![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হে ঈশ্বর! আমাকে সৃষ্টি করা উচিৎ হয়নি তোমার?
বিসর্জন দৃশ্যের জন্য অপেক্ষা করিনিতো,
__মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
ওৎ পেতে থাকা দস্যুর সামনে__ দৃপ্তকন্ঠে শপথ করেছিলাম
এটাই আমার__ "মুক্তির অঙ্গীকার"।
বহুকাল ধরে হেঁটে পৃথিবীর পথ ধরে__ প্রজন্মান্তরে এক একটি কাল জুড়ে
যেখানে হেঁটেছিল সভ্যতার এক মায়া হরিনী
পুরুষজাত আবিস্কারের খেলায়।
মহাকালের প্রাচীন বাতাসের আল্পনায় শৈল্পিক স্পন্দনে__
__যে নির্যাতিতা প্রশ্ন রেখে বলেছিল
আমি চিরকালীন আফসোস?
আমিই কি চিরদিনের নিঃশব্দ অশ্রুবিন্দু?
শীতের পাখিদের মতো আপন নিবাসে গুটিশুটি থাকিনি
প্রতিশ্রুতি সৃজাত মানবিক সভ্যতায় বিলীন হয়ে__মাথা উঁচু করে চিৎকার করেছিলাম
এটাই আমার__"ইতিহাস"।
কপাট বন্ধ করে নতুন ভোরের আশায় মাথা খুটে মরিনি
__অস্তিত্ব প্রকাশে দেবীপক্ষে__ধর্মঘরে প্রার্থনা শেষে
সকালের সূর্যে আলোকিত হয়ে বলেছিলাম__
এটাই আমার __"রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ"।
.
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬
বিজন রয় বলেছেন: প্রিয় কচি ভাই, ভালো আছেন আশা করি। গতকাল অনেক ব্যস্ত থাকার জন্য তাৎক্ষনিকভাবে আপনার বা আপনাদের মন্তব্যের উত্তর করতে পারিনি। আজও অনেক কাজ, তবুও আপনার মন্তব্যের উত্তর করার মধ্যদিয়ে শুরু করছি......
আন্ডারস্কোর সাইন কেন? .... আসলে ওটা ড্যাশ। আমরা লেখার মধ্যে যেসব যতিচহ্ণের ব্যবহার করি তারই একটি। এখানে আমি ড্যাশটাকে ( — ) আন্ডারস্কোর ( __ ) করে ব্যবহার করেছি। এটা আমার একটি এক্সপেরিমেন্ট বলতে পারেন।
লেখার মধ্যে যতিচিহ্ণ ড্যাশ ( — ) ব্যবহার হয় কেন, সেটা নিশ্চয়ই আপনি জেনে থাকবেন। তবু আমরা এখানে আলোচনার করার চেষ্টা করিঃ-
কবিতায় ড্যাশ ( — ) ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হলো একটি নির্দিষ্ট বিরতি, নাটকীয়তা, অর্থের বিশ্লেষণ, বা এক বাক্যের সাথে অন্য বাক্যের সংযোগ তৈরি করা। এটি লাইনের মধ্যে একটি আকস্মিক বা জোরদার বিরতি বোঝাতে, একটি বন্ধনীর মতো কোনো অতিরিক্ত তথ্য যোগ করতে, বা একটি অসম্পূর্ণ বাক্যকে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়।
ড্যাশ ব্যবহারের কারণসমূূহ:
বিরতি ও সংযোগ: যৌগিক বা মিশ্র বাক্যে দুটি পৃথক ভাব বা বাক্যকে সংযুক্ত করতে ড্যাশ ব্যবহার করা হয়, যা সমন্বয় বা সংযোগ তৈরি করে।
নাটকীয়তা ও জোর: এটি একটি পিরিয়ডের (পূর্ণচ্ছেদ) মতো থামার ইঙ্গিত দিলেও, প্রায়শই আরও আকস্মিকতা, বল বা নাটকীয়তা বোঝায়, যা পাঠককে একটি বিশেষ বিষয়ের দিকে মনোযোগ দিতে বাধ্য করে।
ব্যাখ্যামূলক মন্তব্য: একটি স্বাধীন ধারা বা বন্ধনীমূলক মন্তব্যের পরে কোনো শব্দ বা বাক্যাংশকে বন্ধ করতেও ড্যাশ ব্যবহার করা হয়, যা বাক্যের অর্থকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।
অসম্পূর্ণতা নির্দেশ: কখনো কখনো একটি বাক্যের শেষে অসম্পূর্ণতা বোঝাতেও ড্যাশ ব্যবহার করা হয়।
ঐতিহ্যগত ও ছন্দোবদ্ধ ব্যবহার: কিছু কবি তাদের লেখায় বিশেষভাবে ড্যাশ ব্যবহার করেন, যা একটি নির্দিষ্ট শৈলী বা ছন্দের অংশ হয়ে দাঁড়ায়, যেমনটি এমিলি ডিকিনসন-এর কবিতায় দেখা যায়।
সংক্ষেপে, ড্যাশ কবিতার পাঠে একটি বিশেষ গতির সঞ্চার করে এবং পাঠকদের ভাব ও অর্থের গভীরে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
আশাকরি কিছুটা বোঝাতে পেরেছি।
আপনি আরো জানতে চেয়েছেন.....রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ; কবে- কোথায়- কিভাবে প্রকাশ সম্ভব ???!!!
এখানে আমার দেওয়া নিচের মন্তব্যের উত্তরগুলো ফলো করুন উত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রয়োজনে আপনাকে, এখানে উত্তর করবো।
অনেক ধন্যবাদ এই কবিতায় প্রথম মন্তব্য করার জন্য।
শুভকামনা রইল।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
কবিতা বুঝি না, ছাতা-মাথা এতো ভারী শব্দ দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা তো আরো আগেই বুঝি নাই।
বহুকাল ধরে হেঁটে পৃথিবীর পথ ধরে__ প্রজন্মান্তরে এক একটি কাল জুড়ে তবে এই একটা লাইন মনে ধরেছে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬
বিজন রয় বলেছেন: বিসর্জন দৃশ্য, মৃত্যুর মুখোমুখি, ওৎ পেতে থাকা দস্যু, মুক্তির অঙ্গীকার এগুলো ভারী শব্দ!!
তাহলে আর কিভাবে বলা যেতে পারে ভাবছি।
বহুকাল ধরে পৃথিবীর পথ ধরে একটি নারী ( মায়া হরিনী ) হেঁটে এসে আজকে আমার মা, বোন, মেয়ে হয়নি?
আমাদের দাবী করা এই পুরুষজাত সভ্যসমাজে তাদের অবস্থান এখনো কোথায়?
কতটা লাঞ্চনা, বঞ্চনা, নিপীড়ন সয়ে সয়ে আজ তারা বলতে পারে আমি এখনো মুক্ত নই, অনাদিকাল ধরে আমার লড়াইটাই আমার মুক্তির অঙ্গীকার।
আসুন কবি কবিতা সিংহের একটি কবিতা পড়ি .......
আমি সেই মেয়ে
"আমিই সেই মেয়েটি সেই মেয়েটি
যে জন্ম থেকেই বিবাহের
জন্য বলি প্রদত্ত
যার বাইরের চেহারা
চোখ-নাক-মুখ-ত্বক-চুল-রং
নিয়েই দর কষাকষি
কাল না ফর্সা
খাদা না টিকালো
লম্বা না বেঁটে
খুতখুতে না টানা টানা
যার মাথার বাইরেটা নিয়েই সকলের ভাবনা
মাথার ভেতরটা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই"
তাহলে আফসোসটা কার, কোথায়, আর অশ্রুবিন্দু!!
