![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোধ হারিয়ে যখন শুধুই ভাবনাগুলো নির্লজ্জের মত হাসছিল...............
সেখান থেকে তাকিয়ে দেখলে দেখা যাবে, কেউ নাই সাথে। স্বপ্নে বিভোর মানুষ ঈশ্বরকে ছোবার স্বপ্নে হয়ে উঠে বিলাসি। কটাক্ষ করে পৃথিবীর মানুষ উড়তে চায়। দুর পাহাড়ের ওপরে উঠে চেষ্টা করে উড়তে। হায়রে বোকা মানুষ, নিচেই পড়ে যায়।
জীবনের সব যুক্তি মুহ্যমান হয়ে গেলেও-এটা প্রাকৃতিক সত্য, মৌলিকতার সাজটাই ভিন্ন। যৌগিকতাপূর্ন মানুষের দেহ থেকে এ সময় দেহজ প্রান আলাদা হয়ে যায়। নিজ ধর্ম নিস্ব হয়ে সে পরিনত হয় ভিন্ন ধর্মাবলম্বি। সে তার গন্ডির মধ্যে থাকেনা। শেষ পর্যন্ত আলাদাই হয়ে যায়, সে আর কারো হতে পারে না। তার সব চাওয়াগুলোর মধ্যে মৌলিকত্ব না থাকায় নিজস্ব অস্তিত্ব হারায়।
আমারও দিন-রাত সব এক হয়েছে, ম্লান হয়েছে জীবনের সব হাসি-খুশি। জীবনের নাম যদি কম্প্রমাইজ হয়-তবে, আমি আমার জীবনটাকে নিয়ে যে কম্প্রমাইজ করলাম, তার মূল্য হয়তো এক আনাও নাই। আমি আজ ঈশ্বরকে অভিশাপ দিচ্ছিনা, তবে বলছি, সুখে থাকো তাই চাই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি সুখি হবে ? বাস্তবতা বলে দেয়, সুখি হয়তো হবে না।
সৃষ্টির জৈবিক চাহিদা মানুষকে তাড়িত করে নিয়ে যায় নরকের কাছাকাছি। যুক্তি জীবনকে নিয়ে যায় ধ্বংসের কাছাকাছি। এক এক করে সব বদলালে বাস্তবতার কাছে কি উত্তর হবে, সবাই খারাপ-শুধু নিজেই ভালো? ভালো মানুষ জুটছে না ?
আমি যথেষ্ট খারাপ, তারপরো বলবো, ততটা খারাপ নই, যাতে আমার অস্তিত্ব ধ্বংসের দিকে যায়। যুক্তি হয়তো অনেক আছে। কিন্তু জীবনতো একটাই, আর কত চাই ? ভোগাবেগী মানুষগুলো হয়তো মাঝে মাঝেই শিহরিত হবে-অভিসারের কথা ভেবে ভেবে, কিন্তু সাহস করে আপন কি হবে কেউ ? আখ্যা দেবে ঠিক এভাবে, ধুর, সি/হি হেজ নো পার্সনালিটি-আমার সাথেও.....কাটিয়েছে। জীবনের সায়াহ্ন বেলায় এসব মনে পড়লে লজ্জা আর অপমানে নিজের প্রতি ঘৃনা আসবে, তখন সঙ্গ দেবার কেউ থাকবে না। তারপরো আমি চেয়েছিলাম, ভেবেছিলাম একদিন হয়তো মৌলিকতা ফিরে আসবে। আমি ভাবিনি আমি উচ্ছিষ্টের মধ্যে তলিয়ে যাচ্ছি। আমি ভাবিনি-ওই ওই উচ্ছিষ্টের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক কামুক নারী-পুরুষের নির্যাস, আমি ভাবিনি, ওই উচ্ছিষ্টে লেপ্টে রয়েছে অনেক রক্ত, পূঁজ আর আর । আর সেসব আমাকে ছুয়ে যাচ্ছে আমাকে।
তারপরো ভেবেছিলাম হয়তো মৌলিকত্ব আসবেই একদিন। যুক্তি দিয়ে আমাকে সরানো যাবে-এটা ঠিক, কিন্তু কতটা দিয়েছি বা পেয়েছ, তার পরিমাপ কি করতে পারবে আদৌ ? দেখো চেষ্টা করে------যদি কিনারা পাও, যদি আবারো কোন সু-জন গ্রহণ করে। তারপর তারপর.....আগামি প্রজন্মের কাছে নিশ্চই প্রশ্ন জাগবে-তাহলে কি এরা সবাই নষ্ট ছিল.......যে কারনে কারও সাথে জীবনভর কাটেনি? তারাও সরে পড়বে, যখন তারা উত্তর খুজে পাবে। জীবনের সাথে মেলাও, এইজন ছাড়া আসলে কি আর কেউ তোমার সাথে ছিল? যুক্তি দেখাতেই পারো। তবে শত তালিকার মধ্যে আমি অতি ক্ষুদ্রকার হলেও খুব আগলে রেখেছিলাম-এবং এই মাপ কাঠিতে আমি শ্রেষ্ঠত্ব না পেলেও নিশ্চই খুব ক্ষীন হবো না। আজ যাকে তুমি সরিয়েছ, তার চাওয়া কি ছিল ? হরণ, বিলাস, স্বর্গ নাকি যৌনতা নাকি ভালোবাসা ?
