নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্যই জাতীয়তাবাদী শক্তির জন্ম।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১


আমি একজন বাংলাদেশী সেই জন্য আমি খুব গর্বিত। আমি আরও বেশি গর্বিত যমুনা নদীর অববাহিকায় করতোয়া,ইছামতি,বাংগালী নদীর আবহমান প্রবাহে বুক চিতিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা জনপদ সিরাজগঞ্জে নাড়ী পোতা একজন দাবীদার, নগণ্য মানুষ। যে জনপদে যুগে যুগে জন্ম নিয়েছে অনেক উর্বর মস্তিষ্কের মহা মানব মানবী। রাজনীতি, আন্দোলন-সংগ্রাম, সাহিত্য, সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রে এগিয়ে এই জনপদ। রাজনীতি, সাহিত্য, সংস্কৃতি আর লেখালেখির সাথে আমিও কিছুটা জড়িত। দেশে বিদেশে আমার অনেক বন্ধু সহপাঠী, সহকর্মী এবং শুভানুধ্যায়ী আছে। আমি অনেক সময় নিজেকে আবিষ্কৃত করেছি এক অজানা রাজ্যে। অনেক সময় আড্ডায়, আলোচনায় বা কাহারও সাথে পরিচিত হতে নিজের নাম আর এলাকার নাম বলতে হয়। দুঃখজনক বিষয় হল অনেকে আমার এলাকার নাম ভাল ভাবে জানেনই না। সিরাজগঞ্জের নাম শুনে মনে হয় আকাশ থেকে পরে! হতে পারে তাঁরা কিছুটা ঈর্ষান্বিত হয়ে সিরাজগঞ্জ নাম জানেনা বলে ভান করে, অথবা তাঁরা সত্যি জানেনা। তবে যেটাই হোক না জানা কোন দোষের কিছু নয়,তবে কিছু কিছু বিষয় আছে না জানা তাঁদের অযোগ্যতা। এটা আমার আপনার সবাই জন্যই প্রযোজ্য। সে যাইহোক আমি খুব নিরহঙ্কারী মানুষ তবে এই ক্ষেত্রে আমি খুব অহংকার করে বলি যে, আমি জননেতা মাওলানা ভাসানী, ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন, নজিবর রহমান সাহিত্য রত্ন,ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ক্যাপ্টেন মন্সুর, শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ এর সিরাজগঞ্জের মানুষ। এই রকম উর্বর মস্তিষ্ক আর সৎ সাহসী মানুষের জন্মভূমি সিরাজগঞ্জ। আর আমি সেই বিশেষ অঞ্চলে জন্ম নিয়ে অহংকার করব না তাইকি হয়? আরও অনেকে আছেন সময়ে লিখব। মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, ১৯৪৭ সৃষ্ট পাকিস্তান এবং ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি তাঁকে মজলুম জননেতা করেছে। গত ৮ই অক্টোবর ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী ছিল কিন্তু রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ভাবে তাঁকে নিয়ে তেমন কোন আলোচনায় হয়নি। অথচ আজ এই যে বাংলায় কথা বলছি, লিখছি তা কিন্তু এই ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন এর-ই অবদান। যদি তিনি ভাষা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন না করতেন তাহলে আমাদের বাংলা ভাষায় কথা বলার কোন অধিকার থাকত না। দেশ পেয়েছি, রাজনৈতিক দর্শন পেয়েছি মজলুম জননেতা ভাসানীর অবদানে। ভাষা পেয়েছি ভাষা মতিন এর কারণে আর আমাদের ভাষা সংস্কৃতি সমৃদ্ধ করার কাজে স্বাক্ষর রেখেছেন নজিবর রহমান, ইসমাইল, আব্দুল্লাহ আল মতি’র মন অনেকে। ভাষা পেয়েছি, অধিকার পেয়েছি কিন্তু স্বৈরাচার এরশাদ আমাদের মুখে কালো টেপ এঁটে দিয়েছিল। রুদ্ধ করেছিল গণতন্ত্র। কিন্তু থেমে থাকেনি জাতীয়তাবাদী শক্তি। বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন সব জাতীয়তাবাদী সৈনিকেরা। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে প্রাণ দিয়েছেন আমাদের ভাই জেহাদ। হ্যাঁ আমি সেই শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের কথা বলছি। যে শহীদ জেহাদ মানে বাংলাদেশ, যে শহীদ জেহাদ মানে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশ মানে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের কাছে ঋণী বাংলাদেশ। আমি এখন যাদের কথা বললাম শুধু আমার ঘরের মানুষদের কথা! এঁরা সবাই আসলে বিশ্ব মানবতার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা কামী সকল মানুষের ঘরের মানুষ। আমি একটু আত্নতৃপ্তি বোধ থেকে আমার ঘরের মানুষ বলে দাবী করছি। মহা মানুষগণ সব সময় সার্বজনীন।
যাইহোক একটু মূল্যবোধ, সময় ও অবস্থার প্রয়োজনে কিছু কথা বলতে হচ্ছে। জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী এঁরা কোন ভাবেই এক হতে পারে না। তাই দুইয়ের মধ্যে চলছে পারস্পারিক মূল্যবোধের লড়াই।
