![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদশেে আইএস এর পতাকা তলে ইসলামকি জঙ্গী ভয়ংকর রুপ ধারন করছ-েএমন সংবাদ কি গোয়ন্দো অথবা র্যাব এর কাছে ছলি না ?
আমার মতে কল্যানপুর এ জঙ্গী আস্তানা সর্ম্পকে র্যাব জানতো। তবে এরা এত ভয়ংকর হবে তা হয়তো র্যাব অথবা গোয়ন্দো সংস্থা বুঝতে পারনে।ি অথবা সদ্ধিান্তহীনতা, রাজনতৈকি চাপ বা দায়ত্বিে অবহলো এর ফসল হলো-গুলসান হামলা।
ফ্লাস ব্যাক : গত ৩০ সপ্টেম্বের, ১৪ এ সরিাজগঞ্জ এ ৫ জএেমবি কে বপিুল পরমিান আগ্নয়োস্ত্র সহ গ্রপ্তোর করে র্যাব। র্যাব দাবি করে য,ে গ্রপ্তোরকৃত ৫ জন নাশকতা চালানোর পরকিল্পনা করছলি।
আরো পছেনে : একই বছরে ঠাকুরগাও জলোর, মুন্সরিহাট এলাকার দুই শক্ষর্িাথী ঢাকা থকেে নখিোজ হয়। একজন জগন্নাথ বশ্বিবদ্যিালয়ে পড়াশোনা করতো। অপরজন নুরুজ্জামান আরফি ডফেোডলি বশ্বিবদ্যিালয়ে পড়াশোনা করতো। এরা দুজনইে ওই বছররে ২৮ সপ্টেম্বের সন্ধার পর মোহাম্মদপুর এলাকা থকেে নখিোজ হয়।
নখিোজ ওই দুই শক্ষর্িাথী কল্যানপুররে একই সাথে বসবাস করতো। আরফি এর ফসেবুক আইডি তে ঢুকে দখো যায় য,ে আরফি তার ফসেবুক ওয়ালে আইএস'র পতাকার ছবি ব্যবহার করছে।ে আরফি ফসেবুকে যে গ্রুপ গুলোর সাথে যোগাযযোগ করতো, তার সবই উগ্রপন্থী। এছাড়া সে যে স্টাটাস, মন্তব্য এবং ছবি তে লাইক দয়িছে,ে তার অধকিাংশই উগ্রপন্থী।
তারা দু'জন ২৮ সপ্টেম্বর তারখিে ঈদরে ছুটতিে বাড়ী আসবার জন্য বরে হয়ছেলি। এরপর রাত ১০ টা থকেে তাদরে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আরফি পড়াশোনার পাশাপাশি ঢাকার মোহাম্মদপুর ও কল্যানপুর এলাকায় পনরি এর ব্যবসা করতো।
তার ফসেবুক আইডি এর ছব,ি পোষ্ট ও অন্যান্য র্কমকাণ্ড র্পযালোচনা করে বুঝা যায় য,ে আরফি কোন ইসলামি জঙ্গী গোষ্ঠরি সাথে জড়তি। এমন অনুসন্ধানী সংবাদ পত্রকিা অফসিে লখিে পাঠানো হলওে, পত্রকিা সে সংবাদটি ছাপায়ন।ি তব,ে আমার নজিস্ব ব্লগ এ আরফি জঙ্গী গোষ্ঠরি সাথে জড়তি থাকার সম্ভাবনা রয়ছেে বলে নবিন্ধ লখি।ি তার ফসেবুক আইডি থকেে একটি ভডিওি সংগ্রহ কর।ি (আইনী নষিধোজ্ঞার কারন,ে ভডিওিটি আপলোড করা হলো না)। ওই ভডিওি তে দখো যায়, ৬ জন কালো মুখোশ পড়া যুবক আইএস'র পতাকা সামনে নয়িে বাংলা আরবি ভাষায় শপথ গ্রহণ করছ।