নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রী মিডিয়া/সাংবাদিকদের কাছে দেবতা!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

সব মানুষ জানলেও আমাদের দেশের সাংবাদিকরা বা সংবাদ কর্মীরা জানে না যে প্রধানমন্ত্রী একটি পদ/পদবি , যে পদে আমাদের মত রক্তে মাংসে গড়া মানুষ পদায়িত হন। হ্যাঁ মানি যিনি প্রধানমন্ত্রী হন তিনি হয়ত বিশেষ মর্যাদার মানুষ । কিন্তু তিনি যে খাবার গ্রহন করেন,ঘুমান, বিশ্রাম নেন, সংসার করেন, বাচ্চা লালন পালন করেন, মাতৃত্ববোধ সম্পন্ন, এ সবই তো মানুস্য প্রকৃতি বা নেচার। আমরা যারা অতি সাধারন মানুষ তারা হয়ত পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে ভান্ত্র ধারণা ধারন করতে পারি। কিন্তু যারা শিক্ষিত বা আলোকিত মানুষ তাঁরা কিভাবে গণ্ড মূর্খের মত হয়?
প্রায়ই অনেকের মুখে বলতে শুনি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বা মেয়ে ইত্যাদি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তো একটি পদ বা পদবি সেটি কি করে বাবা মা হতে পারে?
কিছু দিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা ছেলের জন্য বিরিয়ানি রান্না করেছিলেন। মিডিয়াতে কি তোলপাড়, যেন অসম্ভব ব্যাপার।
যেন নিজের ছেলে মেয়েদের জন্য কিছুই করতে পারবেন না। অথচ তিনি আর সব সাংবিধানিক পদাধিকারী ব্যাক্তির মত সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। যেমন বেতন, বোনাস, ছুটি ইত্যাদি। এমনকি তিনি সরকারী কাজ ফেলে অফিশিয়াল সময়ে দলীয় কর্মসূচী পালন করছে যা অনুচিত। অথচ রান্না করা, গোসল করা, খাওয়া, ঘুমানো এগুল মিডিয়া বা মিডিয়া কর্মীদের কাছে বিস্ময়কর ব্যাপার হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা ভ্যান গাড়িতে চড়ে নিজ গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। তাতেও আমাদের আবাল মিডিয়ার কাছে রীতিমত বিস্ময়কর! সাথে অতি তোষামোদি করতে গিয়ে রীতিমত মিথ্যাচার। একজন প্রধানমন্ত্রী সাংবিধানিক ভাবে নিরাপত্তা পাবে এতাই স্বাভাবিক। তিনি যেখানেই যাবেন রাষ্ট্র তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এবং ব্যাপারটা সেরকমই ছিল। তিনি যখন নিজ গ্রাম পরিদর্শন করতে ছিলেন রীতিমত নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁকে নিরাপত্তা দিয়েছেন যা ভিডিও চিত্রে দেখতে পাই। লিঙ্ক--
নিরাপত্তা ব্যাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজ গ্রাম ভ্রমন।
অথচ সংবাদের বলা হচ্ছে নিরাপত্তা ছাড়ায় তিনি নিজ গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। এখানে বিস্ময়ের কি আছে? বরঞ্চ বিস্ময়কর হল নিজ গ্রাম পরিদর্শন করতেও তাঁকে নিরাপত্তা নিতে হল। তিনি না চাইলেও রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাঁর যথাযথ নিরাপত্তা বিধান করা। আশাকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা সাংবাদিকেদের(অধিকাংশ) মিথ্যা তোষামোদে গুরুত্ব দিবেন না। আশাকরি তথাকথিত সাংবাদিকরা মাঝে মাঝে পুলিশের সাথে ধাক্কা ধাক্কি খাবে আর মহসিন সাহেবদের কাছ থেকে অশ্রাব্য বকা শুনবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

আবু ইউসুফ হেজাযি বলেছেন:

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

বিদ্যুৎ বলেছেন: একেবারে মিথ্যা বলেন নাই। হলুদ সাংবাদিকতা এতই বেড়ে গেছে যা অসহ্য।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: হলুদ সাংবাদিকতা এমন যে, আপনি জিবনে কোন দিন মদ খাননি অথচ তারা লিখবে " অমুক ব্যক্তিকে আজ মদ খেতে দেখা যায় নি"। বোঝেন ঠেলা। X(

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

বিদ্যুৎ বলেছেন: এটা অনেকটা সভ্য ভাষায় প্রতারণামূলক প্রচারণা। কিন্তু এখন প্রকাশ্যে রীতিমত মিথ্যাচার অথচ যা সমাজে সবার কাছে সত্য প্রতীয়মান। সবাই মন্দ নয় কিন্তু হলুদ ছাড়া তো সাদা কিছু দেখা যায় না সংবাদ মাধ্যমে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অথচ সংবাদের বলা হচ্ছে নিরাপত্তা ছাড়ায় তিনি নিজ গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। এখানে বিস্ময়ের কি আছে? বরঞ্চ বিস্ময়কর হল নিজ গ্রাম পরিদর্শন করতেও তাঁকে নিরাপত্তা নিতে হল। তিনি না চাইলেও রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাঁর যথাযথ নিরাপত্তা বিধান করা। আশাকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা সাংবাদিকেদের(অধিকাংশ) মিথ্যা তোষামোদে গুরুত্ব দিবেন না।

সম্ভাবনা শূণ্যে!

কারণ তোশঅমুদি তখনই বাড়ে যখন শীর্ষে তার কদর থাকে ;)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: সম্ভাবনা নাই বা শূন্য এটা অবশ্য বাস্তবতা এবং খুব কঠিন ব্যাপার। তবে আশাহত হতে চায় না। আমি আশাবাদী মানুষ তাই আশা করছি। তবে অন্যের ব্যাপারে আশা করা আসলে বোকামিও বটে!
ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.