![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রসঙ্গত: হেড লাইনের সাথে সংগতিপূর্ণ সব লেখা মিলে যাবে যাবে এটা আমি কখনই আশা করি নাই। আর এ কারণে আমি কখনো নিরাশ হয়েছি বলে মনে হয় না। তারপরেও একেবারে বেমানান হলে মন খারাপ হয়ে উঠে বটে। তারপরেও আমি নিরাশ নই, কারণ, জীবনের সাথে সব কিছুই মিলিয়ে নেবার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেসব নিয়ম আমাকে ধোকা দিয়েছে। তাই, কি মিলে গেলো, বা অমিল হলো, তা নিয়ে ভাববার প্রয়োজন মনে করছি না।
অনেকদিন কফি খাইনি। আর ফ্রাইড চিকেনের ঘ্রান তো ছয়শ মাইল দুর থেকে টের পাই। সাহস করে শহরে গিয়েছিলাম। আর লুকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে না। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে মনে হচ্ছিল, এই বুঝি আমার শরীর থেকে মাথাটা আলাদা হবে। তারপরেও দৃঢ় মনে কফির কাপে শেষ চুমুক দিয়েই বের হলাম। বের হবার পথেই দেখা হয়ে গেলো কয়েকজন ধার্মিক মানুষের। বুঝতে পারলাম, ওরা আমায় পাশ কাটিয়ে গেলো। এতে মনের সাহস কিছুটা বেড়ে গেলো। ওরা ধরেই নিয়েছিল যে, তাদের সাথে লড়াই করবার শক্তি নিয়েই আমি অনুপ্রবেশ করেছি। এটাই মনে হয় সঠিক। কারণ, এই মানুষ দু'টিই আমাকে একদিন নাস্তিক বলে চিৎকার করছিল। ওরা বলছিল, আমি নাকি ইসলামের শত্রু। মুসলমানের হয়েও মুসলমানের পক্ষে কথা বলছি না।
তাদেরকে একদিন বলেছিলাম যে, আমি কি নিয়ে আপনাদের পক্ষে কথা বলবো ? আমি কি করে বলবো যে, আপনারা যে, অসহায় শিশুদের ভিক্ষা করানো শেখাচ্ছেন, তা আরো বেশি করে শিখান। আমি করে বলবো যে, ইসলাম যেখানে অন্য ধর্মের মানুষদের রক্ষা করতে বলেছে, আমি কি তাদের হত্যা করার কথা বলবো ? নাকি মুসলমান বাদে অন্য ধর্মের মানুষদের হত্যা করতে বলবো অথবা আমি নিজেও হত্যা করবো ? এর কোন উত্তরই পাইনি, ওই মোল্লাদের কাছে। তারা শুধু বলেছিলেন, "আপনি নাস্তিক হয়ে গেছেন"।
হা. আজ আমি প্রকাশ্যে ঘোষনা দিচ্ছি, আমি নাস্তিক হয়ে গেছি। কারণ, আমি মানুষকে ভালোবাসি। আমি মানবতার সেবা করি। আমি মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা বলি। আমি সিয়েরে লিয়েনকে বেশ্যা বলিনা। আমি শরীর খাটিয়ে যে নারীরা উপার্জন করে, আমি তাদের বেশ্যা বলিনা। আমি তাদের বিনোদন কর্মী ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে রাজী নই। হা. আমি আজ নাস্তিক, আমি প্রকাশ্যে বলছি যে, কোন নারীর উন্নত বক্ষ দেখে আমার ঠোট লালায় ভরে উঠে না। আমি এটাও বলছি যে, হ্যা, আ্মার মধ্যেও কামনা, বাসনা, ভালোবাসা আছে। হা, আমি এও বলছি যে, আমি পরস্পরের সম্মতিতে যৌন সম্পর্কে বিশ্বাস করি। আমি এটাও বিশ্বাস করি যে, আমি যেমন অন্যজনের সাথে বিছানায় যেতে পারি, তেমনি আমার প্রান প্রিয়ও অন্য কারো সাথে তার সুখ শেয়ার করার অধিকার রাখে।