দেহজ সম্পর্কের তালিকায় নিশ্চই আমিও উপনিত হবো, তবে ভালোবাসার তালিকায় খারাপ স্থানে থাকবো না হয়তো। আমরা যতই যুক্তি আর তর্ক দেখাই, বাস্তবতা এটাই যে, প্রকৃতিগত ভাবেই নারী আর পুরুষ বিভাজন করে তাদের স্বকীয় ধর্মের অবতাড়না করেছে। এখন আমাদের মানুষদের সব চেষ্টাই বৃথা। বিরোধিতার স্বার্থে বিরোধিতা করা, তা মোটেই কার্যকর নয়, কারন প্রকৃতির রহস্য আমরা কেউ জানিনা। আমাকে হুমকি দিয়ে কি লাভ বলো........ কেউ কি আজ পর্যন্ত পেরেছে কোন পূজারীর মন থেকে তার আর্চনার বিষয় কেড়ে নিতে। আমাকে হুমকি দিয়ে, সমালোচনা করে, বিচার করে কি হবে ? আমি হয়তো চাপেই চেপ্টা হয়ে থাকবো, কিন্তু আমার মনের ভেতরের যে স্বপ্ন-সে স্বপ্নটা কে ভাঙতে পারবে ? আমি তোমাকে অনেক অনেক ঘৃনা করি, কিন্তু ভালোবাসার প্রশ্নে আমি অবিচল। তোমরা আমার দেহটাকে, আমার পারিপার্শ্বকতাকে ছিড়ে, কেটে কুটে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারবে, কিন্তু সরিয়ে ফেল দেখি মনের ভেতরে যে ঈশ্বর বসে আছে তাকে। সে ক্ষমতা তোমাদের নেই। আমি হয়তো পূণ্যবান নই, তবে আমার ঈশ্বর আমাকে প্রতিনিয়ত কাঁদায়, মাঝে মাঝে হাসায়, আবার কখনো ক্ষোভ প্রকাশ করি। একাকিত্ব আর অন্ধকার আমার আপন হয়েছে। আমি অনেক ভালো থাকি সে সময়গুলোতে। তোমার অভিযোগ, আমার জীবনে অনেক অশান্তি ও অনেক অবর্ণনিয় নির্যাতন, শাস্তির কারন হয়েছে স্রোতের সাথে না মিলিয়ে চলা। এটা ঠিক, তারপরেও কি পেরেছে, আমার ঈশ্বরের কাছ থেকে আলাদা করতে। এখন হয়তো চোখ খুললেই দেখি এমন নয়, তবে চোখ বন্ধ করলেই দেখি, আমার ঈশ্বরের কপালে একটা গোলাকার লাল বৃত্ত। যার সন্ধানে আমি ছিলাম। আমার অপূর্নতা সম্পূর্ন হয়েছিল, সেই ঈশ্বর আমার কাছেই আছে। তোমাদের মত কদর্যপূর্ন মানুষের সাধ্য নাই, আমার ঈশ্বরকে আমার ভেতর থেকে বের করে ফেলে। আমি জানি, অনেক ভালো আছ। উচ্চাশার অনেক স্বপ্নে বিভোর। হয়তো সেখানে আমার কোন ঠাই নাই।
রুদ্র কি কম কষ্টে অনুভব করেছিল, “ভালো আছি ভালো থাকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো”। নষ্ট মানুষ ছিল সে তাই না? সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল। তাই সেই প্রত্যাখ্যাত হওয়া রুদ্রের জীবনের পরের দৃশ্য ঠিক এটাই। বিখ্যাত, অখ্যাত যাই হও, অনুতাপের রেখা কেউ দেখতে না পেলেও, কেউ না বললেও, কেউ চিন্তা না করলেও তা রঙধনুর মতই ফুটে উঠে। রৌদ্র আর বৃষ্টির অভিসারের ফলই হলো রঙধনু।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০২