কলিমুদ্দি আলোচনা তো অনেক আসবে, কিন্তু সময় কম। তাই অল্প অল্প করে আলোচনা করছি, বোঝার চেষ্টা করছি।
অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকুন।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার কবিতা দেখে পড়লাম।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০
বিজন রয় বলেছেন: আমার কবিতা দেখে পড়লেন, ভালো হলো না মন্দ হলো তা বললেন না।
হতে পারে ভালো বলেই পড়লেন, অথবা না।
আপনি বুঝদার মানুষ কিছুটা বক্তব্য তো আশার করতে পারি।
নাকি নারীদের কোনো কষ্ট নেই, বেদনা নেই, সংগ্রাম নেই, তাই কিছু বললেন না।
কবি দেবারতি মিত্রের ... ফুল না, অশ্রু না কবিতাটি পড়বেন?
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮
নজসু বলেছেন:
প্রিয় ভাই, আপনার আজকের কবিতাটি যেন নিজেকে চেনার এক আয়না! প্রতিটি পংক্তিতে শুধু প্রশ্ন তোলেননি, বরং ইতিহাস, অস্তিত্ব, অধিকার ও আত্মসম্মানবোধের গভীর ছায়াচিত্র এঁকেছেন।
'মুক্তির অঙ্গীকার' থেকে 'ইতিহাস', এবং শেষ পর্যন্ত 'রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ' প্রতিটি অধ্যায়ে যেন এক চিরপরিচত নারীর অন্তর্দহন, সংগ্রাম, এবং আত্মপ্রকাশের গল্প রচিত হয়েছে। 'আমি চিরকালীন আফসোস?' আহা! এই পংক্তিটি যেন শুধু প্রশ্ন নয়, যুগ যুগান্তরের লক্ষ কোটি বছরের এক আর্তনাদ।
বিশেষ করে, 'দেবীপক্ষে ধর্মঘরে প্রার্থনা শেষে' যে সাহসী উচ্চারণ উঠে এসেছে, তা যেন আমাদের সমাজে চলমান দ্বিচারিতার বিপরীতে এক বজ্রকণ্ঠ! স্যালুট জানাই কবি।
তবে, কবিতার ভেতরে যে ঘন ভাববস্তু রয়েছে, পাঠকের কাছে তা আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরলে ভালো হতো। আমার মতো নগণ্য পাঠকের জন্য একটু কঠিন হয়ে গেছে।
তবুও, এ এক অনন্য সৃষ্টি। সাহসী, বেদনাবিধুর, এবং অনুপ্রেরণামূলক।
শুভেচ্ছা।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪
বিজন রয় বলেছেন: নজসু, এত সুন্দর আর গভীর মন্তব্য করলেন যে আমি অভিভুত আর বাক্যহারা।
আমার খুব ভালো লাগলো।
কবিতাটি এতটা মন দিয়ে পড়েছেন যে কবিতার গভীরে (ব্লাকহোলে) লুকিয়ে রাখা আসল সত্যটা ধরতে পরেছেন।
এজন্য আপনি বলতে পেরেছেন...........তবে, কবিতার ভেতরে যে ঘন ভাববস্তু রয়েছে, পাঠকের কাছে তা আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরলে ভালো হতো।
যেমন ধরুন............
এটাই আমার মুক্তির অঙ্গীকার, এটাই অর্থাৎ কিসের, কিসের অঙ্গীকার?
কিসের অঙ্গীকার সেটা কিন্তু আমি স্পষ্ট বা বিস্তৃত বলিনি। কিন্তু আপনি ধরতে পেরেছেন।
কবিতার নায়িকা যে বলছে এটাই আমার মুক্তির অঙ্গীকার, এটার পিছনে রয়েছে একজন নারীর সুদীর্ঘ ইতিহাস, বক্তব্য, সংগ্রাম ইত্যাদি।
ঠিক একইভাবে, এটাই আমার ইতিহাস, এটাই আমার রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ এসবের পিছনেও সেগুলো আছে। আমি অল্প একটু বলার চেষ্টা করেছি...... এখানে.........
”বহুকাল ধরে হেঁটে পৃথিবীর পথ ধরে ............... পুরুষজাত আবিস্কারের খেলায়”
একজন নারী কেন বলছে, আমি কি আফসোস, আমি কি অশ্রুবিন্দু?
কেন বলছে সেটা বিস্তারিত কবিতায় তুলে ধরতে চাইনি, অর্থাৎ নারীর গোটা লড়াইয়ের ইতিহাস বলতে চাইনি, সেটা বললে কবিতাটি অন্যদিকে চলে যেত হয়তো।
আপনি যেমন বললেন.........এই পংক্তিটি যেন শুধু প্রশ্ন নয়, যুগ যুগান্তরের লক্ষ কোটি বছরের এক আর্তনাদ। ...... এগুলো সবিস্তারে কবিতায় তুলে ধরতে চাইনি।
এখন মনে হচ্ছে সেটা না করে ভালোই করেছি, এভাবে লেখায় কবিতাটি অনেক পথ অতিক্রম করেছে।
আপনার মন্তব্য পড়ে আমার সেটাই মনে হয়েছে।
”রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ”
এটা নিয়ে কথা হবে।
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার কবিতা।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
বিজন রয় বলেছেন: আচ্ছা, ধন্যবাদ।
আপনার জন্য দেবারতি মিত্রের রাত্রি জেগেছিলাম কবিতাটির কিছু অংশ দিলাম ....
রাত্রি জেগেছিলাম
ফুলদানি ঐ তোমার শরীর
কাল কে অত ফুল সাজিয়েছিল
আমার বুকে পাপড়ি ঝরেছিল
বুকের মধ্যে পাপড়ি উড়েছিল
কাল সারারাত কেউ দেখেনি
কেউ বোঝেনি কেউ কি ভেবেছিল
আমার শরীর জড়িয়ে ফুলের যে গাছ উঠেছিল
ঘুরে ঘুরে পাগল স্রোতের মতন অবিরাম
কালকে তোমার সঙ্গে যখন রাত্রি জেগেছিলাম।
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: অনবদ্য কবিতা!
আমি কিন্তু একেবারে প্রথম লাইনেই আটকে গেলাম - "আমাকে সৃষ্টি করা উচিৎ হয়নি তোমার?" প্রথমে ভাবলাম, এটি স্বগতোক্তি।আপনি ঈশ্বরকে বলছেন, আপনাকে সৃষ্টি করা তার উচিত হয়নি। পরে দেখি, আসলে এটি প্রশ্ন। আপনি জানতে চাইছেন, আপনাকে সৃষ্টি করা উচিত হয়েছে কি হয়নি।
আপনার বিভিন্ন কাজকর্মের কথা শুনে ঈশ্বর শেষ পর্যন্ত কী উত্তর দিলেন, সেটা কিন্তু বোঝা গেল না। আর রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ বিষয়টা কি? ঈশ্বর সাহেব তো প্রচুর পরিমানে রক্তপাত ঘটায়, আর তাঁকে নিরপেক্ষ বলেও মনে হয়না।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৭
বিজন রয় বলেছেন: যদি ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখি তো রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ আছে, আর যদি মানুষকে বিশ্বাস করি তো সেটা নেই।
ঈশ্বর তো সবই দিয়ে রেখেছেন, তবে মানুষ গ্রহণ করে কোনটা সেটাই মুখ্য।
একজন নারীর জীবনে কতটা আফসোস থাকলে মানুষের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ঈশ্বরকে প্রশ্ন করতে পারে, আমাকে কেন সৃষ্টি করেছ, তোমার এটা উচিৎ হয়নি, আহারে!!