ে তারা জঙ্গী গোষ্ঠি আইএস'র সদস্য বলে দাবি কর।ে তারা দশে থকেে অমুসলমি, নাস্তকি, ব্লগার সহ সরকার বরিোধী স্লোগান দয়ে। কালো মুখোশ পরা ওই জঙ্গীরা কালো রঙরে পাঞ্জাবি পরধিান করছেলি। তারা যে ঘরে শপথ বাক্য পাঠ করছলি এবং শ্লোগান দচ্ছিলি, সে ঘররে মঝেতেে একটি বছিানা ছলি। বছিানার ওপর একটি কম্পউিটার ছলি। বালশিরে দু'পাশে দুটি সাউন্ড বক্স ছলি। ওই ঘররে ওয়ালরে রঙ ছলি হালকা গোলাপী রঙরে।
একই বছররে ২৯ সপ্টেম্বর তারখিে আরফিরে বাবা আবু তালবে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারন ডায়রেি কর।ে সাধারন ডায়রেি করার পরে মোহাম্মদপুর থানার পুলশি আরফিরে রুমে যায়। তবে পুলশি নখিোজ আরফি সর্ম্পকে কোন তথ্য দতিে পারনে।ি আরফিরে বাবাও আরফিরে সাথে পরনিরে ব্যবসা করতো। আবু তালবে তার ছলেে আরফিকে ঢাকায় পনরি দয়িে আসতো এবং বভিন্নি দোকানে বক্রিি করতো।
পরে ৩১ অক্টোবর তারখিে র্যাব সরিাজগঞ্জ জলো থকেে ৫ জন জএেমবি সদস্যকে বপিুল পরমিান আগ্নয়োস্ত্র, বোমা, ডটেোনটের, র্সাকটি বোমা বানানোর সরঞ্জাম সহ গ্রপ্তোর কর।ে
নজিস্ব র্পযালোচনা : গত কয়কেদনি আগে পুলশি কল্যানপুর এলাকায় জঙ্গীর আস্তানায় অভযিান চালয়িে সখোনে অবস্থান করা জঙ্গীদরে ধরার চষ্টো কর।ে এতে পুলশি ও জঙ্গীর গোলাগুলতিে ৯ জঙ্গী নহিত হয়।
পুলশি নহিত জঙ্গীদরে ছবি প্রকাশ কর।ে প্রায় সব ছবতিইে ওয়ালরে রঙ হালকা গোলাপী। মঝেতেে বছিানা। আইএস'র পতাকা। এসব আলামত আগে প্রকাশতি ভডিওি'র সাথে হুবুহু মলি রয়ছে।ে
আরফি ২৮ সপ্টেম্বের থকেে নখিোজ ছলি। সে অনুযায়,ি র্যাব আরফিকে ওই দনিই আটক করছেলি বলে মনে হয়। যদওি র্যাব দাবি করছেে তাকে ৩১ অক্টোবর আটক করা হয়ছে।ে সম্ভবত: র্যাব আরফিকে জজ্ঞিাসাবাদ করে অন্য জঙ্গীদরে ধরা হয়। অথচ আরফি যখোনে থাকত, অথবা আরফি কার কার সাথে যোগাযোগ করে এমন তথ্য বশ্লিষেন করা উচতি ছলি। আরফি ছলি ববিাহতি। তারপরওে সে ডফেোডলি বশ্বিবদ্যিালয়ে কম্পউিটার সফটওয়ার এন্ড টকেনলজি বষিয়ে পড়াশোনা করছলি। প্রাইভটে বশ্বিবদ্যিালয়ে পড়াশোনার খরচ কোথা থকেে আসতো। তার স্ত্রী, বাবা-মা ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজন কি করে ? তারা কউে উগ্রপন্থী হসিাবে কাজ করে কনিা?
