নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেন কোন কাজ নেই তাই আজাইরা কাজ নিয়ে ব্যস্ত।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৪


একটি দেশ সঠিক ভাবে চলার জন্য অবশ্যই একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা চাই। বাংলাদেশে সরকার ব্যবস্থা এখন যা বিরাজ করছে তা দেশের জন্য কোন ভাবেই ভাল নয়। আমি আওয়ামীলীগ অথবা বি এন পি, কোন দল ক্ষমতায় থাকা উচিৎ তা নিয়ে বলছি না। ক্ষমতায় যে দল ই থাকুক না কেন অবশ্যই একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা খুব জরুরি।দেশ এগিয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে যদি দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল ও সত্যিকারের গণতন্ত্র থাকতো তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যেত। আমরা জনগণ এতই হতভাগ্য যে, শক্তিশালী বিরোধী দল তো দূরের কথা সত্যিকারের বিরোধী দলও পাইনি। সরকারের পক্ষ থেকে কর্তা ব্যাক্তিরা বলে থাকেন দেশে সবচেয়ে সেরা গণতন্ত্র বিরাজ করছে! এমনকি বলা হচ্ছে গণতন্ত্রের সূতিকাগার ব্রিটেনের অর্থাৎ ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইলের গণতন্ত্র ও সরকার ব্যবস্থা চলছে। আওয়ামীলীগের গত শাসন আমলে বি এন পি একবার ছায়া বাজেট দিয়েছিল তা নিয়ে কত কাণ্ড না হয়েছিল! অথচ ব্রিটেনে ছায়া সরকার বিদ্যমান। বি এন পি তাদের নিজের দোষে পঙ্গু হয়েছে! তারপরেও যা নড়াচড়া করতে পারত সরকারের নিপীড়নের কারণে এখন আই সি ইউ তে চলে গেছে।
সরকার অনেক হটকারি সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েছিল কিন্তু গণমাধ্যম ও বিকল্প গণমাধ্যম হিসেবে ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর কারণে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে ওঠায় সেই হটকারি সিদ্ধান্ত গুলো নিতে পারেনি। তবে এগুলোর পিছনে সরকার জনগণের প্রচুর অর্থ ফুরিয়েছে যা বিরোধী দল না থাকায় সরকারকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে না।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব শাহারিয়ার আলম এম,পি। সুদর্শন, শিক্ষিত, ভদ্র ও মার্জিত, কথা বলেন খুব সুন্দর করে, তাঁর ফেসবুকে মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিরল ছবি শেয়ার করেছেন। তার মধ্যে একটি ছবি হল সবচেয়ে কনিষ্ঠতম মুক্তিযোদ্ধা পলাশ আলম এর। হয়ত তিনি নিজেও জানেন যে, পলাশ আলম, আবু সালেক, লালু, বাবুলদের মত অনেক কিশোর মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের অনেকের বয়স ছিল প্রায় ১০ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। তাঁর সরকার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট জালিয়াতি বন্ধের নামে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, ১৯৭১ সালে যাদের বয়স ১৫ বৎসর বা ১৫ বৎসরের উপরে ছিল তাঁরায় শুধু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যোগ্য হবে। অথচ তাঁরা জানেন কারা সার্টিফিকেট জালিয়াতি করেছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর আশেপাশের লোকজন এর সাথে জড়িত।
সবচেয়ে কনিষ্ঠতম মুক্তিযোদ্ধা পলাশ আলম

তাহলে তো শেখ মুজিব সেই তাঁর ইতিহাস সৃষ্টিকারী ভাষণে মারাত্মক ভুল করে ছিলেন! তিনি কেন বললেন না যে, যারা ১৫ বছরের উপরে তারাই শুধু মুক্তিযুদ্ধে যাও? কেন তিনি বললেন ‘তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে’। ‘তোমাদের কাছে আমার নির্দেশ রইল’। অনেক নিঃস্ব মা তাঁর ১৩-১৪ বৎসরের ছোট্ট ছেলেটিকে পাড়া-গায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাঠিয়েছিলেন যুদ্ধে। নিঃস্ব মা তাঁর যে আর কিছুই ছিল না। কিন্তু নেতার নির্দেশ তো মানতে হবে, দেশকে তো মুক্ত করতে হবে পাক হায়েনাদের কবল থেকে। ছোট্ট বাবুল ও তো যুদ্ধে গিয়েছিল তা্র বাবার সাথে সেই তার মায়ের কথাতেই। বাবুল প্রায় দুই যুগ ধরে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছে, সে এখন অনেক বড় মানুষ, তাঁর কোন অভাব নেই, সরকার তাঁর মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট বয়সের ফাঁদে ফেলে কেড়ে নিলেও তাঁর কোন আফসোস নেই, কারণ কোন মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের জন্য যুদ্ধে যায়নি। নেতার নির্দেশে দেশমাতৃকাকে মুক্ত করতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বাবুল সাক্ষী তাঁর মত বহু ছোট্ট ছেলেমেয়ে তাঁদের কাম্পে ছিল। তাঁর দুঃখ হয় ৭১’র ভয়াবহ দিনগুলোতে তাঁর সেই বন্ধুদের জন্য, দুঃখ হয় তাঁর মায়ের কথা ভেবে যিনি আসল যোদ্ধা ছিলেন।
কতিপয় বীর কিশোর মুক্তিযোদ্ধা