তার অন্তরের ক্ষরণে কি রক্তপাত হয়? না। এটা রক্তপাতহীন আর্তনাদ, এখানে নিরপেক্ষতাবাদ নেই।
কিন্তু নারীকূল নিরপেক্ষতা চাইতে গিয়ে পায়নি এখনো।
পুরুষের চোখে নারীও পুরুষেরই সৃষ্টি। ওই নারীর, পিগম্যালিঅনের আইভরি তরুণীর মতো, কোনো নাম বা সত্তা বা কণ্ঠস্বর নেই। নারী বস্তু, নারী অপর। নারী শুধু বস্তু নয়, পুরুষের চোখে নারী শিল্পকর্ম; নারী মর্মর মূর্তি, বা পুতুল, বা কবিতা, নারী কখনো ভাস্কর বা কবি নয়। শেক্সপিয়রের ওথেলো, দেসদিমোনার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে : এই শুভ্র কাগজ, এই উৎকৃষ্টতম বইটি কি তৈরি হয়েছিলো এতে ‘বেশ্যা’ লেখার জন্যে?’ নারী লেখে না, লিখিত হয়, নারী কবিতাকল্পনালতা; নারী আঁকে না, অঙ্কিত হয়; নারী ভাস্কর হয় না, ভাস্কৰ্য হয়।
কোথায় আমাদের রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ(স্বাধীনতা)?
সময় কম, অল্প অল্প আলোচনা চলতে থাকুক......।
৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০২
জুনায়েদ আহমেদ নেজাদ বলেছেন: কিন্তু আমার শরীরের মেদ আর কাফনের কাপড় তোহ মিলে একাকার হয়ে গেছে, এর সমাধানও কি চিরকালীন আপসোস??
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩
বিজন রয় বলেছেন: আত্মআবিস্কারের তীব্র যন্ত্রণা থেকে একজন নারী এমনভাবে বলতে পারে, আমি কি চিরকালীন আফসোস!
বেঁচে থাকার পরম্পরায় একজন নারী সবসময় একটু স্বস্তি চেয়েছে, একটু শান্তি চেয়েছে, একটু সমমর্যাদা চেয়েছে।
তাইতো
কবি কবিতা সিংহের দুটি লাইন স্মরণ করতে পারি.........
“না, আমি হবো না মোম
আমাকে জ্বালিয়ে ঘরে তুমি লিখবে না।”
এই সভ্য সময়ে এসেও একথা অস্বকার করার কোন উপায় নেই যে নারী এখনো নিরপেক্ষতা পেয়েছে।
তাইতো কবি শর্মিষ্ঠা মুখার্জীর কবিতা কতো গাঁট আমি খুলেছি এর কিছু অংশ থেকে ধারনা নিতে পারি.........
কতো গাঁট আমি খুলেছি
কতো গাঁট এখনও খোলা বাকি,
পায়ের নূপুর, হাতের কাঁকন,
গলার হার, কোমড় বন্ধন,
নাকছাবি আর কানের দুল,
বিনুনি ভেঙে খোলা চুল-
সব খুলেছি একে একে।
আর গহনা সব খুলতে খুলতেই
নিয়ম-রীতির নানা বন্ধনে
বন্দী হয়েছি আমি।
এখন হাত-পা সব আটকে পড়েছে
আটকে পড়েছে মন ও,
কতো গাঁট আমি খুলেছি
আরও কতো গাঁট খুলবো এখনও।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
শুভকামনা রইল।
৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২৫
শায়মা বলেছেন: বাপরে!!
মানুষ কবিতা বুঝুক না বুঝুক এটা উচ্চমার্গের কবিতা এটা বুঝবেই ভাইয়া। তবে হ্যাঁ এত এত দাগ দাগ দেখে তোমাকে তো এই আই ভাববে মনে হয় ........
এআই যাই পারুক কবিতা পারে না তুমি যেখানে জব নেবে নাকি ভেবে দেখো কিন্তু!!!!!!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪১
বিজন রয় বলেছেন: বাপরে!!
কেঁপে উঠলেন কেন?
ব্লগে আমি আগেও নারীদের নিয়ে এমন কবিতা পোস্ট দিয়েছি।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমাদের নারী বা বোন ব্লগাররা খুব কম পড়েন এমন কবিতা।
হতে পারে হয়তো তারা ব্লগে আসেননি বা চোখে পড়েনি।
ছোট্ট একটি প্রশাংসা পেলাম আপনার নিকট থেকে... উচ্চমার্গের কবিতা....
সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি শুনলে অবাক হবেন কিনা জানিনা, আমি এখনো এআই ব্যবহার করিনি, দেখেছি।
তাই এআই নিয়ে কিছু বলতে পারবোনা।
দাগ দাগ কেন, সেটা দেখেন ১ নম্বর মন্তব্যের উত্তরে বলার চেষ্টা করেছি।
হা হা হা ............ এআই নিয়ে জব করা আমার পক্ষে সম্ভব না।
যাক তবু এআইকে কবিতার চেয়ে বড় হতে দেন নি।
৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কবিতার অনুপম শৈলী একজন কবিকে পরিচিত করতে সক্ষম হয়। কবিযে জাত কবি তা তার আচঁড়েই বুঝা যায়।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৬
বিজন রয় বলেছেন: এত প্রশাংসা রাখবো কোথায়!!
আপনি সবসময় আমার কবিতা পড়েন, এটা আামর জন্য অনেক সন্মানের।
তবে আমি জাত কবি নই, সেটা আর এ জীবনে সম্ভভ নয়।
আপনাদের এরকম অনুপ্রেরণা আমাকে কবিতা নিয়ে ভাবতে উদীপ্ত করে।
আপনাকে আমি পাই আমার প্রত্যেক পোস্টে।
অনেক শুভকামনা রইল।
১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৯
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
মানুষ এই গ্রহের কমপ্লেক্স প্রকৃতির ফসল; মানুষ ভাবতে পারে, কম্যুনিকেইট করতে পারে। সেসব জ্ঞানী মানুষ অন্য মানুষের ভাবনাকে নিজের ভাষায় বলতে পারেন, সমাজের কথা বলতে পারেন, তারা কবি, তারা সাহিত্যিক।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৪
বিজন রয় বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, মানুষের সাথে যদি মানুষের যোগাযোগ না থাকে, যদি সংযোগ না থাকে তো মানুষের থাকার কোন মানে নেই।
কবিতা সমাজের প্রতিচ্ছবি ও প্রতিফলন তুলে ধরার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এটার মাধ্যমে কবি অন্যের ভাষা বলতে পারেন, বদলে দিতে পারেন সমাজ, মানুষের মন।
সত্যিকার কবি বা সাহিত্যিক কমে যাচ্ছে দিন দিন।
আপনি কি কখনো কবিতা লিখেছেন?
১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ বড় একটা সময়ের পরে আপনার কবিতা পড়লাম! প্রথমে বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে- তবে দ্বিতীয়বার পড়ে ভাল লেগেছে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৪
বিজন রয় বলেছেন: হ্যাঁ, অনেক দিন পর কবিতা পোস্ট করেছি।
কবিতা আমার পছন্দের একটি জায়গা, কিন্তু ঠিক মতো সময় দিতে পারি না।
সেটা নিয়ে আমার অনেক আফসোস!!
মাঝে মাঝে ভাবি সবকিছু ছেড়ে দিয়ে কবিতা নিয়ে পড়ে থাকি, কিন্তু জীবন চালাবে কে?
হায়রে পোড়া কপাল!!