র্যাব যদি আরফিকে নয়িে একটু র্পযালোচনা করতো, তাহলে হয়তো গুলশান হামলা হতো না। অথচ, গুলশান হামলায় যখন ইসলামী জঙ্গীরা ২০ জন বদিশেী নাগরকি হত্যা করলো, ২ জন পুলশি র্কমর্কতাকে হত্যা করলো, তারপরে পুলশি কল্যানপুরে অভযিান চালয়িে ৯ জঙ্গীকে হত্যা করতে সর্মথ হলো।
কল্যানপুরে জঙ্গী অভযিানে পুলশি অবশ্যই ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। এ অভযিান থকেে বাংলাদশে পুলশিরে সক্ষমতা প্রকাশ পয়েছে।ে বশ্বিরে কাছে বাংলাদশে পুলশিরে ভাবর্মূতি বৃদ্ধি পয়েছে।ে
আমার বশ্লিষেনে মনে হয়ছে,ে র্যাব ও পুলশিরে মধ্যে তথ্য সমন্বয়রে অভাব রয়ছে।ে র্যাব আরফিকে গ্রপ্তোররে পরে কল্যানপুরে জঙ্গী আস্তানায় অভযিান চালাতে পারতো। আমার বশ্বিাস য,ে র্যাব বাহনিী আরফিকে নয়িে তমেন কোন বশ্লিষেন চালায়ন।ি র্যাব সক্রীয় ভূমকিা রাখলে হয়তো কল্যানপুরে জঙ্গীর আস্তানা ভঙেে যতেো। অধকিাংশ জঙ্গী ধরা পরতো। তাহলে হয়তো জঙ্গীদরে গুলশান হামলা ঠকোনো যতেো।
জঙ্গী তৎপরতা সর্ম্পকে এটা আমার নজিস্ব বশ্লিষেন। তারপরওে আমার বশ্লিষেনে জঙ্গী সর্ম্পকে যসেব তথ্য প্রকাশ পয়েছে,ে সসেব তথ্যরে কোনটাই মথ্যিা প্রমানতি হয়ন।ি তব,ে আফসোসরে বষিয় য,ে আইন শৃঙ্খলা বাহনিী এসব তথ্য বশ্লিষেন করে না।
২০০৫ সালরে আগস্ট মাসে জঙ্গীরা দশেব্যাপী বোমা হামলা চালায়। ওই বছররে র্মাচ মাসে দশেরে ১৭৩ জন জঙ্গীর পরচিয় উল্লখে করে একটি অনুসন্ধানী সংবাদ লখিছেলিাম। পুলশি বা গোয়ন্দো সংস্থা এসব জঙ্গীদরে বষিয়ে কোন খোজ খবর নয়েন।ি সংবাদ প্রকাশরে পরে যদি আইন শৃঙ্খলা বাহনিী ব্যবস্থা গ্রহণ করতো তব,েদশেব্যাপী বোমা হামলা হতো না বলে আমি বশ্বিাস কর।ি
রাজনতৈকি প্রসঙ্গ : বএিনপ'ির কয়কেজন প্রভাবশালী নতো মন্তব্য করছেনে য,ে "কল্যানপুরে জঙ্গীদরে না গ্রপ্তোর করে হত্যা করা হলো কনে" ? এমন বক্তব্যরে কারণে বএিনপি নতোদরে আসল চহোরা প্রকাশ পয়েছে।ে তারা এ সর্ম্পকে কোন বশ্লিষেন করনে।ি অবশ্য তারা না জনেে বলছে,ে এ কথাও ঠকি নয়।
