নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াত ইসলাম, হেফাজত ইসলাম ধ্বংস হলে যেমন ইসলাম ধ্বংস হবে না তেমনি আরব দেশ ধ্বংস হলেও ইসলাম ধ্বংস হবে বলা যাবে না।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০১

জামায়াত ইসলাম, হেফাজত ইসলাম ধ্বংস হলে যেমন ইসলাম ধ্বংস হবে না তেমনি আরব দেশ ধ্বংস হলেও ইসলাম ধ্বংস হবে বলা যাবে না। কথাটি এই জন্য বলছি যে, বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমান এই রকম ধারণা পোষণ করে থাকে। যদি কোন দল, দেশ বা ব্যাক্তি ভ্রান্ত আকিদা পোষণ করে তাকে কোন ভাবেই আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।

বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসুলুল্লাহ(সঃ) বলেন; হে মানব মন্ডলী! তোমরা আমির বা নেতার আনুগত্য করো এবং তার কথা শ্রবণ করো যদিও তিনি হন হাবশী ক্রীতদাস। যতদিন পর্যন্ত তিনি আল্লাহর কিতাব অনুসারে তোমাদের পরিচালিত করেন, ততদিন অবশ্যই তাঁর কথা শুনবে, তাঁর নির্দেশ মানবে ও তাঁর প্রতি আনুগত্য করবে। আর যখন তিনি আল্লাহর কিতাবের বিপরীতে অবস্থান গ্রহণ করবে, তখন থেকে তাঁর কথাও শুনবেনা এবং তাঁর আনুগত্যও করা যাবেনা। সাবধান! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি থেকে বিরত থাকবে। জেনে রেখো, তোমাদের পূর্ববর্তীগণ এই বাড়াবড়ির কারণেই ধ্বংস হয়ে গেছে।

শিয়া-সুন্নি ভেদাভেদ শুরু হয়েছে রাসুলুল্লাহ(সঃ)এর ইন্তেকালের পর। শিয়াদের দাবী নবী করীম(সঃ) এর বংশ থেকে খলিফা নিযুক্ত হবেন সেই হিসেবে হযরত আলী (রাঃ) প্রথম খলিফা হওয়ার কথা। তাঁরা একথা দাবী করেন যে বিদায় হজ্জের ভাষণে নবী করীম (সঃ)হযরত আলী (রাঃ) কে অনুসরন করতে বলেছেন, যদিও সহিহ মুসলিম এর বর্ণনা আনুসারে এরকম কোন তথ্য পাওয়া যায় না। আর সুন্নিদের দাবী যেহেতু রাসুলুল্লাহ (সঃ) অসুস্থ হলে হযরত আবু বকর (রাঃ) নামাজের ইমামতি করতেন তাই রাসুলুল্লাহ(সঃ)এর ইন্তেকালের পর তিনি খলিফা হবেন। সৌদি আরব নিজেদের সুন্নি বলে থাকে কিন্তু তাঁরা কি আসলে সুন্নি? যে মতভেদের কারণে মুসলিমদের চরম দুর্দিন যাচ্ছে সেই ভ্রান্ত আকিদা সৌদি আরব পোষণ করছে। শুধু একই পরিবার থেকে তাঁরা বার বার নেতা নির্বাচিত হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে গর্দান কাটবে।

জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, বিদায় হাজ্জের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি লোকদেরকে চুপ করিয়ে দাও, তারপর তিনি বললেনঃ ‘আমার পরে তোমরা কাফির (এর মত) হয়ে যেও না যে, একে অপরের গর্দান কাটবে।
সৌদি সরকার এখন তাই করছে। সৌদি সরকার কি কাফের বলে গন্য হবে না?

আল্লাহ ব্যাতিত কারও কাছে মুখাপেক্ষী হওয়া যাবে না। কোন মাখলুক এর কাছে মুখাপেক্ষী হওয়া মানে কুফরি অর্থাৎ শিরক। আর সৌদি সরকার এমনকি প্রায় সকল মুসলিম দেশের সরকার আমেরিকার বা শক্তিধর দেশের মুখাপেক্ষী হয় নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য। তার মানে কি পরিষ্কার নয় যে সৌদি সরকার শিরক করছে। তাঁরা কি কাফের এর পর্যায়ে পড়ে না?
সৌদি যে কেমন খারাপ তা বাংলাদেশী সৌদি প্রবাসীরা ভাল ভাবেই টের পাচ্ছেন।