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
আমার কবিতার সাথে থাকার জন্য।
১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
বিজন রয় বলেছেন: এখানে আগামীকাল উত্তর করবো। সবাইকে একটু ধৈর্য্য ধারনের অনেুরোধ করছি।
ধন্যবাদ সকলকে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৬
বিজন রয় বলেছেন: এখানে সবার উত্তর করা হয়েছে।
একটু দেরির জন্য আশাকরি কেউ কিছু মনে করেননি।
সকলকে ধন্যবাদ।
১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
সপ্তম৮৪ বলেছেন: কোবতে সব সময় আমার মাথার উপরে দিয়া যায়।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৫
বিজন রয় বলেছেন: কষ্ট করে আর ২বার পড়ুন কবিতাটি তাহলে মাথার উপর দিয়ে যাবে না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
সাথে থাকুন, শুভকামনা রইল।
১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: কবিতাটি এক গভীর আত্মপ্রত্যয়ের ঘোষণা- যন্ত্রণা, বিদ্রোহ, আত্মত্যাগ আর মুক্তির আকাঙ্ক্ষার এক সার্থক সমাহার। প্রতিটি পঙ্ক্তি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সীমানা পেরিয়ে মানবিক ইতিহাস, সভ্যতা ও সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে। কবি এখানে নিছক বিলাপ করেননি, বরং অন্যায়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে ঘোষণা দিয়েছেন নিজের অবস্থান, নিজের মুক্তির অঙ্গীকার।
“মৃত্যুর মুখোমুখি” দাঁড়িয়েও যে কণ্ঠস্বর নত হয় না, “নিঃশব্দ অশ্রুবিন্দু” হয়েও যে চিরকালীন প্রতিরোধ হয়ে বেঁচে থাকে- সেই অভিমতই এই কবিতার মূল শক্তি। ইতিহাস, সভ্যতা, প্রতিশ্রুতি ও মানবিকতার ভেতর দিয়ে কবিতাটি এক অগ্নিপর্বের মতো গড়ে উঠেছে।
এ যেন আত্মপরিচয়ের ঘোষণা নয়, বরং এক শাশ্বত আহ্বান- “আমিই ইতিহাস, আমিই মুক্তির শপথ, আমিই রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতা।”
সংক্ষেপে বললে, কবিতাটি আত্মসম্মান, সংগ্রাম ও মুক্তির প্রতীকি ভাষ্য- যা পাঠকের অন্তরে আলোড়ন তোলে এবং গভীর চিন্তার দিকে আহ্বান জানায়।
আপনার জন্য নিরন্তর শুভ কামনা।
(রিমেম্বার দ্যাট, কারোর পোস্টে আমি মন্তব্য করলে পোস্টদাতা তার রিপ্লাই না দিলে তার পোস্টে আমি দ্বিতীয় বার মন্তব্য করিনা)
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮
বিজন রয় বলেছেন: (রিমেম্বার দ্যাট, কারোর পোস্টে আমি মন্তব্য করলে পোস্টদাতা তার রিপ্লাই না দিলে তার পোস্টে আমি দ্বিতীয় বার মন্তব্য করিনা)[/sb
হা হা হা ..... এমন সুন্দর, সুচিন্তিত আর বিচক্ষণ মন্তব্যের উত্তর করবো না এমন মনে হলো কেন প্রিয় ব্লগার?
আমি তো এমন কখনো করিনা। যখন ব্লগে সক্রিয় থাকি তখন কারো মন্তব্য উত্তর করিনা এমনটি হয়নি কখনো। গত বছর একটি পোস্ট দিয়ে অনেকদিন ব্লগে আসা হয়নি, সেটার কারো উত্তর করা হয়নি, তবে যেদিন থেকে ব্লগে সক্রিয় হয়েছি আগে সেই পোস্টের সবার উত্তর করেছি।
........
আপনার মন্তব্য এই কবিতার চেয়ে ভালো হয়েছে। কবিতাটি কতখানি আপনাকে স্পর্শ করেছে তা আপনার মন্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে। আমি ভাবিনি কেউ এত মন দিয়ে এই কবিতা পড়বে, আমার ধারনাকে ভুল প্রমাণ করে আপনারা কয়েকজন এই কবিতার উপরে এত এত তাৎপর্যপূর্ণ কথা বললেন যে আমার কবিতাটি অনেক মূল্যবান হয়ে উঠেছে।
আপনাদের স্যালুট।
সমাজে এখনো নারীর অর্জন ও অবদানকে এখনো যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। নিরাপত্তাহীনতা, সামাজিক বৈষম্য ও সুযোগের অভাব নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথে এখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নারীর যে মানুষ হিসেবে বাঁচার অধিকার আছে এটাই অনেক নারী জানে না। নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিতেও তারা পরিবারের পুরুষ কর্তার দিকে তাকিয়ে থাকে। তারা পুরো জীবন পার করে দেয় কে কী বলবে- এটা ভাবতে ভাবতে।
এইসব চিন্তা থেকে আমি মাঝে মাঝে এমন কবিতা লেখার চেষ্টা করি।
আগেও কয়েকটি এমন ধরনের কবিতা পোস্ট করেছিলাম এই ব্লগে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এই মন্তব্য করার জন্য।
আমার ব্লগ পাতায় এটি জ্বলজ্বল করতে থাকুক।
১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:০৮
ক্লোন রাফা বলেছেন: এত খটমটে শব্দ দিয়ে লিখলে হবেনা। সহজ সরল শব্দে সবার জন্য লিখতে হবে। রক্তে আলোড়ন সৃষ্টি করে এমন করে লিখতে হবে।
আমার সকাল এখনো আসেনি । সংগ্রামে কৌশলে যুদ্ধে আছি । তাই সূর্যালোকের আলোতে আলোকিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সংগ্রাম করছি। আমি কোনো নিরপেক্ষতার জন্য জীবন বাজি ধরতে চাই না। রক্তস্নাত কিংবা রক্তপাতহীন আমার পক্ষপাতিত্ব অর্জনই আমার লক্ষ্য।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ‼️
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ........... এই কবিতায় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলার কি হলো!!
বঙ্গবন্ধুকে তার জায়গায় থাকতে দিন প্লিজ। তিনি আমাদের অনেক সন্মানের মানুষ।
খটমটে শব্দ কোথায় পেলেন, পুরুষজাত আর প্রতিশ্রুতি সৃজাত এই শব্দ দুটি যা একটু অন্য রকম হতে পারে। এই কবিতা রক্তে আলোড়ন না তুললে আর কোন কবিতা তুলবে বলুন। এখানে কয়েকজনের কিন্তু আলোড়ন হয়েছে।
কবিতার মন নিয়ে আবার পড়ুন দেখাবেন আপনার রক্তেও আলোড়ন তুলবেই।
এখানে নিরপেক্ষতা মনে সমঅধিকার, সমমর্যাদা এসব বোঝাতে চেয়েছি, যেখানে কোন রক্তপাত থাকবে না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় রাফা।
১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:১২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাহ্ আপনার কবিতাটি দারুণ হয়েছে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৮
বিজন রয় বলেছেন: অনেক আগে আপনি সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করতেন।
শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর আপনি অনেক ব্যস্ত হয়েছেন, যতসব অকাজে।
ওসব বাদ দিন, কবিতা পড়ুন।
মন ভালো রাখুন।
১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
রানার ব্লগ বলেছেন: কবিতা তো না, যেন আণবিক বিষ্ফোরন।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫০
বিজন রয় বলেছেন: সম্ভবত সময়ের অভাবে এক কথায় অনেক কথা বলতে চেয়েছেন।
আণবিক বিষ্ফোরন
আমি তো কেঁপে উঠলাম!!
১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪২
রানার ব্লগ বলেছেন: শায়মা@ এআই যদি কবিতাই লিখতে পারত বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এক একটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাওয়া যেত।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫২
বিজন রয় বলেছেন: প্রকৃতপক্ষে আমি এখনো এআই এর ব্যবহার সেভাবে জানিনা। এটা দিয়ে কবিতা লেখা যায় কিনা জানিনা।
আমাকে ব্যাকডেটেড বলতে পারেন।
@শায়মা, এই মন্তব্যের বিষয়ে কিছু বলবেন?
১৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ বিজন দা। অনেক দিন পর আপনার একটি শক্তিশালী, দারুন ভাবনাময় কবিতা পাঠ করলাম। অনেক আক্ষেপ, না বলা কতা, প্রশ্ন, আফসোস আর অন্তরের ভিতরের গোপন জিজ্ঞাগার তিক্ষ্ণ শব্দের কবিতা উপাহার পেলাম।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৯
বিজন রয় বলেছেন: প্রিয় মাইদুল, তিন লাইনের মন্তব্যে অনেক কিছু বলে দিয়েছেন।
আমি এখন সমস্যায় পড়েছি।
কবিতাটি এখন পড়তে যেয়ে দেখছি এটার অবয়ব আসলেই অনেক বিশাল। অল্প কথায় বিশ্লেষণ করা মুশকিল।
আপনারা যে এত সুন্দর আর হৃদয়গ্রাহী মন্তব্য করছেন তার উত্তর করতে আমি হিমশিম খাচ্ছি। কারো উত্তর আমার মন মতো হয়নি বা উত্তর করে আমি সাটিসফাইড হতে পারছি না। কোথায় যেন একটি অভাব থেকে যাচ্ছে।
আপনি সবসময় আমার কবিতা এসে কথা বলেন এটা আমার অনেক বড় পাওনা।
আপনিও আজকে একটি দারুন কবিতা পোস্ট করেছেন। প্লাস দিয়ে এসেছি।
সময় নিয়ে কথাও বলে আসবো।
এভাবেই থাকেন আমার সাথে।
শুভকামনা রইল।
২০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: বিজন রয়, প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি- অনেক সম্মানিত ব্লগার বন্ধুরাও তাদের পোস্টে করা মন্তব্যের জবাব দেওয়ার সৌজন্যতা টুকু দেখান না, যা আমার কাছে তাচ্ছিল্য বা উপেক্ষা মনে হয়!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৪
বিজন রয় বলেছেন: না না, আমার দিক দিয়ে তেমন কিছু হবে না। আপনি বিশ্বাস রাখুন আমাকে।
আপনি মাঝের অনেক বছর ব্লগে আসেন নি, তখন অনেক খুঁজতাম আপনাকে, অনেককেই বলতাম আপনার কথা। ইমন জুবায়ের ভাই চির বিদায় নিলে আপনার কথা খুব মনে পড়তো।
আপনি একজন জ্ঞানী মানুষ, সে হিসাব আমার আছে।
শুভকামনা।
২১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১০
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৩
বিজন রয় বলেছেন: ভালো কাজ করেছেন।
তা কার মন্তব্য ভালো হলো, কোন প্রতিউত্তর ভালো হলো, সেটা তো বলতে পারতেন।
আবার এসে বলে যাবেন নিশ্চয়ই।
আজকাল ব্লগে অনেক কম দেখা যায় আপনাকে।
ব্যাপার কি?
২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
গভীর অর্থবোধক কবিতা। অনেক ধন্যবাদ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৪
বিজন রয় বলেছেন: প্রিয় ও বিনয়ী ব্লগার, আপনি মনে হয় খুব ব্যস্ত। সাধারণত আপনি এত ছোট মন্তব্য করেন না আমার কবিতায়। আগে আমার কবিতাগুলোতে অনেক বড় মন্তব্য করতেন।
তবে অনেক সময় ছোট বা এক-দুই কথায় অনেক কথা বলা হয়ে যায়।
এখানেও সেটাই। গভীর অর্থবোধক কবিতা
কিন্তু আমার কাছে কবিতা লেখা খুব কঠিন!
কেননা, কবিতা ছেলের হাতের মোয়া নয়। দু-চার লাইন কবিতা লিখলেই সহসা একজন কবি হয়ে ওঠেন না। ব্যক্তির সত্তা-তাত্ত্বিক অনুভূতির নির্যাস ও মৌহুর্তিক বয়ান কবিতা। আপাত সত্যের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে চিরায়ত সত্যের অনন্ত অভিযাত্রী কবি। মুহূর্তের ক্ষুদ্র অনুভূতিকে কবিতা মিলিয়ে দেয় অসীমের সঙ্গে। জীবনের এই বহমানতার রাজসাক্ষী হয়ে থাকে কবিতা। আর জীবন, কবিতা এবং বোধের অভিন্ন প্রতিবিম্ব হলেন কবি।
অনেক ধন্যবাদ এখানে মন্তব্য করার জন্য।
সবসময়ের শুভকামনা।
২৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: কঠিন । তবে প্রতিউত্তরে ব্যখ্যা করায় বুঝতে সহজ হয়েছে। +++
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫২
বিজন রয় বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ান, কবিতাটি পড়ার জন্য আগে ধন্যবাদ জানিয়ে নিচ্ছি।
অনেক দিন ব্লগে কবিতা পোস্ট করিনি।
এটা পোস্ট করে ভাবছি কেউ পড়বে কিনা।
কিন্তু না, আপনারা বেশ কয়েকজন পড়েছেন।
আমি উৎসাহ পেয়েছি।
আবারো ধন্যবাদ।
২৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আপনি আমাদের ২ বারের মুক্তিযোদ্ধা ও গুম-হওয়া ব্লগারের পোষ্টে মন্তব্য করেছেন, দেখলাম। সেই মিথ্যুক ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শেখকে গালি আসছিলো সব সময়, আজকে বংগবন্ধু লিখে ফেলেছে ভুল। এইসব জালিয়াতে সাথে আমরা ব্লগিং করছি।
জালিয়াত সামুটিমের সাথে জড়িত।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২০
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা.............
আপনি শান্ত হোন।
আমি ভালবাসা দিয়ে সবাইকে জয় করবো।
যদি শেখ হাসিনা শাসনের সাথে ভিন্নমতকে ভালোবাসেতে পারতেন তো আজাকে এই পরিণতি হতো না।
যাহোক, আপনার প্রথম পাতায় আসা জরুরি।
ভালো থাকুন সবসময়।
২৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আমাকে ১ম পাতায় আসতে দিবে না; সামুটিমের লোকদের অনেক সিক্রেট আছে।
শেখ হাসিনা দেশ চালানোর মতো কোন কিছুই জানতো না; ইন্দিরা চেষ্টা করেছিলেন গাধাকে ঘোড়ায় পরিণত করতে; উনি বেঁচে থাকলে শেখ হাসিনা ভালো করার সম্ভাবনা ছিলো।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫
বিজন রয় বলেছেন: একটা বিনীত অনুরোধ করি, এই কবিতার পোস্টে আমরা রাজনীতি নিয়ে আর কথা না বলি। আমি যদি কখনো রাজনীতি নিয়ে পোস্ট করি তখন আলোচনা হবে।
আর তাছাড়া আপনার ওখানে রাজনীতি নিয়ে কথা বলার সুযোগ আছে, কারণ আপনি সবসময় রাজনীতি নিয়ে পোস্ট করেন।
আবারো আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুভ সন্ধ্যা বাংলাদেশ হতে।
২৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
গহীনে রক্তক্ষরণ বলেছেন: লেখনীর জগতে আমি খুবই মুর্খ একজনা । আপনার কবিতার ভার অনেক বেশী । বহণ করার ক্ষমতা আমার কম । তবে স্থুল বুদ্ধি নিয়ে যতটুকু বুঝলাম, মাতৃজাতির প্রতি একপেশে পুরুষতান্ত্রিক পক্ষপাতিত্বের এ অভিযোগ মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষের মাঝে পৈত্রিকসূত্রে বহমান । কেন এর সংস্কার মানুষ করতে পারেনি জানেন ? কারণ মানুষ নিজের বুদ্ধিতে যুক্তি দিয়ে চলে । মানুষ বিশ্বাস করে না, তার নিজের হাতে তার নিয়ন্ত্রণ নেই । তাকে অন্য কোন শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে । আর তাকে অন্য কোন শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে বলেই সে এই পৃথিবীতে কিভাবে এসেছে, কি কারণে সে বর্তমান একটা অস্তিত্বে আছে, আর কি কারণেই বা সে জানাযা বা চিতায় যায়- এই বিষয়গুলো নিয়ে মোটেও চিন্তা করে না (ব্যতিক্রম ব্যতিত) । এই চিন্তা না থাকার কারণে সে যেমন নিজেকে চিনতে পারে না, তাই নিজেকে সম্মান করতেও জানে না । আর যে মানুষ নিজেকে সম্মান করতে জানে না, সেই মানুষ পৃথিবীর কোন মানুষকেই সম্মান করতে পারে না ( হোক সে মানুষ নারী বা পুরুষ ) । আশা করি আমার এই পাগলামীটা সহ্য করে আমার প্রতি বিব্রত হবেন না । ভালোবাসা রইল কবির প্রতি ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৬
বিজন রয় বলেছেন: আপনি কে বলুন তো!!
মনে হলো অনেক দিনের চেনা। আগে আপনার সাথে খুব বেশি কথা হয়েছে বলে মনে করতে পারছি না।
কিন্তু এমন দরদ দিয়ে, এত আপন করে মন্তব্য করলেন যে আমি অনেক বিস্মিত হয়েছি। ব্লগে এমন বিস্মিত অনেক দিন হইনি। আপনার বেলায় এমন হলো কেন জানিনা। মন্তব্যে যেমন বিনয় প্রকাশ করছেন তেমনি কবিতার মর্মকথা, গভীরের কথা একদম সঠিকভাবে প্রকাশ করেছেন।
কবিতা নিয়ে এমন তাৎপর্যপূর্ণ ও দীর্ঘ মন্তব্য করতে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছে, অনেক ভাবতে হয়েছে। এই ব্যস্ত সময়ের মধ্যে এটা করছেন বলে আমি অবাকও হয়েছি।
মানুষ সৃষ্টির পর থেকে বা মানুষ তার সভ্যতা, ইতিহাস জানার পর থেকে যা আমরা জানতে পারি সেখানে নারীর অবস্থান কোথায় ছিল, কোথায় এসেছে তাই বলতে চেয়েছি, কিন্তু পুরা ইতিহাস তো একটি ছোট্ট কবিতায় তুলে আনা যায় না, তবু চেষ্টা করেছি কাল, মহাকাল, প্রজন্ম তুলে আনতে, হয়তো দু-একটি শব্দ সেটা প্রকাশ করেছে।
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হলে দেখা যায় না, সেটা রক্তপাতহীন হতে পারে। আর নিরপেক্ষতাবাদ সেটা এখনো সুদূর পরাভূত।
এই রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ একজন নারী চাইতে পারে, আশা করতে পারে।
সেটা না পেয়ে নারী বারবার প্রার্থনা করে, মুক্তির অঙ্গীকার করে, ইতিহাস নতুন করে লেখে।
নারী সময়ের প্রয়োজনে নিজের স্বকীয়তা রূপায়ণে অনুভবের বহুমাত্রিকতায় নিগুঢ় দ্যুতি প্রকাশ করে তার তুলনা কোথায়?। অধরা অনুভূতিকে জীবনের শৈল্পিক স্পন্দনে ও অভিজ্ঞানে তুলে আনে মননের নিভৃত নির্জনতায় কিংবা অপ্রমেয় ব্যাপ্তির অভিনবত্বের ইঙ্গিতে নিজস্ব ব্যঞ্জনায়।
এইজন্য একজন মানুষ হিসেবে নারীর জীবন সংগ্রাম আমাকে ভাবায়, তাই মাঝে মাঝে কবিতার মাধ্যমে সেটা প্রকাশ করি। এই প্রকাশ করা যে আমার একটু হলেও সার্থক হয় যখন আপনাদের মতো গুণগ্রাহী, শুভাকাঙ্খীরা এসে এমন সুন্দর করে, মন উজাড় করে, ভালবাসা দিয়ে মন্তব্য করে যায়, কথা বলে যায়, হৃদ্যতা প্রকাশ করে যায়।
আপনার এই পাগলামীটা আমি সহ্য করেছি, খুব করে সহ্য করেছি, বারবার এমন পাগলামী চাই।
একটুও বিচলিত হইনি, বিব্রত হইনি।
আমি ধন্য এবং এই কবিতার জন্য গর্ববোধ করছি।
এত কথা না বলে পারলাম। নিশ্চয়ই আপনিও সহজভাবে নিবেন।
আবারো কথা হবে।
শুভকামনা রইল।
২৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৬
গৃহবন্দী সন্ন্যাসী বলেছেন: কবি কি "মানবিক সভ্যতায়" বিলীন হয়ে ইতিহাস পাঠ করলেন নাকি "তথাকথিত মানবিক সভ্যতা" বিলীন করে ইতিহাস রচিত করার ইচ্ছা জ্ঞাপন করলেন?
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০১
বিজন রয় বলেছেন: অমি অনেক দুঃখিত আপনার এই মন্তব্যের উত্তর করতে দেরি করার জন্য।
আশাকরি কিছু মনে করেননি।
আপনাকে একটি প্রশ্ন।
এখানে তথাকথিত মানবিক সভ্যতা এটি আপনার মনে আসল কি করে?
একজন নারীর বা সৃষ্টি থেকে এই পর্যন্ত গোটা নারী সমাজের যে লড়াইয়ের ইতিহাস সেটা কি তথাকথিত?
জগতে নারীমুক্তির অঙ্গীকার যেমন উপেক্ষণীয় নয় তেমনই মহাকালে নারীর শক্তি বা অস্তিত্ব আমরা কেহই অস্বীকার করতে পরি না। এটা তো সভ্যতার অনিবার্য সত্য। এই সত্য যে মেনে নিতে না পারে তার ইতিহাস তথাকথিত মানবিক সভ্যতা হতে পারে, কিন্তু আমার এই কবিতায় আপনি সেরকম কিভাবে দেখলেন বা আপনার এমন মনে হলো কেন?
পৃথিবীতে রীতিনিষ্ঠ ও অভিব্যক্তিবাদী দুটি শ্রেণী আছে, রীতিনিষ্টরা প্রথম থেকে শেষ অবধি চিরন্তন বুদ্ধিবৃত্তির উপর নির্ভরশীল, আর অভিব্যক্তিবাদীরা বোঝাতে চান কি করে নারী জীবন জনচিত্তে অনুভূতি জাগ্রত করতে ও ভাব সঞ্চার করতে সক্ষম হয়। আপনি এই কবিতা কোন শ্রেণীর দৃষ্টিতে দেখলেন সেটার উপর নির্ভর করে অনেক কিছুই।
একটা কথা কি, শিল্প স্থায়ী আর আবেগ ক্ষণস্থায়ী।
নারীর অশ্রুবিন্দু, আফসোস, নারীর শৈল্পিক স্পন্দন, মুক্তির অঙ্গীকার, ইতিহাস হতে চাওয়া, সর্বোপরি একটি রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ অর্থাৎ একটি নির্ভেজাল, নির্মল জীবন চাওয়া, এগুলো স্থায়ী নয়?
তাই বলতে পারি, এই কবিতার মাধ্যমে "তথাকথিত মানবিক সভ্যতা" বিলীন করে ইতিহাস রচিত করার কোন ইচ্ছা আমার নেই, ছিলনা।
আশাকরি উত্তর দিতে পেরেছি।
আর যদি কোন প্রশ্ন বা আলোচনার দরকার হয় তো হতে পারে।
আজকে এই পর্যন্ত।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি প্রশ্ন করার করার জন্য। আশাকরি ভবিষ্যতে এরকম আরো প্রশ্ন রাখবেন।
অনেক শুভকামনা রইল।
২৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ - ভাবনাটি চমৎকার এবং আকাঙ্খাটি আকর্ষণীয়। কবিতাটি বিবেকের দংশনে জর্জরিত একটি জীবনবোধের আর্ত চিৎকার!
"এখন মনে হচ্ছে সেটা না করে ভালোই করেছি, এভাবে লেখায় কবিতাটি অনেক পথ অতিক্রম করেছে" - (৪ নং প্রতিমন্তব্য) - একমত।
প্রতিমন্তব্য এবং মন্তব্যের মধ্যে যেগুলো ভালো লেগেছেঃ
মন্তব্যঃ ৪,৯,১০,১৪,২৬
প্রতিমন্তব্যঃ ৬,৭,১৪,২২,২৬
কবিতায় দ্বাদশ প্লাস। + +
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১১
বিজন রয় বলেছেন: আপনার এই প্রয়াসটি আমার খুব ভালো লাগে, পোস্টের লেখা পড়া, আর সেই পোস্টে মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যগুলোও মনোযোগ দিয়ে পড়া।
কবিতাটি বিবেকের দংশনে জর্জরিত একটি জীবনবোধের আর্ত চিৎকার!
এই এক লাইনেই গোটার কবিতার কথা বলতে পেরেছেন।
কবিগুরুর দুটি লাইন মনে পড়ে গেল.....
"আপনাকে এই জানা আমার ফুরাবে না
সেই জানারই সঙ্গে সঙ্গে তোমায় চেনা"
আমিও চিনতে চেয়েছি, আপনাদেরকে চেনাতে চেয়েছি।
নারীর জন্য আমি একটি শান্ত, সুস্থ, নিষ্পাপ, নিরপেক্ষ জীবন চেয়েছি। যেখানে লড়াই থাকবে কিন্তু কষ্ট থাকবে না, সংগ্রাম থাকবে কিন্তু নির্যাতন থাকবে না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকুন সবসময়।
২৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
আরোগ্য বলেছেন: বিজনদা একটু বেশি কঠিন হয়ে গেল না???
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
বিজন রয় বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য, কঠিন হতে পারে তাবে সেটা ক্যানভাসের দিক দিয়ে অর্থাৎ কবিতায় যে সময়, কাল, জীবন তুলে ধরা হয়েছে সেদিক দিয়ে। আর ভাষার ব্যবহার কঠিন হয়েছে মনে মনে হয় না।
আসলে, সম্ভবত কঠিন হয়েছে বলেই কবিতাটি আপনাদের ভালো লাগছে। আমি মনে করি কবিতাটি পরপর কয়েকবার পড়লে অনেক সহজ আর পরিস্কার হবে।
কবিতায় কিন্তু মুক্তির অঙ্গীকার, ইতিহাস, রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতা, এগুলো কি, কেন, কিভাবে সেটা বিস্তৃত করিনি, শুধুমাত্র "বহুকাল ধরে হেঁটেছি পৃথিবীর পথে...................................." এখানে অল্প বলেছি।
তাই এই কবিতার ভিতরে পৌঁছাতে হলে কয়েকবার পড়তে হবে।
অনেক দিন পর আপনাকে পেলাম।
শুভকামনা রইল।
৩০| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:০২
করুণাধারা বলেছেন: কবিতা ভালো হয়েছে। দীর্ঘদিন পর কবিতা নিয়ে এলেন, অনেক ধন্যবাদ।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
বিজন রয় বলেছেন: হ্যাঁ দীর্ঘদিন পর। এই সময়ের ভিতর আপনি অনেক বারই বলেছেন আমাকে কবিতা পোস্ট দিতে। কিন্তু আমাকে যে মাঝে মাঝে হাওয়া হয়ে যেতে হয়।
আমার একটি সমস্যা হয়, একটি পোস্ট দিলে অনেক মন্তব্য আসে, সেসব মন্তব্যের উত্তর দিতে আমার অনেক সময় লাগে। কেননা ভালো মন্তব্যগুলো তো এড়িয়ে যাওয়া যায় না। এখানে আমার সময় লাগে।
কবিতা ভালো বলেছেন।
একটা বিষয় আমি বরাবরই লক্ষ করি। এরকম নারীবাদী কবিতা আমি আগেও পোস্ট করেছি। কিন্তু ব্লগের নারী বা বোনরা এরকম কবিতায় কথা বলেন কম। এটার রহস্য কি আমি বুঝতে পারি না।
আমার কবিতা পোস্ট করার ব্যাপারে আপনার অনেক উৎসাহ থাকে।
এটা আমার অনেক বড় সম্পদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৩১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:১০
ক্রেটোস বলেছেন: মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম বিজন, আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আপনি কী পদাতিক চৌধুরী? যদিও দুজনের লিখার ধাঁচ আলাদা তবে কোথায় যেন একটা মিহি বুনন আছে দুজনের লিখাতে যা আপনাদের দুজনকে এক ভাবতে বাধ্য করেছে। যাইহোক আমার কথাতে কিছু মনে করবেন না প্লিজ!
আর আপনি দয়া করে নিয়মিত কবিতা লিখবেন! এটা একটা আবদার বলতে পারেন আমার পক্ষ থেকে, ভালো থাকবেন!
