![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ
দেশ স্বাধীন হল। সুবিধাবাদী, পালাতক, আত্নগোপনে থাকা সবাই উড়ে এসে জুড়ে বসলেন ক্ষমতায়। দেশ স্বাধীন হল ঠিকই কিন্তু জনগণের ভাগ্যে নেমে আসলো ঘোর অন্ধকার। সেই সময়ে ক্ষমতা লোভী সরকারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গঠিত হল রক্ষী বাহিনী,দলীয় ক্যাডারদের নিয়ে গঠিত হল আরও হরেক রকমের লাল নীল বাহিনী। একদিকে দেশে খাদ্য সঙ্কট অন্যদিকে নিজের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য শেখ মুজিব নিষিদ্ধ করল সকল রাজনৈতিক দল, এমনকি নিজের দল আওয়ামীলীগ সহ সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। জন্ম দিল একদলীয় বাকশাল, বন্ধ করল ভিন্নমতালম্বী সকল সংবাদ মাধ্যম। রুদ্ধ করা হল বাক স্বাধীনতা। যখন দেশের জাতীয় সরকার জরুরী ছিল, ঠিক সেই সময় শেখ মুজিব গঠন করেছিলেন ভয়ংকর বাকশাল। সন্ত্রাস, ধর্ষণ, লুটতরাজ, ব্যাংক লুট, এমন কোন হেন কাজ নেই যা বাকশাল সরকার করেনি। দেশ এক মহা সঙ্কটে পতিত হল শুরু হল দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা। মূলত ক্ষমতা আর লুটপাটের ভাগবাটোয়ারা কেন্দ্র করে তৎকালীন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোস্তাক আহমদের নেতৃতে কিছু সেনাবাহিনীর অফিসারের বল প্রয়োগে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব নিহত হন। ঘটনা পরিক্রমায় বিশৃঙ্খল জাতিকে শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনতে আবারও মেজর জিয়াউর রহমান হয়ে ওঠেন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। ৭ই নভেম্বর ১৯৭৫ সাল এক ঐতিহাসিক দিনে সিপাহী জনতা ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে মেজর জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেন। ৭ই নভেম্বর সকালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ রেডিওতে জাতিকে দিক নির্দেশনামূলক ভাষণ দেন। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সফল সিপাহী জনতার বিপ্লব ও রেডিওতে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক জিয়ার কণ্ঠস্বর শুনে হাজার হাজার মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়ে নেমে এসেছিল রাজপথে যেমনটি ১৯৭১ সালে তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির অঙ্গীকার নিয়ে জিয়া আবার জাতির নেতৃত্বে ফিরে আসেন। আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের ম্যাগন্যাকারটা বা মুক্তির সনদ ঘোষণা করেন। যা সবার কাছে ১৯ দফা নামে পরিচিত। এই ১৯ দফা কর্মসূচির জন্য ১৯৭৭ সালে ৩০শে দেশে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এক কোটি ৯২ লক্ষ ৯ হাজার ৬০ ভোটের মধ্যে এক কোটি ৮৯ লক্ষ ৯২ হাজার ৯৩ হ্যাঁ সূচক ভোট দিয়ে মানুষ ১৯ দফা কর্মসূচির প্রতি নিরঙ্কুশ সমর্থন ব্যক্ত করে।
শুধু বাংলাদেশে মানুষের কাছে নয় আন্তর্জাতিক ভাবেও জিয়ার নেতৃত্ব ছিল প্রশংসনীয় বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের কাছে জিয়া ছিলেন এক অবিসংবাদিত নেতা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের যখন একটি সর্বদলীয় সরকার দরকার ছিল দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য, ঠিক সেই সময় শেখ মুজিব বিরোধী মত বা রাজনৈতিক দল সমূহ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেন। জাতির মধ্যে ভয়ঙ্কর এক বিভাজন সৃষ্টি করেন শেখ মুজিব। শুধু তাই নয় নিজের দলের প্রগতিশীল নেতাদের কোণঠাসা করে রাখেন, আর প্রতিক্রিয়াশীল নেতাদের বুকে টেনে নেন। অবশ্য এই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর হাতেই শেখ মুজিব নির্মম ভাবে নিহত হন। অন্যদিকে জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিলেন নির্লোভ ও সজ্জন ব্যাক্তি। ক্ষমতার প্রতি তাঁর কোন লোভ লালসা ছিলনা। তিনি যদি খমতালিপ্সু হতেন তাহলে তিনি অনেক আগেই রাষ্ট্র ক্ষমতা নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেন নাই। সময়ের প্রয়োজনেই সিপাহী জনতা মেজর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন করেন। জিয়াউর রহমান ছিলেন প্রখর ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন এবং সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের অধিকারী। তাঁর ব্যাক্তিত্ব, সততা, নিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতা দেখে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বলেছিলেন ‘তাঁর মত স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিমুক্ত নেতা আর দেখেননি’। এ থেকে পরিস্কার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কেমন সৎ ও বলিষ্ঠ নেতা ছিলেন তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবদ্দশায়।
চলবে-----------
৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৪:৪৯
বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্বাধীনতাযুদ্ধে মেজর জিয়ার বিরাট অবদান ছিলো; পরে উনি আইয়ুব খানের পুত্র হিসেবে, কিংবা সিআইএ'এর টার্গেটে পরিণত হয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযু্দ্ধের স্বপ্নে লাথি মেরে, দেশকে সিআইএ'এর ইচ্ছানুসারে গলাকাটা ক্যাপিটেলিজমের পথে নিয়ে গেছেন; ফলাফল, উনার মানসিক রোগী ছেলে, কোকো বিলিওনয়ার হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা রিকসা টেনেছেন, মেজর মান্নানরা শিল্পপতি হয়েছেন, যারা বাংলাদেশের বিরোধীরা করেছিল, তারা বাংলাদেশ চালায়েছে; পিন্টু, খোকা আব্বাসরা লুন্ঠন চালায়েছে, জামাতী রাজাকাররা মন্ত্রী সভায় এসেছে, তারেক মামুন মাল্টি বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়ী হয়েছে; মানুষ সৌদীতে উট চরাচ্ছে, ভুমধ্য সাগরে ডুবছে।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৪:৫৫
বিদ্যুৎ বলেছেন: এখন কোন তথ্য প্রমাণ দিয়ে যুক্তি না দেখাতে পেরে নিজেই তার আপির সাথে গরুর রচনা লেখছে। আপনাদের পিতাকে তো আপনারা যারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের গোলাম তারাই তো হত্যা করেছেন। শুধু গরুর রচনা কপি করে দিলে চলবে না। কিছু ইনপুট নেন তারপর আউটপুট দেওয়ার চেষ্টা করেন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১০
এম আর তালুকদার বলেছেন: ব্যাক্তিত্ব, সততা, নিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতা দেখে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বলেছিলেন ‘তাঁর মত স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিমুক্ত নেতা আর দেখেননি’। এ থেকে পরিস্কার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কেমন সৎ ও বলিষ্ঠ নেতা ছিলেন তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবদ্দশায়।
স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক...