নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যার মনে যা ফাল দিয়া ওঠে তা!!!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:০০



বর্তমানে যে মিডিয়া সন্ত্রাস রাষ্ট্র পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে তা একেবারে অস্বীকার কেউ করতে পারবে না। মাসুদা ভাট্রি সেই মিডিয়া সন্ত্রাসের একটি নটী মাত্র। কথায় আছে চোরের মায়ের বড় গলা। মাসুদা ভাট্রির ক্ষেত্রেও তাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ সে নিজে পাকি বিয়ে করে বিলেতে নাগরিকত্ব নিতে চেয়েছিল কিন্তু পাকির কিছুদিন গুতা খেয়ে ব্যর্থ হয়ে তসলিমা নাসরিনের সাহায্য নিয়ে সে ব্রিটেনে নাগরিকত্ব লাভ করে। অথচ এই মাসুদা হচ্ছে এখন সবচেয়ে বড় চেতনাবাজ। চেতনাধারীদের আমি অবশ্যই সম্মান করি কিন্তু অতি চেতনাবাজদের ব্যাপারে আমি সকলের মত সন্ধিহান। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে বেশি চেতনাবাজ তার গায়ে ততবেশি পাকি প্রীতি দুর্গন্ধ।
সে যাইহোক অনেকের মত আমিও তসলিমা নাসরিনের আত্নজীবনী ক নিয়ে অনেক সমালোচনা করেছি। অনেকের মত না পড়েই শুধু শুনে শুনে সমালোচনা করেছি। কিন্তু বইটি পড়ার পর অনেকটা উপলব্ধি করেছি ব্যাপারটি। তবে আমি বলছিনা যে তার সব কথার সাথে আমি একমত। অনেক ভিন্নমত আছে কিন্তু বাস্তবতা তো মানতে হবে।
তসলিমা নাসরিন খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে একজন নারীবাদী লেখক হয়েও অন্য একজন নারীর চরিত্র নিয়ে কথা বলছেন। কারণ পরিষ্কার চরিত্রহীনকে চরিত্রহীন বলা অন্যায় নয়।

তসলিমা নাসরিন বলেছেন ২০০৩ সালে আমার আত্মজীবনীর তৃতীয় খণ্ড 'ক' যখন বাংলাদেশে বেরোলো,আমি কেন নারী হয়ে দেশের এক বিখ্যাত পুরুষের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছি, আমি কেন নারী হয়ে নিজের যৌনতার কথা লিখেছি, সারা দেশের নারী-বিদ্বেষী আর ধর্মান্ধ মৌলবাদি গোষ্ঠি উন্মাদ হয়ে উঠলো আমাকে অপমান আর অপদস্থ করার জন্য, আমাকে অবিরাম অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালি তো দিতেই লাগলো, আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে শুরু করলো, সেই মিছিলে সামিল হলো মাসুদা ভাট্টি। আমার বিরুদ্ধে এ যাবৎ প্রচুর কুৎসিত লেখা লিখেছে লোকে, সর্বকালের সর্বকুৎসিত লেখাটি লিখেছে মাসুদা ভাট্টি। সবচেয়ে জঘন্য, সবচেয়ে অবিশ্বাস্য, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর, সবচেয়ে নোংরা ,সবচেয়ে নিকৃষ্ট, সবচেয়ে বীভৎস সে লেখা। এত ভয়াবহ আক্রমণ আমার চরমতম শত্রুও আমাকে কোনওদিন করেনি। ক বইটি নাকি ল্যাম্পপোস্টের নিচে বসে শরীরে ঘিনঘিনে ঘা ওলা রাস্তায় পড়ে থাকা এক বুড়ি বেশ্যার আত্মরতি।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন হয়ত মাসুদাকে প্রকাশ্যে চরিত্রহীন বলায় নিজেকে অনেকের কাছে বিতর্কিত বিষয় করেছেন কিন্তু মাসুদা যে চরিত্রহীন এটা তো সত্য। কাহারও সাথে অবৈধ যৌনাচার করলে শুধু চরিত্রহীন বলা হয়না। মাসুদা কিন্তু ততটা বিব্রতবোধ করেনি যখন তাকে চরিত্রহীন বলেছিল। কিন্তু কি কারণে জানি ৫৫জন সাংবাদিক ও সম্পাদক মাসুদাকে অবৈধ যৌনাচারকারী মনে করেছেন।