০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৮
বিজন রয় বলেছেন: মুগ্ধতা জানানো_
বেশ কিছু দিন আগের পোস্ট হলেও আপনার চোখে পড়েছে এবং মন দিয়ে পড়ে মন্তব্য করেছেন, এটা আমার খুব ভালো লাগল। আপনি অবশ্যই বুঝদার, বিচক্ষণ ও মনোযোগী পাঠক, সেজন্যই কবিতার ভাষা, বিষয় ও গভীরতা আপনাকে প্রভাবিত করেছে কিংবা আপনার মনে বিশেষ রেখাপাত করেছে।
একটি কবিতার শুধু শব্দগুচ্ছ বা অক্ষরগুলি পাঠ করলেই তার তাৎপর্য বোঝা যায় না বরং লেখার অন্তর্নিহিত অর্থ, তাৎপর্য এবং গভীরতা অনুধাবন করতে করতে হয়। আপনি নিশ্চয়ই সেটা করতে সমর্থ ও সক্ষম হয়েছেন। এবং সে জন্যই একটি শব্দ মুগ্ধতা বলার মাধ্যমে সবটাই বলে দিয়েছেন।
পদাতিক চৌধুরী কি না_
না, একদম না। আমি পদাতিক চৌধুরী না। ওরকম মনে হতেই পারে। আমারো হয়, কত জনকে কত জনের সাথে আমি গুলিয়ে ফেলেছি এই ব্লগে! তবে পদাতিক চৌধুরীর লেখা অনেক ধারালো, পরিচ্ছন্ন। সম্ভবত উনি বিভূতি, তারাশঙ্কর, মানিক ওনাদের এবং ওনাদের সময়ের লেখকদের লেখা প্রচুর পড়েছেন। ওনার লেখায় ওই সময়ের একটি ছায়া দেখা যায়। আমার ভিতরও থাকতে পারে, তবে আমি বদলে ফেলেছি। আর এই ব্লগে আমি এখনো কোনো গদ্য লেখা পোস্ট করিনি।
না, আমি কিছুই মনে করিনি বরং খুশিই হয়েছি। আপনি কোনো ভুল করেননি।
কবিতা লেখার আবদার করেছেন_
হা হা হা ........... অনেক অনেক ভালো লাগল। কেহ এমনভাবে বললে মনে হয় সার্থক হয়েছি।
কবিতা লিখি তো। কিন্তু ব্লগে পোস্ট করা হয় না। কারণ লেখা চুরি হয়ে যায়।
তবে আগের মতো বেশি বেশি লিখি না। কারণ নতুন কিছু নতুন করে লেখা আসলে খুব কঠিন। কারণ মানব সভ্যতা অনেক দূর এগিয়েছে, তার লেখার তা পূর্বের লেখকরা লিখে ফেলেছেন, তাই যা লিখি তা পুরানো মনে হয়। আর যখন দেখি এরকম বা কাছাকাছি কেহ লিখে ফেলেছেন তখন লজ্জ্বা পাই।
আপনার আবদার রাখার চেষ্টা করবো।
আপনার প্রসঙ্গে কিছু কথা_
আপনার ব্লগে গিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো পোস্ট নাই তাই ওখানে কোনো কথা বলতে পারিনি। পোস্ট দেন না কেন?
আপনি কে বলুন তো? আপনাকে জানতে চাই।
আপনি যেভাবে, যে আন্তরিকতার সাথে এখানে মন্তব্য করছেন সেজন্য আপনার ব্যাপারে আমার এই আগ্রহ জন্মেছে। বঞ্চিত করবেন না।
আবার কথা হবে নিশ্চয়ই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক শুভকামনা রইল।
৩২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাহ, খুব ভালো লাগল। আবৃত্তিযোগ্য।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭
বিজন রয় বলেছেন: হামা, আপনাকে কোনো পোস্টে পাওয়া আসলেই খুব সৌভাগ্যের ব্যাপার।
জানি, পরিবার, ক্যারিয়ার ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় সেজন্য আগের মতো ব্লগে সময় দেওয়া সম্ভব হয় না, আর হবেও না হয়তো কখনো।
আগে ব্লগে আপনার ফাইট ছিল অনন্য।
একদল বীর সেনা ছিলেন আপনারা ব্লগে।
প্রিয় দেশটার এখন অসুখ।
যে যার স্থান থেকে আবার যুদ্ধ করতে হবে, প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন আশাকরি।
অনেক শুভকামনা রইল।
৩৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৩৬
ক্রেটোস বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন,
আপনি যে আমার এই অহেতুক অনুমানে কোন মান না করে উল্টো সেটাকে আন্তরিকতার সাথে নিয়েছেন তার জন্য আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আমি আসলে তেমন ভালো পাঠক নই। একটা সময় কবিতা ভালো লাগতো যদিও আমার কবিতা পড়া তেমন একটা হয়নি। বন্ধু-বান্ধবরা যা লিখতো মুগ্ধ হয়ে পড়তাম ও শুনতাম। কিন্তু নিজে লিখতে পারিনি কোনদিন তাই আমাকে এভাবে বিশেষায়িত করবেন না আমি লজ্জা পাই এতে!
আপনিও আপনার ভেতরে লুকিয়ে থাকা লেখক ছায়াটাকে বদলে ফেলেছেন? মনে হয় না। অন্তত আমার এই কবিতা পড়ে তা মনে হয়না।
আপনি আমার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তো বলি আপনাকে।
আমার ব্লগ নেম আসলে যা দেখেছেন আমি তাই। অন্তত ফেলে আসা গত ১০টি বছরকে বিশ্লেষণ করে এখনকার পরিস্থিতি বিচার করলে সেটাই দাঁড়ায়। একটা সময় প্রচুর ডেথ মেটাল গানে কভার করেছি নিজের তৈরী করা একটি আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ডে বেইজ গিটার বাজিয়েছি। সেটাও প্রায় বছর ১২ হলো আমি ত্যাগ করেছি। একটা সময় আমার পরিচয় বলতে তাই ছিল। ব্যান্ডের পাশাপাশি দর্শন নিয়ে আমার অনুরাগ ছিলো বটে, অস্তিত্ববাদ নিয়ে আমার দারুণ আগ্রহ ছিলো, সেটাও ডেথ মেটাল মিউজিকের তাগিদে। সেই থেকেই ক্রেটোস নামটা আমার খুব পছন্দ। নিজেকে ক্রেটোসের মতন বিদ্রোহী ভাবতাম সবসময়। কিন্তু প্রতিটি মানুষের জীবনে একটা না একটা সময় দায়িত্ব এসে পড়ে কিন্তু আমি দায়িত্ব কাঁধে নিলাম ভালোবেসে, এরপর থেকে নিজের শখের সবকিছুকেই আমি জলাঞ্জলি দিয়ে এসেছি, সেই বছর দশেক আগে। তখন অবশ্য লিখতাম, গাইতাম কিন্তু এখন আর সেসবের কোনটাই করি না।
মাঝে সাঝে এখানে এসে ক্যাঁচাল দেখি, বলতে পারেন এটাই আমার একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম। কিন্তু ক্যাঁচাল না পেয়ে আপনার মতন কিছু ব্লগারের দারুণ সৃজনশীলতা দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই, ফেলে আসা দিনগুলিকে ভাবি, কষ্ট পাই এরপর আবার মেনে নিই আমার কিছুই করার নেই!
আপনার কবিতাটা আমাকে আমার ১২ বছর আগের সেই আমিটির সাথে আবার দেখা করিয়ে দিয়েছিল। জানেন বিজন আজকের সন্ধ্যা থেকে এই এখন অবধি লালনের একটা গান মাথায় ঘুরছে, মনে হচ্ছে গানটা তিনি মনে হয় আমাকে ভেবেই লিখেছিলেন!
গুণে পড়ে সারলি দফা, করলি রফা গোলেমালে। ভাবলিনে মন কোথা সে ধন, ভাজলি বেগুন পরের তেলে।
হয়তো বুঝেছেন আমি কী। আমি কে? এই প্রশ্নের আসলে সঠিক উত্তর আমার কাছে নেই। আসলে পরিচয় দেবার মতন কোন সামাজিক পরিচয় আমার আছে বলে এখন আর মনে হয় না। তাই আর বিস্তারিত কিছুই বলতে পারছি না বিজন।
আর কেন লিখি না প্রশ্ন করলেন না? এখন আমি আর লিখতে পারি না তেমন। মাঝপথেই সব থেমে যায় হয়তো লালনের বলা বেজাতের রাজা- টি হয়তো আমিই!
ভালো থাকবেন বিজন, শুভরাত্রি!
৩৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী কঠিন সুন্দর কবিতা
বাপরে-২
অনেক ভালো লাগলো দাদা
ভালো থাকুন
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬
সামছুল আলম কচি বলেছেন: এত এত অন্ডারস্কোর সাইন কেন ??
রক্তপাতহীন নিরপেক্ষতাবাদ; কবে- কোথায়- কিভাবে প্রকাশ সম্ভব ???!!!