এমন কি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ১৩ বৎসরের শহিদুল ইসলাম লালু, আবু সালেক এবং ১৪ বৎসরের তারামন বিবি’র কি হবে? শুধু বয়স দিয়ে যে মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণ করা যাবে না এই সাধারণ বিষয়টা যে কেন সরকারের কর্তা ব্যাক্তিদের মাথায় ঢুকে না তা আমার বোধগম্য নয়। প্রতিমন্ত্রী জনাব শাহারিয়ার আলম এম,পি সহ অনেক তরুণ দেশ প্রেমিক নেতৃত্ব উঠে এসেছেন। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছবি পোস্ট করে নতুনদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করিতেছেন তা খুব প্রশংসনীয় কিন্তু দুঃখজনক হল তাঁর দলের ক্ষমতা যে কেন্দ্রভুত। ভবিষ্যতে বিকেন্দ্রীভূত হওয়ার কোন সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না! আর তাই হয়ত তিনি কিছু বলতে পারেন নি। তিনি তো তরুণ, অনেক প্রবীণ নেতারাও কোন কিছুই উপরের নির্দেশ ছাড়া কাজ করতে পারেন না। এমন কি আমাদের রেল মন্ত্রী তো রীতিমত নেত্রীর নির্দেশে নিয়ে বিয়ে করলেন ( রেল মন্ত্রীর মুখে শুনেছি টেলিভিশনের কল্যানে)!
বিয়ের কথা যেহেতু আসল তাই একটু না বলে পারছিনা। এখানেও সেই বয়স। সরকার মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়েও খুব মাথা ঘামিয়েছে। ৭৩ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছরের পূর্বেই, এমনকি বিয়ে না হলেও বহু মেয়েদের সতীত্ব নষ্ট হয় ১৮ বছরের পূর্বেই তাই সরকার অভিভাবকদের যেন সম্মান হানি না হয় তাই ১৬ বছর বিয়ের বয়স ধার্য করতে চেয়েছিলেন, এখানেও এই গণমাধ্যম আর সুশীল সমাজের সঠিক যুক্তি এবং সামাজিক প্রতিরোধের কারণে পিছু হটা।
সরকারের যেন কোন কাজ নেই তাই আজাইরা কাজ নিয়ে ব্যস্ত। উপরোক্ত বয়স নির্ধারণের দুটি বিষয় নিয়ে সরকার কয়েক পদের কমিটি গঠন করে, সংসদে আজাইরা বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ব্যয়, সংসদ অধিবেশনের নামে যে গানের আসর বানিয়ে জনগণের রক্ত ঘাম করা উপার্জন থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করা হইল তার জবাবদিহি কে দেবে? বিরোধী দল নিধনে হয়ত সফল আওয়ামীলীগ, কিন্তু একটু ভেবে দেখবেন কি জনগণ আপনাদের বিরোধী পক্ষ হলে কি হবে?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০

ভাচুয়াল ফন্ট বলেছেন: চমতকার বিশ্লেষন ভালো লাগলো ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। পড়ে আপনার ভাল লাগা মন্তব্যে প্রকাশ করায় আমারও খুব ভাল লাগলো।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:

বাংলাদেশের ৪৪ বছরের সরকারে বিরোধীদল পার্লমেন্টে না গিয়ে বেতন ভাতা নিয়ছে; এদের বিচার বাকী আছে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: হবে বিচার অবশ্যই হবে। যারা এখন সরকার তাঁরা আগে বিরোধীদল ছিল, আবার যারা আগে সরকার ছিল তাঁরা এখন বিরোধীদল। সবাইকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.