কিছু তথাকথিত বিশিষ্ট এখন পুরুষ থেকে নারী হওয়ার জন্য উতলা হয়ে গেছে। পুরুষবাদী যদি ভাল না হয় তবে অবশ্যই নারীবাদীও ভাল নয়। কথায় বলবে নারী পুরুষ সমান আবার কোন পুরুষ কোন নারীর মুখোশ উন্মোচন করে তাকে পুরুষ বাদীর তকমা লাগাবে আবার কোন নারী যদি কোন পুরুষের মুখোশ উন্মোচন করে তাহলে কেন নারীবাদী অপবাদ দেওয়া হবে।

অতএব নারীবাদী পুরুষবাদী নয়। যে যতটুকু দোষী সে কথা বলুন। এখানে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মাসুদাকে চরিত্রহীন বলায় তথাকথিত নারীবাদীরা নারী লাঞ্ছনার কথা বলে বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছেন তারা কি পুরুষবাদীর অপর পিঠ হয়ে গেল না?

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: কিন্তু মাসুদা যে চরিত্রহীন এটা তো সত্য।
কারও চরিত্র নিয়ে সমালোচনা ব্লগ মাধ্যমে সঠিক নয়।
মিডিয়া জগত আর রাজনীতির কুশলীবদের চরিত্র নিয়ে সমালোচনা
মহাভারত লেখা যায়।
...................................................................................
তবে ব্যক্তিগত আক্রমন অবশ্যই বর্জনীয়

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫

বিদ্যুৎ বলেছেন: হ্যাঁ ব্যক্তিগত আক্রমণ শুধু ব্লগে নয় সব জায়গায় বর্জনীয় কিন্তু কাহারও মুখোশ উন্মোচন করা কিন্তু বর্জনীয় নয়। আর আমি এখানে কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি শুধু একটি নিশ্চিত সত্য তথ্য উপস্থাপন করেছি মাত্র।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: দেশে বড় বড় সমস্যার অভাব নাই। আমরা তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ব্যস্ত।
বিচিত্র সেলুকাস!!!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

বিদ্যুৎ বলেছেন: ঘটনা হয়ত তো তুচ্ছ কিন্তু এরকম দ্বৈত নীতি তো সমাজকে কুলসিত করছে। আপনি দেখেন নারীবাদী পুরুষবাদী ছুতা দিয়ে একে অপরকে কিভাবে ঘায়েল করতে চাচ্ছে। এক নারীর হয়ে শতশত তথাকথিত বিশিষ্ট জনের বিবৃতি আবার অন্য কোন নারীর জন্য তারাই বর্বর ধিৎকার জানাচ্ছে। ধন্যবাদ

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

কে ত ন বলেছেন: মইনুল হোসেন মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলেছিলেন, পরে আবার দুঃখ প্রকাশ করেছেন, ব্যাপারটা ওখানে মিটে গেলেই সবার জন্য ভালো ছিল। কিন্তু লেবু বেশি চেপার ফলে এখন যা হয়েছেঃ
- মাসুদা এক পাকি বিয়ে করেছিল, তার কাছ থেকে ডিভোর্স খেয়েছে, ফলে ব্রিটেনের নাগরিকত্ব হারিয়েছে, কি লজ্জা!
- পাকির প্রতি ভালোবাসা এখনও জিইয়ে রেখেছে, তার নাম নিজের নামের সাথে মাখিয়ে রেখেছে, কি লজ্জা!
- ব্রিটেনের নাগরিকত্ব ফিরে পাবার জন্য তাসলিমা নাসরিনের মত মহিলার হাতে পায়ে ধরেছে, কি লজ্জা!
- তাসলিমা নাসরিন মিথ্যার পর মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে ব্রিটেনের নাগরিক বানিয়েছে, কি লজ্জা!
- সেই তাসলিমার বিরুদ্ধেই আবার বিষ ঢেলে দিয়ে লিখেছে, এ কী মানুষ, না কেউটে সাপ!

