত হইলে আমি খুবই খুশী হইতাম। কিন্তু এখন শুধুই আফসোস!!! :(

১৬| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দেশের রাজনীতি আমার একদম পছন্দ নয়।এদেশের কোন দলকে নিয়েই আমি আশা দেখি না।
বিএনপি আওয়ামিলীগের অপর পিঠ একথা বললে অনেকে রাগ হয়।

৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মতো অবস্থা দেশের বেশীরভাগ শিক্ষিত মানুষের। কারন, আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের মূল লক্ষ্য জনগনের সেবা করা বা দেশের উন্নতি করা না, নিজের সেবা করা আর নিজের পরিবারের উন্নতি করা। হাসিনার পলায়নের পরে সাধারন মানুষ কিছুটা হলেও আশান্বিত হয়েছিল; কিন্তু যতোই দিন যাচ্ছে, সেই আশা ততোই নিরাশায় রুপান্তরিত হচ্ছে।

আর এর প্রধান দায় বর্তমানে ক্ষমতার জন্য আর লুটপাটের জন্য ওৎ পেতে থাকা বিএনপি'র নেতা-কর্মীদের। আশ্চর্যের বিষয় হলো, যারা এতোদিন মজলুম ছিল, তারাই এখন নির্যাতকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে অথবা নির্যাতকদের পক্ষে সাফাই গাইছে।

বিএনপি আওয়ামিলীগের অপর পিঠ একথা বললে অনেকে রাগ হয়। যাদের রাগ হয়, তারা হালুয়ারুটির অপেক্ষায় আছে। এই ভুখা-নাঙ্গার দল তাদের মুখের খাবার কেড়ে নেয়ার পায়তাড়া দেখলে রাগ তো করবেই!!! নো সারপ্রাইজ!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.