নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্মারক কেলেঙ্কারিদের ফাঁসি চাই।

২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্মারক কেলেঙ্কারিদের ফাঁসি চাই।

আমরা বাংলাদেশি বা বাঙ্গালী সে যাই হোক যারা বাংলাদেশ নামে যে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডে বিশ্বাসী তাদের সবার একটি সাধারণ ও প্রকাশ্য শত্রু হল রাজাকার, আল-বাদর ও আলশামসরা। যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামে শিশুর ভূমিষ্ঠ লগ্নে গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছিল। সেই হত্যা চেষ্টায় ব্যর্থ হলেও তারা সেই অপচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। তবে আমি শতভাগ নিশ্চিত তারা এ দেশের কোন ক্ষতি করতে পারবে না কারণ তারা আমাদের প্রকাশ্য শত্রু তাই সবাই সজাগ। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস ও হৃদয়ের প্রতিটা স্পন্দনে ত্রিশ লক্ষ শহীদদের আত্মত্যাগ ও দু লক্ষ মা-বোনের সভ্রমের কথা ধারণ করে তারা দেশ বিরোধীদের রুখে দিবে। সত্যি বলতে ১৯৭১ সালে গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া সবাই মুক্তিযোদ্ধা ছিল কারণ প্রত্যেকেই কোন না কোন ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। তবে রাজাকারা একটা কাজে খুবই সফল হয়েছে ১৪-ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে জাতির মেধাবী মানুষ ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করে। মেধা শূন্য জাতি এখন দিশেহারা। তথাকথিত সার্টিফিকেটধারী মুক্তিযোদ্ধারাই যারা ক্ষমতার লিপ্সু তারাই জাতির জন্য ভয়ংকর ও বিপদজনক। বাংলার মানুষ তাদের প্রকাশ্য শত্রু রাজাকারদের ব্যাপারে সজাগ হলেও মুক্তিযুদ্ধের মূল স্রোতে মিশে থাকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুসারী মুখোশ ধারী দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে ততটা সজাগ নয়। বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের যদি কোন ক্ষতি হয় তবে মুক্তিযুদ্ধের মূল স্রোতে মিশে থাকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুসারী মুখোশ ধারী দুর্বৃত্তদের দ্বারাই হবে। আর এরাই হল বাংলাফিক(মুনাফিক)। মুনাফিক কাকে বলে আমরা নিশ্চয় সবাই কমবেশি জানি এবং এও জানি যে মুনাফিকের শাস্তি হবে সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর ও গুরুতর । মুনাফিক শব্দটি মোটামুটি সবার পরিচিত হলেও বাংলাফিক শব্দটি হয়ত প্রথম জেনে থাকবেন। মুনাফিক হল মুমিনের সুরুত বা বেশভূষা ধারণ করে খুব অনায়াসে জগন্য ও গুরুতর অপরাধ করে থাকে। তেমনি বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও চেতনাকে মুখোশ রূপে ব্যবহার করে এই শুদ্ধ চেতনা ও স্বাধীন বাংলাদেশকে ধ্বংস করেতে চাই যারা তারাই হল বাংলাফিক। অতি সাম্প্রতিক কালে কমপক্ষে দুটি ন্যাকারজনক ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে কারা কারা এবং কোথাই কোথাই দুর্বৃত্তদের অবস্থান। এর একটি হল শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের সর্বশেষ বিতর্কিত কর্মকাণ্ড।

গণজাগরণ মঞ্চের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যমে খুব পরিস্কার হল যে তারা সবাই দোষী শুধু স্বার্থের কারণে তারা এই জগন্য নাটক করল। তারা কিন্তু মঞ্চের সুন্দর পরিসমাপ্তি টানতে পারত। লক্ষ লক্ষ মানুষের সেই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও মুক্তি সংগ্রামের চেতনা কে পদদলিত করে শহীদের আত্মার সাথে অসম্মান করেছে। এই চেতনাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোন অধিকার গণজাগরণ মঞ্চকে জনগন দেয়নি। আজকে তাদের এই কর্মকাণ্ড দেখে প্রয়াত কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর বিখ্যাত কবিতার চরণ মনে পড়ে আর সত্যি এটা নিরেট তাদের জন্যই প্রযোজ্য---------

"বাপের জম্মেও এক সঙ্গে এত

বেজম্মা দেখিনি, শালা।"