হা. আমি নাস্তিক, আমি নাস্তিক, আমি নাস্তিক। তারপরেও আমি আপনার তরবারির নিচে বলি হতে আসি নাই। আপনি ধার্মিক, তাই সামনের দিক দিয়ে আঘাত করুন। আপনি তরবারি হাতে থাকবেন, আর আমি থাকবো একটি কলম হাতে। আমি আপনার পরাজয় ঘটাবো। আপনারা অতি দূর্বল তাই ঐশ্বরিক চিন্তায় ভরপুর, আমি বাস্তববাদী তাই আমার সাহস আপনার চেয়ে অনেক বেশি।
আপনি প্রতি রাতে আপনার স্ত্রীর অথবা কোন নিরীহ নারীর ইচ্ছাকে মেরে ফেলেন অথবা ধর্ষন করেন। আমি ভালোবাসি, আমার শয্যা সঙ্গীকে আমি ভালোবাসি। আমরা বিনিময়ে বিশ্বাস করি, আর আপনারা ছিনিয়ে নেয়ার পক্ষে। হরণ করার পক্ষে। হায় মুসলিম।..।
কোথায় আপনি পুরোহিত মশাই ? আপনি কি পেরেছিলেন দৌপদীর বস্ত্র হরণ ঠেকাতে। আপনি কি পেরেছিলেন, পঞ্চ পাণ্ডবের হাত থেকে দ্রৌপদীকে রক্ষা করতে। কি করেছিলেন আপনারা, আপনাদের রাজসভায় ? দ্রৌপদীকে বেশ্যা বানিয়েছিলেন ! কোথায় ছিলেন সেদিন আপনার ঈশ্বর ? দ্রৌপদী একটি আশির্বাদ চেয়েছিলেন, পেরেছিলেন কি তার সে আশির্বাদ বা ইচ্ছা পূরন করতে ? অবশেষে কথিত কৃষ্ণের কৃপায় সেই পঞ্চ পাণ্ডবের পতনের কথা ইতিহাসেই লেখা রয়েছে।
এই শালা কাপুরুষের দল, বল কোথায় লেখা আছে যে, তুমি স্ত্রী মিলনের বিবস্ত্র হবে ? বল বেঈমানের দল, বিবস্ত্র হওয়া ছাড়া স্ত্রীর সাথে যৌন মিলনে মিলিত হতে পারবি ? হাটুর ওপরে কাপড় তোলা যাবে না, নাভির নিচে কাপড় নামানো যাবে না। তাহলে কি করবি ? লুঙ্গী বা প্যান্টের মাঝখানে একটি ফুটা করে নিবি ? হারে আহাম্মকের দল, আমার মত, আমাদের মত উচ্ছন্নে যাওয়া্ মানুষগুলো অনেক বাস্তব কথা বলি। আর এ বাস্তব কথা খারাপভাবে দেখবার কথা কি কোরআন, গীতা, রামায়ন, বাইবেল কোথাও লেখা আছে ?
বরং এটাই লেখা আছে যে, "তুমি সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলে স্বীকার কর"।
কিসের মুসলমান দাবি কর তোমরা ? ইসলামের চারটি স্থম্ভের ওপর দাড়িয়ে আছে। সেসব স্তম্ভের ব্যাখ্যা রয়েছে হাজারো, লাখো। শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তির শিক্ষা দেবার কথা কোথায় লেখা আছে ? তোমার অভুক্ত প্রতিবেশিকে রেখে হজ্ব করতে যাবার কথা কোথায় লেখা আছে ?
তুমি/আমি যে গোত্রে জন্মেছি, সে ধর্ম সম্পর্কে অবশ্যই জানবো। তার অর্থ কি এই যে, শতাব্দীর পরিবর্তনে কোন কিছুই পরিবর্তন হবে না।
আযানের অর্থই হলো, মানুষকে নামাজের জন্য আহ্বান করা। ভেবেছ কি, ৩ টি মহল্লায় মোট ৯ টি মাইক। যে মাইকে সারাক্ষন তোমাদের হুজুরদের একই কথা প্রচার চলছেই। আযানের শব্দে মানুষ বিমোহিত না হয়ে বিরক্ত হচ্ছে ! কেন ? তোমরা না বিধর্মীদের আবিষ্কারকে অস্বীকার করো। কেন নামাজের সময় জুতা সিজদার স্থানে রাখো ? ঈমান দূর্বল নিয়ে ধর্ম প্রচার করা যায় না।
ওই অসহায় শিশুদের কর্মমুখী শিক্ষা দিলে কি তোমাদের ইসলাম রক্ষা হতো না ? নাকি গেড়ুয়া রঙের কাপড় পরে, গলায় একটা ব্যাগ ঝুলিয়ে, সেই ব্যাগের ভেতর একটা হাত ঢুকিয়ে রেখে শুধু "হরে রাম, হরে কৃষ্ণ" বললেই ধর্ম রক্ষা হবে। ভিক্ষা বৃত্তি বা অতি সস্তায় আয় করে জীবন নির্বাহ করতে চাও কেন ?
ভেবেছ, আমি ক্ষেপে গেছি ? না আমি ক্ষুব্ধ নাই। আমি আমার অপারগতা বুঝি, আমি আমার সামর্থ বুঝি। তোমাদের জীবন ধারনের সস্তা স্রোতে ভেসে যেতে আমি আসি নাই।
আমি এখনো চিৎকার করে কাদি, তোমরা যখন মানুষ হত্যা কর। তোমরা অসহা্য় শিশুদের বিকৃত যৌন কাজে ব্যবহার করো। আরে বেকুবের দল, সমকামি সমকামি নিয়ে এতই যে চিৎকার কর, ক'জন মৌলানাকে তোমাদের আইনে শাস্তি দিতে পেরেছ ?
ইতিহাস শুনবে-শোন, বখতিয়ার আবুল কালাম আজাদ। যার আস্তানা ছিল গাইবান্ধায়। সে ছিল কুয়েত প্রবাসী। গাইবান্ধায় এসে একটি এতিমখানা ও হাফেজি মাদ্রাসা স্থাপন করে প্রায় ১১ বছর কর্মকাণ্ড চালায়। নুরানী মাদ্রাসার অন্যতম পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৭ আগস্ট বোমা হামলার পরে তিনি এখন কোথায় ? তার অধীনস্থ একত্রিশ জন শিশু এই অধমের কাছে বর্ণনা করেছে যে, সে শিশুদের রাতের বেলা তার কাছে যেকে আইনতো। শরীর মালিশ করিয়ে নিতো। এক পর্যায়ে সে তাদের ধর্ষন করতো। কোন শিক্ষার্থীই এ ব্যাপারে ভয়ে মুখ খোলেনি। কি মনে হচ্ছে, আজগুবি ? এবার চলে যান, দিনাজপুরের আমতলী নামক গ্রামে তার শশুড় বাড়িতে। তার স্ত্রীর মুখেই শুনুন, তার অপকীর্তির কথা। এমন একজন মাওলানার পছন্দ স্ত্রীর সাথে যৌন মিলনের বদলে শিশুদের পায়ু পথ ! ধিক। পেরেছ সেই সমকামির বিচার করতে ?
আরো উদাহরন লাগবে, আল রাবেতা পরিচালিত মাদ্রাসা, হরিপুর উপজেলার যাদুরানী এলাকায় এতিমখানা আর লিল্লাহ বোডিংয়ে শতাধিক শিশুর আবাস। ইতোমধ্যে কয়েকজন শিশুকে তার অভিভাবকরা বাড়ি নিয়ে গেছেন। অধিকাংশ শিশুই সেই শিক্ষকদের দ্বারা ধর্ষনের শিকার।
তথ্য প্রমাণ দিয়েই বলছি, তারপরেও বাংলাদেশের কোন সংবাদমাধ্যম এসব সংবাদ লিখবেনা। কারণ ব্যবসা বলে একটা আছে। তাছাড়া ধর্মানুভূতি শব্দটাকে ওরা জমের মত ভয় পায়। অথচ সেখানে কদর্য্য মুখগুলো দেখলেই ঘৃনা হয়।
দিনাজপুরের একটি অনুষ্ঠানে নিজেকে বিশিষ্ট লেখক বলে দাবি করেন, এমন লোকটি তরুনিদের চুমু খেতে শুরু করেন। অবশেষে তরুনিরা তার কাছ থেকে একটু দুর দিয়েই অটোগ্রাফ সংগ্রহ করেন।
সেই অমানুষটির ঘরে দুটি মেয়ের জন্ম হয়েছে। মানুষ প্রেমী বলে দাবি করা সেই অমানুষটি একটি ছেলে সন্তানের জন্য লালায়িত ছিলেন। বরিশাল থেকে (বিস্তারিত এখনো নয়) একটি ছেলে সন্তান ক্রয় করেছেন। যা নিজের ছেলে সন্তান বলে দাবি করছেন। মজার বিষয় হলো, বিষয় সম্পত্তি সবই মেয়ে আর স্ত্রীদের নামে লিখে দিয়েছেন। ক্রয় করা সেই ছেলেটি তার ছেলের অভাব পূরন করলেও, সেই ছেলের ভাগ্যে কোন সম্পত্তি জোটেনি। সেই মুখোশধারী জানোয়ার গনমাধ্যমের কথা ব্যক্তি হবার জন্য একটি গ্রুপের মালিকের চাকরের মত কাজ কর্ম করেছেন।
আমি মহৎ কোন ব্যক্তি নই। জীবনের কঠিন সময় পার করছিলাম। ভেবেছিলাম, গনমাধ্যম সব সময়ই মানবতার চর্চা করে। আমি সেই গনমাধ্যমে অধিকাংশ মানবতাবাদী মানুষের দেখা পেয়েছি। কিন্তু চরম সত্য কথা হলো, তাদের মুখের কথা ভিন্ন, আর মনের ভেতরের কথা ভিন্ন। এরা মুখে মানবতার কথা বলে, কিন্তু তাদের লক্ষ্য একটাই, ব্যবসা।
ভাবতে পারেন, জীবনের চরম সংকটময় সময়ে সবচেয়ে প্রিয় লোকটি বললেন যে, ভালো করে খামারের কাজ কর, তাতে ভালো করবে। আরে ভাই, সংবাদ মাধ্যমে উপার্জন করতে আসি নাই। আমি এসেছিলাম, মানুষের সেবা করতে। নইলে যে টাকা আপনারা বেতন দিতেন, তা সময় মত করে কাজ করতে থাকলে অনেকগুলো কর্মচারি পুষতে পারতাম। অথচ, এই তোমাদের জন্য, গনমাধ্যমের জন্য, মানবতার জন্য, সংসার ত্যাগী হয়েছি, সন্তানের সকল চাহিদা পূর্ণ করতে পারিনাই, স্ত্রীও দুরে চলে গেছে।
হা, আমি এখন একা। একদম একা। আমার ক্ষুধা লাগে, আমার তৃষ্ণা লাগে। আমার ভেতরেও জৈবিক তাড়নার সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো যৌন নির্যাস নিজে নিজেই নির্গত হয়ে আমাকে ভৎসনা করে। তারপরেও আমার মনের কঠিন অবস্থাকে হত্যা করছি, নিয়ন্ত্রন করছি। করবো হয়তো।
