![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ
মার্কিন গবেষণা সংস্থা আইআরআই গত ২০১৫ সালে তাদের এক জরিপের ফল প্রকাশ করেছিল আর তাই নিয়ে বাংলাদেশে সরকার দল ও বিরোধী পক্ষের রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। কারণ জরিপের বিষয়বস্তু বাংলাদেশের রাজনীতি। জরিপে দেখা গেছে সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে! পক্ষান্তরে বেশির ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে। তাহলে ব্যপারটা কি হল? ভারী মুশকিল আসলে কাদের মাথা খারাপ আমাদের রাজনীতিবিদদের, আইআরআই নাকি আমরা জনগণের যারা জরিপে অংশগ্রহণ করেছিল। এবারও একটি আওয়ামী লবিস্টদের আশীর্বাদ পুষ্ট একটি সংস্থা ১৮ কোটি জনগণ থেকে মাত্র ১ হাজার জন লোকের সরাসরি সাক্ষাৎকার নিয়ে এরকম একটি জরিপ প্রকাশ করেছে। তাতে সরকারের দিকে পাল্লা ভারী। সরকার খুব আগ্রহের সাথে লুফে নিল আর প্রচার করতে থাকল। সরকার তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায় কেন? আমরা বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে রাজনীতিবিদরা বিদেশী সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন মাধ্যম গুলোকে বেশি প্রাধান্য দেয় কোন সত্যতা বা যথার্থতা ছাড়ায়। কারণ আমরা পরের গোলামী করতেই বেশি ভালবাসি। আর যদি সেই বিদেশী সংস্থা কাহারও পক্ষে বলে তাহলে তো কোন কথায় নেই।
৭ই মার্চ ২০১৫ সাল, আমি বাংলাদেশের জন্য উত্তাল মার্চ কেমন গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ব মিডিয়াতে তাই দেখার জন্য বিশ্বের নামকরা কিছু সংবাদ মাধ্যমে নজর দেয়। নামকরা প্রতিষ্ঠান বিবিসি’র নিউজ ওয়েব সাইটে কিঞ্চিৎ চোখ বুলিয়ে আমি রীতিমত হতবাক। যে মহান মুক্তিযুদ্ধের অস্তিত্ব, গৌরব অন্তরে ধারণ করে তিলেতিলে বেড়ে উঠেছি সেই মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে অসত্য তথ্য বছরের পর বছর প্রচার করে যাচ্ছে এই বিশ্ব মিডিয়া বিবিসি। প্রথমে দেখে প্রচণ্ড দেশ প্রেমের কারণে ক্ষিপ্ত হলেও ভাবলাম হয়ত অনাকাঙ্ক্ষিত ভূল করেছে তারা, তাই বেশ নমনীয় ভাবে একটি ইমেইল করি বিবিসি কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু স্টুয়ার্ড ওয়েব নামে একজন আমাকে যে উত্তর দিয়েছিলেন তাতে আমি ক্ষিপ্ত না হয়ে আর থাকতে পারলাম না, তাই এবার কড়া ভাষায় তার প্রতিবাদ করি এবং ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য প্রকাশের কারণ জানতে চাই আর সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত কিছু দলিল দেয়। তখন আমার মনে হয়েছিল তারা আসলে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভূল তথ্য প্রকাশ করেছে। পরে তারা উচ্চতর উপদেষ্টা কমিটিতে গবেষণা ও পর্যালোচনা করে। শ্যেন মস নামে বিবিসি অভিযোগ বিভাগের উপদেষ্টা তাঁদের ভূলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে একটি সংশোধনী ফিরতি ইমেইল পাঠায় আমাকে ঠিক ২৭ই মার্চ তারিখ থেকে দীর্ঘ বিশ দিন পর। সেদিন যে কত উল্লাসিত হয়েছিলাম তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তবে মনে হয়েছিল যেন নতুন ভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন করলাম! যায় বলি না কেন, আমরা সবাই যে এই বিশ্ব মিডিয়া কে খুব গুরুত্ব দেয় কারণ তাঁদের প্রতিবেদন বা জরিপ যদি আমাদের সরকার এর পক্ষে যায়। তারা যা প্রচার বা প্রকাশ করে তা মানুষ সত্য বলেই ধরে নেয়। বিবিসি ভূল তথ্য প্রকাশ করেছিল যে ‘১৯৭১ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ নামে একটি দেশের জন্ম হয়’। তাহলে বলুন তো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, লাখ লাখ শহীদ, গণহত্যা, দুই লাখ মা-বোনের সম্রম্ভ হরণ কোথায় গেল?
এখন বিবিসি'র ওয়েব সাইটে বাংলাদেশ এর জন্ম ইতিহাস শোভা পাচ্ছে যে ‘১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামে এক স্বাধীন দেশের জন্ম হয়।‘ তাই শুধু বিদেশী সংস্থা, মিডিয়া বা কোন মাধ্যম কি প্রচার করল তা ভাল করে যাচায় করি তারপর তা মূল্যায়ন করি। এখন সময় নিজেদের সমস্যা নিজেদের সমাধান করার। তাই সবার উচিৎ নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিবার,সমাজ এবং রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হই। আমি রাজনীতি করিনা বলে অসৎ লোকদের জন্য রাজনীতির মাঠ ফাঁকা রাখা যাবে না। আমরা রাজনীতি করিনা বলেই আমাদের নিয়ে অন্যরা নোংরা রাজনীতি করে। সব দলই বলে আঠার কোটি জনগণ আমাদের সাথে আছে।
২০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬
বিদ্যুৎ বলেছেন: খুবই নির্মম।
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬
এম আর তালুকদার বলেছেন: অামার "আমি রাজা" কবিতার প্রেক্ষাপট এটা। জোর যার মুল্লুক তার এটাই সত্য।
২০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
বিদ্যুৎ বলেছেন: হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছে।
আমি রাজা
তোরা করবি আমার কি?
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:১৩
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: এটা সেই আওয়ামিলীগ যাদের জনগণের রক্তের ওপরে তাদের রাজত্য।