আওয়ামীলীগ অভিযোগ করে বলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র জন্ম হল ক্যান্টনমেন্টে। তারা বলতে চায় বিএনপি সেনাবাহিনীর তৈরি একটি দল আর আওয়ামীলীগ হল জনগণের তৈরি দল। জন্ম নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলতে পারেন কিন্তু কাজের সাথে মুল্যায়ন হবে একটি দলের মর্যাদা। আমি মানি আওয়ামীলীগ জনগণের মধ্যে জন্ম নিয়েছে, আওয়ামী-লীগের জন্ম মাওলানা ভাসানী হাতে। যে আওয়ামী-লীগে ভাসানী থাকতে পারে নাই সেই আওয়ামী-লীগ জনগণের আওয়ামী-লীগ হয় কি করে? সবচেয়ে ভয়ংকর তথ্য হল বাংলাদেশে যতগুলো ষড়যন্ত্র হয়েছিল গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য সবগুলো ষড়যন্ত্রের সাথে আওয়ামীলীগ প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রে তা প্রতীয়মান হয়েছে। ৯০’র গণআন্দোলনে আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সব দল যখন স্বৈরাচার এরশাদ পতনের জন্য রাজপথে তীব্র আন্দোলন করছিল ঠিক সেই সময় আওয়ামীলীগ জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে স্বৈরাচার এরশাদের সাথে হাত মিলিয়ে পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, ঠিক তেমনি ভাবে আমরা ১/১১ একই চিত্র দেখেছি। মইনুদ্দিন, ফখরুদ্দীন এর সাথে গোপন ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়ে ক্ষমতায় যায়। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর তথাকথিত নির্বাচনও ছিল এই গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্রমূলক, প্রহসনের নির্বাচন। অন্যদিকে বিএনপি সব সময় গণতন্ত্র বা বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে ১০ই অক্টোবর স্বৈরাচার এরশাদ পতনের জন্য আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া থেকে ৬০ জন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা নিয়ে ঢাকা আসেন স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা নাজির উদ্দিন জেহাদ । যোগ দেন দূর্বার গণ আন্দোলনে রাজপথে অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক হিসেবে। গণ আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতাচুত্য হওয়ার তীব্র আশঙ্কায় তার পেটোয়া পুলিশ বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দেয়। পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পরে নাজির উদ্দিন জেহাদ।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের আরেকজন অন্যতম শহীদ ডাঃ মিলনের লিখে যাওয়া ডাইরী থেকে ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায় মত্যুর আগে জেহাদের দৃপ্ত উচ্চারণ ছিল----
“আমি এসেছিলাম সামরিক স্বৈর সরকার উৎখাতের জন্য। আমি মৃত্যু পথযাত্রী। আমি তার পতন দেখে যেতে পারলাম না। আমার মৃত্যু তখনই স্বার্থক হবে ও আমার আত্মা শান্তি পাবে, যখন আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈর সরকারের পতন হবে।”
আমরা চে’র মৃত্যুতে অপরাধী বোধ করি কিন্তু শহীদ জেহাদ, শহীদ ডাঃ মিলনের মত হাজারো নিঃস্বার্থ জীবন দান আমাদের বিবেক অপরাধী বোধ করে না। আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি বটে! গণতান্ত্রিক দেশ মানে শুধু পাঁচ বছর পর পর একটি হানাহানি যুক্ত বা মুক্ত নির্বাচন নয়। শহীদ জেহাদ যে গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে তা হল সকল ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র। আজ ১০ই অক্টোবর শহীদ জেহাদ দিবস। কোন দল বা সংগঠন তেমন উল্লেখ করার মত কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অন্তত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে জাতি আশা করে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচীর মাধ্যমে শহীদ জেহাদ দিবসকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য। ২০১০ সালে সিরাজগঞ্জে শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন, আপোষহীন দেশনেত্রী, সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এইরকম অকুতোভয় শহীদের নিয়ে আলোচনা সভা সমাবেশ হলে মানুষ উদ্বুদ্ধ হয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে। ২০১০ সালে সেই সমাবেশের জনস্রোত দেখে বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী, স্বৈরাচার, ১/১১তে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনা সরকার পরিকল্পনা করে সমাবেশে আসা মানুষের উপর চলন্ত ট্রেন উঠিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করে সেই বিশাল সমাবেশ পন্ডু করতে চেয়েছিল। স্বৈরাচার সরকার সব সময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভয় পায়। সেই ধারাবাহিকতায় দেশের জনগণ এই অবৈধ সরকারের স্বৈরতন্ত্রে গুম, খুন, হত্যা, ধর্ষণ, দুর্নীতি ও নিপীড়নের জালে বন্দি। জুলুম অত্যাচার যতই আসুক আজকে শহীদ জেহাদ দিবসে দীপ্ত প্রতিজ্ঞা নিয়ে স্বৈরাচার ও জুলুম বাজ সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার সরকার পতন করে শহীদ জেহাদের আত্মার শান্তি ও তাঁর আত্নত্যাগ সার্থক করতে হবে। তবে ভুলে গেলে চলবে না যে, জাতীয়তাবাদী শক্তিকেই গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে হবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাদের গনতন্ত্রের সংজ্ঞা হল গ্রেনেড মেরে বিরোধী দলকে হত্যা করে জর্জ মিয়াকে দোষী বানানো