বিভক্ত আত্মা বলেছেন: ঠিকই ভলেছেন। তবে, ঘর পরিষ্কার রাখতে ঘরের কিছু প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় জিনিস ডাস্টবিনে ফেলাটাই সভ্যতা। বিষয়টা ডাস্টবিন হলেও ডাস্টবিন কিন্তু যেখানে সেখানে ইচ্ছামত বসানো যায়না। ডাস্টবিনটাও স্বীকৃত হতে হবে।
উচ্ছিষ্ট জিনিস যেখানে সেখানে ফেললে দূষন বাড়ে। মানুষ নাক চেপে চলাচল করে। তাছাড়া, ঘরের কিছু কিছু প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় কিছু জমিয়ে রেখে ঘরকে দূষিত করবার দরকার কি। যেখানে স্বীকৃত ডাস্টবিন রয়েছে সেখানে প্রকাশ্যেই উচ্ছিষ্ট ফেলা যায়। খামোখা লুকিয়ে বা অলখে যেখানে সেখানে উচ্ছিষ্ট ছড়িয়ে দিয়ে হীনমণ্যতায় ভোগার দরকার কি। এভাবে উচ্ছিষ্ট ফেলতে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে। মিথ্যা কোন সময়ই ভালো রুপ ধারন করতে পারেনা। সত্য যত উৎকটই হউক, তা মানতে আপত্তি কোথায় ?
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০
বিভক্ত আত্মা বলেছেন: ঠিকই ভলেছেন। তবে, ঘর পরিষ্কার রাখতে ঘরের কিছু প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় জিনিস ডাস্টবিনে ফেলাটাই সভ্যতা। বিষয়টা ডাস্টবিন হলেও ডাস্টবিন কিন্তু যেখানে সেখানে ইচ্ছামত বসানো যায়না। ডাস্টবিনটাও স্বীকৃত হতে হবে।
উচ্ছিষ্ট জিনিস যেখানে সেখানে ফেললে দূষন বাড়ে। মানুষ নাক চেপে চলাচল করে। তাছাড়া, ঘরের কিছু কিছু প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় কিছু জমিয়ে রেখে ঘরকে দূষিত করবার দরকার কি। যেখানে স্বীকৃত ডাস্টবিন রয়েছে সেখানে প্রকাশ্যেই উচ্ছিষ্ট ফেলা যায়। খামোখা লুকিয়ে বা অলখে যেখানে সেখানে উচ্ছিষ্ট ছড়িয়ে দিয়ে হীনমণ্যতায় ভোগার দরকার কি। এভাবে উচ্ছিষ্ট ফেলতে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে। মিথ্যা কোন সময়ই ভালো রুপ ধারন করতে পারেনা। সত্য যত উৎকটই হউক, তা মানতে আপত্তি কোথায় ?
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০২
কানিজ রিনা বলেছেন: আমার নিজের কথা দিয়েই আপনার লেখায় মন্তব্য
রাখলাম। কোনও যুবক যুবতী যৌবনে পদার্পন করতেই
উচ্ছিষ্ট গ্রহনে আনন্দ পায়, নতুনত্ব পায়ে ঠেলে উচ্ছিষ্ট
নিয়েই গা ভাষায়।
তার কাছে পবিত্র স্ত্রী সন্তানের কিদাম। জীবনতো একটাই
গোগ্রাসে যতক্ষন আনন্দ করা যায়।