তুমি বলতে পারো বন্ধু, তুমি তো মানবতার রক্ষক। তাহলে আমি আমাকে কিভাবে নিবারন করবো ? মদ খাবো? বিকৃত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করবো ? সমকামি হবো ? জবাব দাও, জবাব তোমাকে দিতেই হবে। নইলে সরে দাড়াও, বলে উঠ, তুমিও দালালের শ্রেণীভূক্ত হয়ে গেছ। তুমি কি জানতে না, আমাকে ওরা কিভাবে হত্যা করার জন্য খুজে বেড়াচ্ছে ? তুমি কি জানতে না আমার সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করছে ? তোমার বিবেক কি একবারো বলে উঠেনি, তুমি আমার প্রতি অপরাধ করতে যাচ্ছো। আংশিক বিবেকের তাড়নায় বলে উঠলে " তুমি সত্য স্বীকার করতে জানো"। কি দরকার ছিল এমন ভনিতার। আমি কি পারতাম না, অনেক মিথ্যা বলে, তোমাদের কর্পোরেট হাউজের সাথে জড়িত থাকতে ? আমিতো ভেবেছিলাম, তুমি সত্য বিশ্বাস কর। বন্ধু, তোমার বিবেক অনেক আগেই কর্পোরেট হয়ে গেছে। তুমি পচে গেছ। বামপন্থীর পচে যাওয়ার দূর্গন্ধ হাজার মাইল দুর থেকে অনুভব করা যায়।
আমিতো লিখেছিলাম, কেন এদেশ থেকে হিন্দু মানুষগুলো চলে যাচ্ছে। ৫ টি জেলা থেকে গত ১০ বছরে চারশ পরিবার চলে গেছে, কেন গেছে, কারা দায়ী ? পেরেছিলে, সে সংবাদ ছাপতে ? পারোনি। আমার সকল আত্মীয় আমার ইজম মেনে চলবে এটা কে বলেছে ? আমি তো দ্বিধা বোধ করিনি, ক্ষমতাসীন দলের পানি সম্পদ মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা করতে। আমি জানি এটার বিচার পাওয়া খুব কঠিন। তারপরেও আমি বিশ্বাস করি, আমি বিচার পাবোই। কারণ, আমার শরীরে, ঘাড়ের মধ্যে এখনো মাঝে মাঝেই তীব্র ব্যাথাগুলো আরো তীব্রতর হয়ে উঠে। তখনই অনুভব করি, আমার এ ব্যাথা হয়তো স্থায়ী। তবে আমি কঠিন দৃঢ়তার সাথে বলছি আমি বিচার পাবোই।
বন্ধু, তুমি বাম লেবাস ধারন করেছ বটে, মানবতার সেবকের ধারক বাহকের আসনে বসেছ বটে, কিন্তু বলতো, এই একটি কঠিন কাজ কি তুমি কখনো করতেও পারতে বা পারবে ?--
হা, আমি একজন বহুগামী কে ভালোবাসি। হা, আজো ভালোবাসি। সে অজস্র মিথ্যা বলে যা আমি সব সময়ই অনুভব করি। আমার কাছে বহুবার তার মিথ্যা ধরা পরেছে। সে স্বীকারও করেছে। আমি বহুবার চলে আসতে চেয়েছি, চলে এসেছি। কিন্তু জানো কি বন্ধু, সে যখন মাছ থেকে কাটা ছাড়িয়ে আমি খাইয়ে দিতো, তার মায়ের কাছে সে বলতো, সে নিজ হাতে খেতে চায় না। সে প্রকাশ্যেই বলতো, সে অনেক খারাপ, তবে আমাকে সে চরম ভালোবাসে। আমার খুব কা্ছের বন্ধুও বলেছিল, মেয়েটির চরিত্র ভালো নয়। বন্ধু, আমি চরিত্রের সংজ্ঞা জানি। তাই অনেক, হাজারো, লাখো অভিযোগ, অনুযোগ থাকলেও, আমি শুধু তারই প্রতিক্ষা করি।
তুমি তো বামের অনেক সাধক, বলতো, ঈশ্বরের সংজ্ঞা কি ? আমরা যা জানিনা, যার উত্তর খুজে পাইনা, সেটাইতো ঈশ্বর তাইনা ?