এখন মাসুদা ভাট্টির চরিত্র যে কতটা ফুলের মত পবিত্র - তা সবাই জানতে শুরু করেছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

বিদ্যুৎ বলেছেন: অনেকেই জানে কিন্তু এখন দেশবাসী সবাই জানল। ধন্যবাদ

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:১৭

শিখণ্ডী বলেছেন: এক বেশ্যা যদি মাস্টার সাহেবকে প্রশ্ন করে--স্যার গত রাতে আমার খদ্দেরকে বিদায় দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় মল্লিকদের পুকুরে কিছু করতে দেখলাম। আপনি কি তথায় মাছ চুরি করতে গিয়েছিলেন?

এখন মাস্টার সাহেব যদি চোখ গোল বলে তুমি একটা চরিত্রহীন। এটা কোনো উত্তর হল?

মাসুদা ভাট্টি কী করেছেন অতীতে বা এখনও কী করে চলেছেন, সেই কারণে মইনুল হোসেনের ইতরামী কিছুতেই জায়েজ হয়ে যায় না।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

বিদ্যুৎ বলেছেন: এখানে ব্যারিস্টার মইনুলের প্রতিউত্তর অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয় এবং আপনি হয়ত জানেন সে তাঁর বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। আমি এখানে বলতে চেয়েছি যারা নিজেদের বিশিষ্টজন বলে বিবৃতি দিয়েছে তাদের ব্যাপারে। কারণ তারা সব নারী লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে নয়, তারা কিছু কিছু নারীদের হয়ে বিবৃতি দেয়। তসলিমা সেই কথায় বলেছেন যেটা আমি এখানে উল্লেখ করেছি।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:২০

অনল চৌধুরী বলেছেন: এরা সবাই নষ্ট।শুধু নেতাদের দোষ দেয়া হয়!!!
কিন্ত সাহিত্য-সংস্কৃতি অার সাংবাদিকতা জগতের পরিচিত প্রায় সবাই অারো অনেক বেশী নষ্ট।
প্রমাণিত চোরকে চোর বলা,লম্পট,চরিত্রহীণ অার মাতালদের এসব বলা কোন অাইনে অপরাধ না।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

বিদ্যুৎ বলেছেন: সব ঠিক আছে। তবে জেনে শুনে চরিত্রহীনদের সাথে এরকম আলোচনা না করায় ভাল। এরা চরিত্রহীন নয় শুধু বলতে পারেন মিডিয়া সন্ত্রাসও বটে। সেইজন্য এত আলোচনা। প্রায় সবাই কমবেশি চরিত্রহীন কিন্তু রকমটা হয়ত ভিন্ন।

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:১০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অাইনে যদি অপরাধ না হয়ে থাকলে
আদালতের রায় নিয়ে ধরে আনল কেন?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

বিদ্যুৎ বলেছেন: এটাই তো কথা। ভাট্রি চরিত্রহীন এটা অনেকেই জানে, আমরা প্রায় সবাই কমবেশি চরিত্রহীন রকম ভেদে কিন্তু এখানে মূলত ভাট্রি শুধু চরিত্রহীন নয় একজন মিডিয়া সন্ত্রাসী।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৩৮

সোহানী বলেছেন: তো এ মাসুদা ভাট্টিকে টা কে????????????

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

বিদ্যুৎ বলেছেন: মাসুদা ভাট্রির অনেক পরিচয় আছে। আমি তাকে খাটো করে দেখছি না। সে পাকিস্তানী আসলাম ভাট্রির সাবেক স্ত্রী। সে একজন ব্লগার, সাংবাদিক এবং একজন সম্পাদক।

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:০৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: চরিত্র বলতে মানুষের ভালো গুণাবলিগুলোকেই বুঝায়। শুধু যৌনকর্ম নয়। ৫৫ সাংবাদিক সেটা বুঝতে ব্যর্থ নাকি কোনো মহলকে খুশি করতে এসব করেছে সেটা ভাববার বিষয়।

সোহানী আপু@ এই মাসুদা ভাট্টি সম্ভবত সামুর শুরুর দিকের একজন ব্লগার :)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

বিদ্যুৎ বলেছেন: হ্যাঁ, আমি এখানে সেই কথাটাই বলতে চেয়েছি। অনেক হয়ত বুঝতে পারে নাই তাদের তথাকথিত চেতনায় অন্ধত্বের কারণে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.