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

বিদ্যুৎ বলেছেন: এটা তো আপনাদের চরিত্র। মন্তব্যেই বুঝা যায়। না পড়ে শুধু বিরোধিতা করার জন্য এই ধরনের মন্তব্য। পড়ে দেখুন। সহমত না হতে পারেন কিন্তু কিছু জ্ঞান লাভ করতে পারবেন।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে অল্প সময়ে জনগণের কাছে ক্ষমতা ছাড়ার রেকর্ডটাও আপনাদেরই দখলে,
যারা ১০% (টাটা কোম্পানির) রাষ্ট্রীয় শেয়ার নিজেদের কোম্পানির নামে করার সিদ্ধান্ত দেয়, তাদের কাছেই বুঝি গণতন্ত্র, দেশপ্রেম!!!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০২

বিদ্যুৎ বলেছেন: সেটা দেশ ও জনগণের স্বার্থেই ছাড়া হয়েছিল। এখনকার মত গুম খুন ধর্ষণ, দুর্নীতি, বিশেষ করে বিরোধী মতের লোকজনকে ধরে নিয়ে হত্যা ও গুম করে ত্রাসের রাষ্ট্র কায়েম করা হয়নি। বিএনপি যদি আওয়ামীলীগের মত এমন হীন কাজ করত তাহলে মনে হয় আপনি খুব খুশি হতেন? আপনার মন্তব্যে মনে হচ্ছে আপনি খুন খারাপি পছন্দ করেন। ভুলে গেলে চলবে না যে, সব কিছুর সমাপ্তি আছে।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

কালীদাস বলেছেন: =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.