এ প্রসঙ্গে কছিু তথ্য লখিতইে হয়। দশেে যভোবে উগ্র জঙ্গীর তৎপরতা বাড়ছ,ে তার অনকেটাই দশেরে উত্তরাঞ্চলরে ভূমকিা রয়ছে।ে এই উত্তরাঞ্চলইে জঙ্গী গোষ্ঠরি মদদদাতা, র্অথ যোগানদাতার বসবাস। জঙ্গী নতো শায়খ আব্দুর রহমান, সদ্দিকিুর রহমানরে এর র্কমকান্ড বস্তিার ছলি দশেরে উত্তরাঞ্চল।ে তৎকালীন সময়ে মজিানুর রহমান, মজেবাহ উদ্দীন, আসাদ, ফজলে রাব্বী, ওয়াহদেুর রহমান সহ ভয়ংকর জঙ্গীরা বএিনপি তে যোগ দয়ে। ঠাকুরগাও জলোর রানীশংকলৈ উপজলো বএিনপি সভাপতরি ভাই মালশেয়িা গয়িে আর ফরিে আসনে।ি এখন র্পযন্ত নখিোজ ওই ব্যক্তি সর্ম্পকে যতটুকু জানা গছেে য,ে সে মালশেয়িা সহ আর্ন্তজাতকি জঙ্গী সংগঠনরে সাথে জড়তি হয়ে পরছে।ে আরআইএইচএস নামক মধ্যপ্রাচ্য ভত্তিকি সংস্থাটরি প্রধান পরচিালকরে বাড়ি হরপিুর উপজলোয়। আল রাবতো নামক প্রতষ্ঠিানটরি পরচিালকরে বাড়ওি হরপিুর উপজলোয়। কুয়তে ভত্তিকি একটি সংস্থা ঠাকুরগাও জলো সহ বভিন্নি স্থানে আহলে হাদসি এর মসজদি নর্মিান করইে চলছ।ে গ্রামে গ্রামে তাদরে প্রচারনা অব্যাহত রয়ছে।ে কট্ররপন্থী জামায়াত-শবিরি র্কমীদরে অধকিংশই জঙ্গী গোষ্ঠতিে যোগদান করছ।ে
বএিনপি শুধু জামায়াতরে আশ্রয়দাতা নয়, বএিনপি জঙ্গী গোষ্ঠরি পৃষ্ঠপোষক। বএিনপরি ভতেরে মুখোশ পরে আছে জঙ্গীরা। তাই জঙ্গী নধিন করলে বএিনপি নতোরা কষ্ট পান। এরা জনেে শুনইে পুলশিরে বরিুদ্ধে এমন মন্তব্য করছনে। অথচ, একটু অনুসন্ধান করলইে জানা যাবে য,ে ধরা পরা বা নহিত হওয়া জঙ্গীদরে পরবিার কোন না কোন ভাবে বএিনপ'ির সাথে জড়তি। এমনও ঘটনা আছে য,ে কোন জঙ্গীকে পুলশি গ্রপ্তোর করার পর.ে ওই জঙ্গীকে মুক্ত করতে বএিনপ'ির কছিু মন্ত্রী তদবরি করছেনে। জঙ্গী ব্যক্তি সর্ম্পক সাফাই দয়িছেনে।
আমার এমন বশ্লিষেন এর র্অথ এই নয় য,ে আমি আওয়ামীলীগ এর সাথে জড়তি। আওয়ামীলীগ এর রাজনীতি ও দ্বতৈ নীতরি সাথওে মত র্পাথক্য রয়ছে।ে জঙ্গী আরফিকে যনে আদালত জামনি দয়ে, সে কারন,ে আওয়ামীলীগ'র একজন ক্ষমতাধর সংসদ সদস্য সুপারশি করছেলিনে। শুধু তাই নয়, জঙ্গী গোষ্ঠরি পরবিাররে কছিু সদস্যকে তনিি চাকরি দয়িছেনে।
র্বতমানে বাংলাদশেে জঙ্গীর উত্থান খুবই ভয়াবহ। বাংলাদশেরে পুলশি জঙ্গী দমন করতে সক্ষম। তাই, পুলশিকে মুক্তভাবে কাজ করতে দতিে হব।ে পুলশি বাহনিীতে আরো যোগ্য গোয়ন্দো সংস্থা গড়ে তুলতে হব।ে জামায়াত-শবিরি নষিদ্ধি করতে হব।ে গ্রামে গ্রামে মৌলবাদ সর্ম্পকে কঠোর নীতি গ্রহণ করতে হব।ে তবইে হয়তো জঙ্গী দমন এবং উত্থান ঠকোনো যাব।ে
©somewhere in net ltd.