নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সততাই সুন্দর এবং সত্য

বিজন রয়

সততাই সুন্দর এবং সত্য

বিজন রয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৯


হে ঈশ্বর! আমাকে সৃষ্টি করা উচিৎ হয়নি তোমার?
বিসর্জন দৃশ্যের জন্য অপেক্ষা করিনিতো,
__মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
ওৎ পেতে থাকা দস্যুর সামনে__ মাথা উঁচু করে চিৎকার করেছিলাম
এটাই আমার__ "মুক্তির অঙ্গীকার"।

বহুকাল ধরে হেঁটে পৃথিবীর পথ ধরে__ প্রজন্মান্তরে এক একটি কাল জুড়ে
যেখানে হেঁটেছিল সভ্যতার এক মায়া হরিনী
পুরুষজাত আবিস্কারের খেলায়।
মহাকালের প্রাচীন বাতাসের আল্পনায় শৈল্পিক স্পন্দনে__
__যে নির্যাতিতা প্রশ্ন রেখে বলেছিল
আমি চিরকালীন আফসোস?
আমিই কি চিরদিনের নিঃশব্দ অশ্রুবিন্দু?

শীতের পাখিদের মতো আপন নিবাসে গুটিশুটি থাকিনি
প্রতিশ্রুতি সৃজাত মানবিক সভ্যতায় বিলীন হয়ে__শপথ করেছিলাম__
এটাই আমার__"ইতিহাস"।

কপাট বন্ধ করে নতুন ভোরের আশায় মাথা খুটে মরিনি
__অস্তিত্ব প্রকাশে দেবীপক্ষে__ধর্মঘরে প্রার্থনা শেষে
সকালের সূর্যে আলোকিত হয়ে বলেছিলাম__
এটাই আমার __"রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ"।


.

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬

সামছুল আলম কচি বলেছেন: এত এত অন্ডারস্কোর সাইন কেন ??
রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ; কবে- কোথায়- কিভাবে প্রকাশ সম্ভব ???!!!

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
কবিতা বুঝি না, ছাতা-মাথা এতো ভারী শব্দ দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা তো আরো আগেই বুঝি নাই।

বহুকাল ধরে হেঁটে পৃথিবীর পথ ধরে__ প্রজন্মান্তরে এক একটি কাল জুড়ে তবে এই একটা লাইন মনে ধরেছে।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার কবিতা দেখে পড়লাম।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

নজসু বলেছেন:




প্রিয় ভাই, আপনার আজকের কবিতাটি যেন নিজেকে চেনার এক আয়না! প্রতিটি পংক্তিতে শুধু প্রশ্ন তোলেননি, বরং ইতিহাস, অস্তিত্ব, অধিকার ও আত্মসম্মানবোধের গভীর ছায়াচিত্র এঁকেছেন।

'মুক্তির অঙ্গীকার' থেকে 'ইতিহাস', এবং শেষ পর্যন্ত 'রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ' প্রতিটি অধ্যায়ে যেন এক চিরপরিচত নারীর অন্তর্দহন, সংগ্রাম, এবং আত্মপ্রকাশের গল্প রচিত হয়েছে। 'আমি চিরকালীন আফসোস?' আহা! এই পংক্তিটি যেন শুধু প্রশ্ন নয়, যুগ যুগান্তরের লক্ষ কোটি বছরের এক আর্তনাদ।

বিশেষ করে, 'দেবীপক্ষে ধর্মঘরে প্রার্থনা শেষে' যে সাহসী উচ্চারণ উঠে এসেছে, তা যেন আমাদের সমাজে চলমান দ্বিচারিতার বিপরীতে এক বজ্রকণ্ঠ! স্যালুট জানাই কবি।

তবে, কবিতার ভেতরে যে ঘন ভাববস্তু রয়েছে, পাঠকের কাছে তা আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরলে ভালো হতো। আমার মতো নগণ্য পাঠকের জন্য একটু কঠিন হয়ে গেছে।

তবুও, এ এক অনন্য সৃষ্টি। সাহসী, বেদনাবিধুর, এবং অনুপ্রেরণামূলক।
শুভেচ্ছা।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার কবিতা।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনবদ্য কবিতা!

আমি কিন্তু একেবারে প্রথম লাইনেই আটকে গেলাম - "আমাকে সৃষ্টি করা উচিৎ হয়নি তোমার?" প্রথমে ভাবলাম, এটি স্বগতোক্তি।আপনি ঈশ্বরকে বলছেন, আপনাকে সৃষ্টি করা তার উচিত হয়নি। পরে দেখি, আসলে এটি প্রশ্ন। আপনি জানতে চাইছেন, আপনাকে সৃষ্টি করা উচিত হয়েছে কি হয়নি।

আপনার বিভিন্ন কাজকর্মের কথা শুনে ঈশ্বর শেষ পর্যন্ত কী উত্তর দিলেন, সেটা কিন্তু বোঝা গেল না। আর রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ বিষয়টা কি? ঈশ্বর সাহেব তো প্রচুর পরিমানে রক্তপাত ঘটায়, আর তাঁকে নিরপেক্ষ বলেও মনে হয়না।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০২

জুনায়েদ আহমেদ নেজাদ বলেছেন: কিন্তু আমার শরীরের মেদ আর কাফনের কাপড় তোহ মিলে একাকার হয়ে গেছে, এর সমাধানও কি চিরকালীন আপসোস??

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২৫

শায়মা বলেছেন: বাপরে!!


মানুষ কবিতা বুঝুক না বুঝুক এটা উচ্চমার্গের কবিতা এটা বুঝবেই ভাইয়া। তবে হ্যাঁ এত এত দাগ দাগ দেখে তোমাকে তো এই আই ভাববে মনে হয় ........ :P

এআই যাই পারুক কবিতা পারে না তুমি যেখানে জব নেবে নাকি ভেবে দেখো কিন্তু!!!!!! :D

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কবিতার অনুপম শৈলী একজন কবিকে পরিচিত করতে সক্ষম হয়। কবিযে জাত কবি তা তার আচঁড়েই বুঝা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.