সৌদি সরকার বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ওমরা পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল হাসিনা সরকারের বিরোধিতা করার জন্য। যেই না হাসিনা সরকার সৌদি সরকারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমন জোটে যোগ দিল সঙ্গে সঙ্গে ওমরা পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল। এই জগন্য কাজ সৌদি সরকার কেমনে করল? সৌদি সরকার নিজেদের স্বার্থের জন্য ভ্রান্ত আকিদা পোষণ করছে। তাই তাঁদের কোন কথাও শুনবেনা এবং তাঁর আনুগত্যও করা যাবেনা।

বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসুল (সঃ) সাবধান বানী উচ্চারণ করে বলেছে, হে মানব সকল! নিশ্চয়ই তোমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ একজন, তোমাদের সকলের পিতা হযরত আদম (আঃ)। আরবের উপর অনারবের এবং অনারবের উপর আরবের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই, সাদার উপর কালোর আর কালোর উপর সাদার কোন মর্যাদা নেই। ‘তাকওয়াই’ শুধু পার্থক্য নির্ণয় করবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

রানার ব্লগ বলেছেন: ইসলাম থাকা না থাকা নিয়া উল্লেখিত কারো কোন সম্পৃক্ততা নাই। ইসলাম একক এবং প্রতিষ্ঠিত , এদের থাকা না থাকা কোন ভাবেই ম্যাটার করে না। আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন যেমন কারো মুখাপেক্ষী নন তেমনি আল্লাহ্‌ প্রেরীত ও নির্ধারিত জীবন ব্যবস্থা ইসলামো কারো মুখাপেক্ষী ও কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়।

যারা ভেবে থাকেন তারা ইসলাম রক্ষায় কাজ করছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। তাদের কে বলি ইসলাম ধর্মের তোমাকে দরকার নাই, তোমার ইসলাম ধর্ম কে দরকার তোমার নিজের প্রয়োজনে। পৃথিবী লোক শুন্য হয়ে গেলেও ধর্ম তার যায়গায় অবিচল থাকবে, কারোন ইসলামের এক মাত্র রক্ষা কর্তা স্বয়ং আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন। অবশ্যই তুমি নও। তুমি পালোনকারী।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

তাল পাখা বলেছেন: রানার ব্লগ বলেছেন: ইসলাম থাকা না থাকা নিয়া উল্লেখিত কারো কোন সম্পৃক্ততা নাই। ইসলাম একক এবং প্রতিষ্ঠিত , এদের থাকা না থাকা কোন ভাবেই ম্যাটার করে না। আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন যেমন কারো মুখাপেক্ষী নন তেমনি আল্লাহ্‌ প্রেরীত ও নির্ধারিত জীবন ব্যবস্থা ইসলামো কারো মুখাপেক্ষী ও কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়।

যারা ভেবে থাকেন তারা ইসলাম রক্ষায় কাজ করছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। তাদের কে বলি ইসলাম ধর্মের তোমাকে দরকার নাই, তোমার ইসলাম ধর্ম কে দরকার তোমার নিজের প্রয়োজনে। পৃথিবী লোক শুন্য হয়ে গেলেও ধর্ম তার যায়গায় অবিচল থাকবে, কারোন ইসলামের এক মাত্র রক্ষা কর্তা স্বয়ং আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন। অবশ্যই তুমি নও। তুমি পালোনকারী।


জনাব, ইসলাম কার জন্য? কোরান কার জন্য আল্লাহ নাযিল করেছেন? আল্লাহ নবী পাঠিয়েছেন কার হেদায়েতের জন্য? বনের পশু পাথির জন্য না মানুষের জন্য?

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন যদি প্রয়োজন মনে করেন বনের পশু পাথির জন্য ইসলাম কে নির্ধারণ করতে পারেন। মানুষ হিসাবে আমাদের যা পারফর্মেন্স। আসল কাম বাদ দিয়া ইসলাম রক্ষার নামে যা কইরা বেরাচ্ছি , আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন আমাদের সহ্য করে আছেন তাই অনেক। এর আগে অনেক জাতি ধংসো হয়েছে এই বাড়াবাড়ির জন্য। তিনি বার বার সুজুগ দান করেছেন আর আমরা তা অপব্যবহার করে আসছি। অতএব সাধু সাবধান।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৩৫

বিদ্যুৎ বলেছেন: পড়ে মন্তব্য কারার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আপনারা ভাল থাকবেন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.