হা. বন্ধু তোমরা যাকে বেশ্যা বলো, নষ্টা বলো, সেই আমার ঈশ্বর। আর তোমরা সবাই মিথ্যাবাদী। আমার হাতে যদি এমন একটা অস্ত্র থাকতো, তবে তোমাদের মত সকল অভিনেতাদের আমি খুন করে ফেলতাম। কারণ, তোমরা মানবতার সংজ্ঞাটা বিকৃত করে ফেলেছ। তোমরা মানুষকে ভালোবাসার বদলে মানুষকে দুরে ঠেলে দিচ্ছো। তোমরা নারী অধিকারের নামে পেছনে চুপটি করে হাসো।
আজ বলতে দ্বিধা নাই যে, তোমরা নষ্ট পৃথিবীর অতি নিকৃষ্ট একজন মাত্র। হয়তো তোমাদের চেয়ে সেই ইসলামী সন্ত্রাসীরা কিছুটা এগিয়ে আছে। ইসলামি সন্ত্রাসীরা একজন একজন করে হত্যাই করছে, আর তোমরা হত্যা করছো সমস্থ মানব জাতীকে। ধিক্কার, শুধুই ধিক্কার তোমাদের জন্য।
আমার ভেতরে আগুন জ্বলছে, আমার জন্য নয়, মানুষের জন্য, মানবতার জন্য। তোমাদের চোখে বেশ্যা উপাধী পাওয়া সেই নারীটির জন্য। যে আমার ঈশ্বর।
আমার আফসোস নেই যে, আমি আমার সন্তানের কোন চাহিদাই পূরণ করতে পারিনা। আমার আফসোস নেই যে, ষ্টার জলসা পাগল স্ত্রী আমাকে ছেড়ে আমার বাড়ি ঘর দখল করে বসে আছে।
তারপরেও আমি ভালো আছি, তোমাদের চেয়ে, কারণ, আমি এখনো ভালোবাসাকে লালন করছি। আমি এখনো ঈশ্বরের আরাধনায় মগ্ন। আমার আরাধনার মধ্যে কোন অভিনয় নেই।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩৫
বিভক্ত আত্মা বলেছেন: গেম চেঞ্জার ভাই, আমার অব্যাক্ত কথাগুলো খোলাশা করার জন্য কৃতজ্ঞ। আমি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করছি যে, আমি বাংলাদেশের বৃহৎ বলে পরিচিত সকল সংবাদমাধ্যমে কাজ করে এসেছি, পুরষ্কারও গ্রহণ করেছি। তিরষ্কারও কম পাইনি। বেশ্যা, বৈশ্যা নামক শব্দটির বিভাজন বড়ই দরকার। আমাকে সমর্থন করুন, অনেক কালো ইতিহাস আপনারা জানবেন। আমি জানি এ নিয়ে হয়তো রাজপথে কোন মিছিল হবে না। তবে ৫৭ ধারার ভয় কেটে গেছে। কারণ, জেলখানাও তো মানুষের জন্যই তৈরী। আজ আমি পুরোপুরি তৈরী। বেশ্যা আর বৈশ্যাদের পায়ে কিভাবে জুতা থাকে তার ব্যাখ্যা জরুরি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রকৃত বাস্তবতা হলো আমরা যাদের বৈশ্যা, অসতী বলে জানি, সেই একই কনসেপ্টে আমাদের জাতির বিবেকের কর্ণধাররা নিজেদের ভার্জিনিটি রক্ষা দূরে থাক। উজার করে সব খুলে নগ্ন হয়ে গেছেন বহু আগে। এখন আর লজ্জা হয়না তাদের। লজ্জা হয়না মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে। প্রভাবশালিদের রক্ষা করতে তারা আজ কোমর বেঁধে নামতে পারে। একদম লজ্জা হয় না, দ্বিধা হয় না। কারণ তারা বৈশ্যা!! একেবারে নিম্নস্তরের বৈশ্যা!!