আর অন্যটি হল বাংলার ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণিত ও কলঙ্কজনক কেলেঙ্কারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ক্রেস্ট কেলেঙ্কারি। ভাবতেই ঘৃণা লাগে, লজ্জাই মাথা কাটা যায় যে, ১৯৭১ সালে জাতি যখন পাকিস্তানের বেজন্মা বেনিয়া ও এদেশীয় দোসরদের অতর্কিত হামলাই নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালী দিশেহারা তখন যে সকল বিদেশি বন্ধুরা অর্থ, বুদ্ধি, অস্র ও সাহস জুগিয়ে ছিল সেই তাদের সম্মানে দেওয়া স্মৃতি পদক কেলেঙ্কারি করে জাতিকে বিশ্বের কাছে শুধু খাটোই করেনি রীতিমত বেইজ্জতি করেছে। যারা এটা করেছে তারা মুখে যায় বলুক তারাই জাতির শত্রু, মুনাফিক বা বাংলাফিক। প্রথমে পত্র-প্রত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম ক্রেস্টের ষোল আনার মধ্যে বার আনাই মিছে বা ফাঁকিবাজি। কিন্তু তদন্তে এ যেন কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে এলো। ব্রিটিশ নাগরিক জুলিয়ান ফ্রান্সিস কে দেওয়া ক্রেস্টে কোন স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়নি এমনকি নাম ফলকের কাঠও কিনা অতি নিম্মমানের। আমি একজন ব্রিটিশ প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে এই সভ্য সমাজে নিজেকে একজন বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে আসে। পশ্চিমা বিশ্বে উপহার আদান-প্রদান বিষয়ে তাঁরা খুবই সামাজিক সামান্য উপহারেও তাঁরা খুব আনন্দিত হয়। তবে উপহার বা স্বীকৃতি প্রদানের নামে প্রতারণা তাঁরা কোন ভাবেই মেনে নেবেন না। তাঁরা সবাই সম্মানী লোক আর যাই হোক তাদের ইজ্জত নিয়ে তামাশা করতে দিবে না। ১৯৭১ সালে তাঁরা মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল কোন পুরস্কার বা স্বীকৃতির জন্য নয় মানবিক কারণেই পাশে দাঁড়িয়েছিল। প্রতিটি সমাজে বা দেশের মত বাংলাদেশেও কিছু নিচু জাতের বা মনের লোক আছে এই নিচু জাত বা মনের লোক গুলোই বুজে শুনেই শুধু নিজের স্বার্থের কারণে দেশ ও জাতির স্বার্থ বা মান-সম্মানের কথা না ভেবে এই ধরনের ঘৃণিত কাজ করে। আর বাঙ্গালী জাতির দুর্ভাগ্য হল এই নিচু লোকগুলো অন্যায় রাজনৈতিক প্রস্রয়ে দেশ বিরোধী কাজ করে। এদেরকে অতি দ্রুত বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্র বিরোধী কাজের জন্য প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আর একবার বিশ্বকে জানানো হোক বাঙ্গালী জাতি বীরের জাতি, উঁচু জাতি, সম্মানের জাতি। জাতির বা দেশের মান-সম্মান নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেললে এ জাতি তা বরদাস্ত করে না।

তদন্ত কমিটি সাবেক মন্ত্রী ও সচিব সহ যাদের এই অসৎ কাজের সংশ্লিষ্টতা পেয়ে অভিযুক্ত করেছেন সরকারের উচিৎ তাদের বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করে সরকার প্রমাণ করুক যে তারা সত্যিই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। এর সঠিক বিচার না হলে নতুন প্রজম্মের কাছে ও হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও এর ইতিহাস নিছক বা গুরুত্বহীন অথবা ’৭১ সালে আসলে বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছিল কিনা বা ভারত যে বলার চেষ্টা করছে, যে সেটা ছিল পাক ভারত যুদ্ধ তার বদ্ধমূল ধারণা জম্ম নিতে পারে। গণ মানুষের চেতনাকে অসম্মান দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশেষ করে নতুন প্রজম্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধর প্রতি অনাগ্রহ বা বিমুখ করে তোলা ও দেশ ও জাতির ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ও বিশ্ব দরবারে জাতিকে ছোট করা, মহান মুক্তিযুদ্ধ , শহীদের আত্মদান ও মা-বোনের ইজ্জতের অসম্মান করা এই অনধিকার চর্চা বন্ধ করতে হবে করতে হবে। আসুন আমরা সবাই সোচ্চার হয় ।



ম. শামীম - লন্ডন প্রবাসী

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: িবদুযৎ ,




মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্মারক পদক কেলেঙ্কারির কথায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর বিখ্যাত কবিতার চরণ আবার তুলে ধরে বলতেই হয় - বাপের জম্মেও এক সঙ্গে এত না দেখা বেজম্মারা জাতিকে বিশ্বের কাছে শুধু খাটোই করেনি রীতিমত বেইজ্জতি করেছে।

এদের শুধু ফাঁসি নয় , তার আগে মাথা মুড়িয়ে , ঘোল ঢেলে , নবাবপুরের খ্যাড়া গাধার পিঠে চড়িয়ে সারা দেশ ঘোরানো উচিত ।

তদন্ত কমিটি সাবেক মন্ত্রী ও সচিব সহ যাদের এই অসৎ কাজের সংশ্লিষ্টতা পেয়ে অভিযুক্ত করেছেন সরকারের ( যদি সরকার নিজেদের জনগণের সরকার, মুক্তিযুদ্ধের সরকার মনে করেন ) উচিৎ কালবিলম্ব না করে তাদের এখোনই এই শাস্তি প্রদান করা ।

আসুন আমরা সবাই সোচ্চার হই....

২| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আসলে একজন দেশ প্রেমিকে বিষয়টি ব্যাপক ভাবে আহত করে। তাই আসুন বিষয়টি সবার সাথে শেয়ার করি এবং সবাইকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করে দেশের মর্যাদা সংরক্ষণ করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.