নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন্মগত দোষ যেখানে গোলামীত্ব।

০৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:১৫

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি কথা খুব ব্যাপক ভাবে প্রচার হচ্ছে। গত কাল আওয়ামী সরকার দলীয় সাংসদদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম উদ্বোধন করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। দেশ নাকি ডিজিটাল কিন্তু সরকার আর সাংসদরা পুরোপুরি টাল। সোশ্যাল মিডিয়াতে উল্টাপাল্টা ছবি আর বেফাঁস মন্তব্য করে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করছে। তাই বিলম্ব হলেও এই সব টালদের লাইনে আনতে বিশেষ প্রশিক্ষণশালার আয়োজন করেছেন আমাদের জয় মামা। খুব ভাল উদ্যোগ। কিন্তু খবরটি এখানেই শেষ নয়। কর্মশালা শেষে জয় মামা দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে একটি মিটিং করে ছিলেন। জয় মামা নাকি সভার মূল চেয়ারে বসতে চাননি, কারণ পদাধিকার বলে সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের ছিলেন মূল চেয়ারের মেহমান আর সিনিয়র নেতাদের সম্মান দেখাতে। আর সিনিয়র কেউ বসার সাহস দেখায়নি কারণ জয় মামা আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী। কেউ বলতে চাচ্ছে জয় মামা সিনিয়রদের সম্মান করে। কেউ বলছে উল্টা কথা। এখন বাস্তবতা তো মানতে হবে তাই না? জয় সেখ হাসিনার পুত্র বলে কি সিনিয়রদের সম্মান করবেন না? আবার পদ পদবি হারানোর ভয়ে কে সাহস দেখায় মূল চেয়ারে বসতে। জনাব কাদের সাহেব বেশ সজ্জন ব্যাক্তি কিন্তু আনুকূল্য পেতে অতি ভক্তি শ্রদ্ধা দেখাতেও বেশ পটু। মন্ত্রী হিসাবে তিনি এবং প্রায়াত সুরঞ্জিত বাবু এক সাথে শপত গ্রহন করেন। সেদিন জনাব কাদের সাহেব সেখ হাসিনার পা ছুয়ে সেলাম করেছিলেন। যত দূর জানা যায় সেখ হাসিনা এবং কাদের সাহেব একই ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। শুধু আনুকূল্য পেয়ে সেদিন যে ভাবে পা ছুয়ে সেলাম করেছিলেন তা দেখে পাশেই সুরঞ্জিত বাবু বেশ বিব্রত ছিলেন যে তিনি এখন কি করবেন। শেষতক তিনি সেখ হাসিনার পা ছুয়ে সেলাম করেননি এবং সেই আনুকূল্য আর বেশি দিন টিকে নাই কারণ টেলিভিশনে সরাসরি অনেকে দেখেছেন তিনি নেত্রীর পা ছুয়ে সেলাম করেননি। মাত্র ৩০-৪০ লাখ টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগে মন্ত্রিত্ব শেষ। অথচ সেখ হাসিনার আশেপাশে কত লোক আছেন যারা কোটি কোটি টাকা আত্নসাধ করে বসে আছে ভাল তবিয়তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে। ঠিক লতিফ সিদ্দিকি জয় মামার বিরুদ্ধে মন্তব্য করে শুধু মন্ত্রিত্ব নয় পুরো রাজনিতিক ক্যারিয়ার শেষ। অনেকে হয়ত বলবেন না লতিফ সিদ্দিকি ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলায় তার পদ হারিয়েছেন। আসলে কি তাই? তাহলে কি বলবেন যেখানে আওয়ামীলীগ নাস্তিক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। সবাই জানে আসলে কি কারণে লতিফ সিদ্দিকি শেষ। তাই কার এত সাহস আছে জয় মামার সামনে সিনিয়র বা প্রোটোকলে বড় বলেই তিনি সভার মূল চেয়ারে বসবেন। কে চাই সুরঞ্জিত বাবু আর লতিফের মত পদ পদবী হারাতে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আসলে কী হয়েছে, পোস্টে কারেন্ট আছে।



(কেমন আছেন, ডেঅফে আসলে খবর করবেন, আমিতো বেকার। বসে বসে কোমরে ব্যথা)

০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইসাব। আগামীকাল সময় পেলে দেখা করার চেষ্টা করব।

২| ০৮ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি অপেক্ষা করব।

মজার বিষয় কী জানেন, লেখকরা বই প্রকাশ করে আক্ষিপ্ত হয় যখন শুনে আমি বই প্রকাশ করি। (হাহাহাহাহা)

১৯ শে মে, ২০১৭ ভোর ৫:২৮

বিদ্যুৎ বলেছেন: চালিয়ে যান লেখক প্রকাশক এবং সম্পাদক সাহেব। সর্বদা শুভ কামনা আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.